বিশেষ করে যাদের মন খারাপ তাদের জন্য এই হাঁসির গল্প, তবে সবাই সবার মত পড়ে আনন্দ নিতে পারেন কোন বাদা নেই। হাঁসিতে পারলে শরিরের জন্য উপকার তাই মন খোলে হাসুন এবং অন্যকে হাসান। আগে বলে রাখলাম। এই গল্প গুলি নেট থেকে সংগৃহীত। আমি নিজের থেকে কিছু লেখিনাই, কপি পেস্ট করলাম মাত্র। আপনারা জানা হাঁসির গল্প থাকলে কমেন্ট করে পোস্ট করতে পারেন এইখানে আপডেট করে দেব।
ফুটপাতে এক বেকার কে
শুয়ে থাকতে দেখে-
বেকার : কাম কইরা কী করমু?
ভদ্রলোক : কাম করলে টাকা কামাইতে পারবি।
বেকার : টাকা কামাইয়া কী করমু?
ভদ্রলোক : টাকা কামাইলে বাড়ি-গাড়ি হইবো।
বেকার : বাড়ি-গাড়ি দিয়া কী করমু?
ভদ্রলোক: আরামে ঘুমাইতে পারবি।
বেকার : তো, আমি এতক্ষণ কী করতাছিলাম?
এক কৃপণ গেছে চিরুনি
কিনতে।
কৃপণ : ভাই, আমার একটা নতুন চিরুনি দরকার। পুরোনোটার একটা কাঁটা ভেঙে গেছে।
দোকানদার : একটা কাঁটা ভেঙে গেছে বলে আবার নতুন চিরুনি কিনবেন কেন? ওতেই তো চুল আঁচড়ে
নেওয়া যায়।
কৃপণ : নারে ভাই, ওটাই আমার চিরুনির শেষ কাঁটা ছিল যে!
উকিল সাহেব বেশ
হন্তদন্ত হয়ে বাড়ি ফিরলেন।
স্ত্রী : কোন দিকে চাঁদ উঠলো আজ! এত সকাল সকাল সাহেব যে বাড়ি চলে
এলেন।
উকিল : আগে তোমার যাবতীয় কাপড়-চোপড় আর গহনাগুলো শিগগিরই তোমার
বাপের বাড়িতে রেখে আসো।
স্ত্রী : ওমা সে কী! কেন?
উকিল : আজ এক কুখ্যাত চোরকে বেকসুর খালাস দিয়ে এসেছি। সে নাকি
সন্ধ্যার পরে কৃতজ্ঞতা জানাতে আসবে!
এক অফিসের বস অত্যন্ত রাগী। কর্মচারীরা সবাই তার ভয়ে তটস্থ থাকে এবং প্রতিদিন সময়মতো অফিসে হাজির হয়। একদিন এক কর্মচারী এক ঘণ্টা পর অফিসে প্রবেশ করলেন। তার কপালে ব্যান্ডেজ বাঁধা, জামাকাপড়ে ধুলোবালি।
বস : কী ব্যাপার? আজ এত দেরি কেন?
কর্মচারী : স্যার, আমি সময় মতোই অফিসে
এসেছিলাম। কিন্তু
অফিসের সিঁড়ি দিয়ে ওঠার সময় হঠাৎ পা পিছলে পড়ে গেলাম।
বস : এখন নিশ্চয়ই বলবেন, আপনি এক ঘণ্টা ধরে
সিঁড়ি থেকে গড়িয়ে পড়ছিলেন?
জাহিদ গ্রামীণফোন কল সেন্টারে চাকরি পেয়েছে। কিন্তু প্রথম দিনেই
গ্রামীণফোনের কর্মকর্তারা চাকরি থেকে অব্যাহতি দিলো। কি হয়েছিল প্রথম দিনে?
ফার্স্ট কলার : হ্যালো।
জাহিদ : হ্যাঁ, বল্টু বলছি। আপনাকে কিভাবে সাহায্য করতে
পারি?
কলার : আমার জিপি সিমটা নষ্ট হয়ে গেছে।
জাহিদ : আরে পাগল, নষ্ট হয়েছে তো কি
হয়েছে? এখন রবি সিমে সুযোগ সুবিধা ভাল আপনি একটা রবি সিম কিনে ফেলেন।
আবুল হাসপাতালের এক সুন্দরী নার্সের প্রেমে
পড়ে গেল। সে নার্সকে
প্রেমের প্রস্তাব জানিয়ে একটা প্রেমপত্র লিখল। ঐ প্রেমপত্রে কি লেখা ছিল জানেন?
