স্বাগতম

সবার জন্য উন্মুক্ত পেইজ ভিজিট করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ। *** শিক্ষার কোন বয়স নাই, জানার কোন শেষ নাই। *** বিঃদ্র ( যে সকল ব্লগ বা ওয়েবসাইট এর লেখা কোন অনুমতি ছাড়া কপি করে এখানে পোষ্ট করেছি, যদি কারো কোনো অভিযোগ থাকে দয়া করে জানাবেন। E-mail: nchafa10@gmail.com, ভালো লাগলে আবার আসবেন।***ধন্যবাদ***

শারীরিক ব্যায়াম বা শরীরচর্চা নিয়ে কিছু কথা

শারীরিক ব্যায়াম অনুচ্ছেদঃ ব্যায়াম কি? ব্যায়াম কাকে বলে? শারীরিক ব্যায়াম wikipedia এর মতে, শারীরিক ব্যায়াম বা শরীরচর্চা হল যেকোন শারীরিক কার্যক্রম যা শারীরিক সুস্থতা রক্ষা বা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। এর অপর একটি অর্থ হল শরীরের বিভিন্ন স্থানে নিয়মিত আন্দোলন |‌‌‌ বিভিন্ন কারণে ব্যায়াম করা হয়, যেমন- মাংসপেশী ও সংবহন তন্ত্র সবল করা, ক্রীড়া-নৈপুন্য বৃদ্ধি করা, শারীরিক ওজন হ্রাস করা বা রক্ষা করা কিংবা শুধু উপভোগ করা। নিয়মিত ব্যায়াম মানুষের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবং বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা হতে পুনরুদ্ধার হতে সাহায্য করে। হৃদ্ররোগ, সংবহন তন্ত্রের জটিলতা, টাইপ ২ ডায়াবেটিস এবং স্থূলতা রোধে শারীরিক ব্যায়াম কার্যকর ভূমিকা রাখে। এছাড়া মানসিক অবসাদগ্রস্ততা দূর করতে, ইতিবাচক আত্মসম্মান বৃদ্ধিতে, সামগ্রিক মানসিক স্বাস্থ্যের সুরক্ষায়, ব্যক্তির যৌন আবেদন বৃদ্ধি, শরীরের সঠিক অনুপাত অর্জনে শারীরিক ব্যায়াম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। শিশুস্বাস্থ্যের স্থূলতা একটি সমকালীন বিশ্বব্যাপী সমস্যা। ব্যায়াম শরীরের স্থূলতা রোধে কাজ করে। স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারীরা শারীরিক ব্যায়ামকে “অলৌকিক” এবং “আশ্চর্যজনক” ঔষধ হিসেবে আখ্যা দিয়েছে। শরীরের সামগ্রিক সুস্থতা রক্ষার্থে ব্যায়ামের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা প্রমাণিত।


শারীরিক ব্যায়াম বা শরীরচর্চা কখন করবেন : আপনি যে কোনো সময় যে কোনো জায়গায় শারীরিক ব্যায়াম বা শরীরচর্চা করতে পারেন।

ব্যায়াম করার নিয়ম ও সময়ঃ সকাল ও বিকাল ব্যায়াম করার জন্য উপযুক্ত সময়।

অতিরিক্ত শারীরিক ব্যায়াম বা শরীরচর্চা মাধ্যমেও দেহের ব্যথা সহ বিভিন্ন ক্ষতির কারণ হতে পারে। সব কিছুরই ভালো ও মন্দ দিক থাকে। ‘নো পেইন, নো গেইন’ তাই সাবধানতার সাথে শারীরিক ব্যায়াম বা শরীরচর্চা করা উচিৎ। অনেকের মনে করে, জিমে গিয়ে ব্যায়াম করলেই শরীর ফিট হয়ে যাবে। এটি কিন্তু ভুল ধারণা।

