বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়াবারকাতুহু । পরম করুনাময় আল্লাহর নামে শুরু করলাম।
আল্লাহর রহমতে ভালো আছি।( আলহামদুলিল্লাহ) আশা করি আল্লাহর অশেষ রহমতে আপনিও ভালো আছেন। ভালো থাকবেন সবসময় এই দোয়া করি।
(রাব্বানা আতিনা ফিদ্দুনিয়া হাসানাতাও ওয়াফিল আখিরাতি হাসানাতাও ওয়াকিনা আজাবান্নার, রাব্বানা যালামনা আনফুসানা ওয়া ইল্লাম তাগফিরলানা ওয়া তারহামনা লানা কূনান্না মিনাল খাসেরীন) আমিন।
আর পড়ি রমজান মাসের উপেক্ষায় রজব মাসের দোয়া ‘আল্লাহুম্মা বারিক লানা ফি রাঝাবা ওয়া শাবান ওয়া বাল্লিগনা রামাদান’
সাবধান/সাবধান//সাবধান///
রোযা বা রোজা অর্থ সাউম বা সাওম/ roza, roja, saum, saom
যে ব্যক্তি রমজানের খবর প্রথম কাউকে দিবে, তার জন্য জাহান্নাম এর আগুন হারাম। _______(হযরত মোহাম্মদ (সঃ) এরকম কোণ হাদিস আছে কি?
উত্তর দিয়েছেন- শায়খ জিয়াউর রহমান ঃ একটি ভুয়া, বানোয়াট, মনগড়া কথা। হাদীসের নামে ডাহা মিথ্যা জালিয়াতি।
"রমযানের আর মাত্র … দিন বাকি। হযরত মুহাম্মদ (সা,) বলেছেন, রমযান আসার সংবাদ যে প্রথমেই মানুষদেরকে দিবে, তার জন্য জাহান্নামের আগুন হারাম"। (নাউযুবিল্লাহ)
এই কথাটি অনেকের স্ট্যাটাসে, বিভিন্ন নিউজ-পোর্টালের কমেন্টবক্সে, ব্যক্তিগত ইনবক্সে রাসূল (সা,)-এর হাদীস বলে অনেকেই শেয়ার করে থাকে। মানুষের আবেগকে কাজে লাগিয়ে সস্তা লাইক-কমেন্ট কামানোর ধান্দা ছাড়া আর কিছু হতে পারে না। জাহান্নামের আগুন হারাম হওয়া কী এত সহজ? যে একটি সংবাদ দিলেই জাহান্নাম হারাম হয়ে যাবে? তা-ও আবার ভুয়া সংবাদের মাধ্যমে? বরঞ্চ এই ভুয়া বানোয়াট কথা হাদীসের নামে প্রচার করার কারণে জাহান্নামের আগুন তার জন্যে ওয়াজিব হয়ে যাবে, যদি মরার আগে তাওবা না করে। সাধারণ কোনো সংবাদ আপনার কানে এলে আপনি যাচাই-বাছাই না করে বিশ্বাস করেন না। অথচ রাসূলের (সা,) নামে কোনো কথা শুনলে কোনো ভাবনা ছাড়াই বিশ্বাস করে ফেলেন। প্রচারের মহৎ (?) কাজে লেগে যান। এটা কী রাসূলের (স,) সত্তার প্রতি গুরুত্বহীনতা এবং চরম উদাসীনতা নয়? অথচ আল্লাহ তা'আলার স্পষ্ট হুকুম হচ্ছে, কোনো সংবাদ তোমাদের কানে এলে আগে তার সম্পর্কে যাচাই-বাছাই করো। এটা সাধারণ সংবাদবিষয়ক নির্দেশনা।
সুবহান্নাল্লাহ! আল্লাহর রাসূলের নামে কোনো সংবাদ এলে তো শতগুণ গুরুত্ব সহকারে যাচাই করেই তবে প্রচার করার কথা ছিল। কিন্তু রাসূলের নামে মিথ্যা কথা লিখতে, বলতে আমাদের হাত কাঁপে না, বিবেক বাধা দেয় না। অথচ সহীহ হাদীসে এসেছে, যে আমার উপর ইচ্ছাকৃতভাবে মিথ্যা কথার নিসবত করবে, সে যেন জাহান্নামকেই তার ঠিকানা বানিয়ে নেয়। From : Naseehah (দ্বীনি পরামর্শ) নেট থেকে সংগৃহীত।
যিনি আপনার হৃদয়ের গভীরে জমে থাকা না'বলা কথাগুলিও বুঝতে সক্ষম, যিনি আপনার অশান্ত অন্তরকে মুহূর্তেই শান্তি-নিকেতন বানিয়ে দিতে সক্ষম, যে সাফল্যের পেছনে ছুটে আপনি তাঁর ইবাদাত থেকে গাফেল রয়েছেন, তিনি চাইলে সেই সাফল্যগাঁথা চেরাগও আপনার হাতের মুঠোয়'ই এনে দিতে পারেন, সেই পরাক্রমশালী মহান স্বত্ত্বা তথা আপনার রবকে শেষ কবে ডেকেছেন!? বলুনতো শেষ কবে তাঁর সাথে চুপিসারে নিজের আবেগ-অনুভূতি শেয়ার করেছেন? অথচ তিনি প্রতিরাতে আপনাকে ডাকেন, খুব করে ডাকেন, তাও আপনার স্বার্থে!
