স্বাগতম

সবার জন্য উন্মুক্ত পেইজ ভিজিট করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ। *** শিক্ষার কোন বয়স নাই, জানার কোন শেষ নাই। *** বিঃদ্র ( যে সকল ব্লগ বা ওয়েবসাইট এর লেখা কোন অনুমতি ছাড়া কপি করে এখানে পোষ্ট করেছি, যদি কারো কোনো অভিযোগ থাকে দয়া করে জানাবেন। E-mail: nchafa10@gmail.com, ভালো লাগলে আবার আসবেন।***ধন্যবাদ***

একা বা নিজে নিজেই ফরজ নামাজ পড়তে ইমামের মত করে উচ্চস্বরে না আস্তে বা মনে মনে ''তাকবীর'' বলা উত্তম

নামাজ বা নামায ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভের একটি। ঈমান বা বিশ্বাসের পর নামাযই ইসলামের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ। আরও পড়ুন নামাজ নিয়ে কিছু কথা (নামাজ সম্পর্কিত কুরআন ও নামাজ সম্পর্কিত হাদিস)

এই পোষ্টের মূল আলোচনার বিষয় হল যে, একা
সালাতুল ফজরঃ ফজরে দুই রাকাআত ফরজ।সালাতুল জোহরঃ যুহরের চার রাকাআত ফরজ
সালাতুল আসরঃ আসরের চার রাকাআত ফরজ।
সালাতুল মাগরিবঃ মাগরিবে তিন রাকাআত ফরজ।
সালাতুল ইশাঃ ইশার চার রাকাআত ফরজ।

উক্ত ফরজ নামাজ পড়তে ইমামের মত করে উচ্চস্বরে না আস্তে বা মনে মনে তাকবীর বলা উত্তম এবং এর সঠিক পদ্ধতি কি?

জামাআতে কিংবা একাকি নামাজ আদায়কারীর জন্য তাকবির দুই ধরনের। আর তা ফরজ ও সুন্নাত। যে তাকবিরের মাধ্যমে নামাজ শুরু করা হয় তাহলো তাকবিরে তাহরিমা। এ তাকবির ফরজ। কারণ, তাকবিরে তাহরিমার মাধ্যমে মানুষ নামাজে প্রবেশ করে।

তাকবিরবিহীন নামাজে দাঁড়ালে কিংবা শুরু করলে সে নামাজ হবে না। প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ঘোষণা করেছেন-হজরত আবু সাঈদ খুদরি রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘পবিত্রতা হল নামাজের চাবি। তাকবিরে তাহরিমা নামাজের বাহিরের সব কাজকে হারাম করে দেয় আর সালাম তা হালাল করে দেয়।’ (তিরমিজি, ইবনে মাজাহ, আবু দাউদ)

আর তাকবিরে তাহরিমা ছাড়া নামাজের মধ্যে যতবার তাকবির বলতে হয়, সব তাকবির বলা সুন্নাত। তবে কেউ যদি সুন্নাত তাকবির বলতে ভুলে যায়, তার নামাজ বাতিল হবে না। নামাজ আদায় হয়ে যাবে।

মুসল্লিরাও এ সব তাকবির ইমামের সঙ্গে সঙ্গে বলবে। ইমামের তাকবির বলায় মুসল্লি চুপ থাকলে তাকবির বলা আদায় হবে না।

জামাআতে নামাজ পড়ার সময় ইমাম যা বলবেন ও করবেন মুসল্লিগণও তাই করবেন ও বলবেন। তবে ইমাম যখন কেরাত পাঠ করবেন, তখন মুসল্লিদের চুপ থাকতে হবে। তাই কেরাত ছাড়া সকল ক্ষেত্রে ইমামের মতই আমল করা উচিত।

