সালাতুল তাসবিহ কি নামাজ ?
সালাতুত তাসবীহ (আরবি: صلاة تسبيح ) তাসবীহের নামাজ নামেও পরিচিত। সালাত শব্দের অর্থ নামাজ। আর তাসবিহ বলতে ‘সুবাহানাল্লাহ, ওয়াল হামদুলিল্লাহ, ওয়ালা ইলাহা ইল্লাল্লাহু, ওয়াল্লাহু আকবার’ এ শব্দগুলো বোঝানো হয়েছে। যে নামাজে এসব তাসবীহ পড়ানো হয় তা সালাতুত তাসবীহ বা তাসবীহের নামাজ হিসেবে পরিচিত। ইসলামে অনুসারীদের জন্যে এটি একটি ঐচ্ছিক ইবাদত। এটা বাধ্যতামূলক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের মতো নয়।
ইসলাম ধর্মের নবী মোহাম্মদ (সা.) তার অনুসারীদেরকে এ নামাজ পালনে উৎসাহিত করছেন। জীবনে একবার হলেও মুসলমানরা যেনো এ নামাজ পড়ে সে বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেছেন।
সালাতুল তাসবিহ পড়ার নিয়ম salatul tasbih porar niyom/ সালাতুল তাসবিহ নামাজ পড়ার নিয়ম/ সালাতুল তাসবিহ নামাজের নিয়ম ও ফজিলত
সালাতুল তাসবিহ নামাজের দোয়া |
সালাতুত তাসবীহ চার রাকাত। প্রতি রাকাতে ‘সুবাহানাল্লাহ, ওয়াল হামদুলিল্লাহ, ওয়ালা ইলাহা ইল্লাল্লাহু, ওয়াল্লাহু আকবার’ তাসবীহগুলো ৭৫ বার পড়তে হয়। চার রাকাতে মোট ৩০০ বার পড়তে হয়।
১.প্রথম-রাকাত এ সানা পড়ার পরে তাসবীহ টি ১৫ বার পড়তে হবে।
২.তারপর স্বাভাবিক নিয়মে সুরা ফাতিহা ও অন্য আরেকটি সুরা অথবা অন্তত তিন আয়াত পড়ার পরে তাসবীহ টি ১০ বার পড়তে হবে ।
৩.এরপর রুকুতে গিয়ে রুকুর তাসবীহ পরার পরে তাসবীহ টি ১০ বার পড়তে হবে।
৪.এরপর রুকু হতে দাড়িয়ে গিয়ে “রাব্বানা লাকাল হামদ” পড়ার পরে তাসবীহ টি ১০ বার পড়তে হবে ।
৫.এরপর সিজদায় গিয়ে সিজদার তাসবীহ পরে তাসবীহ টি ১০ বার পড়তে হবে ।
৬. প্রথম সিজদা থেকে বসে তাসবীহ টি ১০ বার পড়তে হবে ।
৭.এরপর আবার সিজদায় গিয়ে সিজদার তাসবীহ পরে তাসবীহ টি ১০ বার পড়তে হবে ।
৮. তারপর একই ভাবে ২য় রাকাত পড়তে হবে,সুরা ফাতিহা পড়ার আগে তাসবীহ টি ১৫ বার পড়তে হবে
৯.অতপর ২য়রাকাত এর ২য় সিজদার পর “আত্তহিয়্যাতু…”,দরুদ আর দোয়া পড়ার পরে সালাম না ফিরিয়ে ,২য় রাকাত এর মতো ৩য় এবং ৪থ রাকাত একই প্রক্রিয়া শেষ করতে হবে (তাসবীহ টি ১৫ বার পড়ে স্বাভাবিক নিয়মে সুরা ফাতিহা ও অন্য আরেকটি সুরা পড়তে হবে)।
ভুল হলে করণীয়
