স্বাগতম

সবার জন্য উন্মুক্ত পেইজ ভিজিট করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ। *** শিক্ষার কোন বয়স নাই, জানার কোন শেষ নাই। *** বিঃদ্র ( যে সকল ব্লগ বা ওয়েবসাইট এর লেখা কোন অনুমতি ছাড়া কপি করে এখানে পোষ্ট করেছি, যদি কারো কোনো অভিযোগ থাকে দয়া করে জানাবেন। E-mail: nchafa10@gmail.com, ভালো লাগলে আবার আসবেন।***ধন্যবাদ***

ভাষা আন্দোলন ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস (জানা অজানা কিছু কথা)

 ভাষা আন্দোলনের প্রেক্ষাপটঃ ড. এ এস এম আজিজুল্লাহ dailyinqilab 

১৯৫২ সালের একুশে ফেব্রুয়ারি বাংলাভাষাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে সালাম, বরকত, রফিক, জব্বার, শফিক প্রমুখ ঢাকার রাজপথে বুকের তাজা-তপ্ত লহু ঢেলে দিয়ে ইতিহাসের পাতায় অমর হয়ে আছেন। সেদিন তাদের আত্মদানের ফল হিসেবে বাংলাঅন্যতম রাষ্ট্রভাষার মর্যাদা লাভ করে। তাই ভাষা আন্দোলন জাতীয় জীবনে এক অনন্য ঐতিহাসিক ঘটনা। জাতিসত্তার বিকাশে ভাষা আন্দোলনের রয়েছে গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা। একুশ মানে রক্তের অক্ষরে লেখা লাল টকটকে রক্তাক্ত ইতিহাস। একুশ আমাদের গর্ব, একুশ আমাদের অহঙ্কার। শুধু বাঙালি জাতির নয়, একুশ এখন আধুনিক বিশ্বের বিপন্ন ভাষাগুলোকে টিকিয়ে রাখার ক্ষেত্রে অনুপ্রেরণার উৎস। ১৯৯৯ সালে ইউনেস্ক কর্তৃক ২১শে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ঘোষিত হওয়ার পর থেকে দীর্ঘ দেড় দশকেরও বেশি সময় ধরে একুশে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে বিশ্বজুড়ে সোৎসাহে পালিত হচ্ছে। একমাত্র ভাষার কারণে বাংলাদেশ আজ বিশ্বের দরবারে সগৌরবে স্বীকৃত। শুধু তাই নয়, আফ্রিকান রাষ্ট্র সিয়েরালিওনে বাংলা ভাষাকে অন্যতম সরকারি ভাষার মর্যাদা দেয়া হয়েছে। সম্প্রতি প্রকাশিত এক জরিপে দেখা গেছে, লন্ডনে প্রচলিত তিন শতাধিক ভাষার মধ্যে দ্বিতীয় বৃহত্তম ভাষা হচ্ছে বাংলা। বাংলাদেশ ছাড়াও ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, আসামসহ সারা বিশ্বে বর্তমানে ২৫ কোটিরও বেশি লোকের মাতৃভাষা বাংলা

বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে ৫২র ভাষা আন্দোলন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ইতিহাসের দিকে তাকালে দেখা যায় এই চূড়ান্ত লগ্নটি একদিনে আসেনি বা মাত্র কয়েক দিনের পরিশ্রমের ফল নয়। বরং এর পেছনে রয়েছে একটি সামগ্রিক প্রচেষ্টা। সে প্রচেষ্টারও আছে একটি ধারাবাহিক পটভূমি, যা রাতারাতি গড়ে ওঠেনি। এ আন্দোলনের ইতিহাসের শিকড় অনেক গভীরে প্রোথিত। ইতিহাস বিশ্লেষণে দেখা যায়, ১৭৭৮ সালে ব্রিটিশ কোম্পানি সরকারের পক্ষে বাঙালিদের ইংরেজি শেখানোর উদ্দেশ্যে ব্রিটিশ লেখক ন্যাথানিয়েল ব্র্যাসি হলহেড এৎধসসধৎ ড়ভ ঃযব নবহমধষ ষধহমঁধমব নামে একটি ব্যাকরণ রচনা করেন। কোম্পানি সরকারের সুবিধার কথা চিন্তা করে উক্ত বইয়ের ভূমিকায় তিনি বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার পক্ষে প্রস্তাব পেশ করেন। এ পর্যন্ত পাওয়া তথ্য বিশ্লেষণে এটাই বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার প্রথম প্রস্তাব। বাংলা নিয়ে বঙ্গভঙ্গ ও রদসহ অনেক রাজনীতি হয়েছে। উভয় দিকে থেকে এ আন্দোলনে রাজনৈতিক দিকটি প্রাধান্য পেলেও মূলতঃ সে আন্দোলনে চেতনা হিসেবে মাতৃভাষা নেপথ্যে ভূমিকা পালন করে। ১৯১১ সালে রংপুরে অনুষ্ঠিত এক প্রাদেশিক শিক্ষা সম্মেলনসৈয়দ নওয়াব আলী চৌধুরী ভারতের অন্যতম ভাষা হিসেবে বাংলা ভাষার গুরুত্ব তুলে ধরেন এবং জাতীয় পর্যায়ে বাংলাকে স্বীকৃতি দানের আহ্বান জানান। ১৯১৮ সালে শান্তি নিকেতনে বিশ্বভারতীতে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক সভায় ভারতের সাধারণ ভাষা কি হবে এ বিষয়ে আলোচনা হলে রবীন্দ্রনাথ হিন্দির পক্ষে মত দেন। তার এ মতের বিরোধিতা করে ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ ভারতের সাধারণ ভাষা হিসেবে বাংলাভাষার দাবি পেশ করেন। ঐ বছর রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এক পত্রে মহাত্মা গান্ধীকে লিখেছিলেনঞযব ড়হষু ঢ়ড়ংংরনষব হধঃরড়হধষ ষধহমঁধমব ভড়ৎ রহঃবৎপড়ঁৎংব রহ ঐরহফর রহ ওহফরধ. (সূত্র : প্রভাত কুমার মুখোপাধ্যায় , রবীন্দ্র বর্ষপঞ্জী, কলকাতা, ১৯৬৮, পৃ. ৭৮)। এদিকে কিছু মুসলমান নেতা ভারতের রাষ্ট্রভাষা উর্দু করার জন্য সরকারকে নানাভাবে চাপ দিতে থাকে। এহেন উত্তাল পরিস্থিতিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয় (১৯২১)। ইতিপূর্বে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যচর্চা ছিল কলকাতা কেন্দ্রিক। কিন্তু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ফলে পূর্ববঙ্গে বাংলা ভাষা ও সাহিত্য চর্চায় নতুন গতি সৃষ্টি হয়। ফলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে কেন্দ্র করে পূর্ববঙ্গে আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত একটি বাঙালি মধ্যবিত্ত শ্রেণী গড়ে ওঠে। যে শ্রেণীটি বাংলা ভাষা, সাহিত্য ও সংস্কৃতির প্রতি গভীরভাবে অনুরক্ত ছিল। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর সৈয়দ নওয়াব আলী চৌধুরী পুনরায় ব্রিটিশ সরকারকে লিখিতভাবে জানিয়ে দেন যে, ভারতের রাষ্ট্রভাষা যা-ই হোক না কেন, বাংলার রাষ্ট্রভাষা বাংলা করতে হবে।
এক পর্যায় রাষ্ট্রভাষার দাবি বুদ্ধিজীবী মহল হতে পর্যায়ক্রমে রাজনৈতিক মহলসহ সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ে। তখন অর্থাৎ ১৯৩৬-৩৭ সালে রাষ্ট্রভাষা বিতর্কে একদিকে জাতীয় কংগ্রেস হিন্দির পক্ষে প্রচারণা চালায়; অপরদিকে এর পাল্টা মুসলিম লীগের একটি অংশ উর্দুকে রাষ্ট্রভাষা করার পক্ষে প্রচারণায় নামে। ঠিক সেই সময় রাষ্ট্রভাষা বাংলার স্বপক্ষে অত্যন্ত জোরালো যুক্তি উপস্থাপন করে দৈনিক আজাদের সম্পাদক মওলানা আকরম খাঁ (১৮৬৮-১৯৬৮) ১৯৩৭ সালের ২৩ এপ্রিল উক্ত পত্রিকায় একটি সম্পাদকীয় নিবন্ধ প্রকাশ করেন। সেখানে তিনি বলেন, ‘এই বিস্তৃত ভূখ-ে (বাংলা ভাষী অঞ্চল) প্রায় ৭ কোটি ৩০ লক্ষ লোক বাঙলা ভাষায় কথা বলে। হিন্দি ভাষীর সংখ্যা এর চেয়ে বেশি নয়। তাহা ছাড়া আসামী, উড়িয়া ও মৈথিলি বাঙলারই শাখা বলিলে অত্যুক্তি হয় না। পূর্ববঙ্গে, পশ্চিমবঙ্গে ও বাঙলার বিভিন্ন জেলায় উচ্চারণের কিছু প্রভেদ আছে বটে, কিন্তু লেখ্য বাঙলার রূপ সর্বত্র একই। সাহিত্যের দিক দিয়া বাঙলা ভারতের সমস্ত প্রাদেশিক সাহিত্যের মধ্যে শ্রেষ্ঠ। বাঙলা ভাষায় বিবিধ ভাব প্রকাশোপযোগী শব্দের সংখ্যাও বেশি। অতএব বাঙলা সব দিক দিয়াই ভারতের রাষ্ট্রভাষা হইবার দাবি করিতে পারে। রাষ্ট্রভাষার আসনের উপর বাঙলা ভাষার দাবি সম্বন্ধে আর একটি কথাও বিশেষভাবে জোর দিয়া বলা যাইতে পারে। রাষ্ট্রভাষার নির্বাচন লইয়া হিন্দি-উর্দুর সমর্থকদের মধ্যে আজ যে তুমুল সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষ উপস্থিত হইয়া গিয়াছে, তাহার ফলে হয়ত উর্দু ও হিন্দির মধ্যে কোনটারই রাষ্ট্রভাষার আসন অধিকার করা সম্ভবপর হইবে না। কিন্তু বাঙলাকে রাষ্ট্রভাষা রূপে গ্রহণ করা হইলে এই সাম্প্রদায়িক সংঘাত-সংঘর্ষের আশঙ্কা বহু পরিমাণ কমিয়া যাইতে পারে।
এরপর পর্যায়ক্রমে ১৯৪৩ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এসএম হলের একটি সাহিত্য সম্মেলনে বাংলাকে এ অঞ্চলের রাষ্ট্রভাষা করার দাবি উত্থাপিত হয়; ১৯৪৬ সালে প্রাদেশিক কাউন্সিলে বঙ্গীয় প্রাদেশিক মুসলিম লীগের সম্পাদক আবুল হাশেম বাংলাকে পূর্ববাংলার রাষ্ট্রভাষা করার প্রস্তাব করেন। ৪৭ সালের ২৭ জুন আবুল মনসুর আহমদের সম্পাদনায় কলকাতা থেকে প্রকাশিত দৈনিক মিল্লাতপত্রিকার সম্পাদকীয়তে লেখা হয়, ‘পূর্ব পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা যে বাংলা ভাষাই হইবে ইহা বলাই বাহুল্য। আলীগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. জিয়াউদ্দীন আহমেদ ৪৭ সালের ২৯ জুলাই হিন্দিকে ভারতের রাষ্ট্রভাষা এবং উর্দুকে ভবিষ্যৎ পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা করার পক্ষে অভিমত প্রকাশ করলে বিশিষ্ট চিন্তাবিদ ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ তার বিরুদ্ধে অত্যন্ত জোরালো ও যৌক্তিক প্রতিবাদ করেন, যা মাওলানা আকরম খাঁ দৈনিক আজাদের মাধ্যমে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা সমস্যাশিরোনামে প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের কোর্ট ও বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলাভাষার পরিবর্তে উর্দু বা হিন্দি ভাষা গ্রহণ করা হলে এটা রাজনৈতিক পরাধিনতারই নামান্তর হবে। ... আমি একজন শিক্ষাবিদরূপে এর তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। এটা কেবল বৈজ্ঞানিক শিক্ষানীতির বিরোধীই নয়, প্রাদেশিক স্বায়ত্তশাসন ও আত্মনিয়ন্ত্রণ অধিকারের নীতি বিগর্হিতও বটে। পরেরদিন দৈনিক আজাদে আবারো রাষ্ট্রভাষা বিষয়ক প্রস্তাবশীর্ষক এক নিবন্ধ প্রকাশিত হয়। সাংবাদিক মাহবুব জামাল জেহাদী লিখিত উক্ত নিবন্ধে বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার পক্ষে জোরালো মত প্রকাশ করা হয়। এমতাবস্থায় ভারতবর্ষ ব্রিটিশ মুক্ত হয়। সৃষ্টি হয় ভারত ও পাকিস্তান নামক দুটি পৃথক রাষ্ট্র। পাকিস্তানের দুটি অংশ পূর্ব পাকিস্তান ও পশ্চিম পাকিস্তান।
স্বাধীনতার পরপরই পাকিস্তানের শাসকগোষ্ঠী সুকৌশলে বাংলা ভাষার বিরুদ্ধে কঠিন ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়। শাসকগোষ্ঠী ক্ষমতার দাপটে বিভিন্ন স্তর হতে বাংলা মুক্ত করার সুদূরপ্রসারী পদক্ষেপ গ্রহণ করে। তারা পূর্ব বাংলার নিত্য ব্যবহার্য খাম, ডাকটিকিট, রেলগাড়ির টিকিট, বিভিন্ন ধরনের ফরম প্রভৃতিতে বাংলার ব্যবহার বন্ধ করে দেয়। এই প্রেক্ষপটে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিদ্যা বিভাগের শিক্ষক আবুল কাশেম শিক্ষক ও ছাত্রদের সমন্বয়ে গঠক করে তমদ্দুন মজলিস নামের একটি সংগঠন। সংগঠনটি রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবিতে সোচ্চার হয় এবং একটি পুস্তিকা প্রকাশ করে। এসময় মুসলিম লীগের কিছু প্রগতিশীল নেতা বাঙালির রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক মুক্তির জন্য গণআজাদী লীগনামে একটি সংগঠন প্রতিষ্ঠা করেন। যার পুরোভাগে ছিলেন কমরুদ্দীন আহমদ (আহ্বায়ক), মো. তোয়াহা, অলি আহাদ ও তাজউদ্দীন আহমেদ প্রমুখ নেতা। ভাষার প্রশ্নে গণআজাদী লীগের ঘোষণা ছিল, ‘বাংলা আমাদের মাতৃভাষা। এই ভাষাকে দেশের যথোপযোগী করিবার জন্য সর্বপ্রকার ব্যবস্থা করিতে হইবে। বাংলা হইবে পূর্ব পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা।


