স্বাগতম

সবার জন্য উন্মুক্ত পেইজ ভিজিট করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ। *** শিক্ষার কোন বয়স নাই, জানার কোন শেষ নাই। *** বিঃদ্র ( যে সকল ব্লগ বা ওয়েবসাইট এর লেখা কোন অনুমতি ছাড়া কপি করে এখানে পোষ্ট করেছি, যদি কারো কোনো অভিযোগ থাকে দয়া করে জানাবেন। E-mail: nchafa10@gmail.com, ভালো লাগলে আবার আসবেন।***ধন্যবাদ***

রিযিক নিয়ে খুবই সুন্দর একটি লেখা- আফসোস করে কোন লাভ নেই

সুবাহান আল্লাহ, আলহামদুলিল্লাহ , লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ ,আল্লাহু আকবার
লা ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু ওয়াহ্দাহূ লা শারীকা লাহু; লাহুল মুল্কু ওয়া লাহুল হাম্দু ওয়া হুয়া ‘আলা কুল্লে শাইয়িন ক্বাদীর। 

"রিজিকের ফায়সালা আসমানে হয়,জমিনে না"

যেদিন থেকে আমি জানতে পেরেছি, আমার রিজিক আমি ছাড়া অন্য কেউ ভোগ করতে পারবে না,
সেদিন থেকে আমার হৃদয়ে একটা অদ্ভুত প্রশান্তি তৈরি হয়েছে। আলহামদুলিল্লাহ।
সেদিন থেকে আমি কাউকে নিজের প্রতিদ্বন্দী ভাবিনি, কারও ভালো দেখে আমি কাতর হইনি। জীবনে যা যা পাইনি তার কোনটাই আমার রিজিকে ছিলোনা এটা বিশ্বাস করেছি এবং সেজন্য আফসোস হয়নি। আমি একটা শান্তির দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে সবকিছু আল্লাহর হাতে ছেড়ে দিয়েছি।যা যা পেয়েছি আলহামদুলিল্লাহ বলে গ্রহণ করেছি।
নিজের রিজিক নিয়ে দুশ্চিন্তার কিচ্ছু নেই। আমার বা আপনার ভাগেরটুকু কেও নিতে পারবেনা, এই সুযোগ আল্লাহ তায়ালা কাউকে দেননি। 

আর হ্যা! শুধু খাদ্যদ্রব্যই কিন্তু রিজিক নয়!

রিজিক (রিজক) আরবি শব্দ। -এর অর্থ: জীবনসামগ্রী, জীবন যাপনের উপায় উপকরণ। যেমনঃ মা, বা, ভাই, বোন, ছেলে, মেয়ে, নেক জীবনসঙ্গী, নেককার বন্ধু, সুস্বাস্থ্য, সুখ, হাঁসি, সুস্থতা, টাকা পয়সা, পেশাজীবনের সফলতা, উত্তম আখলাক, ও রিজিকের অন্তর্ভুক্ত।
rijik: এক কথায়, ক্ষণস্থায়ী জীবন, ক্ষনিকের দুনিয়াতে বেঁচে থাকার সমস্ত উপায় উপকরণ রিজিক।

অতএব কামড়া কামড়ি,আফসোস করে কোন লাভ নেই!


রিজিক নিয়ে কোরআনের আয়াতঃ 
রিযিক আল্লাহর হাতে / Rijik Allahar Hate
কুরআনে আল্লাহ্‌ আরও বলেছেন, 
‘অতঃপর বলেছি, তোমরা তোমাদের প্রতিপালকের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করো। নিশ্চয় তিনি অত্যন্ত ক্ষমাশীল। তিনি তোমাদের জন্য প্রচুর বৃষ্টিপাত করবেন এবং তিনি তোমাদেরকে ধন-সম্পদ ও সন্তান-সন্ততি দ্বারা সমৃদ্ধ করবেন এবং তোমাদের জন্য উদ্যান স্থাপন করবেন এবং প্রবাহিত করবেন নদীনালা।’ (সুরা নুহ : আয়াত ১০-১২) 

