স্বাগতম

সবার জন্য উন্মুক্ত পেইজ ভিজিট করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ। *** শিক্ষার কোন বয়স নাই, জানার কোন শেষ নাই। *** বিঃদ্র ( যে সকল ব্লগ বা ওয়েবসাইট এর লেখা কোন অনুমতি ছাড়া কপি করে এখানে পোষ্ট করেছি, যদি কারো কোনো অভিযোগ থাকে দয়া করে জানাবেন। E-mail: nchafa10@gmail.com, ভালো লাগলে আবার আসবেন।***ধন্যবাদ***

অণ্ডকোষ ফোলা – হারনিয়া না তো

হারনিয়া কমন একটি রোগ। জন্ম থেকে শুরু করে বৃদ্ধ বয়স পর্যন্ত যে কারোর এই রোগ হতে পারে। আসলে হারনিয়া একটি সার্জিক্যাল রোগ অর্থাৎ অপারেশন ছাড়া এ রোগ ভালো হওয়ার নয়। সাধারণভাবে হারনিয়া হল পেটের মধ্যস্থ খাদ্যনালী বা অন্য যে কোনো অঙ্গ পেটের দুর্বল স্থান দিয়ে বাইরে চলে আসাকে বোঝায়। এই হার্নিয়া বড় হতে হতে একসময় অন্ডকোষে চলে যায় এজন্য অনেকেই ভাবে হার্নিয়া বুঝি অন্ডকোষ বড় হয়ে যাওয়ার একটি রোগ।
আমাদের শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ মাংসপেশী ও পর্দা দিয়ে তৈরী দেয়াল দিয়ে ঘেরা থাকে, কোনো কারনে যদি সেই দেয়াল দুর্বল হয়ে যায় এবং তা দিয়ে কোনো অঙ্গ থলের মতো বেরিয়ে আসে তাকে হার্নিয়া (Hernia) বলে।
সাধারন অর্থে যদিও সবাই হার্নিয়া শব্দটি শুনলে ধরে নেয় এটা অন্ডকোষেই শুধু হয়, হার্নিয়া কিন্ত কুচকিতে, উরুর কাছে, কোমড়ে, পেটের মাঝ বরাবর, পেটের মধ্যে এমন কি বুকের মধ্যেও হতে পারে। তবে অধিকাংশ হার্নিয়াই কুচকিতে হয় এবং একে ইনগুইনাল (Inguinal) হার্নিয়া বলে।
হারনিয়ার কারণ কি কি?
পেট বা এবডোমেন ওয়ালের দুর্বলতাই হারনিয়ার একমাত্র কারণ। এই দুর্বলতা বিভিন্ন কারণে হতে পারে, যেমন-* জন্মগত* অপারেশন, আঘাত এবং ইনফেকশন ইত্যাদি। সবচেয়ে কমন যে হারনিয়া আমরা পেয়ে থাকি তার মধ্যে ইনগুইনাল হারনিয়া এবং ইনসিসনাল হারনিয়া বা অপারেশনের জায়গায় হারনিয়া।
এবার আমরা ইনগুইনাল হারনিয়া নিয়ে আলোচনা করব।
ইনগুইনাল হারনিয়া যেখানে হয় : কুচকির মাঝামাঝি ১/২ ইঞ্চি উপরে এই হারনিয়ার প্রাথমিক অবস্থান।
ইনগুইনাল হারনিয়ার উপসর্গ
* যে কোনো বয়সেই এ রোগ হতে পারে
* বেশিরভাগ রোগীই পুরুষ
* প্রাথমিক পর্যায়ে রোগীরা বলবেন হাঁটা-চলা করলে, ভারী বস্তু উঠালে কিংবা হাঁচি-কাশি দিলে কুচকির ওপরটা গোলাকার বলের মতো ফুলে ওঠে এবং শুয়ে থাকলে এটা চলে যায়। মাঝে মাঝে শক্ত হয়ে যায় এবং ব্যথা হয়। কিছুদিন এভাবে চলার পর গোলাকার ফোলাটি ইসক্রুটামে (অণ্ডকোষ থলিতে) নেমে আসে এবং শুয়ে থাকলে আপনা আপনি পেটের ভেতর শব্দ করে চলে যায়। এভাবে ফোলাটি বড় হতে থাকে এবং মাঝে মাঝে চাপ দিয়ে ভেতরে ঢোকাতে হয়। তারপর ধীরে ধীরে চাপ দিলেও পেটের ভেতরে ঢোকে না। এই পর্যায়ে প্রচণ্ড ব্যথা, বমি এবং পেট ফাঁপা ও পায়খানা বন্ধ হয়ে যেতে পারে। এই অবস্থাকে ইনটেন্সিটিনাল বা খাদ্যনালীর অবস্ট্রাকশন বলা হয়। এই অবস্থায় জরুরিভাবে অপারেশন না করলে জীবনমরণ সমস্যা দেখা দিতে পারে।

