স্বাগতম

সবার জন্য উন্মুক্ত পেইজ ভিজিট করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ। *** শিক্ষার কোন বয়স নাই, জানার কোন শেষ নাই। *** বিঃদ্র ( যে সকল ব্লগ বা ওয়েবসাইট এর লেখা কোন অনুমতি ছাড়া কপি করে এখানে পোষ্ট করেছি, যদি কারো কোনো অভিযোগ থাকে দয়া করে জানাবেন। E-mail: nchafa10@gmail.com, ভালো লাগলে আবার আসবেন।***ধন্যবাদ***

গর্ভপাত (Abortion) কি এবং কিছু আলোচনা।

আমি কোন লেখক বা ডাক্তার নয়। নেট জগতে ঘোরে ঘোরে কিছু জানার শেষটা করি মাত্র আর নেট থেকে সংগ্রহ করে এই সাইটে পোস্ট করে আপনাদেরকেও জানানোর শেষটা করি। আলোচনার বিষয় হল গর্ভপাত (Abortion) কি এবং কিছু আলোচনা।
আজকাল অনেক দম্পতিই স্বেচ্ছায় গর্ভপাত করিয়ে থাকেন হয়তো ক্যারিয়ার বা ভবিষ্যতের কথা ভেবে। মনে রাখবেন, গর্ভপাত মোটেও ভালো কিছু নয়। স্বেচ্ছায় গর্ভপাত করানোর কারণে ভবিষ্যতে সন্তান ধারণে অসুবিধা হয়। এমনকি বন্ধ্যাও হয়ে যেতে পারেন অনেক নারী। তাই স্বেচ্ছায় গর্ভপাত হতে যতটা সম্ভব দূরে থাকুন। একটি গভপাত হতে পারে আজীবনের কান্না।




গর্ভপাত (Abortion) কি???
জরায়ু থেকে ভ্রুণ বেরিয়ে আসাকে গর্ভপাত বলা হয়। গর্ভপাত ইচ্ছাকৃত ভাবে ঘটানো যায়, আবার কখনও কোন আঘাত বা কারণ ছাড়াই জরায়ু থেকে ভ্রুণ বেরিয়ে আসতে পারে।
গর্ভপাত সাধারণত দু'ধরনের হতে পারে যথা :

আপনা থেকেই গর্ভপাত।
জোর করে গর্ভপাত ঘটানো।
গর্ভপাতের কারণ এবং লক্ষণগুলি কি কি ?

জোর করে গর্ভপাত (Abortion) কীভাবে করা হয়ঃ

বাচ্চা নষ্ট করার সব পদ্ধতিতেই এক ধরণের লম্বা নল জরায়ুতে ঢুকিয়ে গর্ভের শিশুটিকে প্রথমে ক্ষত-বিক্ষত করা হয়। পরে ভ্যাকুয়াম সাকারের মাধ্যমে শিশুটিকে শুষে আনা হয। গর্ভপাতের সময়কার শিশুটির অব্যাক্ত বেদনা কারো কানে পৌঁছে না। মানুষ নামের নরপশুর নির্মমতায় একটি নিষ্পাপ শিশু মৃত মাংসপিণ্ডে পরিণত হয়। যেসব মা ক্ষণিকের সুখের জন্য নিজ গর্ভের সন্তানকে পাশবিকভাবে হত্যা করে তাদের জন্য হৃদয়উগড়ে দেয়া সীমাহীন ঘৃণা। এইসব কারা করচ্ছেন

