স্বাগতম

সবার জন্য উন্মুক্ত পেইজ ভিজিট করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ। *** শিক্ষার কোন বয়স নাই, জানার কোন শেষ নাই। *** বিঃদ্র ( যে সকল ব্লগ বা ওয়েবসাইট এর লেখা কোন অনুমতি ছাড়া কপি করে এখানে পোষ্ট করেছি, যদি কারো কোনো অভিযোগ থাকে দয়া করে জানাবেন। E-mail: nchafa10@gmail.com, ভালো লাগলে আবার আসবেন।***ধন্যবাদ***

ধর্ষণ নিয়ে কিছু কথা (বাংলাদেশের সংবিধানে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন)

 ধর্ষণঃ একজন ব্যক্তির অনুমতি ব্যতিরেকে তার সঙ্গে যৌনসঙ্গম বা অন্য কোনো ধরনের যৌন অনুপ্রবেশ ঘটানোকে ধর্ষণ বলা হয়।

এখন আসি মূল আলোচনায়। বাংলাদেশে ধর্ষণের ঘটনা  যে পরিমাণ  বাড়ছে বর্তমানে মানুষ নরপিশাচ হয়ে যাচ্ছে। ধর্ষণের কারণ খুজতে গিয়ে নানান মানুষ নানান মত প্রকাশ করে যাচ্ছে । এদিকে আমরা ধর্ষক ও ধর্ষিতা খবর প্রতিদিন শুনে যাই শুধু শুনে যাই। শিশু ধর্ষণের খবর,  মা মেয়ে বোন এবং  কি বৃদ্ধা ধর্ষণের খবর।  ( হে নারী, কেউ যদি তোমাকে ধর্ষণ করতে আসে, তুমিও তাকে ধর্ষণ করে দাও। পুরুষদের দেখিয়ে দাও, ধর্ষণ শুধু তারা নয়, তোমরাও পারো। তসলিমা নাসরিন

আজ সারাবাংলার জনগণ ধর্ষকের ফাঁসির দাবিতে মুহুর্মুহু স্লোগান দিচ্ছে। ধর্ষণের বিরুদ্ধে স্লোগানে প্রকম্পিত ক্যাম্পাস। ধর্ষণের বিরুদ্ধে রাজু ভাস্কর্য, শাহবাগে এলাকায় মানববন্ধন। 

বাংলাদেশের আইনেঃ 

সংবিধানের যে ধারায় ধর্ষণ নিয়ে বলা হয়েছে
বাংলাদেশের সংবিধানে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০, এর ৯ ধারায় ধর্ষণ এবং ধর্ষণ জনিত কারণে মৃত্যু ঘটানো ইত্যাদির সাজা সম্পর্কে আলচনা করা হয়েছে। অত্র ধারায় একজন অপরাধীর সর্বোচ্চ সাজা মৃত্যুদণ্ডর বিধান রাখা হয়েছে।

বাংলাদেশ সংবিধানে ধর্ষণের সংজ্ঞা
যদি কোন পুরুষ বিবাহ বন্ধন ব্যতীত ষোল বৎসরের অধিক বয়সের কোন নারীর সাথে তার সম্মতি ছাড়া বা ভীতি প্রদর্শন বা প্রতারণামূলকভাবে তার সম্মতি আদায় করে, অথবা ষোল বৎসরের কম বয়সের কোন নারীর সাথে তার সম্মতিসহ বা সম্মতি ব্যতিরেকে যৌন সঙ্গম করেন, তাহলে তিনি উক্ত নারীকে ধর্ষণ করেছেন বলে গণ্য হবেন।

নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০, এর ৯ ধারা মতে সাজাসমুহঃ
৯(১) যদি কোন পুরুষ কোন নারী বা শিশুকে ধর্ষণ করেন, তাহলে তিনি যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডনীয় হবেন এবং এর অতিরিক্ত অর্থদণ্ডেও দণ্ডনীয় হবেন।

(২) যদি কোন ব্যক্তি কর্তৃক ধর্ষণ বা উক্ত ধর্ষণ পরবর্তী তার অন্যবিধ কার্যকলাপের ফলে ধর্ষিতা নারী বা শিশুর মৃত্যু ঘটে, তা হলে উক্ত ব্যক্তি মৃত্যুদণ্ডে বা যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডনীয় হবেন এবং এর অতিরিক্ত অন্যুন এক লক্ষ টাকা অর্থদণ্ডেও দণ্ডনীয় হবেন।

(৩) যদি একাধিক ব্যক্তি দলবদ্ধভাবে কোন নারী বা শিশুকে ধর্ষণ করেন এবং ধর্ষণের ফলে উক্ত নারী বা শিশুর মৃত্যু ঘটে বা তিনি আহত হন, তা হলে ঐ দলের প্রত্যেক ব্যক্তি মৃত্যুদণ্ডে বা যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডনীয় হবেন এবং এর অতিরিক্ত অন্যুন এক লক্ষ টাকা অর্থদণ্ডেও দণ্ডনীয় হবেন।

