গাজরের ইংরেজি নাম ‘ক্যারট’। গ্রিক শব্দ ক্যারট-অন থেকে এই ক্যারট শব্দের উৎপত্তি। আমরা যত রকমের সবজি খাই, তার মধ্যে দ্বিতীয় জনপ্রিয় সবজি গাজর। এর ১০০টি প্রজাতি রয়েছে। গাজর সাধারণত পাঁচটি বর্ণের হয়ে থাকে—সাদা, কমলা, বেগুনি, হলুদ ও লাল। গাজর বিটা ক্যারোটিনের প্রধান উৎস। গাজর ক্যানসার প্রতিরোধক। গবেষণায় দেখা গেছে, গাজর ফুসফুস ক্যানসার, স্তন ক্যানসার, ক্ষুদ্রান্ত্র, বৃহদান্ত্রের (কোলন) ক্যানসার রোধ করে।
গাজরের যত গুণ
গাজর কাঁচা খাওয়া ভালো। তবে রান্না করে খাওয়া আরো ভালো। এটি লিভারে গিয়ে ভিটামিন-এ-তে রূপান্তরিত হয়, যা চোখের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। গাজরের নানা গুণ। সম্প্রতি গাজর নিয়ে গবেষণা করে আরও একটি বিশেষ গুণের সন্ধান পেয়েছেন যুক্তরাজ্যের গবেষকেরা। তাঁরা বলছেন, রোজ গাজর খেলে স্তন ক্যানসারের ঝুঁকি ৬০ শতাংশ পর্যন্ত কমে যায়।
যুক্তরাজ্যের মিরর অনলাইনের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।
যুক্তরাজ্যের মিরর অনলাইনের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।
গবেষকেরা বলেন, গাজরে প্রচুর ক্যারোটিন থাকে, যা উচ্চমাত্রার ভিটামিন হিসেবে নারীর জন্য প্রয়োজন। পালং শাক, লাল মরিচেও ক্যারোটিন থাকে। এই ক্যারোটিন স্তন ক্যানসারসহ কয়েক ধরনের ক্যানসারের ঝুঁকি কমায়।
‘ক্লিনিক্যাল নিউট্রিশন’ নামের মার্কিন সাময়িকীতে প্রকাশিত হয়েছে গাজরের গুণাগুণ বিষয়ক নিবন্ধ।
যুক্তরাজ্যভিত্তিক স্তন ক্যানসার বিষয়ক দাতব্য সংস্থা ব্রেস্ট ক্যানসার নাউয়ের জ্যেষ্ঠ গবেষণা যোগাযোগ কর্মকর্তা রিচার্ড বার্ক বলেন, মানুষ দীর্ঘদিন ধরেই গাজরের মতো স্বাস্থ্যকর খাবারের সঙ্গে পরিচিত। এটি স্তন ক্যানসারের ঝুঁকি কমায় ও ওজন ঠিক রাখতে সাহায্য করে।
বার্ক বলেন, সুষম খাবারের অংশ হিসেবে শাক-সবজি খাওয়া উচিত। তবে স্তন ক্যানসারের ঝুঁকি পুরোপুরি ঠেকাতে পারে এমন কোনো সুপারফুড নেই।
বার্কের পরামর্শ হচ্ছে, স্তন ক্যানসারের ঝুঁকি এড়াতে স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন পদ্ধতিতে অভ্যস্ত হতে হবে, যার মধ্যে রয়েছে ওজন ঠিক রাখা, সুষম খাবার খাওয়া, শরীরচর্চা করা আর অ্যালকোহল থেকে দূরে থাকা।
নেট থেকে সংগৃহীত- লিঙ্কসুত্রঃ
১। গাজর কাঁচা খাওয়ার উপকারিতা (healthbarta)
২। গাজরের যত গুণ (prothom-alo)