কোন এক দিন চায়ের দোকানে বসে ২ই বন্ধু গল্প আড্ডা করে আর মাঝে মাঝে দোকানদারকে চা দিতে বলে। গল্প আড্ডা করে চা খাওয়ার মজা আলাদা, চায়ের দোকানে বসে গল্প আড্ডা করে যারা তারা জানে কি মজা আর কি আনন্দ। দোকানে না বসলে বলতে পারবেনা দোকানের চা কত মজা। যা হোক, এখানে চায়ের দোকানের গল্প নয় মোরগ চুড়াইন্নার গল্প বলা হচ্ছে। ওরা আড্ডাবাজ দুই বন্ধুর একজন অন্যজনকে বলে দুস্ত ঐ দেখ মোরগ চুইন্না যাতেছে। এইত গল্প শুরু হল। মোরগ চুইন্না কাকে বলে জানেন?? জানেন না, জানার কথা নয়। হইত কোন দিন শুনেন নাই? শোনার কথা নয়। কারণ এটা আমার জীবনের সৃতি পাতা থেকে নেওয়া গ্রামের চায়ের দোকানে বসে আড্ডা দেওয়ার একটি কাহিন নাম দিলাম মোরগ চুইন্না। মোরগ চুইন্না শব্দ বুঝতে পারতেছেন না। না বুঝলে গল্প পড়ে মজা পাবেন না। এই জন্য মোরগ চুইন্না শব্দের অর্থ জেনে নিন। মোরগ- মুরগী। চুইন্না এসেছে চুড়াইন্না শব্দ থেকে এই শব্দটি দিয়ে তাড়ানো, দূরীভূত করা, রাখালী করা ইত্যাদি। তাহলে মোরগ চুইন্না বলতে মুরগী তাড়ানো কাজ কে বুঝানো হয়েছে।
অনেক দিন আগেও গ্রামের মানুষের আর্থিক অবস্তা ছিল দুর্বল ও শিক্ষার হার একেবারেই কম। বর্তমানে শিক্ষার হার কিছুটা বাড়ছে। গল্পটা হল গ্রামের একটি চায়ের দোকানে বন্ধুদের আড্ডাবাজ গল্প। ঐ আড্ডাবাজ গল্প থেকে নামকরণ হল এই গল্পের। গল্পের নাম মোরগ চুইন্না। মোরগ চুইন্না কি ভাবে হল পড়ুন। আগেকার সময় চায়ের দোকানে টেপ, রেডিও, টেলিভিশন, ভিসিআর, সিডি প্লেয়ার ছাড়া চলত না। যে দোকানে এসব আছে ঐ দোকানের কাস্তমার ভরপুর ছিল। এখন আছে প্রায় দোকানে। এখন ডিজিটাল যুগ, ডিস, নেটের দুনিয়া। তখন টেলিভিশন,ভিসিআর, সিডি ছাড়া চায়ের দোকানে বেচাকেনা তেমন চলেনা। তাই টেলিভিশন, ভিসিআর, সিডি ছিল চা ব্যবসা এর একমাত্র মূলধন বা সম্পদ। এই টেলিভিশন দেখার জন্য ভিড় জমাত ছোট ছোট ছেলেরা আর এই ছোট ছেলেদের ঝমেলা সামলাতে দোকানদারকে হিমশিম খেতে হত। কোন কোন দোকানদার ছোট ছেলেদের তাড়াতে নার্ভাস মনে করত। অবুঝ বালক তাদের কিছু বললে মনে কষ্ট পাবে তাই।কিন্তু দোকানদার এই ছোট ছেলেদের হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য ছোট ছেলেদের দল থেকে দুষ্ট ঘারটেরা বলিস্ট ছেলে দেখে একটি দায়িত্ব দেওয়া হতো বাকি ছেলেদের তাড়াতে। যে এই দায়িত্ব পেত, সেই মনের শখে দায়িত্ব পালন করত কারন ও দোকানদারের কাছের লোক হয়ে গেল। যাকে বলে পাওয়ার, ঐ ছেলেকে আর কেউ তাড়াবে না। মনের সুখে টেলিভিশন দেখবে আর ছোট ছেলেদের তাড়াবে। তার সাথে দরজার সামনে দাড়িয়ে মোরগ ও তাড়াবে। এই ভাবে ঐ ছেলে নিয়মিত মোরগ তাড়াই আর দোকানদার তাকে চা বিস্কুট খাওয়ায়। ছেলেটা মহাখুশি চা