স্বাগতম

সবার জন্য উন্মুক্ত পেইজ ভিজিট করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ। *** শিক্ষার কোন বয়স নাই, জানার কোন শেষ নাই। *** বিঃদ্র ( যে সকল ব্লগ বা ওয়েবসাইট এর লেখা কোন অনুমতি ছাড়া কপি করে এখানে পোষ্ট করেছি, যদি কারো কোনো অভিযোগ থাকে দয়া করে জানাবেন। E-mail: nchafa10@gmail.com, ভালো লাগলে আবার আসবেন।***ধন্যবাদ***

জেনে নিন- শসা এর গুণাগুণ ও উপকারিতা

লতানো উদ্ভিদে জন্মানো ফল শসা। গোর্ড পরিবার (লাউ-কুমড়া) অন্তর্গত অতি পরিচিত এক প্রকারের ফল। ফলটি আকৃতিতে লম্বাটে। ফল প্রায় ১০/১২ ইঞ্চি লম্বা হয়ে থাকে। চামড়ার বাহিরের রঙ সবুজ। তবে পাকলে হলুদ রঙের হয়। Image result for শসার উপকারিতাভেতরে সাদাটে সবুজ রঙের হয় এবং মধ্যভাগে বিচি থাকে। এর বৈজ্ঞানিক নাম ‘কুকুমিস স্যাটিভাস’। শসা কাঁচা খাওয়া হয় অথবা সালাদ তৈরিতে ব্যবহার করা হয়। ফলটির উৎপত্তি ভারতবর্ষে হলেও বর্তমানে পৃথিবীর প্রায় সব জায়গাতেই এটি জন্মে। শসা সাধারণত গরমের সময় বেশি পাওয়া যায়। বেশ কয়েক জাতের শসা পাওয়া যায়। এতে ক্যালরির পরিমাণ কম থাকে এবং পানির পরিমাণ বেশি থাকে। খোসাসহ একটি কাঁচা শসার প্রতি ১০০ গ্রামে ক্যালরির পরিমাণ ২০ ক্যালরি।





খাদ্য হিসাবে শসাঃ খাদ্যের ছয়টি উপাদনই
আমরা কমবেশি নানান খাদ্যের মাধ্যমে পাই। আমরা নিয়মিত যেসব সবজি ব্যবহার করি তা থেকে আমাদের শারীরিক অনেক সমস্যার সমাধান করে। শসার খাদ্য উৎপাদনের মধ্যে ৯০ ভাগই হচ্ছে পানি। এই বিচারে শসা আমাদের দেহের পানির অভাব পূরণ করে থাকে। আমরা যদি দৈনিক চাহিদার সমপরিমাণ পানি পান করতে না পারি তাহলে শসা খেয়ে পানির সেই অভাব পূরণ করা সম্ভব। প্রচন্ড গরমে শরীরকে ঠান্ডা রাখতে শসা বেশ উপকারি। প্রচুর পরিমাণে পানি ছাড়াও শসায় রয়েছে অত্যন্ত কম পরিমাণে ক্যালরি। তাই আমরা যারা শরীরের ওজন কমানোর ব্যাপারে সচেতন তাদের জন্য শসা একটি প্রধান উপাদান।
Image result for শসার উপকারিতা
নারীর রূপচর্চায় শসার কয়েকটি ব্যবহারঃ 
১. তৈলাক্ত ত্বকের জন্য শসা খুব ভালো টোনার হিসেবে কাজ করে। এটি ত্বকের ওপেন পোর নিয়ন্ত্রণ করতে বেশি উপকারী। মুখ ধোয়ার পর শুধু শসার রস টোনার হিসেবে মুখে লাগাতে পারেন। একে আরো কার্যকারী করতে আপেল, সাইডার ভিনেগার, টমেটোর রস এবং এলভেরা জেল মিশিয়ে নিতে পারেন।

২. শসাতে থাকা ব্লিচিং প্রপার্টিজ ত্বকের রোদে পোড়া ভাব দূর করে ত্বক উজ্জ্বল ও চামড়ার ভাঁজ সমান করে। সান বান (রোদ্রে পোড়া) দূর করতে বাইরে থেকে এসে প্রতিদিন শসার রস মুখ ধোয়ার পর লাগাতে পারেন।