তিনি তো সেই স্বত্ত্বা যিনি চান - আপনি যেন আপনার ছিঁড়ে যাওয়া জুতার ফিতাটাও তাঁর কাছেই চান।
তিনি তো সেই স্বত্ত্বা যিনি আপনার জন্মদাতা মা-বাবার চাইতেও আপনাকে কোটি গুণ বেশি ভালবাসেন। আর
তাইতো তিনি আপনার হিতাকাঙ্ক্ষী হয়ে আপনাকে কিছু দিতে চান - আশ্চর্য! আপনি কেন নিতে চান না?
প্রিয়নবী মুহাম্মদূর রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন:
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْلَمَةَ، عَنْ مَالِكٍ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، وَأَبِي عَبْدِ اللَّهِ الأَغَرِّ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ ـ رضى الله عنه ـ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " يَنْزِلُ رَبُّنَا تَبَارَكَ وَتَعَالَى كُلَّ لَيْلَةٍ إِلَى السَّمَاءِ الدُّنْيَا حِينَ يَبْقَى ثُلُثُ اللَّيْلِ الآخِرُ يَقُولُ مَنْ يَدْعُونِي فَأَسْتَجِيبَ لَهُ مَنْ يَسْأَلُنِي فَأُعْطِيَهُ مَنْ يَسْتَغْفِرُنِي فَأَغْفِرَ لَهُ ".
"মহামহিম আল্লাহ্ তা’আলা প্রতি রাতের শেষ তৃতীয়াংশ অবশিষ্ট থাকাকালে পৃথিবীর নিকটবর্তী আসমানে অবতরণ করে ঘোষণা করতে থাকেন: কে আছে এমন, যে আমাকে ডাকবে? আমি তার ডাকে সাড়া দিব। কে আছে এমন যে, আমার নিকট চাইবে। আমি তাকে তা দিব। কে আছে এমন যে আমার নিকট ক্ষমা চাইবে? আমি তাকে ক্ষমা করব।" --- [ স্বহীহ বুখারী: ১১৪৫ ]
আল্লাহু আকবার। তবুও তাঁর ডাকে সাড়া দিবেন না!?
হে আমার রব! আপনি আমাকে ততদিন পর্যন্ত বাঁচিয়ে রাখুন, যতদিন বেঁচে থাকাটা আমার জন্য কল্যাণকর। আর তখনই আমার মৃত্যু দিন, যখন মৃত্যুটাই আমার জন্য অধিক কল্যাণকর। আমীন।
আপনাদের শুভাকাঙ্ক্ষী,
আখতার বিন আমীর। (নেট থেকে সংগৃহীত)
রোযা বা রোজা অর্থ সাউম বা সাওম সম্পর্কে কিছু জানার চেষ্টা করি..
