স্বাগতম

সবার জন্য উন্মুক্ত পেইজ ভিজিট করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ। *** শিক্ষার কোন বয়স নাই, জানার কোন শেষ নাই। *** বিঃদ্র ( যে সকল ব্লগ বা ওয়েবসাইট এর লেখা কোন অনুমতি ছাড়া কপি করে এখানে পোষ্ট করেছি, যদি কারো কোনো অভিযোগ থাকে দয়া করে জানাবেন। E-mail: nchafa10@gmail.com, ভালো লাগলে আবার আসবেন।***ধন্যবাদ***

তাসবীহ নামের অর্থ ও পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ শেষে তাসবিহ সমূহ

তাসবিহ বা তাজবি বলতে আল্লাহতায়ালার গুণকীর্তন ও মহিমা প্রকাশ করাকে বুঝায়। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ শেষে তাসবিহ সমূহ- 
১। ফজরের নামাজের তাসবিহঃ হুয়াল হাইয়্যুল কাইয়্যুম। অর্থঃ তিনি চির জীবিত ও চিরস্থায়ী।
২। জোহরের নামাজের তাসবিহঃ হুয়াল আলিয়্যুল আজীম। অর্থঃ তিনি শ্রেষ্ট্রতর অতি মহান।
৩। আছরের নামাজের তাসবিহঃ হুয়ার রাহমানুর রাহীম। অর্থঃ তিনি কৃপাময় ও করুনা নিধান।
৪। মাগরিবের নামাজের তাসবিহঃ হুয়াল গাফুরুর রাহীম। অর্থঃ তিনি মার্জনাকারী ও করুণাময়।
৫। এশার নামাজের তাসবিহঃহুয়াল্ লাতিফুল খাবীর। অর্থঃ তিনি পাক ও অতিশয় সতর্কশীল।

অতিরিক্ত তাসবিহ (ঐচ্ছিক)

আবু  হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত। রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,

‘যে ব্যক্তি প্রত্যেক নামাজের পর তেত্রিশবার সুবহানাল্লাহ, তেত্রিশবার আলহামদুলিল্লাহ, তেত্রিশবার আল্লাহু আকবার পড়ে এবং একশবার পূর্ণ করার জন্য একবার -লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারিকা লাহু লাহুল মুলকু ওয়া লাহুল হামদু ওয়া হুয়া আলা কুল্লি শাইইন কাদির -পড়ে তার সব গুনাহ মাফ করে দেওয়া হয় যদিও তা সাগরের ফেনাপুঞ্জের সমান হয়।’ (মুসলিম)।

তাসবীহ নামের অর্থ আল্লাহর পবিত্রতা ঘোষণা করা। অর্থাৎ ‘সুবহান আল্লাহ’ পাঠ করা
তাহমীদ নামের অর্থ প্রশংসা করা। অর্থাৎ আলহামদুলিল্লাহ পড়া
তাকবীর নামের অর্থ আল্লাহর বড়ত্ব ঘোষণা করা। অর্থাৎ ‘আল্লাহু আকবার’ পাঠ করা।
তাহলীল নামের অর্থ আল্লাহর একত্ববাদ ঘোষণা করা। অর্থাৎ ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ পাঠ করা।

এগুলো বিশেষভাবে সকাল-সন্ধ্যা, পাঁচ ওয়াক্ত সালাতের পর, ঘুমের পূর্বে এবং অন্য যে কোন সময় বেশি বেশি পাঠ করা অত্যন্ত ফযীলতপূর্ণ আমল।

তাজবি পড়ার নিয়ম tasbih porar niyom- আঙ্গুলে তাসবিহ গণনার নিয়ম নীচের ছবিতে দেখানো হয়েছে...
ছবি নেট থেকে সংগৃহীত 

কুরআন ও সুন্নাহর আলোকে বা কোরআন ও হাদিসের আলোকে তাসবিহ- নামাজ শেষে তাসবিহ পাঠের জন্য কোরআনে কারিমে নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে। এ প্রসঙ্গে কোরআনে কারিমে ইরশাদ হয়েছে, ‘এরপর যখন নামাজ শেষ করবে, তখন দাঁড়িয়ে, বসে ও শুয়ে আল্লাহকে স্মরণ করবে ৷ যখন তোমরা নিরাপদ হবে, তখন যথাযথভাবে নামাজ আদায় করবে৷ নির্ধারিত সময়ে নামাজ আদায় করা মুসলমানদের জন্য ফরজ। ’ সূরা নিসা: ১০৩
কোরআনে কারিমে আরও ইরশাদ হয়েছে, আমার বান্দারা যখন আমার সম্পর্কে আপনাকে প্রশ্ন করে, তখন বলে দিন আমি তো কাছেই রয়েছি। আহবানকারী যখন আমাকে আহবান করে, আমি তার আহবানে সাড়া দেই। সুতরাং তারাও আমার ডাকে সাড়া দিক এবং আমাতে বিশ্বাস স্থাপন করুক যাতে তারা ঠিক পথে চলতে পারে, আর পূর্ণতা লাভ করে। ’ -সূরা বাকারা: ১৮৬