৩. ত্বকের রুক্ষতা দূর করতে একটি শসা ব্লেন্ডারে ভালো মতে ব্লেন্ড করুন। ব্লেন্ড করা পেস্টে ২ চামচ লেবুর রস এবং ১ চামচ মধু মিশিয়ে মুখ ও ঘাড়ে লাগান। ২০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। এই প্যাকটি ত্বকের রুক্ষ ভাব দূর করে চেহারা উজ্জ্বল করে।

৪. শসা খাওয়ার ফলে শরীরের ত্বক হাইড্রেটেড এবং ময়েশ্চারাইজড থাকে। এর কারণ হচ্ছে শসার ৯৫% উপাদানই হচ্ছে পানি। শসার বিচিতে রয়েছে ভিটামিন-ই এবং পটাশিয়াম, যা ফাইন লাইন্স, রিংকেলসহ বার্ধক্যের বিভিন্ন ছাপ দূর করে ত্বক উজ্জ্বল এবং যৌবনদ্বীপ্ত রাখে।

৫. ডার্ক সার্কেল (কালশিটে) কমাতে শসা বেশ কার্যকর। শসাতে থাকা এন্টি-অক্সিডেন্ট এবং সিলিকা চোখের কালশিটে কমিয়ে চোখের চারপাশের স্কিন ভালো রাখে। শসা স্লাইস করে কেটে অথবা তুলার মধ্যে শসার স্লাইসটি লগিয়ে সেই তুলা কিংবা শসার স্লাইসটি চোখের উপর ২০ মিনিট রাখুন। এভাবে নিয়মিত ব্যবহার করতে থাকুন। নিয়মিত ব্যবহারে চোখের নীচের কালশিট কমবে। এ ছাড়াও শসাতে থাকা এসকরবিক এসিড এবং ক্যাফেইক এসিড চোখের ফোলাভাব দূর করতে বেশি কার্যকরী।

৬. অনেকের মুখের ত্বক তৈলাক্ত। তৈলাক্ত ত্বকের ক্ষেত্রে কাঁচা হলুদ, লেবুর রস, এবং শসা পেস্ট একসাথে মিশিয়ে প্যাক তৈরী করুন। মিশ্রণটি মুখে লাগিয়ে ১৫-২০ মিনিট রাখুন। শুকিয়ে গেলে মুখ ভালো করে ধুয়ে ফেলুন। এই প্যাকটি চামড়ার অতিরিক্ত তেলভাব নিয়ন্ত্রণ করে।

৭. যদি মুখের ত্বক শুস্ক হয় হবে ১ চা চামচ ওটমিল এবং পরিমাণ মত শসা পেস্ট তৈরী করে একসাথে মিশিয়ে ৩০ মিনিট রেখে দিন। মুখে এবং ঘাড়ে মিশ্রণটি ভালো মতো মেখে ২০ মিনিট রাখুন। ত্বক ময়েশ্চায়ইজড রাখার জন্য মিশ্রণটির সাথে ১ চা চামচ মধুও মিশাতে পারেন।

৮. বয়সের ছাপ লুকাতে ২ টেবিল চামচ টক দই, আধা চামচ মধু এবং ১ চামচ লেবুর রসের সাথে ২ চামচ গ্রেট করা শসা এবং ২টি ভিটামিন-ই ক্যাপসুল ভালো মতো মেশান। এবার এটি মুখে লাগিয়ে ১৫-২০ মিনিট রেখে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এই প্যাকটি ফাইন লাইন্স ও রিংকেল দূর করে ত্বক টানটান এবং সুন্দর করে।

৯. আমাদের অনেকের নখ কোমল এবং ভঙ্গুর। তাই নিয়মিত শসা খেলে এর মাঝে থাকা প্রচুর পরিমাণে সিলিকা যা নখ শক্ত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। এতে নখের ভাঙ্গা কমে গিয়ে নখ শক্ত হয়।