রোযা বা রোজা বা সিয়াম/ roza roja siyam আরবিতে, সাউম বা সাওম। রোজা বা সাওম এর অর্থ হল সংযম।
সংযম বা নিয়ন্ত্রণ বা দমন বা নিয়ম।
রোজা কি
সুবহে সাদেক থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত সকল প্রকার পানাহার,পাপাচার, কামাচার এবং সেই সাথে যাবতীয় ভোগ-বিলাস থেকেও বিরত থাকার নাম রোযা।
কুরআন ও হাদিসে রোজার ফজিলত ও গুরুত্বঃ
কুরআনে কারীমে, মহান আল্লাহ্র বানীঃ হে ঈমানদারগণ! তোমাদের জন্য সিয়াম ফরজ করা হল। যেমন করা হয়েছিল তোমাদের পূর্ববর্তীদের উপর; যেন তোমরা মুত্তাকী হও "। ২ঃ ১৮৩
হাদিসে মতে, সিয়াম ঢাল স্বরূপ।
আবদুল্লাহ ইবন মাস্লাম (র)... আবু হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লা (সাঃ) বলেছেন, সিয়াম ঢাল স্বরূপ। সুতারাং অশ্লীলতা করবে না এবং মূর্খতা করবে না। যদি কেউ তার সাথে ঝগড়া করতে চায়, তাকে গালি দেয়, তবে সে যেন দুই বার বলে, আমি সাওম পালন করছি। ঐ সত্তার শপথ, যার হাতে আমার প্রান, অবশ্যই সাওম পালন কারী মুখের দুর্গন্ধ আল্লাহর নিকট মিশকের গন্ধের চাইতেও উৎকৃষ্ট, সে আমার জন্য আহার, পান ও কামাচার পরিত্যাগ করে। সিয়াম আমার জন্য। তাই এর পুরুস্কার আমি নিজেই দান করবো। আর প্রত্যেক কাজের বিনিময়ে দশ গুণ। ( বুখারী ১১৮৪ পরিচ্ছেদঃ ১৭৭৭৩)
“রোযাদারের মুখের দূর্গন্ধ আল্লাহ তা’আলার নিকট মিশকের সুগন্ধি থেকে বেশী পছন্দনীয়” [সুনানে আন-নাসায়ীঃ ২২১৩(সহিহ হাদিস)]
সেই মহান সত্তার শপথ! যার হাতে মুহাম্মদের জীবন আছে, নিঃসন্দেহে রোজাদারের মুখের দুর্গন্ধ আল্লাহর কাছে মৃগনাভির সুগন্ধ অপেক্ষা বেশী উৎকৃষ্ট। রোজাদারের জন্য দু’টি আনন্দময় মুহূর্ত রয়েছে, তখন সে আনন্দিত হয়; যখন সে ইফতার করে (ইফতারের জন্য সে আনন্দিত হয়)। আর যখন সে তার প্রতিপালকের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবে, স্বীয় রোজার জন্য সে আনন্দিত হবে।’ (বুখারী ১৯০৪, মুসলিম ১১৫১, তিরমিজি, ৭৬৪, ৭৬৬, নাসায়ী, ২২১৫, আবু দাউদ ২৩৬৩, ইবনু মাজাহ ১৬৩৮)
মেশক, কস্তুরী, মৃগনাভি, আম্বর, সুগন্ধি যাহা হরিণের নাভি থেকে পাওয়া যায়। এটি অত্যন্ত মূল্যবান সুগন্ধি। এই সুগন্ধি এতটাই শক্তিশালী যে কথায় আছে, কস্তুরির একতিল পরিমাণ কোনো বাড়িতে ফেললে বহু বছর সেখানে এর ঘ্রাণ থাকে।
ইচ্ছাকৃত রমজানের রোজা না রাখার শাস্তিহাদিস শরীফে এসেছে, ‘যে ব্যক্তি কোনো ওজর বা অসুস্থতা ছাড়া রমজানের একটি রোজা পরিত্যাগ করবে, সে যদি ওই রোজার পরিবর্তে আজীবন রোজা রাখে, তবুও ওই এক রোজার ক্ষতিপূরণ হবে না।’
(জামে তিরমিজি: ৭২৩)
কোন কোন দিন রোজা রাখা হারাম/ kon kon din roza rakha haram
