স্বাগতম

সবার জন্য উন্মুক্ত পেইজ ভিজিট করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ। *** শিক্ষার কোন বয়স নাই, জানার কোন শেষ নাই। *** বিঃদ্র ( যে সকল ব্লগ বা ওয়েবসাইট এর লেখা কোন অনুমতি ছাড়া কপি করে এখানে পোষ্ট করেছি, যদি কারো কোনো অভিযোগ থাকে দয়া করে জানাবেন। E-mail: nchafa10@gmail.com, ভালো লাগলে আবার আসবেন।***ধন্যবাদ***

অঙ্গীকারনামার নমুনা

অঙ্গীকারনামা করার আগে অঙ্গীকারনামা কি জানা জরুরি। না জেনে না বুঝে কোন কিছু করা ঠিক নয়। অঙ্গীকারনামা লেখার আগে জেনে নেওয়া যাক যে, অঙ্গীকারনামা কি?

অঙ্গীকারনামা দুটি শব্দ, এক সাথে মিলে অঙ্গীকারনামা হয়েছে। যেমম অঙ্গীকার-নামা। অঙ্গীকার অর্থ প্রতিজ্ঞা, বাক্যদান, স্বীকার। এবং নামা অর্থ: পত্রলিখন (ওকালতনামা), প্রমাণপত্র, দলিল (চুক্তিনামা), বিবরণ ইত্যাদি।

ongikarnama kake bole, এককথায়ঃ অঙ্গীকার নামা হল, একটি লেখিত প্রমাণপত্র। প্রতিজ্ঞা বা স্বীকার উক্তি লেখিতভাবে প্রকাশ করাকে অঙ্গীকারনামা বলে।

মনে করেন, নিজ ব্যবসা যে কোন প্রয়োজনে আবুল এর কাছ থেকে এক বছররের জন্য ১০০০০০ টাকা ঋণ বা ধার নেওয়ার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করিলেন। এবং আবুল একটি অঙ্গীকারনামা মাধ্যমে টাকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিল। এখন দেখুন kivabe onkikarnama korte hoy বা অঙ্গীকারনামা লেখার নিয়ম নিন্মে দেওয়া হল।

ধার শোধের অঙ্গীকারনামার নমুনা- ১

এই মর্মে অঙ্গীকার করছি যে, আমি ................. পিতা: ----------- মাতাঃ -------------গ্রাম/মহল্লাঃ---------- পোষ্টঃ----------, থানাঃ-------- জেলাঃ ----------  আমি অত্র এলাকার একজন স্থায়ী বাসিন্দা। নতুন ব্যবসায় শুরু করার জন্য আপনার থেকে ১০০০০০ টাকা ধার হিসেবে গ্রহণ করেছি।

আপনার অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, আগামি এক বছররের মধ্যে, ---/---/ ২০২৩ তারিখে এই টাকা ফেরত দিতে বাধিত থাকিব।

অঙ্গীকারকারীর স্বাক্ষর/টিপসহি

-----------------------------------------
গ্রাম/মহল্লাঃ---------- পোষ্টঃ----------, থানাঃ-------- জেলাঃ ----------

আরও দেখুনঃ  অস্থায়ী দোকান/ অফিস স্পেস/ রুম ভাড়ার চুক্তিপত্র নমুনা

ব্যাংক থেকে ঋণ গ্রহণের অঙ্গীকারনামা ও গ্যারান্টিপত্র কীভাবে করতে হয় তাহার একটি নমুনা পত্র নিন্মে দেওয়া হল।