‘সালাতুত তাসবীহ’ নামায পড়াবস্থায় দানাদার তসবিহ হাতে গণনা করা মাকরূহ বা অনুচিত। আঙ্গুলের করগুলোতে গণনা করা যাবেনা। কিন্তু তাহরিমা বাধা অবস্থাতেই হাতের আঙ্গুল গুলা টিপেটিপে তাসবীহ গণনা করতে হবে। কোনো স্থানে তাসবীহ পড়তে ভুলে গেলে পরবর্তী তাসবীহ পাঠের সময় তা আদায় করে নিতে হবে। তবে ক্বওমা তথা রুকু থেকে দাঁড়ানোকালে ও দুই সিজদার মাঝখানে তাসবীহ ভুলে যাওয়া তাসবীহগুলো আদায় করা যাবে না। সূর-কেরাত পড়ার পূর্বে তাসবীহ ভুলে গেলে সূরা-কেরাত পাঠের সেটি আদায় করতে হবে। একইভাবে ক্বিরায়াতের পর তাসবীহ ভুলে গেলে রুকুতে গিয়ে আদায় করতে হবে। রুকুতে তাসবীহ ভুলে গেলে উক্ত তাসবীহ প্রথম সিজদায় আদায় করতে হবে। সিজদায় যাওয়ার পূর্বে তাসবীহ পড়তে ভুলে গেলে তা প্রথম সিজদাতে গিয়ে আদায় করতে হবে। প্রথম সিজদাতে তাসবীহ ভুলে গেলে তা দুই সিজদার মাঝখানে আদায় না করে দ্বিতীয় সিজদাতে গিয়ে আদায় করতে হবে। ঠিক দুই সিজদার মাঝখানের তাসবীহ পড়তে ভুলে গেলে তাও দ্বিতীয় সিজদায় গিয়ে পড়তে হবে। একইভাবে আর দ্বিতীয় সিজদাতে তাসবীহ ভুলে পরের রাকায়াতে সূরা-ক্বিরায়াত পাঠ করার পূর্বে পড়ে নিতে হবে। শেষ সিজদার তাসবীহ পড়তে ভুলে গেলে সালাম ফিরানোর পূর্বে তাসবীহ পড়ে নিতে হবে।
সালাতুল তাসবিহ নামাজের হাদিস / salatul tasbeeh namaz hadees
রাসুল (সা.) তার চাচা হজরত আব্বাস (রা.)-কে বলেন, ‘চাচা, পারলে আপনি সালাতুল তাসবিহ নামাজ সপ্তাহে একবার, তাও না হলে মাসে একবার, তাও না পারলে বছরে একবার পড়বেন। তাতেও অক্ষম হলে অন্তত জীবনে একবার হলেও এ নামাজ পড়বেন। এ নামাজ দ্বারা জীবনের ছোট, বড়, স্বেচ্ছায়, অনিচ্ছায়, নতুন, পুরনো, গোপন, প্রকাশ্য সব রকম অপরাধ মাফ হয়ে যায়।
সালাতুত তাসবিহ নামাজ জামাতে পড়া যাবে কি?
ফুক্বহায়ে কেরামগণ বলেছেন রমজানের তারাবীহ ছাড়া অন্যান্য নফল জামাতে পড়া মাকরূহ।
তবে যদি ইমাম ছাড়া দুইজন হয়, তাহলে জায়েজ আছে। কিন্তু তিনজন হলে মতভেদ আছে। বাকি ইমাম ছাড়া তিন হয়ে গেলে তা সর্বসম্মত মতানুসারে মাকরূহ। তাই তিনের অধিক ব্যক্তিসহ সালাতুত তাসবীহ নামাযের জামাত মাকরূহ। আর تداعى তথা ডেকে একত্র করে জামাতের সাথে পড়লেতো অবশ্যই মাকরূহ। ডেকে একত্র করার অর্থ এও যে, তিনজনের বেশি মুসল্লি হয়ে যাওয়া। সেই সাথে এভাবে জামাত পড়া বিদআতও হবে। যে কাজ রাসূল সাঃ ও সাহাবাগণ এবং তাবেয়ীগণ করেননি, সেটিকে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সুন্নত মনে করে পড়া বিদআত।
সালাতুল তাসবিহ নামাজ কখন পড়তে হয়/ সালাতুল তাসবিহ নামাজের সময় কখন ?