যে সকল দিন রোযা রাখা হারাম তা নিম্নরূপ:
- ঈদুল ফিতর (রামাযানের ঈদ) এর দিন।
- ঈদুল আযহা (কুরবানী) এর দিন।
শাওয়াল মাসের কোন তারিখ রোজা রাখা হারাম? শাওয়াল মাসের ১ম তারিখে ঈদুল ফিতর। এ দিন রোজা রাখা হারাম।
রোজার নিয়ত/ ইফতারের দোয়া/ তারাবিহ নামাজের নিয়ত/ তারাবিহ নামাজের দোয়া/ তারাবিহ নামাজের মুনাজাতঃ
রোজার নিয়ত/ রোজার নিয়ত আরবি- نَوَيْتُ اَنْ اُصُوْمَ غَدًا مِّنْ شَهْرِ رَمْضَانَ الْمُبَارَكِ فَرْضَا لَكَ يَا اللهُ فَتَقَبَّل مِنِّى اِنَّكَ اَنْتَ السَّمِيْعُ الْعَلِيْم
নিয়ত আরবি উচ্চারণ: নাওয়াইতু আন আছুম্মা গাদাম মিন শাহরি রমাজানাল মুবারাকি ফারদাল্লাকা, ইয়া আল্লাহু ফাতাকাব্বাল মিন্নি ইন্নিকা আনতাস সামিউল আলিম।
নিয়ত বাংলায় উচ্চারণ : হে আল্লাহ! আমি আগামীকাল পবিত্র রমজানের তোমার পক্ষ থেকে নির্ধারিত ফরজ রোজা রাখার ইচ্ছা পোষণ (নিয়্যত) করলাম। অতএব তুমি আমার পক্ষ থেকে (আমার রোযা তথা পানাহার থেকে বিরত থাকাকে) কবুল কর, নিশ্চয়ই তুমি সর্বশ্রোতা ও সর্বজ্ঞানী।
ইফতারের আগ মুহূর্তে বেশি বেশি ইসতেগফার পড়া এবং ইফতারের সময় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে দোয়া পড়ে ইফতার করা। আরবি উচ্চারণ: اَللَّهُمَّ لَكَ صُمْتُ وَ عَلَى رِزْقِكَ وَ اَفْطَرْتُ بِرَحْمَتِكَ يَا اَرْحَمَ الرَّاحِيْمِيْن
বাংলায় উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা লাকা ছুমতু ওয়া আলা রিযক্বিকা ওয়া আফতারতু বিরাহমাতিকা ইয়া আরহামার রাহিমিন।
অর্থ : হে আল্লাহ! আমি তোমারই সন্তুষ্টির জন্য রোজা রেখেছি এবং তোমারই দেয়া রিযিক্বের মাধ্যমে ইফতার করছি।
জেনে নিন,
মনের মধ্যে যেকোন ইবাদতের জন্য এই ইচ্ছা রাখাটা ফরজ যে "আমার সব ইবাদত হচ্ছে একান্তই আল্লাহর জন্য"।
রাতে যদি "আমি তাকওয়া অর্জন করার জন্য/রাসুল সা. এর সুন্নাহ পালনের জন্য কালকে রোজা রাখব ইনশা আল্লাহ" এমন চিন্তা করে ঘুমান তারপর উঠে সাহরি খান তবে এই জিনিসটাই হল আপনার বিশুদ্ধ নিয়ত (যেটা আল্লাহ চান, যা সকল ইবাদতের জন্য ফরজ)। রাতের ঐ চিন্তা আর সাহরি খাবার মাধ্যমেই আপনি 'নিয়ত করা ফরজ'- অংশটি পূরন করে ফেললেন। একি ভাবে সালাত আদায়ের জন্য যদি মসজিদে যান, ওজু করেন, শুধুমাত্র আল্লাহর ফরজ বিধান পালনের জন্য সালাত শুরু করেন তাহলে আপনার নিয়ত হয়ে গেল। এর জন্য মুখে কোন আরবি বাক্য আলাদাভাবে উচ্চারণ করতে হয় না।
আর মনে মনে এই সিদ্ধান্ত বা ইচ্ছা পোষণ করার জন্যও কোন আরবি বাক্য শেখার দরকার নেই। আপনি আপনার সব চিন্তা যেমন বাংলা ভাষায়ই করেন মনের ভেতর, ঠিক একইভাবে এই রোজা কিংবা সালাতের চিন্তাও বাংলা ভাষায় করবেন!