এই আয়াত অনুযায়ী বুঝা যায়, রিজিক বৃদ্ধির আমল বা রিজিক বৃদ্ধির উপায় হলো আল্লাহর কাছে বেশী বেশী ক্ষমা প্রার্থনা করা। যারা নিয়মিত বেশি বেশি ইসতেগফার দোয়া পড়বে তাদের জন্য রিজিকের দরজা উন্মুক্ত হয়ে যাবে (ইনশাআল্লাহ)।

ইসতেগফার / ক্ষমা প্রার্থনা মন্ত্র/ ক্ষমা চাওয়ার দোয়া সমূহ

ইস্তেগফার'' `আসতাগফিরুল্লাহ’

(اَسْتَغْفِرُ اللهِ)

বাংলা উচ্চারণঃ আসতাগফিরুল্লাহ
বাংলা অর্থঃ “আমি আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করছি।

আস্তাগফিরুল্লাহর মূল আরবি ও অর্থ নিচে দেওয়া হলো।

أَسْتَغْفِرُ اللَّهَ الَّذِي لاَ إِلَهَ إِلاَّ هُوَ الْحَىُّ الْقَيُّومُ وَأَتُوبُ إِلَيْهِ

উচ্চারণ : ‘আস্তাগফিরুল্লাহ হাল্লাজি লা ইলাহা ইল্লা হুয়াল হাইয়ুল কাইয়ুম ওয়াতুবু ইলাইহি।’

অর্থ: আমি আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করছি। যিনি ছাড়া ইবাদতের আর কোন যোগ্য উপাস্য নেই। যিনি চিরঞ্জীব ও চিরস্থায়ী। আমি তাঁর কাছে তাওবা করছি।

অথবা ‘আস্তাগফিরুল্লাহা রাব্বি মিন কুল্লি জাম্বিওঁ ওয়া আতুবু ইলাইহি; লা হাওলা ওয়া লা কুওয়্যাতা ইল্লা বিল্লাহিল আলিয়্যিল আজিম।’ অর্থ: আমি আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাই আমার সব পাপের, আমি তাঁর কাছে ফিরে আসি। আল্লাহর সাহায্য ছাড়া গুনাহ থেকে বাঁচার ও নেক কাজ করার কোনোই শক্তি নেই। (মুসলিম ও তিরমিজি)।

আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন, وَٱسۡتَغۡفِرِ ٱللَّهَۖ إِنَّ ٱللَّهَ كَانَ غَفُورٗا رَّحِيمٗا ١٠٦ ﴾ [النساء : ١٠٦]
অর্থাৎ আল্লাহর কাছে তুমি ক্ষমা প্রার্থনা কর, নিশ্চয় আল্লাহ চরম ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু। (সূরা নিসা ১০৬ আয়াত)

সাইয়েদুল ইস্তেগফার।

।اَللَّهُمَّ أَنْتَ رَبِّىْ لآ إِلهَ إلاَّ أَنْتَ خَلَقْتَنِىْ وَأَنَا عَبْدُكَ وَأَنَا عَلى عَهْدِكَ وَوَعْدِكَ مَا اسْتَطَعْتُ، أَعُوْذُبِكَ مِنْ شَرِّمَا صَنَعْتُ، أبُوْءُ لَكَ بِنِعْمَتِكَ عَلَىَّ وَأَبُوْءُ بِذَنْبِىْ فَاغْفِرْلِىْ فَإِنَّهُ لاَيَغْفِرُ الذُّنُوْبَ إِلاَّ أَنْتَأَنْتَ
সাইয়েদুল ইস্তেগফার বাংলা উচ্চারণঃ আল্লা-হুম্মা আনতা রাব্বী, লা ইলা-হা ইল্লা আনতা খালাক্বতানী, ওয়া আনা ‘আবদু, ওয়া আনা ‘আলা ‘আহদিকা ওয়া আ‘দিকা মাসতাত্বা‘তু, আ‘ঊযুবিকা মিন শার্রি মা ছানা‘তু। আবূউ লাকা বিনি‘মাতিকা ‘আলাইয়া ওয়া আবূউ লাকা বিযাম্বী, ফাগফিরলী ফাইন্নাহূ লা ইয়াগফিরুয্ যুনূবা ইল্লা আনতা।