জাওয়াল, সুর্যাস্ত, সূর্যোদয় , নামায এর জন্য নিষিদ্ধ ও মাকরুহ সময় বাদে দিন অথবা রাতের যেকোন সময় একবারে চার রাকাত এ এই নামায আদায় করতে হয়। কিন্তু যোহরের আগে পড়াকে অগ্রাধিকার দেয়া হয়।(ফাত্বয়াহ আলামগীন)
সালাতুল তাসবিহ নামাজের নিয়ত/ সালাতুল তাসবিহ নামাজের বাংলা নিয়ত/ salatul tasbih namaz niyat bangla
বাংলা-উচ্চারন
নাওয়াইতু আন উসালি্লয়া লিল্লাহি তা’আলা আরবা’আ রাকা’আতাই সালাতিল সালাতুল-তাসবী সুন্নাতু রাসূলিল্লাহি তা’আলা মুতাওয়াজ্জিহান ইলাজিহাতিল কাবাতিশ শারীফাতি আল্লাহু আকবার।
বাংলা অর্থ
আমি সালাতুল-তাসবী -চার-রাক'আত সুন্নত নামাজ আদায় করার উদ্দেশ্যে কিবলামুখী হয়ে নিয়্যত করলাম,আল্লাহু আকবার।
সালাতুল তাসবিহ নামাজ কি সুন্নত না নফল? সালাতুত তাসবিহ নামাজ সুন্নাত নাকি নফল?
জবাব:
এই নামাজ জীবনে অন্তত একবার আদায় করার উপর অত্যাবশ্যক বা জোর দেয়া হয়েছে। আর পরবর্তী বার এটা সুন্নাতে গাইরে মুয়াক্কাদাহ কিংবা নফল হিসেবে গন্য হবে।
ফরজ ও ওয়াজিবের পরবর্তী পর্যায়ের নাম সুন্নাত। এই সুন্নাত আবার দুই প্রকারঃ
১) সুন্নাতে মুয়াক্কাদাহ (যা ছাড়লে কবীরা গুনাহ হয়)
২) সুন্নাতে জায়েদা বা সুন্নাতে গাইরে মুয়াক্কাদাহ (এটি ঐচ্ছিক সুন্নাত, পড়লে সওয়াব আছে, ছাড়লে গুনাহ নেই)
হাদিস শরীফে ইরশাদ হয়েছেঃ ইবনে আব্বাস থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন,রাসূলুল্লাহ আব্বাস ইবনে আব্দিল মুত্তালিব কে বলেছেন,হে চাচা! আঁমি কি আপনাকে দেব না? আঁমি কি আপনাকে প্রদান করব না? আঁমি কি আপনার নিকটে আসব না? আঁমি কি আপনার জন্য দশটি সৎ গুনের বর্ণনা করব না যা করলে আল্লাহ তা’আলা আপনার আগের ও পিছনের,নতুন ও পুরাতন,ইচ্ছায় ও ভুলবশত কৃত,ছোট ও বড়, গোপন ও প্রকাশ্য সকল গুনাহ মাফ করে দেবেন? আর সে দশটি সৎ গুন হলো:
❏ আপনি চার রাকাত নামাজ পড়বেন।
❏ প্রতি রাকাআতে সূরা ফাতিহা ও অন্য একটি সূরা পড়বেন।
❏ প্রথম রাকাতে যখন কিরা’আত পড়া শেষ করবেন তখন দাঁড়ানো অবস্থায় ১৫ বার বলবেন:
উচ্চারণঃ সুবহানাল্লাহি ওয়ালহামদু লিল্লাহহি ওয়ালা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবার।
❏ এরপর রুকুতে যাবেন এবং রুকু অবস্থায় (উক্ত দো’আটি) ১০ বার পড়বেন।