আবার আপনি যদি ওজন কমানো কিংবা লোকে ভালো বলবে এইরকম চিন্তা নিয়ে রোজা রাখেন, তবে আপনার নিয়ত কিন্তু করা হয়ে যাবে। তবে সেটি বিশুদ্ধ নিয়ত নয়। আর এমন নিয়ত করলে কোন ইবাদতই কবুল হবে না। আশা করি বুঝতে পেরেছেন ইসলামে নিয়ত আসলে কি।
সাওম পালনকারী যদি ভুলবশত আহার করে বা পান করে ফেলে।
আতা (র) বলেন, নাকে পানি দিতে গিয়ে যদি তা কণ্ঠনালীতে ঢুকে যায়, আর সে ফিরাতে সক্ষম না হয় তা হলে কোন দোষ নেই।
হাসান (র) বলেন, সায়িম ব্যক্তির কণ্ঠনালীতে মাছি ঢুকে পড়লে তার কিছু করতে হবে না।
হাসান ও মজাহিদ (র) বলেছেন, সায়িম ব্যক্তি যদি ভুলবশতঃ স্ত্রীর সহবাস করে ফেলে, তবে তার কিছু করতে হবে না।
আবদান রহ…আবু হুরায়রা. রা. থেকে বর্ণিত যে, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন : রোযাদার ভুলক্রমে যদি আহার করে বা পান করে ফেলে, তাহলে সে যেন তার সাওম পুরা করে নেয়। কেননা আল্লাহই তাকে পানাহার করিয়েছেন। বোখারি শরীফ, ১২০৯ পরিচ্ছেদঃ ১৮০৯ নং হাদিস।
উপরের হাদিস মতে, বুঝা গেল যে, ভুলবশত কোন কিছু খাওয়া বা স্ত্রিরির সাথে সহবাস করলে সাওম এর কোন ক্ষতি হবে না। সাওম পুণ্য করতে হবে।
মুখে উচ্চারন করে আরবি নিয়ত না বললে ছাড়া রোজা/নামাজ হবে না এমনটি ভাবলে তা বিদয়াত হিসেবে গণ্য হবে।
সাওম পালনকারী যদি ভুলবশত আহার করে বা পান করে ফেলে।
আতা (র) বলেন, নাকে পানি দিতে গিয়ে যদি তা কণ্ঠনালীতে ঢুকে যায়, আর সে ফিরাতে সক্ষম না হয় তা হলে কোন দোষ নেই।
হাসান (র) বলেন, সায়িম ব্যক্তির কণ্ঠনালীতে মাছি ঢুকে পড়লে তার কিছু করতে হবে না।
হাসান ও মজাহিদ (র) বলেছেন, সায়িম ব্যক্তি যদি ভুলবশতঃ স্ত্রীর সহবাস করে ফেলে, তবে তার কিছু করতে হবে না।
আবদান রহ…আবু হুরায়রা. রা. থেকে বর্ণিত যে, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন : রোযাদার ভুলক্রমে যদি আহার করে বা পান করে ফেলে, তাহলে সে যেন তার সাওম পুরা করে নেয়। কেননা আল্লাহই তাকে পানাহার করিয়েছেন। বোখারি শরীফ, ১২০৯ পরিচ্ছেদঃ ১৮০৯ নং হাদিস।
আরবিতে নফল রোজার নিয়ত কী? নফল রোজার নিয়ত/ রোজার নিয়ত ছবি/ নফল রোজার নিয়ত বাংলা উচ্চারণ/ নফল রোজার নিয়ত ও ইফতারের দোয়া/ রোজার নিয়ত ও ইফতারের দোয়া বাংলা/ কাযা রোজার নিয়ত/ সুন্নত রোজার নিয়ত
রমজানের ক্যালেন্ডার ২০২১/ ২০২১ সালের রমজান মাস কত তারিখে/ রমজানের সময় সূচি 2021/ রোজার ঈদ ২০২১/ ২০২১ সালের রমজান কত তারিখ/ ২০২১ সালের রোজার তারিখ/ bangladesh ২০২১ সালের রমজানের ক্যালেন্ডার/ ইফতারের সময়সূচি ২০২১ সালের রমজানের ক্যালেন্ডার/ ২০২১ সালের রমজানের সময় সূচি/ রমজানের ছবি