ব্যায়াম কিভাবে করা হয়, আপনি শারীরিক ব্যায়াম বা শরীরচর্চা একা একা করা যায়। তবে সব থেকে ভালো কোন অবিজ্ঞ ব্যক্তির নিকট থেকে ব্যায়াম করার কৌশল বা ব্যায়াম করার সঠিক নিয়ম জেনে নেওয়া উচিৎ। এবং ব্যথার রোগীদের অবশ্যই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী বৈজ্ঞানিক ব্যায়াম করা ব্যায়াম করার পদ্ধতি জেনে নেওয়া উচিৎ। শারীরিক শক্তি বৃদ্ধির ব্যায়াম বলেন আর ওজন কমানোর শারীরিক ব্যায়াম বা প্রতিদিনের শারীরিক ব্যায়াম যে যাই বলুক। ব্যায়াম করার নিয়ম/ bayam korar niom জানা থাকলে যখন মন চায় করা যায়। এছাড়া শারীরিক ব্যায়ামের গুরুত্ব দিয়ে আপনি শারীরিক ব্যায়াম সকাল ও বিকাল নিয়ম করে ২০-৩০ মিনিট, সপ্তাহে ৪-৫ দিন ব্যায়ামই করলেই শরীর সুস্থ রাখার জন্য যথেষ্ট। ডায়াবেটিক রোগী কম করে ১ ঘণ্টা করে হাঁটলে দেহ মন সুস্থ রাখার জন্য যথেষ্ট। মনে রাখবেন, ব্যায়াম করার আগে বা পরে বেশি পরিমাণে পানি এবং কি বেশি পরিমাণের খাবার খাওয়া ঠিক নয়। 
সকাল বা সন্ধ্যায় বেশী করে হাঁটুন, শরীর সুস্থ রাখার মোহাওষুধ হাঁটা।

ব্যায়ামের প্রয়োজনীয়তা বলেন বা উপকারিতা নিয়ম মতে শারীরিক ব্যায়াম বা শরীরচর্চা করলে হাত, পা, মেরুদণ্ড সবল ও সতেজ হবে এবং উরু, পেট, পিঠের মাংশপেশী সবল হবে এছাড়া পেট, উরু ও নিতম্বের চর্বি কমে যাবে। তাই sharirik vyayam করা সকলের উচিৎ।

গর্ভবতী মায়ের শারীরিক ব্যায়াম চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া করা উচিত নয়।

যেকোনো ধরনের ব্যায়াম বা ডায়েট চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে নেওয়া ভালো।


৫ ওয়াক্ত নামাজ পড়লে শারীরিক ব্যায়াম বা শরীরচর্চার সব কয়টি ধাপ পুণ্য হয়ে যাবে। যদি সুস্থ থাকতে চান, নিয়মিত পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ুন। নিয়মিত পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ এর চেয়ে বড় শারীরিক ব্যায়াম বা শরীরচর্চার হতে পারেনা। 

ব্যায়াম কত প্রকার ও কি কি সাধারণ ভাবে ব্যায়াম ২ প্রকার যেমন ১/ সরঞ্জাম সহ ব্যায়াম ২/সরঞ্জাম বিহীন ব্যায়ম এছাড়া বিভিন্ন রকমের ব্যায়াম রয়েছে। তবে সামগ্রিকভাবে ব্যায়ামকে তিন ভাগে ভাগ করা যেতে পারে।

১. সাধারণ ব্যায়াম। কোনো কিছুর সাহায্য ছাড়া যে ব্যায়াম করা হয় তাকেই আমরা সাধারণ ব্যায়াম বলতে পারি।
২. যোগ ব্যায়াম। বিশেষ নিয়মের মাধ্যমে যোগ ব্যায়াম করা হয়। প্রাচীনকালে সাধকরা এই ব্যায়াম রীতি আবিষ্কার করেন। সাধকরা বিভিন্ন রকমের যোগাসনে বসে এই ব্যায়াম করতেন।
৩. যান্ত্রিক ব্যায়াম। বিশেষ যন্ত্র বা কোনো কিছুর সাহায্যে যে ব্যায়াম করা হয়ে থাকে তাকে বলা হয় যন্ত্রের সাহায্যে ব্যায়াম বা যান্ত্রিক ব্যায়াম।

