স্বাগতম

সবার জন্য উন্মুক্ত পেইজ ভিজিট করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ। *** শিক্ষার কোন বয়স নাই, জানার কোন শেষ নাই। *** বিঃদ্র ( যে সকল ব্লগ বা ওয়েবসাইট এর লেখা কোন অনুমতি ছাড়া কপি করে এখানে পোষ্ট করেছি, যদি কারো কোনো অভিযোগ থাকে দয়া করে জানাবেন। E-mail: nchafa10@gmail.com, ভালো লাগলে আবার আসবেন।***ধন্যবাদ***

মায়ের ক্ষমায় বাঁচল ছেলের খুনির প্রাণ




প্রথম আল পত্রিকায় প্রকাশিত এই খবরটি পড়ে চুখের জল ধরে রাখতে পারলাম না। এক জন ''মা'' কত যে মহান তাহা ভাষাই প্রকাশ করা যাবেনা। কোন কিছুর সংগে মমতা ময় মায়ের তুলনা হতে পারেনা। তাইতো মায়ের পায়ের নিছে সন্তানদের বেহেস্ত। আপনাদের জন্য খবরটি শেয়ার করলামঃ 
   ফাঁসির বেদিতে গিয়ে নিজের ছেলে আবদুল্লাহর হত্যাকারী বেলালকে চড় মারছেন আবদুল্লাহর মা।      ছবি: দ্য গার্ডিয়ানফাঁসির বেদিতে গিয়ে নিজের ছেলে আবদুল্লাহর হত্যাকারী বেলালকে চড় মারছেন আবদুল্লাহর মা। ছবি: দ্য গার্ডিয়ান। চোখ বেঁধে তাঁকে দাঁড় করানো হয়েছে ফাঁসির বেদিতে, গলায় গলানো হয়েছে ফাঁসির দড়ি। ‘মা’ আর সইতে পারলেন না, দ্রুত গিয়ে ‘ছেলেকে’ চড় মেরে ভেঙে পড়লেন কান্নায়, ‘বাবা’ খুলে দিলেন ফাঁসির দড়ি। প্রাণে বেঁচে গেলেন ২৭ বছরের বেলাল। সামনে অপেক্ষমাণ জনতার মধ্যে যেন ছড়িয়ে গেল মায়ের বুকে জমে থাকা বোবা কান্নার ঢেউ। এক মা এভাবেই বাঁচালেন তাঁর নিজের ছেলের খুনিকে। দেশের আইন অনুযায়ী প্রকাশ্যে ফাঁসি কার্যকরের সময় সম্প্রতি বিরল এই ক্ষমাশীলতার ঘটনা ঘটেছে ইরানে। দ্য গার্ডিয়ান এ খবর জানিয়েছে।

 ফাঁসির বেদিতে দাঁড়ানো অবস্থায় বেলালের গলা থেকে ফাঁসির দড়ি খুলে দিচ্ছেন আবদুল্লাহর বাবা-মা। ছবি: দ্য গার্ডিয়ান
সাত বছর আগে ২০ বছর বয়সী বেলাল তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বাগবিতণ্ডায় জড়িয়ে ছুরির আঘাতে কেড়ে নিয়েছিলেন ১৮ বছর বয়সী আবদুল্লাহ হোসেনজাদেহর প্রাণ। ইরানের মাজানদারান প্রদেশের ছোট্ট শহর রোয়ানে এ ঘটনায় তোলপাড় শুরু হয়। পুলিশের হাতে ধরা পড়েন বেলাল। বিচার শুরু হয় তাঁর। অপরাধ প্রমাণ হওয়ায় ফাঁসির রায় হয় তাঁর। দেশের আইন অনুযায়ী ফাঁসি হবে প্রকাশ্য এবং ফাঁসি কার্যকরের ঘটনায় অংশ নিতে হবে নিহতের পরিবারকেও।

ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত বেলালকে চোখ বাঁধা অবস্থায় গলায় ফাঁসির দড়ি পরানোর পর কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে আবদুল্লাহ পরিবারের কাউকে গিয়ে তাঁর পায়ের নিচ থেকে চেয়ারটা সরিয়ে দেওয়ার কথা। কিন্তু ঘটনাস্থলে উপস্থিত সাংবাদিকের তোলা ছবি ও বর্ণনায় দেখা যায়, ঠিক এ সময় ফাঁসি-কাষ্ঠের দিকে এগিয়ে যান নিহত আবদুল্লাহর মা। তিনি গিয়ে ছেলের খুনি বেলালকে একটা চড় মেরে কান্নায় ভেঙে পড়েন। আর পেছনে দাঁড়ানো আবদুল্লাহর বাবা ছেলের খুনির গলা থেকে খুলে নেন ফাঁসির দড়ি।
 একজনের ছেলে খুন করেছেন আরেকজনের ছেলেকে। তবু পরস্পরকে জড়িয়ে কাঁদছেন তাঁরা। এক মা কাঁদলেন ছেলে হারানোর বেদনায়, আরেক মা কাঁদলেন ছেলের প্রাণ বেঁচে যাওয়ায়। ছবি: দ্য গার্ডিয়ান
ছেলের খুনিকে ক্ষমা করে নিহত আবদুল্লাহর মা যখন নেমে আসছেন ফাঁসির বেদি থেকে, তখন বেলালের মা এগিয়ে এসে জড়িয়ে ধরলেন তাঁকে। এক মা কাঁদলেন ছেলে হারানোর বেদনায়, আরেক মা কাঁদলেন ছেলের প্রাণ বেঁচে যাওয়ায়। কিন্তু পরস্পরকে জড়িয়ে ধরে এই দুই মায়ের কান্না কি বুঝতে পেরেছে সবাই! একজন মা কোন বোধে প্রাণের কোন তাড়নায় নিজের ছেলের খুনিকেও ক্ষমা করে দিতে পারেন, সেই প্রশ্নের উত্তর না মিললেও দুই মায়ের কান্না একটা ঢেউয়ের মতোই ছড়িয়ে পড়েছিল ফাঁসি দেখতে আসা শত মানুষের মধ্যে।

সুত্রঃ http://www.prothom-alo.com সংগৃহীত

ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে একটিভ থাকুন

১লা মে দিবস / শ্রমিকের অধিকার আদায়ের দিন

১লা মে দিবসের ছবি ১লা মে আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস পালন করা হয়। ১লা মে মহান মে দিবস। ১লা মে বিশ্বের শ্রমজীবী মানুষের অধিকার আদায়ের দিন। ১৮৮৬ স...