আসসালামু আলাইকুম ওরাহমাতুল্লাহ বারাকাতুহু, বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম
কিছু কথা না বললে নয়। আগে বলে রাখি, আমি কোন লেখক নয়, নয় কোন কবি বা ঔপন্যাসিক।অনলাইন জগতে বিভিন্ন লেখকের লেখা গল্প কৌতুক কবিতা উপন্যাস ইত্যাদি পড়তে ভালোবাসি এবং ভালো লাগে। এই ভালোলাগা কে পুঁজি করে লেখার চেষ্টা করলাম মাত্র। যেহেতু আমি লেখক নয় তাই সাজিয়ে গুছিয়ে লেখতেও কষ্ট হবে। কষ্ট হলেও লেখব ''ইনশাআল্লাহ''
লেখক কালী প্রসন্ন ঘোষ এর 'পারিবো না' এ কথাটি বলিও না আর, কেন পারিবে না তাহা ভাবো একবার; পাঁচজনে পারে যাহা, তুমিও পারিবে তাহা, পারো কি না পারো করো যতন আবার একবার না পারিলে দেখো শতবার। এই কবিতা পড়ে, মনে শক্তি নিয়ে লেখা গল্প শুরু করলাম। গল্পের নাম '' বোকা ''
এই গল্পের নায়ক ''বোকা ''
(বিঃদ্রঃ ''বোকা '' এখানে গল্প লেখার জন্য ছদ্মনাম ব্যাবহার করা হল মাত্র )
''বোকা '' গল্পের স্থল গ্রাম। গ্রামের সহজ সরল ছেলেদের ''বোকা '' বলা হয়। তাই- (গ্রামের ছেলে ''বোকা '' হয়, শহরের ছেলের মত নয়) ছন্দ দিয়ে বললার কারণ গ্রামের ছেলে তাই...
''বোকা ''
জীবনের পাতা থেকে নেওয়া গল্পনয় সত্যি কাহিনী অবলম্বনে লেখা। আশাকরি আপনাদের ভালো লাগবে। আরেকটি কথা-
এখানে লেখার ভাষা, বানান ইত্যাদি অভিজ্ঞতার অভাবে ভুল হতে পারে। এই জন্য আপনাদের বুঝতেও কষ্ট হতে পারে। লেখার শুরুতে ভুল ভ্রান্তির জন্য অগ্রিম ক্ষমা প্রার্থী। আশাকরি সুন্দর ও ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। এই বলে, পরম করুনাময় আল্লাহর নামে শুরু করলাম... আল্লাহ সহায় হোন।
''সবার উপরে মানুষ সত্য তাহার উপরে নাই'' চন্ডীদাস এর বানী।
প্রেম কি জানে না। প্রেম কি বুঝে না। প্রেম ভালোবাসা কারে কই, এই সব বুঝে না। স্কুল জীবনে হাবা ঘোবা ছাত্র বন্ধুদের কাছে জনপ্রিয় একটা মুখ ''বোকা '' (সখি ভালোবাসা কারে কয়)
''বোকা '' বলার কারণ লেখা পড়া ভালো পারেনা, প্রেম ও ভালোবাসা কি তাও জানে না। এই জন্য বন্ধুদের কাছে একটা ''বোকা '' ।
বোকামির একটা সীমা থাকে এর মত ''বোকা '' নয়!! তোমরা জাননা, বোকাদের সব বন্ধুরা প্রেম করে আর ''বোকা '' প্রেম কারে কই জানে না। ''বোকার হাড্ডি জানে না প্রেম, জানে শুধু হাঁসতে। বোকাদের হাঁসি সুন্দর। দাঁতের ফাক দিয়ে হাঁসে ''বোকা '' । চিন্তা করে দেখুন, আপনিও এর মত ''বোকা '' নয়তো? ''বোকা '' হাহাহা, একটু মজা নিলাম। বোকাদের মত হাঁসিতে হাঁসিতে পড়তে থাক। স্কুল জীবনে হাবা ঘোবা ছাত্র ''বোকা ''