পরবর্তীতে গণতান্ত্রিক ও অসাম্প্রদায়িক দৃষ্টিভঙ্গিকে সামনে রেখে শামসুল হক, শাসসুদ্দীন আহমেদ, শেখ মুজিব, তসাদ্দক আহম্মেদ প্রমুখ ছাত্র নেতৃবৃন্দের সমন্বয়ে গঠিত হয় পাকিস্তান গণতান্ত্রিক যুবলীগ। ভাষার প্রশ্নে গণতান্ত্রিক যুবলীগের প্রস্তাব ছিল, ‘বাংলা ভাষাকে পূর্ব পাকিস্তানের শিক্ষার বাহন ও আইন আদালতের ভাষা করা হউক। সমগ্র পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা কি হইবে তৎসম্পর্কে আলাপ-আলোচনা ও সিদ্ধান্ত গ্রহণের ভার জনসাধারণের উপর ছাড়িয়া দেয়া হউক এবং জনগণের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত বলিয়া গৃহীত হউক। সে সময় রাষ্ট্রভাষার প্রশ্নে বুদ্ধিজীবী, শিক্ষাবিদ, রাজনীতিবিদরা যে ভূমিকা পালন করেছিলেন; তার চেয়ে বহুগুণ বেশি ভূমিকা পালন করেছিল প্রগতিশীল ছাত্রসমাজ। তারা বাংলা ভাষার বিরুদ্ধে সকল ষড়যন্ত্র রুখে দেন এবং বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে তীব্র গণআন্দোলন গড়ে তোলেন।
৪৭-এর ২৭ নভেম্বর করাচীর শিক্ষা সম্মেলনে উর্দুকে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা করার প্রস্তাব গৃহীত হলে ঢাকার শিক্ষিত সমাজ যারপরনাই বিস্মিত ও ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। বাংলা ভাষার বিরুদ্ধে এহেন ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে ৬ ডিসেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের উদ্যোগে এক প্রতিবাদ সভার আহ্বান করা হয়। যেখানে মুনীর চৌধুরী, অধ্যাপক আবুল কাসেম, কল্যাণ দাসগুপ্ত প্রমুখ বক্তৃতা করেন। উক্ত প্রতিবাদ সভায় বাংলাকে পাকিস্তানের অন্যতম রাষ্ট্রভাষা এবং পূর্ব পাকিস্তানের সরকারি ভাষা ও শিক্ষার মাধ্যম করার দাবি জানান হয়। ভাষা আন্দোলনকে আরো শক্তিশালী ও গতিশীল করার লক্ষ্যে ডিসেম্বরের শেষ দিকে মুসলিম ছাত্রলীগ, গণতান্ত্রিক যুবলীগ ও তমদ্দুন মজলিশ সমন্বয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক নূরুল হক ভূঁইয়ার নেতৃত্বে প্রথম রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদগঠিত হয়। উক্ত পরিষদ রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবিতে বেশকিছু কর্মসূচি গ্রহণ করে। যার অংশ হিসেবে তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী ফজলুর রহমান ঢাকায় এলে পরিষদের নেতৃবৃন্দ ৪৮-এর ১ ফেব্রুয়ারি তার সাথে সাক্ষাত করে পাবলিক সার্ভিস কমিশন পরীক্ষার বিষয়-তালিকা হতে বাংলাকে বাদ দেয়া, মুদ্রা, ডাকটিকিট ইত্যাদিতে বাংলা ভাষা স্থান না পাওয়ার কারণ জানতে চাওয়ার সাথে সাথে তা পুনঃপ্রবর্তনের জোরালো দাবি জানান।
ইতোমধ্যে প্রগতিশীল কিছু ছাত্রনেতা ৪৮-এর ৪ জানুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক হলে বসে পূর্ব পাকিস্তান মুসলিম ছাত্রলীগনামে একটি ছাত্র সংগঠন প্রতিষ্ঠা করেন। যার আহ্বায়ক হন নঈমুদ্দীন আহমদ। এ সংগঠনটি সে সময় সরকারের নিকটে যে ১০ দফা দাবি পেশ করে তার অন্যতম ছিল বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করা। এ সংগঠনটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ পূর্ববঙ্গের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে দ্রুত জনপ্রিয়তা অর্জন করে এবং এর নেতাকর্মীরা ভাষা আন্দোলনসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় ইস্যুতে সক্রিয় ভূমিকা পালন করে। ২৩ ফেব্রুয়ারি ৪৮-এ পাকিস্তান গণপরিষদের অধিবেশন শুরু হলে ভাষার বিতর্কে গণপরিষদ গরম হয়ে ওঠে। 
[অসমাপ্ত]  