❏ এরপর রুকু থেকে মাথা ওঠাবেন এবং ১০ বার পড়বেন। এরপর সিজদায় যাবেন। সিজদারত অবস্থায় ১০ বার পড়বেন।এরপর সিজদা থেকে মাথা উঠাবেন অতঃপর ১০ বার পড়বেন। এরপর আবার সিজদায় যাবেন এবং সিজদারত অবস্থায় ১০ বার পড়বেন। এরপর সিজদা থেকে মাথা ওঠাবেন এবং ১০ বার পড়বেন। এ হলো প্রতি রাকাতে ৭৫ বার। আপনি চার রাকাতেই অনুরূপ করবেন। যদি আপনি প্রতিদিন আমল করতে পারেন, তবে তা করুন। আর যদি না পারেন,তবে প্রতি জু’মাআয় একবার। যদি প্রতি জু’মাআয় না করেন তবে প্রদি মাসে একবার। আর যদি তাও না করেন তবে জীবনে একবার।
সালাতুল তাসবিহ নামাজের নিয়ত/ সালাতুল তাসবিহ নামাজের বাংলা নিয়ত/ salatul tasbih namaz niyat bangla
বাংলা-উচ্চারন
নাওয়াইতু আন উসালি্লয়া লিল্লাহি তা’আলা আরবা’আ রাকা’আতাই সালাতিল সালাতুল-তাসবী সুন্নাতু রাসূলিল্লাহি তা’আলা মুতাওয়াজ্জিহান ইলাজিহাতিল কাবাতিশ শারীফাতি আল্লাহু আকবার।
বাংলা অর্থ
আমি সালাতুল-তাসবী -চার-রাক'আত সুন্নত নামাজ আদায় করার উদ্দেশ্যে কিবলামুখী হয়ে নিয়্যত করলাম,আল্লাহু আকবার।
সালাতুল তাসবিহ নামাজ কি সুন্নত না নফল? সালাতুত তাসবিহ নামাজ সুন্নাত নাকি নফল?
জবাব:
এই নামাজ জীবনে অন্তত একবার আদায় করার উপর অত্যাবশ্যক বা জোর দেয়া হয়েছে। আর পরবর্তী বার এটা সুন্নাতে গাইরে মুয়াক্কাদাহ কিংবা নফল হিসেবে গন্য হবে।
ফরজ ও ওয়াজিবের পরবর্তী পর্যায়ের নাম সুন্নাত। এই সুন্নাত আবার দুই প্রকারঃ
১) সুন্নাতে মুয়াক্কাদাহ (যা ছাড়লে কবীরা গুনাহ হয়)
২) সুন্নাতে জায়েদা বা সুন্নাতে গাইরে মুয়াক্কাদাহ (এটি ঐচ্ছিক সুন্নাত, পড়লে সওয়াব আছে, ছাড়লে গুনাহ নেই)
হাদিস শরীফে ইরশাদ হয়েছেঃ ইবনে আব্বাস থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন,রাসূলুল্লাহ আব্বাস ইবনে আব্দিল মুত্তালিব কে বলেছেন,হে চাচা! আঁমি কি আপনাকে দেব না? আঁমি কি আপনাকে প্রদান করব না? আঁমি কি আপনার নিকটে আসব না? আঁমি কি আপনার জন্য দশটি সৎ গুনের বর্ণনা করব না যা করলে আল্লাহ তা’আলা আপনার আগের ও পিছনের,নতুন ও পুরাতন,ইচ্ছায় ও ভুলবশত কৃত,ছোট ও বড়, গোপন ও প্রকাশ্য সকল গুনাহ মাফ করে দেবেন? আর সে দশটি সৎ গুন হলো:
❏ আপনি চার রাকাত নামাজ পড়বেন।
❏ প্রতি রাকাআতে সূরা ফাতিহা ও অন্য একটি সূরা পড়বেন।
❏ প্রথম রাকাতে যখন কিরা’আত পড়া শেষ করবেন তখন দাঁড়ানো অবস্থায় ১৫ বার বলবেন:
উচ্চারণঃ সুবহানাল্লাহি ওয়ালহামদু লিল্লাহহি ওয়ালা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবার।
❏ এরপর রুকুতে যাবেন এবং রুকু অবস্থায় (উক্ত দো’আটি) ১০ বার পড়বেন।
❏ এরপর রুকু থেকে মাথা ওঠাবেন এবং ১০ বার পড়বেন। এরপর সিজদায় যাবেন। সিজদারত অবস্থায় ১০ বার পড়বেন।এরপর সিজদা থেকে মাথা উঠাবেন অতঃপর ১০ বার পড়বেন। এরপর আবার সিজদায় যাবেন এবং সিজদারত অবস্থায় ১০ বার পড়বেন। এরপর সিজদা থেকে মাথা ওঠাবেন এবং ১০ বার পড়বেন। এ হলো প্রতি রাকাতে ৭৫ বার। আপনি চার রাকাতেই অনুরূপ করবেন। যদি আপনি প্রতিদিন আমল করতে পারেন, তবে তা করুন। আর যদি না পারেন,তবে প্রতি জু’মাআয় একবার। যদি প্রতি জু’মাআয় না করেন তবে প্রদি মাসে একবার। আর যদি তাও না করেন তবে জীবনে একবার।
●(ক.) সুনানে আবু দাউদ,হাদীস নং- ১২৯৭,
●(খ.) সুনানে ইবনে মাজাহ,হাদীস নং- ১৩৮৭,
●(গ.) সহীহ ইবনে খুজাইমা,হাদীস নং- ১২১৬,
●(ঘ.) সুনানে বায়হাকী কুবরা,হাদীস নং- ৪৬৯৫,
●(ঙ.) তিরমিযি- ১/১০৬,হাদিস নং- ১২৯৯, [হাদীসটি সহীহ।]
উক্ত হাদীসকে যারা সহীহ বলেছেন
●১. ইমাম আবু দাউদ,হাদীস নং-১২৯৭ [ইমাম আবু দাউদ হাদীস বললে,চুপ থাকলে সেটি তার কাছে সহীহ।]
●২. ইবনে হাজার আসকালানী বলেন, এর সনদটি হাসান। [আলখিছাল-১/৪১]
●৩. আল্লামা ওয়াদেয়ী বলেন,হাসান। [সহীহুল মুসনাদ,হাদীস নং-৫৮২]
●৪. ইবনুল মুলাক্কিন বলেন,এর সনদ উত্তম। [আবদরুল মুনীর-৪/২৩৫]
●৫. ইবনে হাজার আসকালানী বলেন,হাসান। [তাখরীজুল মিশকাতুল মাসাবীহ-২/৭৮]
●৬. আহলে হাদিস গুরু নাসীরুদ্দীন আলবানী বলেছেন,হাদীসটি সহীহ। [সহীহুল জামে,হাদীস নং-৭৯৩৭]
●৭. ইমাম তিরমিযি ‘সালাতুত তাসবিহ-সংক্রান্ত হাদিসকে বলেছেন : আল-মুসতাদরাক কিতাবের মধ্যে এ হাদিস সম্পর্কে মন্তব্য করা হয়েছে :তাছাড়া নাসির উদ্দিন আলবানি সালাতুত তাসবিহ’র হাদিস সম্পর্কে বলেছেন : [তিরমিযি হাশিয়াসহ : ২য়খন্ড,৩৪৭]
●৮. তুহফাতুল আহওয়াযির লেখক বলেন : আবদুল্লাহ ইবনুল মুবারক সালাতুত তাসবিহ আদায় করতেন। নেককার-বুযুর্গগণ একজনের কাছ থেকে আরেকজন এ নামায শিখতেন। এর দ্বারা মারফু হাদিস আরো শক্তিশালী হয়েছে। অর্থাৎ আবদুল্লাহ ইবনুল মুবারকের মতো মুহাদ্দিস এবং বুযুর্গ ব্যক্তিবর্গ সালাতুত তাসবিহ পড়ার দ্বারা বুঝা যায়, মারফু হাদিসটি সহিহ ও আমলযোগ্য। কারণ, কোনো বিষয়ে সালাফদের আমল থাকার অর্থই হচ্ছে বিষয়টি প্রমাণিত।