১০. মুখের ব্রনের সমস্যা দূর করতে চাইলে ২ চা চামচ শসার রসের সাথে গোলাপ জল এবং মুলতানি মাটি মিশিয়ে প্যাক তৈরী করুন। এটি মুখে ভালো মতে লাগিয়ে ১৫ মিনিট রেখে হালকা গরম পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। কিছুদিন নিয়মিত ব্যবহার করুন। ব্রন কমে যাবে।

১১. শসায় বিদ্যমান সালফার, সিডিয়াম, সিলিকন, ফসফরাস এবং ক্যালসিয়াম চুলের বৃদ্ধিতে অতুলনীয় ভূমিকা রাখে। এ ছাড়াও এটি চুল পড়া কমাতে সাহায্য করে। শসা ও টমেটো ব্লেন্ডারে মিক্স করে জুস বানিয়ে খেতে পারেন।

১২. একটি শসার খোসা ছাড়িয়ে ব্লেন্ডারে পেস্ট করে নিন। এবার একটি ডিমের মধ্যে তিন চা চামচ অলিভ অয়েল প্রথমে ভালো মতো মিশিয়ে এরপর এর সাথে শসার খোসার পেস্ট মিশিয়ে নিন। মিশ্রণটি চুলে লাগিয়ে ১৫-২০ মিনিট রাখুন। এরপর চুল শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলুন। এই প্যাকটি চুলের গোড়া মজবুত করে চুল স্বাস্থ্য উজ্জ্বল করে তোলে।

শসার হাজার গুণের মধ্যে ১৪টি গুরুত্বপূর্ণ দিক তুলে ধরেছেন খাদ্য বিশেষজ্ঞরা। আসুন, একবার নজর বোলাই:

দেহের পানিশূন্যতা দূর করে
ধরুন আপনি এমন কোথাও আছেন, যেখানে হাতের কাছে পানি নেই, কিন্তু শসা আছে। বড়সড় একটা শসা চিবিয়ে খেয়ে নিন। পিপাসা মিটে যাবে। আপনি হয়ে উঠবেন চনমনে।কারণ, শসার ৯০ শতাংশই পানি।

দেহের ভেতর-বাইরের তাপ শোষক
কখনো কখনো আপনি শরীরের ভেতর-বাইরে প্রচণ্ড উত্তাপ অনুভব করেন। দেহে জ্বালাপোড়া শুরু হয়। এ অবস্থায় একটি শসা খেয়ে নিন।এ ছাড়া সূর্যের তাপে ত্বকে জ্বালা অনুভব করলে শসা কেটে ত্বকে ঘষে নিন। নিশ্চিত ফল পাবেন।

বিষাক্ততা দূর করে
শসার মধ্যে যে পানি থাকে তা আমাদের দেহের বর্জ্য ও বিষাক্ত পদার্থ অপসারণে অনেকটা অদৃশ্য ঝাটার মতো কাজ করে। নিয়মিত শসা খাওয়ায় কিডনিতে সৃষ্ট পাথরও গলে যায়।

প্রাত্যহিক ভিটামিনের শূন্যতা পূরণ করে
প্রতিদিন আমাদের দেহে যেসব ভিটামিনের দরকার হয়, তার বেশির ভাগই শসার মধ্যে বিদ্যমান। ভিটামিন এ, বি ও সি আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ও শক্তি বাড়ায়। সবুজ শাক ও গাজরের সঙ্গে শসা পিষে রস করে খেলে এই তিন ধরনের ভিটামিনের ঘাটতি পূরণ হবে।

ত্বকবান্ধব খনিজের সরবরাহকারী
শসায় উচ্চমাত্রায় পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম ও সিলিকন আছে, যা ত্বকের পরিচর্যায় বিশেষ ভূমিকা রাখে। এ জন্য ত্বকের পরিচর্যায় গোসলের সময় শসা ব্যবহার করা হয়।