বোকাদের বন্ধুরা বোকাকে অনেক ভালোবাসে ''বোকা '' জানে না। ''বোকা '' শুধু এইটা জানে সবাই মিলে এক সাথে স্কুলে যায় আর আসে। ''বোকাকে সবাই ভালোবাসে। ভালোবাসার কারণ, সবাই প্রেমিক প্রেমিকাদের ডাক পিয়নের কাজে ব্যবহার করতে পারে। ''বোকা '' এর খবর ওর কাছে, ওর চিঠি এর কাছে আদান প্রদান করে। ''বোকা '' কিছু পারক আর না পারুক। ''বোকা '' পিয়নের কাজ ঠিকই পারে।
একদিন বোকা বন্ধুর সাথে
স্কুলে যায় আর বন্ধু মিষ্টি শুরে ডেকে বলে দুস্ত একটু দালালি করে দে। বোকা বন্ধুর
কথা শুনে বুঝতে কষ্ট হলনা কিসের দালালি। বোকা যত
হোক, এই দালালির ওস্তাত সে। বোকা বলে
বল দুস্ত, করতে হবে কি? বন্ধু তুই প্রেম পত্র খানা কষ্ট করে আমার মনের রানি,
স্বপনের রাজকুমারির নিকট পৌঁছায় দে। এই কথা শুনে বোকা, দে দুস্ত দে! এই আবার
কষ্টের কি, এইটা আমার জন্য রংতামশা বাহাতের খেলা। আর করতে হবে কি? বন্ধু চুখে মুখে
খুশীর জলক, বোকার হাতে বন্ধু প্রেম পত্র হাতে দিয়ে বলে দুস্ত এর উত্তর চায়, এনে
দিবি কিন্তু। বন্ধুর কথা বোকা না করে কি করে। বন্ধু বলেই কথা। (বন্ধু তাকেই বলে, যে ভালবাসে আমায় নিজের চেয়ে বেশি , বন্ধু তাকেই বলে, যে আমার বেদনায় দুঃখী।) গল্প গুজব করতে করতে স্কুলে হাজির।
বিরতি,
বোকা বন্ধুর পছন্দের রাজকুমারির কাছে গেল।
বোকাকে দেখে রাজকুমারির বলে, কিরে বোকা কেমন আস।
- ভালো আছি, রাজকুমারি তোমার একটা খবর
আছে।
- কি খবর।
- একটা চিঠি আছে তোমার জন্য।
- কে দিয়েছে।
-মক্কেল। (মক্কেল-চন্দনাম)
- দে, দেখি।
বোকা বন্ধুর দেওয়া প্রেম পত্র
হাতে নিয়ে বলে, এর উত্তর দিবা কিন্তু।
রাজকুমারি ঠিক আছে, ছুটির পর বারান্দায়
থাকিস।
রাজকুমারি বোকার হাতের চিঠি নিয়ে নিল। সব বান্দবিরা জড়ো হয়ে কানাকানি শুরু করে দিল। এ
পরে ও পরে, এভাবে একে একে সবাই পড়ল। বিরতি শেষ, কেলাস শুর। এরপর- স্কুল ছুটি।
বন্ধুর কথা রাখার জন্য উত্তরের জন্য, বোকা বারান্দায় দাঁড়িয়ে আছে। রাজকুমারি ও তার বান্দবিরা আসতেছে, বোকা
হাঁসে। কি হতে যাচ্ছে বোকা জানে না।রাজকুমারি আসল, বই থেকে চিঠি বাহির করে বোকার হাতে দিচ্ছে এমন সময় পাশের কেলাস ছুটি হল। বোকার হাতে চিঠি না গিয়ে পড়ল
নিচে, বোকা হাঁ করে দাঁড়িয়ে আছে। প্রেম পত্র মাটিতে ছাত্র ছাত্রীর পায়ের লাথি