বিভিন্ন এলাকার প্রজনন স্বাস্থ্য সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান, সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল, পরিবার পরিকল্পনা প্রতিষ্ঠান, কয়েকটি ক্লিনিক ঘুরে দেখা যায় গর্ভপাত করতে যারা আসছেন তাদের মধ্যে ১৬ বছরের কিশোরী থেকে মধ্য বয়স্ক নারীও রয়েছেন। বিয়ের আগে অনেকেই অনিরাপদ যৌন সম্পর্কের কারণে গর্ভবতী হওয়ায় বাধ্য হয়ে গর্ভপাত করেছেন।
‘বর্তমানে গর্ভপাত করাতে যারা মরীয়া হয়ে ওঠে তাদের মধ্যে কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের তরুণীর সংখ্যা বেশি। লোকলজ্জার ভয়ে তারা গোপনে বিভিন্ন ক্লিনিকে গিয়ে গর্ভের ভ্রণ নষ্ট করে আসেন।’

বাংলাদেশের গর্ভপাত আইন
বিশ্বের অন্যান্য অনেক দেশের মত বাংলাদেশের গর্ভপাত আইন (১৮৬০-এর ব্রিটিশ পেনাল কোড) অনুযায়ী- অন্তঃসত্ত্বার জীবন বাঁচানো ছাড়া অন্য কোনো কারণে গর্ভপাত নিষিদ্ধ। এমনকি ধর্ষণ, শারীরিক, মানসিক, অর্থনৈতিক বা সামাজিক কারণ, ভ্রণের বিকলাঙ্গতা এসব কারণেও গর্ভপাত আইনসিদ্ধ নয়। অবশ্য গর্ভপাতের আইনের উইকি তথ্য অনুযায়ী ১২ সপ্তাহের মধ্যে করলে এ সমস্ত ক্ষেত্রে গর্ভপাত গ্রহণযোগ্য।