সাইয়েদুল ইস্তেগফারে অর্থঃ হে আল্লাহ! তুমি আমার পালনকর্তা। তুমি ছাড়া কোন মাবুদ নেই। তুমি আমাকে সৃষ্টি করেছ। আমি তোমার দাস। আমি আমার সাধ্যমত তোমার নিকটে দেওয়া অঙ্গীকারে ও প্রতিশ্রুতিতে দৃঢ় আছি। আমি আমার কৃতকর্মের অনিষ্ট হ’তে তোমার নিকটে আশ্রয় প্রার্থনা করছি। আমি আমার উপরে তোমার দেওয়া অনুগ্রহকে স্বীকার করছি এবং আমি আমার গোনাহের স্বীকৃতি দিচ্ছি। অতএব তুমি আমাকে ক্ষমা কর। কেননা তুমি ছাড়া পাপসমূহ ক্ষমা করার কেউ নেই’।

হাদিস বর্ননায় আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করার আরও অনেক দোয়া রয়েছে। যেমনঃ

হজরত আবু মুসা আশআরি রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেছেন, নিশ্চয়ই নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এ দোয়ায় ক্ষমা প্রার্থনা করতেন-
رَبِّ اغْفِرْلِىْ خَطَايَاىَ وَجَهْلِىْ
উচ্চারণ : ‘রাব্বিগফিরলি খাত্বাইয়ায়া ওয়া ঝাহলি।’
অর্থ : ‘হে প্রভু! আমাকে ক্ষমা করুন। আমার ভুল ও অজ্ঞতাগুলোও ক্ষমা করুন।’ (বুখার, মুসলিম, মুসনাদে আহমাদ)

প্রকাশ্য-অপ্রকাশ্য সব গোনাহ থেকে মুক্তির দোয়া-
رَبِّ اغْفِرْلِىْ مَا أَسْرَارْتُ وَ مَا أَلَنْتُ
উচ্চারণ : ‘রাব্বিগফিরলি মা আসরারতু ওয়া মা আলানতু’
অর্থ : ‘হে প্রভু! গোপনে ও প্রকাশ্যে আমি যা করেছি; আপনি তা ক্ষমা করে দিন।’ (মুসনাদে আহমাদ)

হজরত আলি রাদিয়াল্লাহু আনহু ক্ষমা প্রার্থনায় বললেন-
سُبْحَانَكَ إِنِّي قَدْ ظَلَمْتُ نَفْسِي فَاغْفِرْ لِي فَإِنَّهُ لاَ يَغْفِرُ الذُّنُوبَ إِلاَّ أَنْتَ
উচ্চারণ : ‘সুবহানাকা ইন্নি কাদ জালামতু নাফসি ফাগফিরলি ফাইন্নাহু লা ইয়াগফিরুজ জুনুবা ইল্লা আন্তা।’
অর্থ : (হে আল্লাহ!) তুমি অত্যন্ত পবিত্র সত্তা। আমার উপর আমি অত্যাচার করেছি। অতএব তুমি আমাকে মাফ কর, কেননা তুমি ছাড়া আর কেউ গুনাহ মাফ করতে পারে না।’ (তিরমিজি)