[২য় খণ্ড, পৃষ্ট: ৪৮৯]
●ইমাম তিরমিযিও প্রায় এ ধরনের মন্তব্য করেছেন। সালাতুত তাসবিহ সম্পর্কে আরো বিস্তারিত জানতে উক্ত হাদিসের অধীনে যে-কোনো ব্যাখ্যাগ্রন্থ দেখা যেতে পারে।
●এছাড়াও ইমাম দারা কুতনী,খতীব আল বাগদাদী,আবু মুসা আলা মাদানী, ঈমাম হাকেম ঈমাম সুয়ুতী প্রমুখ সহীহ বলেছেন। এতগুলো মুহাদ্দিস হাদিসটি সহীহ ও হাসানের মর্যাদা দেবার পরও একে বাতিল বলা ধৃষ্ঠতা ছাড়া আর কিছুই হতে পারে না।
●আর যারা দুর্বল বলেছেন তারা হলেন: ইমাম ইবনুল জাউযী,সিরাজুদ্দীন আল কাজউয়ীনী,ইবনে তাইমিয়াহ প্রমুখ।
তবে সার্বিক বিবেচনায় হাদীসটি হাসান,যা সহিহ হাদীসের আওতাভুক্ত। অতএব এ হাদীস অনুযায়ী আমল করা শুদ্ধ হবে। তারপরও একটি দলিল উপস্থাপন করলাম।যারা কথায় কথায় উক্ত ফজিলতপূর্ন আমলটিকে বাতিল বা বিদ’আত বলে ফতোয়া দেন তাদের জন্য:
●(ক.) দূর্বল হাদীসের ব্যাপারে ইমাম সুয়ুতি আর ইমাম নববীর বক্তব্য দেখুন-“দূর্বল (যদি জাল না হয় বা এর বিপরীতে সহীহ হাদীস বিদ্যমান না থাকে তবে সে) হাদীসের উপর আমল করা জায়েয বরং মুস্তাহাব” [ইমাম নববী,আল আযকার,পৃঃ ৭]
●(খ.) “ফজিলতের ক্ষেত্রে দূর্বল গ্রহনযোগ্য” [সূয়ূতী,তাদরীর রাবী ১/৩৫০; আবদুল হাই লাখনবী,যাফরুল আমানী ২০৯-২২৪] এখন কেউ যদি মনে করে আমি যুগের ঈমামদের চেয়ে বড় পন্ডিত,বূযুর্গ ও আল্লাহ ওয়ালা তাহলে তার ব্যাপারে আর কিছু বলার নেই।
সংগৃহীত তথ্য সূত্র
wikipedia- সালাতুত তাসবীহ
shikshakonika24 সালাতুল-তাসবী নামাজের নিয়ম
ahlehaqmedia-জামাতের সাথে সালাতুত তাসবীহ নামায পড়ার হুকুম কী?
facebook সালাতুত তাসবিহ নামাজ সুন্নাত নাকি নফল?
উক্ত হাদীসকে যারা সহীহ বলেছেন
●১. ইমাম আবু দাউদ,হাদীস নং-১২৯৭ [ইমাম আবু দাউদ হাদীস বললে,চুপ থাকলে সেটি তার কাছে সহীহ।]
●২. ইবনে হাজার আসকালানী বলেন, এর সনদটি হাসান। [আলখিছাল-১/৪১]
●৩. আল্লামা ওয়াদেয়ী বলেন,হাসান। [সহীহুল মুসনাদ,হাদীস নং-৫৮২]
●৪. ইবনুল মুলাক্কিন বলেন,এর সনদ উত্তম। [আবদরুল মুনীর-৪/২৩৫]
●৫. ইবনে হাজার আসকালানী বলেন,হাসান। [তাখরীজুল মিশকাতুল মাসাবীহ-২/৭৮]
●৬. আহলে হাদিস গুরু নাসীরুদ্দীন আলবানী বলেছেন,হাদীসটি সহীহ। [সহীহুল জামে,হাদীস নং-৭৯৩৭]