বিস্কুট খাইতে পারে, মনের সুখে টেলিভিশনও দেখতে পারে। এভাবে দিন যাইতেছে আর ঐ ছেলেকে সবাই এখন মোরগ তাড়াইন্না (ছুড়াইন্ননা- আঞ্চলিক ভাষা) বলে। সবাই তাকে মোরগ চুড়াইন্না নামে ডাকে। বাহ কি সুন্দর পরিচিত পেল। এখন ঐ ছেলে অনেক বড় হয়ে গেছে তার নামও পালটে গেছে। পরিচিত জনের কাছে মোরগ চুড়াইন্না হয়ে গেল। যুগের পরিবর্তন সাথে সাথে এই মোরগ চুড়াইন্না থেকে হয়ে গেল মোরগ চুইন্না। মোরগ চুইন্না গল্প এইখানে শেষ হল। পরবর্তী আকর্শন ( গাল মারইন্নার গল্প)
ছোট গল্প-মোরগ চুইন্না
অনেক দিন আগেও গ্রামের মানুষের আর্থিক অবস্তা ছিল দুর্বল ও শিক্ষার হার একেবারেই কম। বর্তমানে শিক্ষার হার কিছুটা বাড়ছে। গল্পটা হল গ্রামের একটি চায়ের দোকানে বন্ধুদের আড্ডাবাজ গল্প। ঐ আড্ডাবাজ গল্প থেকে নামকরণ হল এই গল্পের। গল্পের নাম মোরগ চুইন্না। মোরগ চুইন্না কি ভাবে হল পড়ুন। আগেকার সময় চায়ের দোকানে টেপ, রেডিও, টেলিভিশন, ভিসিআর, সিডি প্লেয়ার ছাড়া চলত না। যে দোকানে এসব আছে ঐ দোকানের কাস্তমার ভরপুর ছিল। এখন আছে প্রায় দোকানে। এখন ডিজিটাল যুগ, ডিস, নেটের দুনিয়া। তখন টেলিভিশন,ভিসিআর, সিডি ছাড়া চায়ের দোকানে বেচাকেনা তেমন চলেনা। তাই টেলিভিশন, ভিসিআর, সিডি ছিল চা ব্যবসা এর একমাত্র মূলধন বা সম্পদ। এই টেলিভিশন দেখার জন্য ভিড় জমাত ছোট ছোট ছেলেরা আর এই ছোট ছেলেদের ঝমেলা সামলাতে দোকানদারকে হিমশিম খেতে হত। কোন কোন দোকানদার ছোট ছেলেদের তাড়াতে নার্ভাস মনে করত। অবুঝ বালক তাদের কিছু বললে মনে কষ্ট পাবে তাই।কিন্তু দোকানদার এই ছোট ছেলেদের হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য ছোট ছেলেদের দল থেকে দুষ্ট ঘারটেরা বলিস্ট ছেলে দেখে একটি দায়িত্ব দেওয়া হতো বাকি ছেলেদের তাড়াতে। যে এই দায়িত্ব পেত, সেই মনের শখে দায়িত্ব পালন করত কারন ও দোকানদারের কাছের লোক হয়ে গেল। যাকে বলে পাওয়ার, ঐ ছেলেকে আর কেউ তাড়াবে না। মনের সুখে টেলিভিশন দেখবে আর ছোট ছেলেদের তাড়াবে। তার সাথে দরজার সামনে দাড়িয়ে মোরগ ও তাড়াবে। এই ভাবে ঐ ছেলে নিয়মিত মোরগ তাড়াই আর দোকানদার তাকে চা বিস্কুট খাওয়ায়। ছেলেটা মহাখুশি চা বিস্কুট খাইতে পারে, মনের সুখে টেলিভিশনও দেখতে পারে। এভাবে দিন যাইতেছে আর ঐ ছেলেকে সবাই এখন মোরগ তাড়াইন্না (ছুড়াইন্ননা- আঞ্চলিক ভাষা) বলে। সবাই তাকে মোরগ চুড়াইন্না নামে ডাকে। বাহ কি সুন্দর পরিচিত পেল। এখন ঐ ছেলে অনেক বড় হয়ে গেছে তার নামও পালটে গেছে। পরিচিত জনের কাছে মোরগ চুড়াইন্না হয়ে গেল। যুগের পরিবর্তন সাথে সাথে এই মোরগ চুড়াইন্না থেকে হয়ে গেল মোরগ চুইন্না। মোরগ চুইন্না গল্প এইখানে শেষ হল। পরবর্তী আকর্শন ( গাল মারইন্নার গল্প)