ইসলাম শান্তির ধর্ম। কুরআন ও হাদিসের আলোকে জীবন গড়ি। আসুন বিভিন্ন হাদিস গ্রন্থ থেকে জানার চেষ্টা করি, স্ত্রীর সাথে মিলনের জন্য কি তাঁর অনুমতি নেয়া প্রয়োজন?
মহানবী সা: বলেছেন “ স্বামী যখন তাঁর স্ত্রীকে দৈহিক প্রয়োজনে আহবান করবে, সে যেনো স্বামীর কাছে অত্যন্ত দ্রুত চলে আসে । এমনকি সে রান্না ঘরে রুটি পাকানোর কাজে ব্যস্ত থাকলেও ।”- সুনানে তিরমিযি ১১৬০, ছহীহুল জামে ৫৩৪মহানবী সা: বলেছেন “ যে স্ত্রী স্বামীর ডাকে সাঁড়া না দেয় এবং স্বামী রাগান্বিত অবস্হায় সারারাত একাকী কাটায়, সে স্ত্রীর উপর ফিরিশ্তারা সকাল পর্যন্ত লা’নত দিতে থাকে ।”- ছহীহুল বোখারি ৫১৯৩, ছহীহ মুসলিম ১৪৩৬, সুনানে আবু দাউদ ২১৪১, নাসাঈ
মহানবী সা: বলেছেন “ তিন ব্যক্তির নামাজ তাঁদের মাথা অতিক্রম করেনা অর্থাৎ কবুল হয়না । তন্মধ্যে একজন হলেন অবাধ্য স্ত্রী , যে স্বামীর ডাকে সাঁড়া দেয়না এবং স্বামী রাগান্বিত অবস্হায় ঘুমায় ।”- তাবরানী ১০৮৬, সুনানে তিরমিযি ৩৬০, হাকেম সিলসিলা ছহীহা ২৮৮
মহানবী সা: বলেছেন “ স্বামীর অনুমতি ব্যতিরেকে নফল রোজা রাখা যাবেনা এবং স্বামীর অপছন্দ ব্যক্তিকে ঘরে প্রবেশ করানো যাবেনা ।”- ছহীহুল বোখারি ৫১৯৫, ছহীহ মুসলিম ২৪১৭, দারেমী ১৭২০, সিলসিলা আহাদিসুস ছহীহা ৩৯৫
মহানবী সা: বলেছেন “ পরকালে আল্লাহপাক স্বামীর প্রতি অকৃতজ্ঞ স্ত্রীর দিকে তাকাবেন না ।”- নাসাঈ কুবরা ৯১৩৫, বাযযার ২৩৪৯, তাবরানী হাকেম ২৭৭১, বাইহাক্বী ১৪৪৯৭, সিলসিলাহ ছহীহা ২৮৯
মহানবী সা: বলেছেন “ কোন স্ত্রী যদি তাঁর স্বামীর অধিকার সম্পর্কে জানতো, দিনে বা রাতের খাবার শেষ করে স্বামীর পাশে সারাক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকতো ।”- ছহীহুল জামে ৫২৫৯, তাবরানী
মহানবী সা: বলেছেন “ স্বামীর অবাধ্য স্ত্রীর জন্য জান্নাত হারাম ।” - মুসনাদে আহমদ ১৯০০৩, নাসাঈ হাকিম বায়হাক্বী
মহানবী সা: বলেছেন “ যে স্ত্রী তাঁর স্বামীকে কষ্ট দেয়, জান্নাতের হুরেরা বলেন “ তোমার স্বামীকে কষ্ট দিওনা । তিনি তোমার কাছে সাময়িক মেহমান মাত্র । তোমাকে ছেড়ে অচিরেই আমাদের কাছে ফিরে আসবে ।” -তিরমিযি ১১৭৪, ইব্নে মাজাহ ২০১৪
মা- বাবা সহ সকলের মৃত্যুতে শোক পালন হচ্ছে মাত্র ৩ দিন পর্যন্ত । পক্ষান্তরে স্বামীর মৃত্যুতে শোক পালন করতে হবে ৪ মাস ১০ দিন । - সূরা আল বাক্বারা ২৩৪ ( , ছহীহুল বোখারি ১২৮০, ছহীহ মুসলিম ৩৮০২)