২১ ফেব্রুয়ারি কি দিবস: আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস

একুশে ফেব্রুয়ারি আমাদের গর্ব। আমাদের শক্তি । বাংলা ভাষাকে মাতৃভাষা হিসাবে পাওয়া এই একুশের জন্য। তাই নিজেদের জানার জন্য কিংবা প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার জন্য জেনে নেই একুশ নিয়ে ২১ প্রশ্ন এবং উত্তর।

১.একুশের গল্প”-এর তপু কোথায় গুলিবদ্ধ হয়েছিল? উত্তর: হাইকোর্টের মোড়ে

২.একুশে ফেব্রুয়ারিপ্রথম সংকলনের সম্পাদক কে? উত্তর: হাসান হাফিজুর রহমান

৩. গণপরিষদে ধীরেন্দ্রনাথ দত্তের রাষ্ট্রভাষার দাবি, ১৯৪৮ সালের ২৩শে ফেব্রুয়ারি তারিখে পাকিস্তান গণপরিষদে ইংরেজী ও উর্দ্দুর পাশাপাশি সদস্যদের বাংলায় বক্তৃতা প্রদান এবং সরকারি কাজে বাংলা ভাষা ব্যবহারের জন্য একটি সংশোধনী প্রস্তাব উত্থাপন করেন গণপরিষদ সদস্য ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত।

৪.শহীদ হওয়া আব্দুল জব্বার এবং রফিক উদ্দিন আহমেদ ঘটনাস্থলেই নিহত হন। এছাড়া আব্দুস সালাম, আবুল বরকতসহ আরও অনেকে সে সময় নিহত হন। ঐদিন অহিউল্লাহ নামের একজন ৮/৯ বছরের কিশোরও নিহত হয়।

৫.শহীদ স্মরনে শহীদ মিনার

ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের ছাত্ররা ২৩ ফেব্রুয়ারি রাতে শহীদ মিনার তৈরির কাজ শুরু করে। কাজ শেষ হয় ২৪ তারিখ ভোরে। তাতে একটি হাতে লেখা কাগজ গেঁথে দেয়া হয়, যাতে লেখা ছিল শহীদ স্মৃতিস্তম্ভ

৬.শহীদ মিনারের স্থপতি, হামিদুর রহমান

৭.শহীদ মিনার নির্মাণ, হামিদুর রহমান ও নভেরা আহমেদের প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে সংশোধিত আকারে শহীদ মিনারের নির্মাণ কাজ কাজ শুরু হয়

৮.শহীদ মিনারের উচ্চতা, ১৪ মিটার(৪৬ফুট)

৯.স্বতঃস্ফুর্ত পালন, শেরেবাংলা এ.কে. ফজলুল হক এবং আওয়ামী লীগের উদ্যোগে যুক্তফ্রন্ট সরকার কর্তৃক ১৯৫৬ সালে পূর্ব পাকিস্তানের সর্বত্র স্বতঃস্ফূর্তভাবে একুশে ফেব্রুয়ারি পালিত হয়

১০.জিন্নাহর ঘোষণা- ১৯৪৮ সালের ২১শে মার্চ মুহাম্মদ আলী জিন্নাহ ঢাকায় এক ভাষনণে ঘোষণা করেন উর্দুই হবে পাকিস্তানের একমাত্র রাষ্ট্রভাষা

১১.ভাষা আন্দোলনের প্রথম গান ও রচয়িতা? -“রাষ্ট্রভাষা। রচয়িতা বাগেরহাটের চারণ কবি শামসুদ্দিন আহমেদ

১২.আমার ভাইয়ের রক্তের রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারিগানটির রচয়িতা এবং সুরকার হলেন – -আবদুল গাফফার চৌধুরী এবং আলতাফ মাহমুদ পরো আব্দুল লতিফ।

১৩.কুমড়ো ফুলে ফুলে নুয়ে পড়েছে লতাটা, সজনে ডাটায় ভরে গেছে গাছটা, কবিতাটির রচয়িতা কে? -আবু জাফর ওবায়দুল্লাহ

১৪.ওরা আমার মুখের ভাষা কাইড়া নিতে চায়।গানটির রচয়িতা ও সুরকার হলেনআব্দুল লতিফ

আর পড়ুন ১৪ই ফেব্রুয়ারি স্পেশাল ডে valentine day ভালোবাসা দিবস নিয়ে কিছু কথা

১৫.শহীদের ঝলকিত রক্তের বুদবুদ, স্মৃতিগন্ধে ভরপুর একুশের কৃষ্ণচূড়া আমাদের চেতনারই রঙ।’-রচয়িতা কে-শামসুর রহমান

১৬.একুশে ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের জন্য আবেদন জাতিসংঘের মহাসচিব কফি আনানের কাছে ১৯৯৮ সালে প্রাথমিক উদ্যোক্তা হিসেবে একুশে ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে ঘোষণার আবেদন জানিয়েছিলেন কানাডার ভ্যানকুভার শহরে বসবাসরত দুই বাঙ্গালী রফিকুল ইসলাম এবং আবদুস সালাম

১৭. ২১ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয় কবেআন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসাবে ঘোষণা -

১৯৯৯ সালের ১৭ নভেম্বর অনুষ্ঠিত ইউনেস্কোর প্যারিস অধিবেশনে একুশে ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয় এবং ২০০০ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি থেকে দিবসটি জাতিসংঘের সদস্যদেশ সমূহে যথাযথ মর্যাদায় পালিত হচ্ছে। ১৮.২১ ফেব্রুয়ারি ১৯৫২ এর বাংলা তারিখ কি? ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি কি বার ছিল? (২১ ফেব্রুয়ারি বাংলা কত তারিখ) ৮ ফাল্গুন, ১৩৫৯ বৃহস্পতিবার

১৯.সরকারিভাবে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার- অবশেষে বাংলাকে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষার স্বীকৃতি দেবার পরে ১৯৫৭ সালে সরকারিভাবে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের কাজ শুরু হয়।

২০.নতুন শহীদ মিনার উদ্বোধন১৯৬৩ সালের ২১শে ফেব্রুয়ারি ভাষা আন্দোলনের অন্যতম শহীদ ব্যক্তিত্ব আবুল বরকতের মাতা হাসিনা বেগম নতুন শহীদ মিনারের উদ্বোধন করেন।