লেখা ছিলো- ‘আই লাভ ইউ সিস্টার।’
একজন অবিবাহিত পুরুষ ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিল- ‘পাত্রী চাই’।
দুই বালিকা এটা লাইক করলো এবং ১৪০ জন পুরুষ
কমেন্ট করলো- ‘আমারটা নিয়ে যা…।’
এক ইংরেজ ভদ্রলোক ঢাকার রাস্তায় হাঁটতে
হাঁটতে একটা পিঠার দোকান দেখে দাঁড়ালো।
ইংরেজ ভদ্রলোক : (পিঠা বিক্রেতাকে) হোয়াট ইজ
দিজ?
পিঠা বিক্রেতা : ইট ইজ চিতই পিঠা।
ভদ্রলোক : হোয়াট মিনস চিতই পিঠা?
পিঠা বিক্রেতা : ওয়ান সাইড ফুটা ফুটা, আন্ডার সাইড পোড়া
পোড়া। ইট ইজ কল
চিতই পিঠা
বাবা আর ছেলের মধ্যে
কথোপকথনঃ-
বাবাঃ সবকিছুতে তর্ক করিস না। আমি কি তোর থেকে কম জানি?
ছেলেঃ বাবারা কি সবকিছুই ছেলের থেকে বেশি জানে?
বাবাঃ অবশ্যই।
ছেলেঃ বলেনতো মাধ্যাকর্ষণ কে আবিষ্কার করেছিল?
বাবাঃ নিউটন।
ছেলেঃ তাহলে নিউটন এর বাবা ওটা আবিষ্কার করতে পারেনি কেনো?
দুই
কৃপণের প্রেমের গল্প: (এক কৃপণ ছেলের সাথে
এক কৃপণ মেয়ের প্রেম চলছে। একদিন রাতে মেয়েটি তার বয়ফ্রেন্ডকে আসতে বলল
তার বাসায়। বললঃ সবাই ঘুমিয়ে পড়লে আমি উপর থেকে একটা কয়েন ফেলব, তুমি কয়েনের শব্দ
পেলে চুপিচুপি উপরে চলে আসবে। কথামত রাতে সবাই ঘুমিয়ে পড়লে মেয়েটি নিচে কয়েন ফেলল। কয়েন পড়ার
ঝনঝনশব্দ হল, কিন্তু বয়ফ্রেন্ডের আসার আর নাম নেই। প্রায় এক ঘণ্টা পরে চুপিচুপি বয়ফ্রেন্ডের আগমন।
গার্লফ্রেন্ডঃ কী ব্যাপার? এতক্ষণ লাগালে যে? কয়েন ফেলার শব্দ
পাওনি?
- পেয়েছি তো, কিন্তু অন্ধকারে কয়েনটা খুঁজতে খুঁজতে দেরি
হয়ে গেল…।
- আরে ধুর, আমি কি অত বোকা? কয়েনটা তো আমি
সুতা দিয়ে বেঁধে নিচে ফেলে আবার উপরে তুলে নিয়েছি…!
বল্টু
তার বউ- কে কুমিল্লা থেকে ফোন করল.ফোনটা এক চাকর ধরল-
চাকর : হ্যালো।
বল্টু : ম্যাম সাহেবকে ফোনটা দে।
চাকর : কিন্তু ম্যাম সাহেব তো সাহেবের সাথে বেড রুমে ঘুমাচ্ছে।
বল্টু : মানে?? সাহেব তো আমি ।
চাকর : আমি এখন কি করব??
বল্টু : দুইজনকে-ই গুলি করে মেরে ফেল ৫ লাখটাকা দিব। চাকর দুইজন-
কে গুলি করে মারার পর,
চাকর : সাহেব, লাশ ২টা এখন কি করব??
বল্টু : লাশ ২টা বাড়ির পিছনের swimming pool এ ফেলে দে।
চাকর : কিন্তু সাহেব, বাড়ির পিছনেতো কোন swimming pool নেই.
বল্টু : নেই??? ওহ sorry তাহলে wrong number
শিকারে বেরিয়ে পথে প্রথমেই নাসিরুদ্দীন সামনে পড়ে রাজামশাই খেপে উঠলেন। লোকটা অপয়া। আজ আমার
শিকার পণ্ড। ওকে চাবকে
হটিয়ে দাও।
রাজার হুকুম তামিল হল। কিন্তু শিকার হলো জবরদস্ত। রাজা শিকার
থেকে ফিরে নাসিরুদ্দীনকে ডেকে পাঠালেন। ‘ভুল হয়ে গেছে মোল্লা। আমি ভেবেছিলাম তুমি অপয়া। এখন দেখছি তা নও।’
নাসিরুদ্দীন তিন হাত লাফিয়ে উঠল। আপনি
ভেবেছিলেন আমি অপয়া? আমায় দেখে আপনি ২৬টি হরিণ মারলেন আর আপনাকে দেখে আমি ২৬ ঘা
চাবুক খেলাম। আপয়া যে কে, সেটা বুঝতে পারলেন
না?
