Old CC camera |
বর্তমানে ভাইরাল যেকোনো কিছু হতে পারে। যেমনঃ ভাইরাল ভিডিও, ভাইরাল অডিও, ভাইরাল ছবি, ভাইরাল গান, ভাইরাল খবর এবং যেকোনো বস্তু বা ব্যক্তি ইত্যাদি। এই সব ভাইরাল হয়েছে বুঝবেন কীভাবে? যখন কোন কিছু ভাইরাল হয় সামাজিক যোগাযোগ এর মাধ্যম সবার নজরে আসে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বলতে কি বোঝায়? বর্তমানে সবার প্রিয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম হল ফেসবুক, টুটার ইউটিউব ভিডিও ইত্যাদি। আবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম চাড়া গন মাধ্যম টিভি রেডিও পত্রিকাতেও মানুষের নজরে আসতে থাকে। এভাবে কোন কিছু এক জন থেকে অন্য জন করে সবাই জানতে পারে তাকে ভাইরাল বলে থাকি। ভাইরাল ভালো মন্দ দুই হতে পারেন। যেমন গল্প, কবিতা ভিডিও গান, অডিও গান পিডিএফ বই। এই সব ভাইরাল হলে লেখক কবি শিল্পির জন্য ভালো হয়। এই ভাইরালের ফলে তারা লাভবান। আর যেমন ধরুন ছবি, নাটক ভাইরাল হয়। এই ভাইরালের ফলেও নিরমতারা লাভবান হয়। যেমন লাভবান হয় মানুষ তেমন ক্ষতির শিকারও হয়। যেমন কোন বেক্তির গোপন কোন কিছু ফাঁস হয়ে ভাইলার হল। এই ভাইরাল ঐ বেক্তির জন্য মন্দ বা ক্ষতির কারণ। এইভাবে যেকোনো গোপন তথ্য ফাঁস হওয়া মানেই ক্ষতি। ভাইরাল ভিডিও লিংক, ভাইরাল ভিডিও নাটক, ভাইরাল নিউজ, ভাইরাল সানি লিওনের, ভাইরাল ভিডিও ইউটিউব, viral videos youtube
গুজব কি?
গুজব কাকে বলে- গুজব মানেই হইচই। হইচই যত বেশী গুজব ততো বেশী চড়াই। গুজবকে হইচই বলার কারণ একটাই, কথায় আছে খাজনার চেয়ে বাজনা বেশি, খালি কলসি বাজে বেশি। গুজব ও তাই, মানুষের মুখে মুখে হইচইয়ের মাধ্যমে প্রচার হতে থাকে গুজব। গুজব কে যদি সুন্দর ভাবে বলি, গুজবের এর মানে কি?
গুজব হল জনসাধারণের (আমজনতা) সম্পর্কিত যে কোনো বিষয়ঃ ঘটনা বা ব্যক্তি নিয়ে মুখে মুখে প্রচারিত কোনো বর্ণনা বা গল্প।
গুজব কিভাবে ছড়ায়?
অতীতে গুজব ছড়াত এক জন থেকে অন্য জন, অন্য জন থেকে আরেক জন। বর্তমানে প্রযুক্তির সাথে তাল মিলিয়ে গুজব চড়ানো আরও উন্নতি হয়ে।
গুজব কেন ছড়ায়?
আন কথায় কান ভার। কানাকানি, হুশাহুশি, হাসাহাসি, আড্ডাবাজী এইসব এর কারণে গুজব সৃষ্টি হয়।
গুজব প্রতিরোধে করণীয়
এক কথায় গুজব প্রতিরোধে করতে গীবত করা থেকে বিরত থাকতে হবে। গীবত করার মাধ্যমে গুজব সৃষ্টি হয়। গীবত শব্দটির আভিধানিক অর্থ দোষারোপ করা, কুৎসা রটনা, পেছনে সমালোচনা করা, পরচর্চা করা, পরনিন্দা করা, কারো অনুপস্থিতিতে তার দোষগুলো অন্যেও সামনে তুলে ধরা। ইসলামি শরিয়তে গীবত হারাম ও কবিরা গুনাহ।যারা অগ্র-পশ্চাতে অন্যের দোষ বলে বেড়ায় তাদের জন্য ইসলামে ধবংসের দুঃসংবাদ রয়েছে। (মুসলিম)
আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত, মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, দুনিয়াতে যে ব্যক্তি তার ভাইয়ের গোশত ভক্ষণ করবে অর্থাৎ গীবত করবে, কিয়ামতের দিন গীবতকারীর সামনে গীবতকৃত ব্যক্তিকে মৃত অবস্থায় উপস্থিত করা হবে এবং বলা হবে তুমি মৃত অবস্থায় তার গোশত ভক্ষণ কর যেমনভাবে জীবতাবস্থায় তার গোশত ভক্ষণ করতে। অতঃপর সে অনিচ্ছা সত্ত্বেও চিৎকার করতে করতে তা ভক্ষণ করবে। (বুখারী)পবিত্র কোরআনে আল্লাহপাক এরশাদ করেছেন, আর তোমরা অন্যের দোষ খুঁজে বেড়াবে না’। (সূরা আল-হুজুরাত,আয়াত-১২)