২১.একুশকে ঘিরে উদযাপন, ফেব্রুয়ারি মাসটি নানাভাবে উদযাপিত হয় যার মধ্যে আছে, মাসব্যাপী অমর একুশে গ্রন্থমেলা উদযাপন, যা একুশে বইমেলা নামে সমধিক পরিচিত। এছাড়াও ভাষা আন্দোলনে আত্মত্যাগকারীদের ত্যাগের সম্মানে এ মাসেই ঘোষণা করা হয় বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান রাষ্ট্রীয় বেসামরিক পদক একুশে পদক

 

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসঃ

উদ্যোক্তা ছিল কানাডা প্রবাসী আব্দুস সালাম ও রফিকুল ইসলাম সংগঠন টির নাম ছিল- মাদার ল্যাঙ্গুয়েজ লাভারস অব দ্য ওয়ার্ল্ড

১৯৯৯ সালের ১৭ নভেম্বর ইউনেস্কোর ৩০তম সম্মেলনে ১৮৮ দেশের সমর্থনে ২১ ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান করা হয়েছে ২০০০ সাল থেকে জাতিসংঘের সকল সদস্য ভুক্ত দেশ দিনটি উদযাপন করে থাকে।

১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি ছিল ফাল্গুন মাসের আট তারিখ,বাংলা ১৩৫৯ বঙ্গাব্দ দিনটি ছিল বৃহস্পতিবার।

-৫২র ভাষা শহীদদের সবার কবর আজিমপুর কবরস্থানে

-৫ ডিসেম্বর ২০০৮ জাতিসংঘ ২১ ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দেয়।

-বাংলা ভাষাকে দ্বিতীয় মাতৃভাষা দ্বিতীয় রাষ্ট্রভাষার মর্যাদা দিয়েছে আফ্রিকার দেশ সিয়েরা লিওন।

-সরকারি ভাষা হিসেবে এদেশে ইংরেজি ভাষার ব্যবহার শুরু হয় ১৮৩৫ সালে।

- আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষ্যে প্রথমবারের মত বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের ছবি সম্বলিত ডাকটিকিট প্রকাশ করে যুক্তরাষ্ট্র ।

-১৯৭৫ সালের ২১ মার্চ রাষ্ট্রপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাকে রাষ্ট্র ও জাতীয় ভাষা ঘোষণা করেন ।

-বাংলা ভাষাকে জীবনের সর্বস্তরে ব্যবহারের জন্য জাতীয় সংসদে আইন পাস হয় ১৯৮৭ সালে।

_একুশের প্রথম গান- ভুলব না ভুলব না

রচয়িতা -গাজীউল হক

-একুশের প্রথম উপন্যাস আরেক ফাল্গুন

জহির রায়হান

-একুশের প্রথম কবিতা কাঁদতে আসিনি ফাঁসির দাবি নিয়ে এসেছি রচয়িতা চট্টগ্রামের মাহবুব-উল-আলম চৌধুরী।কবিতাটি প্রথম আবৃতি করা হয়= লাল দিঘির ময়দানে।

-একুশের প্রথম গল্প একুশের গল্প জহির রায়হান।

-একুশের প্রথম শহীদ মিনার রাজশাহী কলেজ চত্বরে নির্মাণ করা হয় ।

-ঢাকার শহীদ মিনার উদ্বোধন করেন শহীদ শফিউর রহমানের পিতা মৌলভী মাহবুবুর রহমান।

_বর্তমান শহীদ মিনারের স্থপতি হামিদুর রহমান।

#একুশের প্রথম নাটক=কবর

#কবর নাটকটি মুনীর চৌধুরী রচনা করেন= ১৭ জানুয়ারি, ১৯৫৩ সালে কেন্দ্রীয় কারাগারে।

#নাটকটি প্রথম মঞ্চস্থ করা হয়=২১ ফেব্রুয়ারি, ১৯৫৩ সালে, কেন্দ্রীয় কারাগারে।

#মুনীর চৌধুরী কার অনুরোধে নাটকটি লেখেন= রনেশদাস গুপ্তের অনুরোধে।

#একুশের প্রথম সংকলন ও এর সম্পাদক = একুশে ফেব্রুয়ারি (১৯৫৩ সালে প্রকাশিত হয়), হাসান হাফিজুর রহমান।

#একুশের প্রথম সংঘঠন ও এর প্রতিষ্ঠাতা =তমুদ্দিন মজলিস(আবুল কাশেম)।

 

আন্তর্জাতিক পর্যায়ে একুশের স্বীকৃতিঃ

জাতিসংঘ => ২০০৮

ইউনেস্কো => ১৯৯৯(১৭ নভেম্বর)(৩১ তম সম্মেলনে)

মোট দেশ => ১৮৮টি দেশ পালন করে।

প্রথম স্বীকৃতিদান কারি দেশ => কানাডা।

#ভাষা আন্দোলনকে বেগবান করার জন্য জেলখানায় অনশন করেন=শেখ মুজিবুর রহমান,মহিউদ্দিন আহমেদ

#২১ শে ফেব্রুয়ারি ১৯৫২ সালে কার নেতৃত্বে ছাত্ররা ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে = *গাজিউল হক*।

#বাংলা ভাষার পক্ষে ভূমিকা রাখার জন্য কোন পত্রিকাকে নিষিদ্ধ করা হয়= *অবজারভার*।

#১৯৫২ সালের আগে ভাষা দিবস পালিত হত= *১১ মার্চ*।

#পাকিস্তানের একমাত্র বাঙ্গালি রাষ্ট্রপতি = খাজা নাজিমুদ্দিন।

#ছায়ানটের প্রতিষ্ঠাতা = ডাঃ সানজিদা খাতুন।

ভাষা আন্দোলনভিত্তিক যত সাহিত্য কর্মঃ

#উপন্যাসঃ

,আরেক ফাল্গুনজহির রায়হান।(প্রথম)

,আর্তনাদশওকত ওসমান।

,নিরন্তর ঘন্টাধ্বনিসেলিনা হোসেন।

,যাপিত জীবনসেলিনা হোসেন।

#গল্পঃ

,একুশের গল্প,সূর্য গ্রহণজহির রায়হান।

,মৌন নয়শওকত ওসমান।

.

#নাটকঃ

,কবর মুনীর চৌধুরী।

,বিবাহমমতাজ উদ্দিন আহমেদ।

#সাহিত্য সংকলনঃ

,একুশে ফেব্রুয়ারিহাসান হাফিজুর রহমান। (গ্রন্থটি প্রকাশের পর নিষিদ্ধ হয়)

.