চাকরির ভাইভায় এক
তরুণকে প্রশ্ন করা হল-
প্রশ্নকর্তা
: আপনাকে আমি ১০টি
সহজ প্রশ্ন করব অথবা কেবল একটা কঠিন প্রশ্ন করব। উত্তর দেওয়ার আগে ভালো করে ভেবে
দেখুন, কোন অপশনটা বেছে নেবেন।
তরুণ : কঠিন প্রশ্নের উত্তরটাই দিতে চাই।
প্রশ্নকর্তা : ভালো, শুভকামনা আপনার
জন্য। এবার বলুন, কোনটা প্রথমে আসে- দিন
না রাত?
তরুণ : দিন প্রথমে আসে, স্যার!
প্রশ্নকর্তা : কীভাবে?
তরুণ : দুঃখিত স্যার, আপনি কথা দিয়েছিলেন, দ্বিতীয় কোনো কঠিন
প্রশ্ন করবেন না আমাকে!
বাইরে
থেকে দরজা নক করছে-
ভেতর থেকে : কে?
বাইরে থেকে : আমি।
ভেতর থেকে : আমি কে?
বাইরে থেকে : আরে, আপনি কে আমি কী করে
বলব? মাথা নষ্ট
একজন চাকরিপ্রার্থী
ইন্টারভিউ দিচ্ছে-
প্রশ্নকর্তা
: ভারতের তিনজন মহান
ব্যক্তির নাম বলুন।
প্রার্থী : রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, মাদার তেরেসা এবং আপনি, মানে আপনার নামটা
যেন কী?
পাহাড়ে উঠেছে মাহমুদ। উঠেই সে একটা
আলাদিনের চেরাগ হাতে পেয়ে গেল। সেই চেরাগে ঘষা মারতেই এক দৈত্য এসে হাজির-
দৈত্য : হুকুম করুন আমার মালিক।
মাহমুদ : আমি তোমার কাছে তিনটি জিনিস চাইব। দিতে পারবে তো?
দৈত্য : জি মালিক, তবে আমার একটা শর্ত আছে। আপনাকে যা দেব, আপনার বন্ধু ওই
জিনিসটি আপনা-আপনি দ্বিগুণ পরিমাণে পাবে।
মাহমুদ : ঠিক আছে, তবে তাই হোক। আমাকে একটা পরশপাথর দাও দেখি।
দৈত্য : আপনার বন্ধু কিন্তু দুটি পরশপাথর পেয়েছে।
মাহমুদ : এবার আমাকে ১০০ মিলিয়ন ডলার দাও।
দৈত্য : আপনার বন্ধু এবার ২০০ মিলিয়ন ডলার পেল।
মাহমুদ : এবার আমাকে পিটিয়ে আধমরা করে দাও!
বিশ্বস্ত রকিবের
সঙ্গে তার এক মনোরোগ চিকিৎসক বন্ধুর দেখা। রকিব তাকে দেখে অবাক হয়ে-
রকিব : আরে ফিরোজ, তুই! আমি তো শুনেছিলাম তুই মরে গেছিস!
ফিরোজ : হুমম, কিন্তু এখন তো জীবিতই দেখলে, নাকি?
রকিব : হতেই পারে না! যে ব্যক্তি আমাকে এই সংবাদ দিয়েছে সে যে
তোমার চেয়েও বিশ্বস্ত।
একবার এক বিমানে আমেরিকান, জাপানি ও বাংলাদেশি যাত্রীর মধ্যে কথপোকথন চলছে-
আমেরিকান : আমাদের তৈরি করা যুদ্ধের রকেট একেবারে আকাশের গা ঘেঁষে চলে।
জাপানি : এটা কীভাবে সম্ভব?
আমেরিকান : ওই আর কি, আকাশের দুই আঙুল নিচ দিয়ে।
জাপানি : ও তাই। তাহলে শুনুন, আমাদের যুদ্ধের ডুবোজাহাজ একেবারে সমুদ্রের
তলদেশ দিয়ে চলে।
আমেরিকান : এটা কী করে হয়?
জাপানি : ওই আর কি, তলদেশের দুই আঙুল উপর দিয়ে।
বাংলাদেশি : আরে ভাই শুনুন, আমাদের দেশের মানুষ নাক দিয়ে ভাত খায়।
জাপানি : এও কি সম্ভব?
বাংলাদেশি : ওই আর কি, দুই আঙুল নিচ দিয়ে।
টিটু পুলিশের কাছে
গিয়ে নালিশ করল-
টিটু : স্যার, কাল রাতে টেলিভিশনটা ছাড়া আমার বাসার সবকিছু চুরি হয়ে গেছে।
পুলিশ : তা চোর মহাশয় সব নিল কিন্তু টেলিভিশনটা নিল না কেন?
টিটু : ওটা আর চুরি করবে কীভাবে বলেন, আমি তো তখন বসে বসে
টেলিভিশনে অনুষ্ঠান দেখছিলাম!