গুজব সংক্রান্ত হাদিসঃ গুজব ছড়ানো মিথ্যার সমান অপরাধ-
ইসলামের দৃষ্টিতে মানবজীবনের প্রতিটি মুহূর্ত অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পরকালে মানুষকে তার প্রতিটি কাজের জন্য জবাবদিহি করতে হবে। সুতরাং একজন মুসলিম কল্যাণশূন্য কোনো কাজে লিপ্ত হবে না। আর যে কাজে নিজের ও সমাজের কোনো ধরনের ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে, তা থেকে অবশ্যই বিরত থাকবে। গুজব তেমনই একটি কাজ। গুজব মানেই ভিত্তিহীন কোনো কথার প্রচার। চাই তা মানুষ হাসানোর জন্য হোক বা মানুষের ভেতর ভয় ও আতঙ্ক ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য করা হোক। ইসলাম কোনো অবস্থায়ই গুজব ছড়ানোকে সমর্থন করে না। ইসলামের শিক্ষা হলো, মানুষ সর্বতোভাবেই তা পরিহার করবে। বরং প্রয়োজন ব্যতীত কোনো কথা সে বলবে না। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘যে চুপ থাকে সে মুক্তি পায়।’ (তিরমিজি, হাদিস : ২৫০১)
অন্য আয়াতে বলা হয়েছে, ‘যে বিষয়ে তোমার কোনো জ্ঞান নেই, তার অনুসরণ কোরো না। নিশ্চয়ই কান, চোখ, অন্তরের প্রতিটি বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হবে।’ (সুরা : বনি ইসরাঈল, আয়াত : ৩৬)
যে নেতিবাচক সংবাদের সঙ্গে সমাজ, জাতি ও উম্মাহর স্বার্থের সম্পর্ক নেই—শুধু ব্যক্তিগত রাগ, ক্ষোভ ও অভিমান থেকে হয়ে থাকে, তা প্রচার করা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। কেননা তা অপবাদের স্তরভুক্ত হবে। পবিত্র কোরআনে অপবাদের ব্যাপারে কঠোর হুঁশিয়ারি রয়েছে। এমন নেতিবাচক সংবাদের যদি কোনো ভিত্তিও থেকে থাকে, তবে তা গিবত বা পরনিন্দা বিবেচিত হবে। শরিয়তে গিবতও জঘন্যতম অপরাধ। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তোমরা পরস্পরের দোষচর্চা কোরো না। তোমাদের কেউ কি তার মৃত ভাইয়ের গোশত খেতে পছন্দ করবে? নিশ্চয়ই তোমরা তা অপছন্দ করবে। তোমরা আল্লাহকে ভয় করো, নিশ্চয়ই তিনি ক্ষমাশীল ও দয়ালু।’ (সুরা : হুজুরাত, আয়াত : ১২)
gibot kora haram |
এই নিয়েছে ঐ নিল যাঃ! কান নিয়েছে চিলে,
চিলের পিছে মরছি ঘুরে আমরা সবাই মিলে।
কানের খোঁজে ছুটছি মাঠে, কাটছি সাঁতার বিলে,
আকাশ থেকে চিলটাকে আজ ফেলব পেড়ে ঢিলে।
দিন-দুপুরে জ্যান্ত আহা, কানটা গেল উড়ে,
কান না পেলে চার দেয়ালে মরব মাথা খুঁড়ে।
কান গেলে আর মুখের পাড়ায় থাকল কি-হে বল?
কানের শোকে আজকে সবাই মিটিং করি চল।
যাচ্ছে, গেল সবই গেল, জাত মেরেছে চিলে,
পাঁজি চিলের ভূত ছাড়াব লাথি-জুতো কিলে।
সুধী সমাজ! শুনুন বলি, এই রেখেছি বাজি,
যে-জন সাধের কান নিয়েছে জান নেব তার আজই।
মিটিং হল ফিটিং হল, কান মেলে না তবু,
ডানে-বাঁয়ে ছুটে বেড়াই মেলান যদি প্রভু!
ছুটতে দেখে ছোট ছেলে বলল, কেন মিছে
কানের খোঁজে মরছ ঘুরে সোনার চিলের পিছে?
নেইকো খালে, নেইকো বিলে, নেইকো মাঠে গাছে;
কান যেখানে ছিল আগে সেখানটাতেই আছে।
ঠিক বলেছে, চিল তবে কি নয়কো কানের যম?
বৃথাই মাথার ঘাম ফেলেছি, পণ্ড হল শ্রম।