#চলচ্চিত্রঃ

,জীবন থেকে নেয়া;জহির রায়হান।(প্রথম)

,Let there be light;জহির রায়হান।

#কবিতা ও ছড়াঃ

,কাঁদতে আসিনি,ফাঁসির দাবি নিয়ে এসেছিমাহবুব উল আলম চৌধুরী।(প্রথম)

,শহীদ স্মরনেমো.মনিরুজ্জামান।

,সংগ্রাম চলবেইসিকানদার আবু জাফর।

,স্মৃতিস্তম্ভআলাউদ্দিন আল আজাদ।

 

গানঃ

,ভুলবনা ভুলবনা একুশে ফেব্রুয়ারি ভুলবনাভাষা সৈনিক গাজিউল হক(প্রথম)

,২১ ফেব্রুয়ারি গানটির রচয়িতা কে? আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি গানটির গীতিকার আব্দুল গাফফার প্রথম সুরকার আব্দুল লতিফ বর্তমান সুরকার আলতাফ মাহমুদ।

,সালাম সালাম হাজার সালামফজল এ খোদা

,ওরা আমার মুখের ভাষা কাইড়া নিতে চায়আব্দুল লতিফ।

 

 

 

জনসংখ্যার দিক থেকে পৃথিবীতে বাংলা ভাষার স্থান-- ৭ম।

বিশ্ব দরবারে বাংলা ভাষার অবস্থানঃ dhakatimes24

ভাষাভাষী জনসংখ্যার দিক দিয়ে পৃথিবীতে বাংলা ভাষার স্থান কত? ২০০০ সাল থেকে বিশ্বের প্রায় ১৯৩টি দেশে ২১ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে পালিত হয়ে আসছে। বর্তমান বিশ্বে প্রায় ৩০ কোটি মানুষ বাংলা ভাষায় কথা বলে। বিশ্বে এথনোলগ-এর বিংশ সংস্করণের পরিসংখ্যান অনুযায়ী ছয় হাজার থেকে আট হাজার ভাষার মধ্যে বাংলা ভাষা স্বমর্যাদায় পঞ্চম স্থান অধিকার করে আছে। ভাষাবিদদের হিসাব অনুযায়ী, পৃথিবীর মোট ভাষার সংখ্যা প্রায় আট হাজারটি। আবার এর মধ্য থেকে মাত্র ৪ শতাংশ ভাষা অর্থাৎ শতিনেক ভাষা দিয়ে পৃথিবীর ৯৬ শতাংশ মানুষ তাদের মনের ভাব প্রকাশ করে।

 

বাঙালি এখন ছড়িয়ে পড়েছে বিশ্বব্যাপী। তাই বাংলা ভাষার পরিধিও প্রসারিত হয়েছে। বাংলা ভাষায় এখন বিশ্বে প্রায় ৩০ কোটি লোক কথা বলে। ২০৫০ সাল নাগাদ বাংলা ভাষীর সংখ্যা দাঁড়াবে ৩১ কোটি ৬০ লাখ। এই অনুমান পরিসংখ্যানবিদদের।

প্রচলিত ভাষার মধ্যে মাতৃভাষার বিবেচনায় বিশ্বে বাংলার স্থান পঞ্চম। এ বিচারে বিশ্বের প্রধান ভাষাগুলো হলো- মান্দারিন (চীনা), ইংরেজি, হিন্দি, স্প্যানিশ, রুশ, আরবি, বাংলা, পর্তুগিজ, মালয়-ইন্দোনেশিয়ান ও ফরাসি। বিশ্বের সেরা ১০-১১টি ভাষার মধ্যে বাংলা অন্যতম।

বাংলাদেশের রাষ্ট্রভাষা বাংলা। বাংলাদেশের সংবিধানের তৃতীয় অনুচ্ছেদে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে বাংলার কথা বলা হয়েছে। ভারতের ত্রিপুরা ও পশ্চিমবঙ্গে ব্যবহৃত প্রধান ভাষা বাংলা। বিহার, উড়িষ্যা ও আসামের কাছার জেলায় প্রচুরসংখ্যক বাংলাভাষী মানুষ বাস করে। পশ্চিমবঙ্গ ও ত্রিপুরার প্রশাসনিক ভাষা বাংলা। কাছার জেলারও অন্যতম প্রশাসনিক ভাষা বাংলা। ভারতীয় সংবিধানের অষ্টম তফসিলে তালিকাবদ্ধ ১৮টি ভাষার মধ্যে বাংলা অন্যতম। যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগে ও ইমিগ্রেশন ওয়েবসাইটে বাংলা ভাষা ব্যবহার করা হচ্ছে। যুক্তরাজ্যের হিথরো বিমানবন্দরে বাংলাতে ঘোষণা দেওয়া হয়।

এথনোলগ-এর বিংশ সংস্করণ অনুযায়ী মাতৃভাষীর সংখ্যা অনুযায়ী বিশ্বের ভাষাগুলোর মধ্যে বাংলা ভাষার অবস্থান:

ক্রম

ভাষা

মাতৃভাষীর সংখ্যা

উৎপত্তি দেশ

চীনা ভাষা

১২৮ কোটি ৪০ লাখ

চীন

স্পেনীয় ভাষা

৪৩ কোটি ৭০ লাখ

স্পেন

ইংরেজি ভাষা

৩৭ কোটি ২০ লাখ

যুক্তরাজ্য

আরবি ভাষা

২৯ কোটি ৫০ লাখ

সৌদি আরব

বাংলা ভাষা

২৬ কোটি ৫০ লাখ

ভারত ও বাংলাদেশ

হিন্দি ভাষা

২৬ কোটি

ভারত

পর্তুগিজ ভাষা

২১ কোটি ৯০ লাখ

পর্তুগাল

রুশ ভাষা

১৫ কোটি ৪০ লাখ

রাশিয়া

জাপানি ভাষা

১২ কোটি ৮০ লাখ

জাপান

১০

লাহান্দা ভাষা

১১ কোটি ৯০ লাখ

পাকিস্তান

১১

জাভানীয় ভাষা

৮ কোটি ৪৪ লাখ

ইন্দোনেশিয়া

১২

কোরীয় ভাষা

৭ কোটি ৭২ লাখ

দক্ষিণ কোরিয়া

১৩

জার্মান ভাষা

৭ কোটি ৬৮ লাখ

জার্মানি

১৪

ফরাসি ভাষা

৭ কোটি ৬১ লাখ

ফ্রান্স

১৫

তেলুগু ভাষা

৭ কোটি ৪২ লাখ

ভারত

১৬

মারাঠি ভাষা

৭ কোটি ১৮ লাখ

ভারত

১৭

তুর্কি ভাষা

৭ কোটি ১১ লাখ

তুরস্ক

১৮

উর্দু ভাষা

৬ কোটি ৯১ লাখ

পাকিস্তান

১৯

ভিয়েতনামীয় ভাষা

৬ কোটি ৮১ লাখ

ভিয়েতনাম

২০

তামিল ভাষা

৬ কোটি ৮০ লাখ

ভারত

২১

ইতালীয় ভাষা

৬ কোটি ৩৪ লাখ

ইতালি

২২

ফার্সি ভাষা

৬ কোটি ১৯ লাখ

ইরান

২৩

মালয় ভাষা

৬ কোটি ৮ লাখ

মালয়েশিয়া

 