হজম ও ওজনহ্রাসে সহায়ক
শসায় উচ্চমাত্রায় পানি ও নিম্নমাত্রার ক্যালরিযুক্ত উপাদান রয়েছে। ফলে যাঁরা দেহের ওজন কমাতে চান, তাঁদের জন্য শসা আদর্শ টনিক হিসেবে কাজ করবে। যাঁরা ওজন কমাতে চান, তাঁরা স্যুপ ও সালাদে বেশি বেশি শসা ব্যবহার করবেন। কাঁচা শসা চিবিয়ে খেলে তা হজমে বড় ধরনের ভূমিকা রাখে। নিয়মিত শসা খেলে দীর্ঘমেয়াদি কোষ্ঠ-কাঠিন্য দূর হয়।

চোখের জ্যোতি বাড়ায়
সৌন্দর্যচর্চার অংশ হিসেবে অনেকে শসা গোল করে কেটে চোখের পাতায় বসিয়ে রাখেন।এতে চোখের পাতায় জমে থাকা ময়লা যেমন অপসারিত হয়, তেমনি চোখের জ্যোতি বাড়াতেও কাজ করে।চোখের প্রদাহপ্রতিরোধক উপাদান প্রচুর পরিমাণে থাকায় ছানি পড়া ঠেকাতেও এটি কাজ করে।

ক্যানসার প্রতিরোধে কাজ করে
শসায় সিকোইসোলারিসিরেসিনোল, ল্যারিসিরেসিনোল ও পিনোরেসিনোল—এ তিনটি আয়ুর্বেদিক উপাদান আছে। জরায়ু, স্তন ও মূত্রগ্রন্থিসহ বিভিন্ন স্থানে ক্যানসার হওয়ার ঝুঁকি কমানোর সঙ্গে এই তিন উপাদানের জোরালো সম্পর্ক রয়েছে।

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখে
ডায়াবেটিস থেকে মুক্তি দেয়, কোলস্টেরল কমায় ও রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে।

মুখ পরিষ্কার রাখে
দুর্গন্ধযুক্ত সংক্রমণে আক্রান্ত মাড়ির চিকিৎসায় শসা দারুণ কাজ করে। গোল করে কাটা এক স্লাইস শসা জিহ্বার ওপরে রেখে সেটি টাকরার সঙ্গে চাপ দিয়ে আধা মিনিট রাখুন। শসার সাইটোকেমিক্যাল এর মধ্যে বিশেষ বিক্রিয়া ঘটিয়ে আপনার মুখের জীবাণু ধ্বংস করবে। সজীব হয়ে উঠবে আপনার নিঃশ্বাস।

চুল ও নখ সতেজ করে
শসার মধ্যে যে খনিজ সিলিকা থাকে তা আমাদের চুল ও নখকে সতেজ ও শক্তিশালী করে তোলে। এ ছাড়া শসার সালফার ও সিলিকা চুলের বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।

গেঁটেবাত থেকে মুক্তি
শসায় প্রচুর পরিমাণে সিলিকা আছে। গাজরের রসের সঙ্গে শসার রস মিশিয়ে খেলে দেহের ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা নেমে আসে। এতে গেঁটেবাতের ব্যথা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।

মাথাধরা থেকে নিষ্কৃতি
ভোরে ঘুম থেকে ওঠার পর অনেকের মাথা ধরে। শরীর ম্যাজম্যাজ করে। শসায় প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন বি ও সুগার আছে। তাই ঘুমাতে যাওয়ার আগে কয়েক স্লাইস শসা খেয়ে নিলে ভোরে ঘুম থেকে ওঠার পর এ সমস্যা থাকবে না।

কিডনি সুস্থ রাখে
শরীরের ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা ঠিক রাখে শসা। এতে কিডনি থাকে সুস্থ ও সতেজ।


নেট থেকে সংগৃহীত- লিংক সুত্রঃ 

ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে একটিভ থাকুন

১লা মে দিবস / শ্রমিকের অধিকার আদায়ের দিন

১লা মে দিবসের ছবি ১লা মে আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস পালন করা হয়। ১লা মে মহান মে দিবস। ১লা মে বিশ্বের শ্রমজীবী মানুষের অধিকার আদায়ের দিন। ১৮৮৬ স...