বিশেষ প্রয়োজনে গর্ভপাত করতে হলেঃ
কখন গর্ভপাত করতে হবে?
গর্ভপাতের ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারদের পরামর্শ হচ্ছে-যদি প্রেগন্যান্সি চলার ফলে মায়ের জীবন বিপন্ন হয় তাহলে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে গর্ভপাত করতে হবে। এছাড়া প্রেগনেন্ট মহিলার স্থায়ী শারীরিক ও মানসিক ক্ষতির ঝুঁকি থাকলে গর্ভপাত করা জরুরি। যদি সদ্য প্রেগনেন্সি হয়ে থাকে (৭ সপ্তাহের কম) তা হলে মেডিক্যাল টার্মিনেশন অফ প্রেগনেন্সির পরামর্শ নেওয়া যেতে পারে। এতে অস্ত্রোপচার এড়ানো যায় তবে কিছু বিশেষ ওষুধ প্রয়োগ করার প্রয়োজন পড়ে। কিছু নারীর ক্ষেত্রে এ রাস্তায় কাজ হয় না। তখন জেনারেল অ্যানাস্থেশিয়ায় মাধ্যমে শল্য চিকিৎসায় জরায়ু শূন্য করার প্রয়োজন পড়ে। মিফেপ্রিস্টোন (এক ধরনের হরমোন যা প্রোজেস্টেরন উৎপাদন বন্ধ করে এবং প্রেগনেন্সি বজায় রাখার সংকট দেখা দেয়) ট্যাবলেট মুখে খাওয়ার জন্য দেওয়া হয়। সামান্য কিছু মহিলার তাতে অল্প রক্তক্ষরণ এবং ব্যথা শুরু হয়। দু’দিন বাদে প্রোজেস্টেরনের ভ্যাজাইনাল ট্যাবলেট (পেসারি) যৌনিপথে প্রবেশ করানোর প্রয়োজন দেখা দেয় যাতে জরায়ুর সঙ্কোচন শুরু হয়। কারো কারো ক্ষেত্রে মাথাব্যথা, বমি এবং ডায়রিয়া হতে পারে। জরায়ু দেওয়াল ভাঙতে শুরু করে এবং প্রচণ্ড ভারী ব্লিডিংয়ে গর্ভস্থ ভ্রুণ ছিটকে বেরিয়ে যায়। এ ক্ষেত্রে ১০ দিন অবধি ব্লিডিং চলতে পারে। ২ সপ্তাহের মধ্যে একবার ফলোআপ পরামর্শদানের প্রয়োজন হয়, যাতে দেখা হয় কোনো ধরনের জটিলতা তৈরি হলো কিনা।
অস্ত্রোপাচারের মাধ্যমে গর্ভপাতঃ
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের স্ত্রী ও ধাত্রীবিদ্যা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. ইফফাত আরা বলেন, ওটিতে হালকা জেনারেল অ্যানাস্থেশিয়ার মাধ্যমে গর্ভপাত করানো হয়। ১২ সপ্তাহ অবধি অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে গর্ভপাতের পরামর্শ দেওয়া হবে। অস্ত্রোপচার শুরুর এক ঘণ্টা বা তারও কিছু আগে যোনিপথে বিশেষজ্ঞ ডাক্তার প্রোস্টাগ্ল্যান্ডিন পেসারি প্রবেশ করাবেন। এতে জরায়ুমুখ বা সার্ভিক্স সামান্য শিখিল হবে এবং খুলে যাবে। কখনো কখনো অস্ত্রোপচারের আগে একটা ইঞ্জেকশন দিয়ে মন শান্ত করা হয়। অস্ত্রোপচার কক্ষে যোনিদ্বার সাফ করার পর সেখানে স্পেকুলাম ঢুকিয়ে জরায়ুমুখ দেখা হয়। তাকে ফরসেপস্ দিয়ে স্থিরভাবে ধরে এবার ডাইলেট ব্যবহার করে পথটা খুলে দেওয়া হয়। তারপর জরায়ুর মধ্যে সরু প্লাস্টিক টিউব ঢুকিয়ে তা সাকশন যন্ত্রে যুক্ত করা হয়। এটা প্রেগন্যান্সিকে ধীরে ধীরে স্থানচ্যুত করে। এবার ব্যাপারটা হয়ে যাওয়ার পর জরায়ু সত্যি খালি হলো কিনা তা দেখার জন্য কিউরেট যন্ত্র ব্যবহার করা হয়। গোটা প্রক্রিয়াটা ১৫ থেকে ২০ মিনিট সময় নেয়। কয়েক ঘণ্টা আচ্ছন্ন ভাব থাকে, একটু অসুস্থবোধ হতে পারে।১২ থেকে ১৩ সপ্তাহের পর যে কোনো গর্ভপাত বেশ জটিল ব্যাপার।
গর্ভপাতে যেসব বিপদজনক কৌশল অবলম্বন করা হয়ঃ
অনেক গর্ভবতী নারী কিছু বিপদজনক কৌশল অবলম্বন করে চলেছে যেমনঃ

১।জরায়ুতে কঠিন পদার্থ দিয়ে কাঠি ঢুকানো,
২। ইনজেকশন/ক্যাপসুল/ট্যাবলেট/খাওয়ার বড়ি,
৩।দেশীয় টেবলেট/মিশ্রন,
৪।অভিশ্বসন/মাসিক নিয়ন্ত্রন,
৫।প্রসারণ/চাঁদন,
৬।জরায়ুর ভিতরে পরিনিষেচন,
৭।তলপেটে চাপদান

৩ কারণে মৃত্যু!

গর্ভপাতের সময় মূলত ৩টি কারণে মৃত্যু হতে পারে। অতিরিক্ত রক্ষক্ষরণ, ইনফেকশন ও খাদ্যনালী ফুটো হয়ে গেলে মৃত্যু হতে পারে। তাই যত দ্রুত অর্থাৎ কম সপ্তাহের মধ্যে গর্ভপাত করা যায়, জটিলতার সম্ভাবনা তত কম। ৩ মাসের মধ্যে যত তাড়াতাড়ি বিশেষজ্ঞ ডাক্তার দ্বারা গর্ভপাত করা যায় ততই বিপদের ঝুঁকি কম থাকে।গর্ভপাতের পর যে জটিলতা সবচেয়ে দেখা দেয় তা হচ্ছে সংক্রমণ। তাতে ব্যথা, অস্বাভাবিক ডিসচার্জ এবং গর্ভপাতের পরও দীর্ঘায়িত ব্লিডিং।
অনিরাপদ গর্ভপাতের পর ভাগ্যক্রমে বেঁচে গেলেও অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ, জরায়ু, মূত্রনালি এবং অন্ত্রনালি ছিদ্র হয়ে যাওয়া, প্রস্রাব ও পায়খানার রাস্তা ছিঁড়ে এক হয়ে যাওয়া, বন্ধ্যাত্বের শিকার হওয়াসহ বিভিন্ন জটিলতার সম্মুখীন হন নারীরা। এইখান থেকে সংগৃহীত।