 

সাধারন জ্ঞান প্রশ্ন ও উত্তর

১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের প্রথম শহীদ হন কে? ভাষা আন্দোলনে প্রথম শহীদ হন কে?

-রফিকউদ্দিন আহমদ

 

ভাষা আন্দোলনের মুখপত্র দৈনিক সৈনিক।

ভাষা শহীদ আবুল বরকত কে কবে একুশে পদক (মরণোত্তর) দেয়া হয়? -২০০০ সালে

শহীদ আবদুস সালাম পেশায় কি ছিলেন? -সরকারের ডিরেক্টর অব ইন্ডাস্ট্রিজ বিভাগের পিয়ন

ভাষা আন্দোলনের দ্বিতীয় শহীদ কে? -আবদুল জব্বার

ভাষা শহীদ শফিউর রহমান পেশায় কি ছিলেন? -ঢাকা হাইকোর্টের হিসাবরক্ষণ শাখার কেরানি

ভাষা শহীদ আবদুল আউয়াল কিভাবে শহীদ হন?- -২১ ফেব্রুয়ারি বিক্ষোভ মিছিল হাইকোর্টের সামনে পৌছলে পুলিশ বাহিনীর ট্রাকের চাপায় তাঁর মৃত্যু হয়

বালক অহিউল্লাহ কত বছর বয়সে রাষ্ট্রভাষা বাংলার জন্য শহীদ হন?- -মাত্র ৮ বছর বয়সে

ভাষা আন্দোলনের মুখপাত্র ছিল কোন পত্রিকা? -সাপ্তাহিক সৈনিক

ভাষা আন্দোলনের ফলে কোন প্রতিষ্ঠানটি সৃষ্টি হয়? -বাংলা একাডেমি

দেশের বাইরে প্রথম শহীদ মিনার নির্মিত হয় কোথায়? -টোকিও, জাপান।

 

 

ভাষা আন্দোলেনের সময় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কোথায় ছিলেন? -জেলে।

সরকারি ভাষা হিসাবে বাংলার ব্যবহার শুরু হয়? -৯৫৬ সালে।

'আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি আমি কি ভুলিতে পারি' এ গানের গীতিকার? আব্দুল গাফফার চৌধুরী।

'আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি আমি কি ভুলিতে পারি' এ গানের ১ম সুরকার? -- আব্দুল লতিফ।

'আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি আমি কি ভুলিতে পারি' এ গানটির বর্তমান সুরকার? -- আলতাফ মাহমুদ।

'সালাম সালাম হাজার সালাম' এই গানটির গীতিকার-- ফজল এ খোদা। সুরকার ও শিল্পী-- আ: জব্বার।

'ওরা আমার মুখের ভাষা কাইড়া নিতে চায়' এই গানটির গীতিকার ও সুরকার? -- আব্দুল লতিফ।

ভাষা আন্দোলন বিষয়ক উপন্যাস-- আরেক ফাল্গুন। লেখক> জহির রায়হান।

ভাষা আন্দোলন বিষয়ক নাটক-- কবর। লেখক> মুনীর চৌধুরী।

'কবর' নাটকটি প্রথম মঞ্চস্থ হয় কবে--- ২১ শে ফেব্রুয়ারি ১৯৫৪ (কারাগারে)।

স্বাধীনতার পর প্রথম ডাকটিকেটে কিসের ছবি ছিল-- শহীদ মিনার।

দেশের বাইরে প্রথম শহীদ মিনার নির্মিত হয়-- জাপানে।

পাকিস্তানের গণপরিষদে উর্দুর পাশাপাশি বংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবি জানিয়ে ছিলেন-- ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত।

ভাষা আন্দোলনের মুখপাত্র কোন পত্রিকা-- সাপ্তাহিক সৈনিক।

১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের সময় পূর্ব বাংলার মূখ্যমন্ত্রী ছিলেন-- নুরুল আমিন। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন-- খাজা নাজিম উদ্দিন।

উর্দু এবং একমাত্র উর্দুই হবে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষাকে বলেছেন--মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ।

১৯৫৬ সাল পর্যন্ত 'ভাষা দিবস' হিসেবে পালিত হত-- ১১ মার্চ।

বাংলা ভাষা তৎকালীন পাকিস্তান সংবিধানে গৃহীত হয়-- ১৯৫৬ সালে।

ভাষা আন্দোলনের সূত্রপাত হয়-- ১৯৪৮ সালে।

ভাষা আন্দোলনের ফলে কোন প্রতিষ্ঠান সৃষ্টি হয়েছিল-- বাংলা একাডেমী (১৯৫৫ সালের ৩ ডিসেম্বর)।

বাংলা একাডেমির চত্ত্বরের মুরাল হল-- মোদের গরব।

'বাংলা একাডেমি পুরস্কার' প্রবর্তন করা হয়-- ১৯৬০ খ্রিস্টাব্দে।

কোন দেশের দ্বিতীয় ভাষা বাংলা-- সিয়েরা লিওন।

'আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস' স্মরণে দেশের বাইরে বিশ্বের প্রথম স্মৃতিসৌধটি নির্মিত হয়-- অস্ট্রেলিয়া, সিডনি।

বাংলাদেশের বাইরে প্রথম কোথায় বাংলা ভাষা শিক্ষা দেয়া হয়-- কানাডার টরেন্টো ইউনিভার্সিটিতে।