আবার মানুষের শরীর উপর প্রভাব ভিত্তিতে শারীরিক ব্যায়াম তিনটি গ্রুপ ভাগ করা হয়:

অ্যারোবিক ব্যায়াম: যেসব ব্যায়াম বা শারীরিক ক্রিয়াকলাপ শরীরের বড় মাপ্পেশিগুলিকে ব্যভার করে শরীরের অক্সিজেন গ্রহণের মাত্রা বৃদ্ধি করে সেগুলি অ্যারোবিক ব্যায়াম।এই ব্যায়ামের লক্ষ্য শরীরের হৃদস্পন্দন সামগ্রিক অঙ্গপ্রত্যঙ্গ সহনশীলতা বৃদ্ধি।

এধরণের ব্যায়াম উদাহরণ হল সাইক্লিং, সাতার, হাইকিং, টেনিস, ফুটবল ইত্যাদি খেলা।

অ্যানোবিক ব্যায়াম: এসমস্ত ব্যায়াম শরীরের শক্তি বৃদ্ধি এবং মস্তিষ্কে এবং bone বৃদ্ধির বৃদ্ধি। এছাড়াও শরীরের ভারসাম্য বৃদ্ধি সাহায্য করে।

এধরণের ব্যায়াম উদাহরণ হল পুশআপ, বাইসেপ কার্লস, পুলআপ ইত্যাদি। ভারোত্তোলন, ফাংশনাল প্রশিক্ষণ ইত্যাদি এ জাতীয় ব্যায়াম অন্তর্ভুক্ত।

ফ্লেক্সিবিলিটি ব্যায়াম: এই ব্যায়াম শরীরের মাংশপেশীর প্রসারিত এবং বৃদ্ধি সাহায্য করে।

এধরণের ব্যায়ামের লক্ষ্য শরীরের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সঞ্চালন ব্যাপকতা বৃদ্ধি যাতে ইনজুরি বা আঘাত প্রবণতা হ্রাস পায়।


ব্যায়াম করার মেশিন/ ব্যায়ামের সরঞ্জাম/ ব্যায়ামের পোশাক / জিমের সরঞ্জামঃ

Squat Station- স্কোয়াট স্টেশন
Barbells- বার্বেলস
Bench Press- বেঞ্চ প্রেস
Incline Bench Press- ইনক্লিনে বেঞ্চ প্রেস
Hammer Strength machine- হাম্মের স্ট্রেংথ মেশিন
Cables and Pulleys- ক্যাবলস এন্ড পুল্লেয়স
Dumb Bells- দুম্বা বেলস
Pull Up Bar- পুল উপ বার

ব্যায়ামের কিছু ছবি নেট থেকে সংগৃহীত











































ব্যায়ামের তালিকা / ব্যায়ামের নাম/ ব্যায়াম করার পর খাবার তালিকা
পায়ের ব্যথার ব্যায়াম
হাত ব্যথার ব্যায়াম
হাতের ব্যায়াম/ হাতের কব্জির ব্যায়াম/ হাতের কনুই ব্যথার ব্যায়াম/ হাতের আঙুলের ব্যায়াম
বাতের ব্যথার ব্যায়াম
কোমর ব্যথার ব্যায়াম
হাটুর জয়েন্টে ব্যথার ব্যায়াম/ হাটুর ব্যাথা কমানোর ব্যায়াম
ঘাড় ব্যথার ব্যায়াম
মাথা ব্যথার ব্যায়াম
পিঠে ব্যথার ব্যায়াম
হাটের রোগীর ব্যায়াম

ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে একটিভ থাকুন

১লা মে দিবস / শ্রমিকের অধিকার আদায়ের দিন

১লা মে দিবসের ছবি ১লা মে আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস পালন করা হয়। ১লা মে মহান মে দিবস। ১লা মে বিশ্বের শ্রমজীবী মানুষের অধিকার আদায়ের দিন। ১৮৮৬ স...