নিচে একটু পড়ে দেখুন হৃদযহীন মানুষের হৃদয়েও কমপনের সৃষ্টি হবে।। ...

প্রথম মাস** হ্যালো আম্মু.....!!

কেমন আছো তুমি? জানো আমিএখন মাত্র ৩-৪ইঞ্চি লম্বা!!
কিন্তু হাত-পা সবই
আছে তোমার কথা শুনতে পাই,
ভালো লাগে শুনতে।
দ্বিতীয় মাস** আম্মু,
আমি হাতের বুড়ো আঙ্গুল চুষা শিখেছি,
তুমি আমাকে দেখলে এখন বেবি বলবে!
বাইরে আসার সময় এখনো হয়নি আমার,
এখানেই উষ্ণ অনুভব করি খুব।

তৃতীয় মাস**
আম্মু তুমি কি জানো আমি যে একটা মেয়ে?
পরী পরী লাগবে আমাকে,
আমাকে দেখলে তুমি অনেক খুশি হবে,
তুমি মাঝে মাঝে কাঁদো কেনো আম্মু?
তুমি কাঁদলে আমারও কান্না পায়...

চতুর্থ মাস**
আমার মাথায় ছোট্ট ছোট্ট চুল গজিয়েছে আম্মু আমি হাত-পা ভালো ভাবে নাড়াতে পারি,
মাথা নাড়াতে পারি, অনেক কিছুই করতে পারি।

পঞ্চম মাস**
আম্মু তুমি ডক্টরের কাছে কেনো গিয়েছিলে? কি বলেছে ডক্টর? আমি তার কথা শুনতে পারিনি, তোমার কথা ছাড়া আমি কারো কথা শুনতে পারিনা।

ষষ্ঠ মাস** আম্মু আমি অনেক ব্যথা পাচ্ছি আম্মু, ডক্টর সুঁচের মতো কি যেনো আমার শরীরে ঢুকাচ্ছে,
ওদের থামতে বলো আম্মু আমি তোমাকে ছেড়ে কথাও যাবোনা আম্মু...

সপ্তম মাস** আম্মু কেমন আছো?
আমি এখন স্বর্গে আছি,
একটা এন্জেল আমাকে নিয়ে এসেছে, এন্জেল বলেছে তোমাকে এবরশন করতে হয়েছে,
তুমি আমাকে কেনো চাওনি আম্মু?

প্রতিটি Abortion মানে একটি হৃদস্পন্দন থেমে যাওয়া... একটি হাসি থেমে যাওয়া... দুটি হাত, যা কখনো কাউকে স্পর্শ করতে পারবেনা... দুটি চোখ, যা পৃথিবীর আলো দেখবেনা... -
আল্লাহ কে ভয় করুন

সংগৃহীত
১।http://www.adhunikhomeopathy.com/2014/10/blog-post_58.html
-facebook

ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে একটিভ থাকুন

১লা মে দিবস / শ্রমিকের অধিকার আদায়ের দিন

১লা মে দিবসের ছবি ১লা মে আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস পালন করা হয়। ১লা মে মহান মে দিবস। ১লা মে বিশ্বের শ্রমজীবী মানুষের অধিকার আদায়ের দিন। ১৮৮৬ স...