ঋণ পরিশোধের অঙ্গীকারনামা - নমুনা-২
আমি...............পিতা........মাতা...................... জগন্নাথ
বিশ্ববিদ্যালয়ের ....................বিভাগ/দপ্তরে একজন.........................হিসেবে কর্মরত আছি, আমি এই মর্মে অঙ্গীকার প্রদান করিতেছি যে,
১. আমি অগ্রণী ব্যাংক কর্পোরেট গ্যারান্টির আওতায় হোলসেল সাধারণ জমি ক্রয়/গৃহ নির্মাণ/ফ্ল্যাট ক্রয়/বাড়িক্রয়/গৃহ মেরামত বাবদ আমার নামে মঞ্জুরীকৃত ঋণের .........................(কথায়ঃ.................................) ঋণ মঞ্জুরী পত্রে উল্লেখিত টাকা গ্রহণে সম্মত আছি।
২. আমি আমার গৃহীত ঋণের সম্পূর্ণ টাকা সুদ-আসলে মোট ২৪০ (দুইশত চল্লিশ) কিস্তিতে আমার মাসিক বেতন-ভাতাদি হইতে কিস্তির সমপরিমাণ অর্থ কর্তন করিবার ক্ষমতা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে প্রদান করিতেছি।
৩. আমার অনুকূলে মঞ্জুরীকৃত মোট ঋণের উপর ৮% (আট শতাংশ) অথবা ব্যাংক বিধি মোতাবেক পরিবর্তিত হারে সরল সুদ প্রদানে বাধ্য থাকিব।
৪. ঋণ অবশিষ্ট থাকা অবস্থায় আমি স্বাভাবিক নিয়মে/স্বেচ্ছায় অবসর গ্রহণ করিলে কিংবা চাকুরীচ্যুত (বরখাস্ত) হইলে ঋণের অবশিষ্ট টাকা সুদ-আসলে আমার আনুতোষিক/গ্রাচ্যুইটি, গোষ্ঠিবীমা, কল্যাণ তহবিল, প্রভিডেন্ট ফান্ডসহ প্রাপ্য টাকা হইতে ব্যাংকের নিয়ম অনুসারে পুনঃনির্ধারিত হারে এককালীন পরিশোধ করিতে বাধ্য থাকিব। কোন আইনানুগ কার্যক্রম এই প্রক্রিয়ায় বাধা সৃষ্টি করিতে পারিবে না।
৫. ঋণ অবশিষ্ট থাকা অবস্থায় আমার মৃত্যু হলে ঋণের অবশিষ্ট টাকা ব্যাংকের নিয়ম অনুসারে পুনঃনির্ধারিত হারে সুদ- আসলে আমার আনুতোষিক/গ্রাচ্যুইটি, গোষ্ঠিবীমা, কল্যাণ তহবিল, প্রভিডেন্ট ফান্ডসহ প্রাপ্য টাকা ও অন্যান্য আর্থিক সুবিধা হইতে এককালীন কর্তনের ক্ষেত্রে আমার নমিনী বা তাহার বা তাহাদের স্থলাবর্তীদের (ওয়ারিশগণ কর্তৃক) কোন বাধা গ্রাহ্য হইবে না এবং কোন আইনানুগ কার্যক্রম এই প্রক্রিয়ায় বাধা সৃষ্টি করিতে পারিবে না। এমনকি ঋণ সুদ- আসলে পরিশোধ না হইলে কর্তৃপক্ষ আমার অন্যান্য স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি বিক্রয় করিয়া বিক্রয়লব্ধ অর্থ হইতে ঋণ সুদ-আসলে আদায় করিতে পারিবে। ইহাতে আমার কোনও ওয়ারিশ কোনরূপ আপত্তি করিতে পারিবে না।
৬. ঋণ গ্রহণ পরবর্তী শিক্ষা/লিয়েন/গবেষণা/অসাধারণ বা অন্য কোন দীর্ঘকালীন (৬ মাসের ঊর্ধ্বে) ছুটিতে যাওয়ার পূর্বে গৃহীত ঋণ নিয়ামানুযায়ী সুদ-আসলে এককালীন পরিশোধ করিতে বাধ্য থাকিব। ঋণ চলাকালীন সময়ে প্রেষণে গেলে প্রেষণে অবস্থানকালীন প্রতিষ্ঠান হইতে ঋণের প্রতি মাসের কিস্তির অর্থ নিয়মিত ভাবে প্রেরণ করিতে বাধ্য থাকিব। লিয়েন ছুটিতে গেলে ছুটিকালীন সময়ের কিস্তির সমপারিমাণ অর্থ বিশ্ববিদ্যালয়ের ঋণ সংক্রান্ত সংশ্লিষ্ট হিসাবে এককালীন জমা করিব। পরবর্তীতে লিয়েন ছুটি বৃদ্ধি করিতে হইলে আবেদনের সহিত পূণরায় আবেদনকৃত ছুটিকালীন সময়ের সমুদয় কিস্তির সমপরিমাণ অর্থ জমা করিতে বাধ্য থাকিব। উল্লেখ্য, শৃঙ্খলা পরিপন্থি কাজের জন্য বাধ্যতামূলক ছুটি/সাময়িক অথবা স্থায়ী বহিষ্কারে ঋণ আদায়ের ক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত বলিয়া মানিতে আমি বাধ্য থাকিব।
৭. ঋণ গ্রহণ এবং ঋণের টাকা পরিশোধের ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেট কর্তৃক অনুমোদিত বর্তমান নীতিমালার সকল শর্ত পালনে আমি বাধ্য থাকিব। এছাড়াও এই নীতিমালায় কোন পরিবর্তন বা ভবিষ্যতে এতদসংক্রান্ত কোন নীতিমালা প্রণীত হইলে তাহার শর্তাদিও আমার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হইবে।
৮. অগ্রণী ব্যাংক লিঃ ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে সম্পাদিত “রিভলভিং লোন হোলসেল জেনারেল হাউজ বিল্ডিং (রেসিডেন্সিয়াল)” চুক্তির কোন বিষয়ে সমস্যা দেখা দিলে বা প্রশ্ন উত্থাপিত হইলে তাহা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী নিস্পত্তিযোগ্য বলিয়া গণ্য হইবে। 