হজরত আবদুল্লাহ ইবনে জোবায়ের (রা.) থেকে বর্ণিত হজরত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন নামাজের সালাম ফেরাতেন, উচ্চঃস্বরে বলতেন- ‘আল্লাহ ব্যতীত কোনো ইলাহ নেই; তিনি একক, তার কোনো শরিক নেই, রাজত্ব তারই এবং তারই সব প্রশংসা। তিনি সর্বশক্তিমান। আল্লাহর ব্যতীত আমাদের কোনো সাহায্যকারী নেই, কোনো উপায় ও শক্তি নেই। আল্লাহ ব্যতীত মাবুদ নেই। আমরা তাকে ব্যতীত আর কাউকে সেজদা করি না। তারই নেয়ামত, তারই অনুগ্রহ, তারই জন্য উত্তম প্রশংসা। আল্লাহ ব্যতীত কোনো ইলাহ নেই। ’ -সহিহ মুসলিম শরিফ

নামাজ শেষ করার পর তাসবিহ পাঠ করলে বিপদাপদ দূর হয়। অন্তরের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পায়। তাসবিহ পাঠকারীর মনের প্রশান্তি ও মানসিক শক্তি বৃদ্ধি পায়। হাদিসে হজরত কাব ইবনে উজরা (রা.) হতে বর্ণিত, হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘প্রত্যেক ফরজ নামাজের পরে পাঠ করার জন্য কতিপয় উত্তম বাক্য রয়েছে, সেগুলো যারা পাঠ করবে তারা কখনও নিরাশ হবে না। ৩৩ বার সুবহানাল্লাহ, ৩৩ বার আলহামদুলিল্লাহ এবং ৩৪ বার আল্লাহু আকবার। ’ –সহিহ মুসলিম

আরও পড়ুন সালাতুল তাসবিহ নামাজের নিয়ম ও ফজিলত 

তাসবিহ হলো গোনাহ মাফের দাওয়া। নামাজ শেষে তাসবিহ পাঠ করলে গোনাহ মাফ হয়। তাসবিহ পাঠের ফলে আল্লাহতায়ালা খুশি হয়ে বান্দাকে ক্ষমা করে দেন। হজরত আবু হুরায়রা (রা.) হতে থেকে বর্ণিত, হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘যে ব্যক্তি প্রত্যেক নামাজের পর ৩৩ বার সুবহানাল্লাহ, ৩৩ বার আলহামদুলিল্লাহ এবং ৩৩ বার আল্লাহু আকবার পাঠ করবে আল্লাহ তার সকল পাপ ক্ষমা করে দেবেন, যদিও গোনাহ সমুদ্রের ফেনা পরিমাণ হয়। ’ –সহিহ মুসলিম

নামাজ শেষে তাসবিহ পাঠ করলে সওয়াবও বেশি পাওয়া যায়। হজরত আনাস (রা.) হতে বর্ণিত হয়েছে, হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘যে ব্যক্তি ফজরের নামাজ জামাতের সঙ্গে পড়েছে, তারপর সূর্যোদয় পর্যন্ত বসে আল্লাহর জিকির করেছে, তারপর দু’রাকাত নামাজ পড়েছে, তার জন্য হজ ও উমরার সওয়াবের ন্যায় সওয়াব রয়েছে।

দোয়া কবুলের জন্যে যে কয়েকটি মুহূর্ত রয়েছে তন্মধ্যে নামাজের পরের সময়কে দোয়া কবুলের জন্য একটি উত্তম সময় বলে অভিহিত করা হয়েছে। নামাজের সালাম ফিরিয়ে দোয়া করা হলে, ওই দোয়া কবুল হওয়ার বেশি সম্ভাবনা থাকে। হজরত আবু বাহেলি (রা.) হতে বর্ণিত হয়েছে, হজরত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে জিজ্ঞাসা করা হলো, কোন সময় দোয়া কবুল হয়? তিনি বললেন, ‘শেষ রাতে এবং ফরজ নামাজের পর। ’ –সুনানে তিরমিজি

সংগৃহীত তথ্য সূত্র-
roneyahmed.blogspot-পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের তাসবিহ
islamqabd- তাসবীহ, তাহমীদ, তাকবীর এবং তাহলীল...
banglanews24-নামাজ শেষে তাসবিহ পাঠ ও দোয়ার ফজিলত

ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে একটিভ থাকুন

১লা মে দিবস / শ্রমিকের অধিকার আদায়ের দিন

১লা মে দিবসের ছবি ১লা মে আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস পালন করা হয়। ১লা মে মহান মে দিবস। ১লা মে বিশ্বের শ্রমজীবী মানুষের অধিকার আদায়ের দিন। ১৮৮৬ স...