গুঁতা খেয়ে যাচ্ছে। পায়ের লাথি গুঁতা খেয়ে প্রেমপত্র খুলে গেল ৩ পাতা সংযুক্ত।
বোকা হাঁ করে চেয়ে আছে, এইটা প্রেম পত্র না কি, গল্প। প্রেম কারে কয়।(সখি ভালোবাসা কারে কয়)বোকার বন্ধু মনে মনে কত বছর ধরে প্রেম করে যাচ্ছে কে জানে। বিস্তারিত লেখতে গিয়ে গল্প রুপ নিয়েছে হইত। তাই এই জন্য ৩
পাতা প্রেম পত্র।
এই দিকে রাজকুমারি পত্র খানা চুড়ে দিয়ে ভিড়ের মাঝে ওরা
লাপাত্তা। সবাই চলে গেল বোকা কুড়িয়ে নিল পত্র খানা। হাতে নিয়ে দেখে প্রেম পত্রের
গায়ে দুলাবালির জামা। কি লেখা আছে প্রেম পত্রে বোকা চুখেও দেখলনা। বোকা পু দিয়ে
পরিষ্কার করে চিঠি পকটে ভরে বাড়ির দিকে হাঁটা শুরু করে দিল।----- এইদিকে রাস্তায় দাঁড়িয়ে
আছে প্রেম পত্রের উত্তরের আশায়। বোকা বন্ধুর হাতে তার দেওয়া সেই চিঠি দিল। বন্ধু
হাতে নিয়ে দেখে ধুলাবালি ভরা। বন্ধু পত্রখান খুলে দেখে আকাশ থেকে পড়ল। কি লেখা লেখেছে আর কি উত্তর দিয়েছে কে জানে।
দীর্ঘ নিশ্বাস আর কষ্ট ভরা কণ্ঠে বোকা কে সাথে করে দোকানে প্রবেশ। খা বন্ধু খা।
তুর যা মন চায় খা। আমি একটা বিড়ি খায়। বোকার বন্ধু নতুন জগতে পা। প্রেম নয়
‘’বিরহ’’
বোকার সাহায্য নিয়ে কত প্রেম ভালোবাসা, প্রেমিক প্রেমিকার সুচনা হয়েছে ''বোকা '' নিজেই জানে না। এই জন্য বোকাকে সবাই ভালোবাসে, ''বোকা '' জানেনা। ''বোকা '' সবার প্রিয়।
''বোকা '' এভাবে বন্ধুদম হলে প্রিয়। কবে ''বোকা '' প্রেম করবে। কোন মেয়ে প্রেমের অফার দেবে ''বোকা '' জানে না। এভাবে বোকার কলেজ লাইফে চলে গেল। ''বোকা '' প্রেম কি জানে না। প্রেম কি বুঝে না। ভালোবাসা কারে কই, এই সব বুঝে না। স্কুল জীবনে হাবা ঘোবা একটা ''বোকা ''।
''বোকা '' এই গল্প চলবে, ''বোকা '' এখন একজন চাকরীজীবী। ''বোকা '' আজ অফিসের সহকারী পরিচালক। ''বোকা '' সংসার আছে। আছে তার ছেলে মেয়ে। তবু সে আছ ''বোকা '' মানেই গবেট। সত্যি সে আসলে একটা ''বোকা '' । জীবন যুদ্ধে সবার কাছে হাবা ঘোবা একটা ''বোকা '' । ''বোকা '' কে সবাই ভালোবাসে। কেন ভালোবাসে সে কথা জানতে পড়তে আসবে আবার। আপডেট .. লেখা চলবে।
''বোকা '' এর স্কুল জীবন
''বোকা '' এর কলেজ জীবন
''বোকা '' এর রাজনীতি
''বোকা '' এর প্রেম
''বোকা '' এর চাকরী
''বোকা '' এর জীবনী
''বোকা '' এর কাহিনী
ধাপে ধাপে আলোচনা করা হবে। ''বোকা '' এর গল্প জানতে Bookmark করে রাখুন।