●৭. ইমাম তিরমিযি ‘সালাতুত তাসবিহ-সংক্রান্ত হাদিসকে বলেছেন : আল-মুসতাদরাক কিতাবের মধ্যে এ হাদিস সম্পর্কে মন্তব্য করা হয়েছে :তাছাড়া নাসির উদ্দিন আলবানি সালাতুত তাসবিহ’র হাদিস সম্পর্কে বলেছেন : [তিরমিযি হাশিয়াসহ : ২য়খন্ড,৩৪৭]
●৮. তুহফাতুল আহওয়াযির লেখক বলেন : আবদুল্লাহ ইবনুল মুবারক সালাতুত তাসবিহ আদায় করতেন। নেককার-বুযুর্গগণ একজনের কাছ থেকে আরেকজন এ নামায শিখতেন। এর দ্বারা মারফু হাদিস আরো শক্তিশালী হয়েছে। অর্থাৎ আবদুল্লাহ ইবনুল মুবারকের মতো মুহাদ্দিস এবং বুযুর্গ ব্যক্তিবর্গ সালাতুত তাসবিহ পড়ার দ্বারা বুঝা যায়, মারফু হাদিসটি সহিহ ও আমলযোগ্য। কারণ, কোনো বিষয়ে সালাফদের আমল থাকার অর্থই হচ্ছে বিষয়টি প্রমাণিত।
[২য় খণ্ড, পৃষ্ট: ৪৮৯]
●ইমাম তিরমিযিও প্রায় এ ধরনের মন্তব্য করেছেন। সালাতুত তাসবিহ সম্পর্কে আরো বিস্তারিত জানতে উক্ত হাদিসের অধীনে যে-কোনো ব্যাখ্যাগ্রন্থ দেখা যেতে পারে।
●এছাড়াও ইমাম দারা কুতনী,খতীব আল বাগদাদী,আবু মুসা আলা মাদানী, ঈমাম হাকেম ঈমাম সুয়ুতী প্রমুখ সহীহ বলেছেন। এতগুলো মুহাদ্দিস হাদিসটি সহীহ ও হাসানের মর্যাদা দেবার পরও একে বাতিল বলা ধৃষ্ঠতা ছাড়া আর কিছুই হতে পারে না।
●আর যারা দুর্বল বলেছেন তারা হলেন: ইমাম ইবনুল জাউযী,সিরাজুদ্দীন আল কাজউয়ীনী,ইবনে তাইমিয়াহ প্রমুখ।
তবে সার্বিক বিবেচনায় হাদীসটি হাসান,যা সহিহ হাদীসের আওতাভুক্ত। অতএব এ হাদীস অনুযায়ী আমল করা শুদ্ধ হবে। তারপরও একটি দলিল উপস্থাপন করলাম।যারা কথায় কথায় উক্ত ফজিলতপূর্ন আমলটিকে বাতিল বা বিদ’আত বলে ফতোয়া দেন তাদের জন্য:
●(ক.) দূর্বল হাদীসের ব্যাপারে ইমাম সুয়ুতি আর ইমাম নববীর বক্তব্য দেখুন-“দূর্বল (যদি জাল না হয় বা এর বিপরীতে সহীহ হাদীস বিদ্যমান না থাকে তবে সে) হাদীসের উপর আমল করা জায়েয বরং মুস্তাহাব” [ইমাম নববী,আল আযকার,পৃঃ ৭]
●(খ.) “ফজিলতের ক্ষেত্রে দূর্বল গ্রহনযোগ্য” [সূয়ূতী,তাদরীর রাবী ১/৩৫০; আবদুল হাই লাখনবী,যাফরুল আমানী ২০৯-২২৪] এখন কেউ যদি মনে করে আমি যুগের ঈমামদের চেয়ে বড় পন্ডিত,বূযুর্গ ও আল্লাহ ওয়ালা তাহলে তার ব্যাপারে আর কিছু বলার নেই।
সংগৃহীত তথ্য সূত্র
wikipedia- সালাতুত তাসবীহ
shikshakonika24 সালাতুল-তাসবী নামাজের নিয়ম
ahlehaqmedia-জামাতের সাথে সালাতুত তাসবীহ নামায পড়ার হুকুম কী?
facebook সালাতুত তাসবিহ নামাজ সুন্নাত নাকি নফল?