এতদ্বারা আমি স্বেচ্ছায় এবং স্বজ্ঞানে এই অঙ্গীকারনামা অদ্য .......................... খ্রিঃ তারিখে স্বাক্ষর করিলাম।

ঋণ গ্রহীতার স্বাক্ষর ঃ
তারিখ ঃ
বর্তমান ঠিকানাঃ
স্থায়ী ঠিকানাঃ

স্বাক্ষীবৃন্দের নাম, স্বাক্ষর ও ঠিকানা (স্বাক্ষীবৃন্দের মধ্যে ১ জন নমিনীর স্বাক্ষর থাকা বাঞ্ছনীয়)ঃ
১.
২.
৩.

আর পড়ুনঃ 
জমি বন্ধকী চুক্তিপত্র কিভাবে করবেন জেনে নিন

নতুন ভোটার হওয়ার জন্য অঙ্গীকারনামা কীভাবে করতে হয় তাহার একটি নমুনা নিন্মে দেওয়া হল। 

নতুন ভোটার হওয়ার অঙ্গীকারনামা- নমুনা 

এই মর্মে অঙ্গীকার করছি যে, আমি ................. পিতা: ----------- মাতাঃ -------------গ্রাম/মহল্লাঃ---------- পোষ্টঃ----------, থানাঃ-------- জেলাঃ ---------- রআমি অত্র এলাকার একজন স্থায়ী বাসিন্দা। চাকরিরত/লেখাপড়ার কারণে বাড়ির বাহিরে অবস্থান করায় আমি সময়মত ভোটার হতে পারিনি। তাই নতুন ভোটার হিসেবে নিবন্ধিত হওয়ার জন্য আপনার দপ্তরে আবেদন দাখিল করছি।

আমি আরো অঙ্গীকার করছি যে, আমি ইতোপূর্বে বাংলাদেশর কোথায়ও ভোটার হইনি এবং এই প্রথমবার ভোটার হওয়ার জন্য আবেদন করছি। যেহেতু একাধিকবার ভোটার হওয়া আইনত দন্ডনীয় অপরাধ সেহেতু আমি দ্বৈত ভোটার হলে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন আমার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারবে এবং আমি তা মেনে নিতে সর্বদা বাধ্য থাকবো। এমতাবস্থায়, আমাকে নতুন ভোটার করার জন্য আপনার নিকট সবিনয় অনুরোধ করছি।

অঙ্গীকারকারীর স্বাক্ষর/টিপসহি

-----------------------------------------
গ্রাম/মহল্লাঃ---------- পোষ্টঃ----------, থানাঃ-------- জেলাঃ ----------
তারিখঃ---- 


শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কীভাবে করতে হয় তাহার নমুনা নিন্মে দেওয়া হল।   

শিক্ষাগত অঙ্গীকারনামা মূলত শিক্ষার্থী তার কর্তৃপক্ষ মোতাবেক লিখে থাকে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অঙ্গীকারনামায় সাধারণত শিক্ষার্থীর নাম, তার ডিপার্টমেন্ট, সেশন, পিতা, মাতার নাম, কোঁটা এসব উল্লেখ থাকে। নিচে একটি নমুনা উল্লেখ করা হলো। 

শিক্ষাগত অঙ্গীকারনামার নমুনা

আমি------, পিতাঃ------- এবং মাতাঃ--------এর কন্যা অত্র কোটাধারি গ্রামঃ----, থানা----, জেলা---র, অধিবাসী,আপনার প্রতিষ্ঠানে (প্রতিষ্ঠানের নাম), অত্র ফ্যাকাল্টির অত্র ডিপার্টমেন্ট এ অত্র প্রোগ্রামে অধ্যয়ন করার জন্য ভর্তি হয়েছি। 

আমি এই মর্মে অঙ্গীকার করছি যে, আমি যতদিন এই প্রতিষ্ঠানে অধ্যয়ন করবো, আপনার প্রতিষ্ঠানের সকল নিয়ম কানুন মেনে চলবো।

অঙ্গীকারীর স্বাক্ষর
নামঃ---- 
গ্রাম/মহল্লাঃ---------- পোষ্টঃ----------, থানাঃ-------- জেলাঃ ----------
তারিখঃ---- 

ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে একটিভ থাকুন

১লা মে দিবস / শ্রমিকের অধিকার আদায়ের দিন

১লা মে দিবসের ছবি ১লা মে আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস পালন করা হয়। ১লা মে মহান মে দিবস। ১লা মে বিশ্বের শ্রমজীবী মানুষের অধিকার আদায়ের দিন। ১৮৮৬ স...