(৪) যদি কোন ব্যক্তি কোন নারী বা শিশুকে-

(ক) ধর্ষণ করে মৃত্যু ঘটানোর বা আহত করার চেষ্টা করেন, তাহলে উক্ত ব্যক্তি যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন এবং এর অতিরিক্ত অর্থদণ্ডেও দণ্ডনীয় হবেন;
(খ) ধর্ষণের চেষ্টা করেন, তাহা হইলে উক্ত ব্যক্তি অনধিক দশ বত্সর কিন্তু অন্যুন পাঁচ বত্সর সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডনীয় হবেন এবং এর অতিরিক্ত অর্থদণ্ডেও দণ্ডনীয় হবেন।

(৫) যদি পুলিশ হেফাজতে থাকাকালীন সময়ে কোন নারী ধর্ষিতা হন, তা হলে যাহাদের হেফাজতে থাকাকালীন উক্তরূপ ধর্ষণ সংঘটিত হয়েছে, সেই ব্যক্তি বা ব্যক্তিগণ ধর্ষিতা নারীর হেফাজতের জন্য সরাসরিভাবে দায়ী ছিলেন, তিনি বা তারা প্রত্যেকে, ভিন্নরূপ প্রমাণিত না হলে, হেফাজতের ব্যর্থতার জন্য, অনধিক দশ বত্সর কিন্তু অন্যুন পাঁচ বত্সর সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডনীয় হবেন এবং এর অতিরিক্ত অর্থদণ্ডেও দণ্ডনীয় হবেন।

বাংলাদেশ দন্ডবিধির ধারা: ৩৭৫ ধর্ষণ (Rape):
যদি কোন ব্যক্তি, অতঃপর ব্যতিক্রান্ত ক্ষেত্র ব্যতীত নিম্নোক্ত পাঁচ প্রকার বর্ণনাধীন যেকোন অবস্থায় কোন নারীর সহিত যৌন সহবাস করে, তবে উক্ত ব্যক্তি 'ধর্ষণ' করে বলিয়া গণ্য হইবে৷
প্রথমতঃ তাহার ইচ্ছার বিরুদ্ধে,
দ্বিতীয়তঃ তাহার সম্মতি ব্যতিরেকে,
তৃতীয়তঃ তাহার সম্মতিক্রমে, যেক্ষেত্রে তাহাকে মৃত্যু বা আঘাতের ভয় প্রদর্শন করে তাহার সম্মতি আদায় করা হয়৷
চতুর্থতঃ তাহার সম্মতিক্রমে, যেক্ষেত্রে লোকটি জানে যে, সে তাহার স্বামী নয় এবং নারীটি এই বিশ্বাসে সম্মতি দান করে যে, পুরুষটির সহিত সে আইনানুগভাবে বিবাহিত অথবা সে নিজেকে আইনানুগভাবে বিবাহিত বলিয়া বিশ্বাস করে৷
পঞ্চমতঃ তাহার সম্মতি সহকারে বা ব্যতিরেকে, যেক্ষেত্রে সে ষোল বছরের কম বয়স্কা হয়৷

গত ১২ই অক্টোবর বাংলাদেশে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন সংশোধন করে ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি হিসেবে মৃত্যুদণ্ডের বিধান যোগ করার সিদ্ধান্ত অনুমোদন করে মন্ত্রিসভা।


ইসলাম- ধর্ষণ ও ব্যভিচার সুস্পষ্ট হারামঃ 

শিরক ও হত্যার পর ব্যভিচার সুস্পষ্ট হারাম ও বড় ধরনের অপরাধ। কোরআনে কারিমে বলা হয়েছে, ‘ব্যভিচারের কাছেও যেও না। নিশ্চয় এটা অশ্লীল কাজ এবং মন্দ পথ।’ (সুরা আল ইসরা, আয়াত : ৩২)

প্রখ্যাত তাফসিরবিশারদ ইমাম কুরতুবি (রহ.) বলেন, “উলামায়ে কেরাম বলেছেন, ‘ব্যভিচার করো না’-এর চেয়ে ‘ব্যভিচারের কাছেও যেয়ো না’ এটি অনেক বেশি কঠোর কথা।” এর সহজ অর্থ হলো, যেসব বিষয় ব্যভিচারে উদ্বুদ্ধ করে ও ভূমিকা রাখে সেগুলোও হারাম। ধর্ষণের শাস্তি সম্পর্কে ইসলাম যা বলে-   

ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে একটিভ থাকুন

১লা মে দিবস / শ্রমিকের অধিকার আদায়ের দিন

১লা মে দিবসের ছবি ১লা মে আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস পালন করা হয়। ১লা মে মহান মে দিবস। ১লা মে বিশ্বের শ্রমজীবী মানুষের অধিকার আদায়ের দিন। ১৮৮৬ স...