মহানবী সা: বলেছেন “ কোন স্ত্রী যদি তাঁর স্বামীর অধিকার সম্পর্কে জানতো, দিনে বা রাতের খাবার শেষ করে স্বামীর পাশে সারাক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকতো ।”- ছহীহুল জামে ৫২৫৯, তাবরানী
মহানবী সা: বলেছেন “ স্বামীর অবাধ্য স্ত্রীর জন্য জান্নাত হারাম ।” - মুসনাদে আহমদ ১৯০০৩, নাসাঈ হাকিম বায়হাক্বী
মহানবী সা: বলেছেন “ যে স্ত্রী তাঁর স্বামীকে কষ্ট দেয়, জান্নাতের হুরেরা বলেন “ তোমার স্বামীকে কষ্ট দিওনা । তিনি তোমার কাছে সাময়িক মেহমান মাত্র । তোমাকে ছেড়ে অচিরেই আমাদের কাছে ফিরে আসবে ।” -তিরমিযি ১১৭৪, ইব্নে মাজাহ ২০১৪
মা- বাবা সহ সকলের মৃত্যুতে শোক পালন হচ্ছে মাত্র ৩ দিন পর্যন্ত । পক্ষান্তরে স্বামীর মৃত্যুতে শোক পালন করতে হবে ৪ মাস ১০ দিন । - সূরা আল বাক্বারা ২৩৪ ( , ছহীহুল বোখারি ১২৮০, ছহীহ মুসলিম ৩৮০২)
পুরুষ ভাইদের জন্য উপদেশঃ উপরের দেওয়া হাদিসের পড়ে নিজেকে বাহাদুর স্বামী বানানোর জন্য স্ত্রীদের সাথে হুটহাট করে কোন কিছু করতে যাবেন না। মনে রাখবেন, স্বামীর উপর স্ত্রীর বহু অধিকার আছে, যা পালন করা স্বামীর পক্ষে ওয়াজিব। তাই স্ত্রীর প্রতি একটু সদয় হতে হবে।
প্রিয় নবী (সাঃ) বলেন, ‘‘কোন মু’মিন পুরুষ যেন কোন মু’মিন স্ত্রীকে ঘৃণা না বাসে। কারণ সে তার একটা গুণ অপছন্দ করলেও অপর আর একটা গুণে মুগ্ধ হবে।’’ (মুসলিম, মিশকাতুল মাসাবীহ ৩২৪০নং)
প্রিয় নবী (সাঃ) বলেন,
‘‘তোমরা নারীদের জন্য হিতাকাঙক্ষী হও। কারণ, নারী জাতি বঙ্কিম পঞ্জরাস্থি হতে সৃষ্ট। আর তার উপরের অংশ বেশী বঙ্কিম (সুতরাং তাদের প্রকৃতিই বঙ্কিম ও টেরা।) অতএব তুমি সোজা করতে গেলে হয়তো তা ভেঙ্গেই ফেলবে। আর নিজের অবস্থায় উপেক্ষা করলে বাঁকা থেকেই যাবে। অতএব তাদের জন্য মঙ্গলকামী হও।’’ (বুখারী, মুসলিম, মিশকাতুল মাসাবীহ ৩২৩৮নং)
সুতরাং স্ত্রীর নিকট থেকে যত বড় আদর্শের ব্যবহারই আশা করা যাক না কেন, তার মধ্যে কিছু না কিছু টেরামি থাকবেই। সম্পূর্ণভাবে স্বামীর মনে অঙ্কিত সরল পথে সে চলতে চাইবে না। সোজা করে চালাতে গেলে হাড় ভাঙ্গার মত ভেঙ্গে যাবে; অর্থাৎ মন ভেঙ্গে দাম্পত্য ভেঙে (তালাক হয়ে) যাবে। (মুসলিম, মিশকাতুল মাসাবীহ ৩২৩৯নং)
সংগৃহীত সুত্রঃ facebook ও স্বামীর উপর স্ত্রীর অধিকারঃ