স্বাগতম

সবার জন্য উন্মুক্ত পেইজ ভিজিট করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ। *** শিক্ষার কোন বয়স নাই, জানার কোন শেষ নাই। *** বিঃদ্র ( যে সকল ব্লগ বা ওয়েবসাইট এর লেখা কোন অনুমতি ছাড়া কপি করে এখানে পোষ্ট করেছি, যদি কারো কোনো অভিযোগ থাকে দয়া করে জানাবেন। E-mail: nchafa10@gmail.com, ভালো লাগলে আবার আসবেন।***ধন্যবাদ***

চাকরীর জন্য (Police Verification) পুলিশ প্রতিবেদন যেন সোনার হরিন

পুলিশ প্রতিবেদন যেন সোনার হরিন। পুলিশ প্রতিবেদন যেন সোনার হরিন, বলার কারণ কি জানতে চান। তাহলে পড়ুন। পুলিশ প্রতিবেদন সহজলভ্য নয়'' শিরোনাম দেখে ভাবতে শুরু করছেন এর মানে কি ? 

পুলিশ আমার বাবা, পুলিশ আমার ভাই, পুলিশ জনগনের বন্ধু  সত্যকে অস্বীকার করা যাবেনা। ভালো-মন্দ সবখানে আছে। ভালোকে ভালো আর খারাপ কে খারাপ বলা দুষের কিছু না। সত্যি কথা বলতে,  মন্দের হাতে পড়লে দেশ, সব কিছু হয়ে যায় শেষ। শাসন বিভাগ থেকে শুরু করে যে কোন স্থানে ভালো কিছু আশা করা  যায় না যদি মন্দ লোক করে ওখানে বাস। যাইহোক আসল কথা বলি। 

আমরা মানুষ। তিন বেলা খাওয়ার জন্য চাকরী করি। এক কথায় পেটের জন্য চাকরী করি। এই চাকরী জন্য প্রয়োজন পুলিশ প্রতিবেদন। পুলিশ প্রতিবেদন আরও বিভিন্ন কাজে লাগে। আর এই পুলিশ প্রতিবেদন এর জন্য আবেদন করতে হয় থানাতে। কথায় শুনেছি, থানার পাশ দিয়ে নাকি কানা লোক যায় না, কিন্তু কি আর করবো চাকরির প্রয়োজনে পুলিশ প্রতিবেদন এর জন্য থানাতে যেতে হবে। 