হজরত আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহার বর্ণনায় ক্ষমা ও তাওবার চমৎকার একটি ছোট্ট আবেদন-
أللَّهُمَّ اغْفِرْلِى وَ تُبْ عَلَيَّ اِنَّكَ أَنْتَ التَّوَّابُ الْغَفُوْرُ
উচ্চারণ : ‘আল্লাহুম্মাগফিরলি ওয়া তুব্ আলাইয়্যা ইন্নাকা আন্তাত তাওয়্যাবুল গাফুর।’
অর্থ : ‘হে আল্লাহ! আমাকে ক্ষমা করুন এবং আমার তাওবাহ কবুল করুন। নিশ্চয়ই আপনি মহান তাওবাহ কবুলকারী; মহান ক্ষমাশীল।’ (মুসনাদে আহমাদ, আদাবুল মুফরাদ)

মুমিন মুসলমানের উচিত, আল্লাহর কাছে প্রিয় ‘ক্ষমা চাওয়ার’ এই ইবাদতে সব সময় নিজেকে নিয়োজিত রাখা। নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের প্রিয় সুন্নাতের উপর বেশি বেশি আমল করা। কারণ প্রিয় নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নিজেও প্রতিদিন ৭০/১০০ বার ক্ষমা প্রার্থনা করতেন। আর নিষ্পাপ হওয়া সত্বেও ক্ষমা প্রার্থনার বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলেই বলতেন-
أَفَلَا أَكُوْنَ عَبْدًا شَكُوْرًا
‘আমি কি তাঁর (আমার রবের) শোকরগুজারকারী বান্দা হবো না?’

অন্য একটি দোয়া সম্পর্কে রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, “যেই ব্যক্তি এই দোয়া পড়বে আল্লাহ তাকে ক্ষমা করে দেবেন, যদিও সে জিহাদের ময়দান থেকে পলাতক আসামী হয়”। অর্থাৎ, সে যদি বড় রকমের গুনাহগার হয়, তবুও আল্লাহ তাকে ক্ষমা করবেন। (তিরমিযী ৪/৬৯, আবুদাঊদ ২/৮৫, মিশকাত হা/২৩৫৩)।:

মূল আরবীঃ أَسْتَغْفِرُ اللهَ العَظِيْمَ الَّذِىْ لَا إِلَهَ إِلَّا هُوَ الْحَيُّ الْقَيُّوْمُ وَأَتُوبُ إِلَيْهِ
উচ্চারণঃ ‘আসতাগফিরুল্লা-হাল আ’যীমাল্লাযী লা- ইলা- হা ইল্লা হুওয়াল হা’ইয়ুল ক্বাইয়ূমু ওয়া আতুবু ইলাইহি।’
অর্থঃ আমি আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করছি। যিনি ছাড়া ইবাদতের আর কোন যোগ্য উপাস্য নেই। যিনি চিরঞ্জীব ও চিরস্থায়ী। আমি তাঁর কাছে তাওবা করছি।

আবু  হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত। রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,

‘যে ব্যক্তি প্রত্যেক নামাজের পর তেত্রিশবার সুবহানাল্লাহ, তেত্রিশবার আলহামদুলিল্লাহ, তেত্রিশবার আল্লাহু আকবার পড়ে এবং একশবার পূর্ণ করার জন্য একবার -লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারিকা লাহু লাহুল মুলকু ওয়া লাহুল হামদু ওয়া হুয়া আলা কুল্লি শাইইন কাদির -পড়ে তার সব গুনাহ মাফ করে দেওয়া হয় যদিও তা সাগরের ফেনাপুঞ্জের সমান হয়।’ (মুসলিম)।

ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে একটিভ থাকুন

১লা মে দিবস / শ্রমিকের অধিকার আদায়ের দিন

১লা মে দিবসের ছবি ১লা মে আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস পালন করা হয়। ১লা মে মহান মে দিবস। ১লা মে বিশ্বের শ্রমজীবী মানুষের অধিকার আদায়ের দিন। ১৮৮৬ স...