'একুশে পদক' প্রবর্তন করা হয়-- ১৯৭৭ সালে।

কোন আন্তর্জাতিক সংস্থা একুশে পদকলাভ করে-- ইউনেস্কো (২০০৩ সালে)।

রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদগঠিত হয়-- ১৯৪৮ সালে।

সর্বদলীয় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ' গঠিত হয়-- ৩১ জানুয়ারি, ১৯৫২ সালে।

১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি বাংলা সনের কত তারিখ ও কি বার ছিল-- ৮ ফাল্গুন ১৩৫৮ সন, বৃহস্পতিবার।

জাতীয় শহীদ মিনারের প্রতীকটি কি প্রকাশ করে-- মা তার সন্তানদের মাতৃভাষার গল্প শুনাচ্ছে।

জাতীয়/কেন্দ্রিয় শহীদ মিনারের আয়তন-- ১৫০০ বর্গ ফিট বা ১৪০ বর্গ মিটার, উচ্চতা-- ৪৬ফিট বা ১৪ মিটার। স্থপতি-- হামিদুর রহমান (সহকারী ছিলেন-- নভেরা আহমেদ)।

জাতীয় শহীদ মিনার উদ্বোধন করেন-- বরকতের মা হাসিনা বেগম, ১৯৬৩ সালের ২১ফেব্রুয়ারি (প্রথম শহীদ মিনার উদ্ধোধন করেন-- শহীদ শফিউরের বাবা)।

ইউনেস্কো ২১শে ফেব্রুয়ারীকে 'আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস' হিসেবে স্বীকৃতি দেয়-- ১৭ নভেম্বর, ১৯৯৯ সালের ৩০তম সাধারণ অধিবেশনে।

২১শে ফেব্রুয়ারীকে 'আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস' হিসেবে প্রথম পালন করে-- ১৮৮টি দেশ (২০০০সালে)।

২১শের প্রথম সংকলন 'কাঁদতে আসি নি, ফাঁসির দাবি নিয়ে এসেছি' এ কবিতাটি লিখেছেন-- মাহবুবুল আলম চৌধুরী।

'মোদের গরব মোদের আশা আ-মরি বাংলা ভাষা' এ কবিতাটির লেখক-- অতুল প্রসাদ সেন।

'কুমড়ো ফুলে নুয়ে পড়েছে লতাটা' এ কবিতাটির লেখক-- আবু জাফর ওবায়দুল্লাহ।

'ফেব্রুয়ারী একুশ তারিখ দুপুর বেলার অক্ত বৃষ্টি নামে, বৃষ্টি কোথায় বরকতেরই রক্ত' এ কবিতাটির লেখক-- আল মাহমুদ।

একুশে ফেব্রুয়ারি শহীদ হয়েছিলেন-- ৮ জন (রফিক, বরকত, সালাম, শফিউর, জব্বার, আওয়াল, অলিউল্লাহ ও একজন অজ্ঞাতনামা বালক। ১ম শহীদ হন রফিক।

 

প্রশ্ন : পাকিস্তান গণ পরিষদে কে বাংলা ভাষা সংক্রান্ত সংশোধনী প্রস্তাব আনেন? উত্তর : গণ পরিষদ সদস্য ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত।

প্রশ্ন : উর্দুকে রাষ্ট্রভাষা করার প্রস্তাব প্রথম কবে করা হয়? উত্তর : ডিসেম্বর, ১৯৪৭ সালে।

উর্দুকে রাষ্ট্রভাষা করার প্রস্তাব প্রথম কোথায় গৃহীত হয়?উত্তর : করাচির শিক্ষা সম্মেলনে।

প্রশ্ন : তমুদ্দিন মজলিস কী? উত্তর : একটি সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান।

প্রশ্ন : তমুদ্দিন মজলিস কবে গঠিত হয়?উত্তর : ২ সেপ্টেম্বর ১৯৪৭।

প্রশ্ন : উর্দুকে রাষ্ট্রভাষা করার বিরুদ্ধে কবে সর্বদলীয় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ গঠিত হয়?উত্তর : ২ মার্চ ১৯৪৮।

প্রশ্ন : ভাষা আন্দোলনের সময় পূর্ব বাংলার মূখ্যমন্ত্রী কে ছিলেন?উত্তর : নুরুল আমিন।

প্রশ্ন : ভাষা আন্দোলনের সময় পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী কে ছিলেন?উত্তর : খাজা নাজিমউদ্দিন।

প্রশ্ন : প্রথম তৈরি শহীদ মিনার কে উন্মোচন করেন?উত্তর : শহীদ শফিউরের পিতা।

প্রশ্ন : ভাষা আন্দোলনের শহীদের স্মরণে কবে প্রথম শহীদ মিনার নির্মাণ করা হয়?উত্তর : ১৯৫২ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি।

প্রশ্ন : উর্দুই হবে পাকিস্তানের একমাত্র রাষ্ট্রভাষা’- কথাটি কে বলেছিলেন?উত্তর : মুহম্মদ আলী জিন্নাহ।

প্রশ্ন : কত সালে বাংলা ভাষাকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হয়?উত্তর : ১৯৫৬ সালে।

প্রশ্ন : কত তারিখে শহীদ দিবস পালিত হয়?উত্তর : ২১ ফেব্রুয়ারি।

প্রশ্ন : শহীদ দিবসের আরেকটি নাম কি?উত্তর : আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস।

প্রশ্ন : কবে মহান একুশে ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসহিসেবে ঘোষণা করা হয়?উত্তর : ১৯৯৯ সালের ১৭ নভেম্বর।

প্রশ্ন : কোথায় বসে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসঘোষণা করা হয়? - ইউনেস্কোর প্যারিস অধিবেশনে।

প্রশ্ন : কবে থেকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসপালিত হচ্ছে?উত্তর : ২০০০ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি থেকে।

প্রশ্ন : ভাষা আন্দোলন স্মরণে কী পদক প্রবর্তন করা হয়?উত্তর : একুশে পদক।

প্রশ্ন : ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি কারা শহীদ হন?উত্তর : সালাম, বরকত, রফিক, শফিক, জব্বার ও তাজুলসহ অনেকে।

প্রশ্ন : মাতৃভাষার জন্য কারা সংগ্রাম করেছে?উত্তর : বাংলাদেশ।

নেট থেকে সংগৃহীত-

ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে একটিভ থাকুন

১লা মে দিবস / শ্রমিকের অধিকার আদায়ের দিন

১লা মে দিবসের ছবি ১লা মে আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস পালন করা হয়। ১লা মে মহান মে দিবস। ১লা মে বিশ্বের শ্রমজীবী মানুষের অধিকার আদায়ের দিন। ১৮৮৬ স...