পুলিশ প্রতিবেদন কি? কীভাবে নেব? চিন্তায় পড়লাম। আমার যেভাবে হোক পুলিশ প্রতিবেদন লাগবে। পুলিশ  প্রতিবেদন চাড়া চাকরীর এই ধাপ পার হওয়া সম্ভব নয়। তাই পুলিশ প্রতিবেদন এর জন্য নিজের কর্মস্থল থানায় হাজির।  
স্যার,
আসস্লামুয়ালাইকুম।
পুলিশ প্রতিবেদন এর জন্য এসেছি। 
স্যারঃ কি জন্য? পুলিশ প্রতিবেদন । 
আমিঃ স্যার, চাকরীর জন্য। 
স্যারঃ কীসের চাকরী? 
আমিঃ একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান। 
স্যারঃ প্রতিষ্ঠান এর নাম কি? 
আমিঃ স্যার, ফ্রেইট ফরওয়ার্ডিং কোম্পানি। 
স্যারঃ ও, পুলিশ প্রতিবেদন এর জন্য কোন আবেন করেছন?  
আমিঃ না স্যার, করি নাই। আবেদন নিয়ে এসেছি-- 
স্যারঃ কই, দেখি। এই বলে আবেদন পত্র গ্রহন করল। 
আমিঃ  পুলিশ প্রতিবেদন এর আবেদন পত্র খানা স্যার এর হাতে দিয়ে খুঁটীর মত দাঁড়িয়ে আছি। আবেদন পত্র খানা পড়ে স্যার, বলতেছে ভাইয়া আমরা পুলিশ প্রতিবেদন দিতে পারবোনা। এইটা উপ পুলিশ কমিশনার থেকে দিবে। ওখানে জান, তারা দেবে। উত্তরে বললাম স্যার, এর আগে আপনাদের মাধ্যমে এই খান থেকে নিয়েছিলাম (আমার সাথে অফিসের আগের  একটি পুলিশ প্রতিবেদন কপি ছিল) দেখেন আগের অরজিনাল কপি।
স্যারঃ এই কথায় কান দিলেন না। এক কথায়, না।  আমরা দিতে পারবো না।  আপনি আপনার আবেদন পত্র উপ পুলিশ কমিশনার এ জমা দিয়ে আসেন ওরা  এই আবেদন পত্র গ্রহন করে আমাদের থানাতে পাঠালে তখন দেখা যাবে দেওয়া যায় নাকি!!!
 আমিঃ কি আর করা থানার কর্তা বলে কথা। স্যার এর কথা মত পরের দিন উপ পুলিশ কমিশনার এর কার্যলয়ে। 
স্যার,
আসস্লামুয়ালাইকুম।
পুলিশ প্রতিবেদন এর জন্য এসেছি। 
স্যারঃ কি জন্য? পুলিশ প্রতিবেদন । 
আমিঃ স্যার, চাকরীর জন্য। 
স্যারঃ কীসের চাকরী? 
আমিঃ একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান। 
স্যারঃ প্রতিষ্ঠান এর নাম কি? 
আমিঃ স্যার, ফ্রেইট ফরওয়ার্ডিং কোম্পানি। এই কথা শুনে 
স্যারঃ উচ্চস্বরে বলে ভাই আমরা দি না। আপনি পুলিশ কমিশনার এর কার্যলয়ে যান।ওরা  পুলিশ প্রতিবেদন দেবে। আমি হতবাগা কাঙ্গালের মত নিরাশ হয়ে শুন্তেছি। কিছু বলার চেষ্টা করতেছি কিন্তু আমার কোন কথা শুনতে রাজি না। হতাশ আর চিন্তার মাঝে পিরে আসতে হল। কি করি- পুলিশ প্রতিবেদন ছাড়া হবে না। পুলিশ প্রতিবেদন লাগবে, কোথায় পাই। অস্থির আর ভাল্লাগেনা।কি আর করা মনের দুঃখে চাকরী করতে মন চাইতেছে না। মাথা নষ্ট। পাশের থানায় গেলাম। 
স্যার,
আসস্লামুয়ালাইকুম।
পুলিশ প্রতিবেদন এর জন্য এসেছি। 
স্যারঃ কি জন্য? পুলিশ প্রতিবেদন । 
আমিঃ স্যার, চাকরীর জন্য। স্যার কথা শুনে বলল আপনি যে থানার আন্ডারে আছেন ওখানে যান। ওরা আপনাকে পুলিশ প্রতিবেদন দিবে। আমি বললাম স্যার গিয়েছিলাম কিন্তু ওরা দিচ্ছে না। স্যার বলতেছে কেন দিবে না। অবশ্যয় দিবে, ওখানে যান। আমরা আপনাকে দিতে পারবো না কারণ আপনি আমাদের থানার আন্ডারে বসবাস করেন না। কি আর করা স্যার এর কথা শুনে বুঝলাম এইখাইনে কিছু হবে না।হতাশ ও নিরুপায়  চিন্তায় অস্থির, মনে মনে বক বক করি চাকরীর আর করমুনা।  ভালো লাগে না পুলিশ প্রতিবেদন এর যন্ত্রনায়। চললে আসলাম বাসায়। কিন্তু পুলিশ প্রতিবেদন আমার লাগবে। পুলিশ প্রতিবেদন চায় তো চায়। পরের দিন আবার নিজের কর্মস্থল থানায় হাজির।  
স্যার,
আসস্লামুয়ালাইকুম।
স্যার, পুলিশ প্রতিবেদন এর জন্য এসেছি। স্যার দেখেও না দেখার অভিনয় করে যাচ্ছে। আমিও দাঁড়িয়ে আছি। অনেকক্ষণ পরে স্যার এর নজরে আসলাম।
স্যার, কিরে কি জন্য আসলি। 
আমি,পুলিশ প্রতিবেদন এর জন্য এসেছি।
স্যার, তুকেনা বললাম আমরা দি না! 
আমি, স্যার আপনারা না দিলে আমরা কই পাব এই প্রতিবেদন। দেন স্যার, চাকরী করে খেতে হবে। 
স্যার, আচ্ছা দাড়া। এই বলে স্যার, বাহীরে চলে গেলে। আমিও দাঁড়িয়ে আছি। ২ ঘণ্টা পরে এসে বলতেছে কিরে এখনো দাঁড়িয়ে আসত। বল কি সমস্যা। স্যার, পুলিশ প্রতিবেদন এর জন্য এসেছি।
স্যার, ঠিক আছে।এইদিকে আয় রোম থেকে বাহীরে যাচ্ছে স্যার, পিছে পিছে আমিও। স্যার বলতেছে এখন ৫ হাজার টাকা দিতে পারবি। তাহলে ব্যবস্থা করে দেব। স্যার এর কথা শুনে আমি খুশী। মহা খুশী। যেভাবে হোক পুলিশ প্রতিবেদন পাবো। এর মাঝে যা হওয়ার হইছে । অবশেষে পেলাম। পুলিশ প্রতিবেদন।

এখন বুঝতে পারলাম। বাস্তব বড়ই কঠিন। আইনের ধারা আর কাজের ধারা এক নয়। ভালো থাকতে চাইলেও ভালো কেউ থাকতে দিবেনা। ভালো থাকতে হলে সন্ন্যাসী হয়ে বন জঙ্গলে গিয়ে ধ্যানে মগ্ন থাকতে হবে। তা না হলে কেউ ভালো থাকতে পারবে না। 

 ঘুষ দিয়ে চাকরি নিলে, ঘুষ খাবে এইটা নিয়ম। দুর্নীতি 

ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে একটিভ থাকুন

১লা মে দিবস / শ্রমিকের অধিকার আদায়ের দিন

১লা মে দিবসের ছবি ১লা মে আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস পালন করা হয়। ১লা মে মহান মে দিবস। ১লা মে বিশ্বের শ্রমজীবী মানুষের অধিকার আদায়ের দিন। ১৮৮৬ স...