তাই জামাআতে নামাজ আদায়কালে ইমাম উচ্চস্বরে তাকবির বলবেন, আর মুসল্লিরা তা শুনে আস্তে আস্তে তাকবির বলবেন। হাদিসে পাকে এসেছে- হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেছেন, ‘নিশ্চয় ইমাম নিযুক্ত করা হয়েছে তার অনুসরণ করার জন্য। সুতরাং যখন ইমাম তাকবির বলে তখন তোমরাও তাকবির বলো। আর যখন কেরাত পড়ে তখন চুপ থাকো। ইমাম যখন তেলাওয়াত করে (সুরা ফাতেহায়) “ওয়ালাদদ্বাল্লিন” বলে। তখন তোমরা আমিন বলো।

আর যখন ইমাম রুকু করে তখন তোমরাও রুকু কর। আর যখন ইমাম সামিআল্লাহু লিমান হামিদাহ বলে তখন তোমরা বল রাব্বানা ওয়া লাকাল হামদ।’ (মুসনাদে আহমাদ, ইবনে মাজাহ,নাসাঈ, মুসান্নাফে ইবনে আবি শায়বা) লিঙ্ক সুত্র।

একা নামাজ পড়ার সময় ইকামত অনেকে দেই আবার অনেকেই দেয় না। কিন্তু ফরজ নামাজ একা পড়লে ইকামত দিতে হয় কি না এই বিষয়ে জানার চেষ্টা করবো ইনশাল্লাহ।

একাকী সালাত আদায় করলে একামত দিতে পারবেন এবং জামাতের জন্যও একামত দেওয়াটা সুন্নাহ।

একাকী নামাজ আদায়কারীর জন্য ইকামত দেওয়া মুস্তাহাব। (হিদায়া ১/৯২)

উকবা ইবনে আমির (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে তিনি বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে বলতে শুনেছি—
‘তোমার রব সে ব্যক্তির ওপর খুশি হন, যে পাহাড়ের উচ্চশৃঙ্গে বকরি চরায় এবং নামাজের জন্য আজান দেয় ও নামাজ আদায় করে। আল্লাহ তাআলা বলেন, আমার এই বান্দাকে দেখ! নামাজের জন্য সে আজান ও ইকামত দিচ্ছে। সে আমাকে ভয় করছে। আমি আমার বান্দাকে ক্ষমা করে দিলাম ও জান্নাতে প্রবেশ করালাম।’ (আবু দাউদ, হাদিস : ১২০৩) লিঙ্ক সুত্র।

যেসব ফরজ নামাজে উচ্চ স্বরে কেরাত পড়া হয়, তা যদি একাকী আদায় করা হয়— তাহলে তাতে উচ্চ স্বরে কেরাত পড়া জরুরি নয়। নিম্ন স্বরে ও উচ্চ স্বরে দুইভাবেই কেরাত পড়া বা সুরা মেলানো যাবে। তবে উচ্চ স্বরে পড়া উত্তম বলেছেন অনেক ফিকাহবিশারদ।

আবার, রাতের নফল নামাজে কেরাতের নিয়মও একই। অর্থাৎ উচ্চস্বরে ও নিম্নস্বরে দুইভাবেই পড়া যায়। তবে উচ্চ স্বরে পড়া উত্তম। আর দিনের নফল নামাজে নিম্ন স্বরে কেরাত পড়া ওয়াজিব। ভুলে দিনের নফলে জোরে কেরাত পড়লে— সাহু সিজদা ওয়াজিব হবে। আর যদি ইচ্ছাকৃত পড়া হয়, তাহলে ওয়াজিব তরকের গুনাহ হবে।

তথ্যসূত্র : মুসান্নাফে ইবনে আবি শাইবা, হাদিস : ৩৬৯১, ৩৬৯৪; মাবসুত, সারাখসি : ১/১৭; বাদায়িউস সানায়ি : ১/৩৯৬; ফাতহুল কাদির : ১/২৮৫; রাদ্দুল মুহতার : ১/৫৩৩ লিঙ্ক সুত্র।

ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে একটিভ থাকুন

১লা মে দিবস / শ্রমিকের অধিকার আদায়ের দিন

১লা মে দিবসের ছবি ১লা মে আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস পালন করা হয়। ১লা মে মহান মে দিবস। ১লা মে বিশ্বের শ্রমজীবী মানুষের অধিকার আদায়ের দিন। ১৮৮৬ স...