ইনগুইনাল হারনিয়ার চিকিৎসা
অপারেশনই হচ্ছে এই রোগের একমাত্র চিকিৎসা। ছোট এবং প্রাথমিক পর্যায়ে অপারেশন করানোই উত্তম। কারণ এতে খরচ কম।
যদি আপনার হার্নিয়া ছোট থাকে এবং আপনার কোনো সমস্যা সৃষ্টি না করে তাহলে আপনার চিকিৎসক পর্যবেক্ষণ করার কথা ও অপেক্ষা করার কথা বলতে পারেন। কিন্তু হার্নিয়া যদি বড় হতে থাকে এবঙ ব্যথা হয় তাহলে অস্বস্তি দূর করতে ও মারাত্মক জটিলতা প্রতিরোধ করতে সাধারণত অপারেশনের প্রয়োজন হয়। হার্নিয়ার দু’ধরনের সাধারণ অপারেশন করা হয়ঃ
হার্নিয়োর‌্যাফি
এ পদ্ধতিতে আপনার সার্জন আপনার কুঁচকিতে একটা ইনসিশন দিয়ে বেরিয়ে আসা অন্ত্রকে ঠেলে পেটের মধ্যে ফেরত পাঠান। তারপর দুর্বল বা ছেঁড়া মাংসপেশি সেলাই করে ঠিক করে দেন। অপারেশনের পর যত তাড়াতাড়ি সম্ভব আপনি চলাফেরা করতে পারবেন, তবে স্বাভাবিক কাজ কর্মে ফিরে যেতে আপনার চার থেকে ছ’সপ্তাহ সময় লাগতে পারে।
হার্নিয়োপ্লার্স্টি
এ পদ্ধতিতে আপনার সার্জন কুঁচকি এলাকায় এক টুকরো সিনথেটিক মেশ লাগিয়ে দেন। সেলাই, ক্লিপ অথবা স্টাপল করে এটাকে সাধারণত দীর্ঘজীবী রাখা হয়। হার্নিয়ার ওপরে একটা একক লম্বা ইনসিশন দিয়েও হার্নিয়াপ্লাস্টি করা যেতে পারে। বর্তমানে ল্যাপারোস্কপির মাধ্যমে, ছোট ছোট কয়েকটি ইনসিশন দিয়ে হার্নিয়োপ্লাস্টি করা হয়। তবে হার্নিয়া বড় হলে ল্যাপারোস্কপির মাধ্যমে করা যায় না।
অপারেশন না করলে কি কি অসুবিধা হতে পারে
ধীরে ধীরে হারনিয়া আকার বড় হবে,
 তখন চিকিৎসা করা কঠিন ও ব্যয়সাধ্য হবে,
বড় হারনিয়ার ক্ষেত্রে মেস লাগানোর প্রয়োজন হবে,
অবস্ট্রাকটেড হারনিয়া হলে ইমারজেন্সি অপারেশন লাগবে এবং মৃত্যুর ঝুঁকি বাড়বে।

ইনসিসনাল হারনিয়া/অপারেশনের স্থানে হারনিয়া
অপারেশনের পর অপারেশনের স্থানে ইনসিসনাল হারনিয়া দেখা দেয়। রোগী বলবেন আমার অপারেশন লাইনটির সম্পূর্ণ স্থানে অথবা অংশবিশেষ জুড়ে ফুলে ওঠে। বিশেষ করে হাঁটা-চলা, হাঁচি-কাশি বা ভারী বস্তু উত্তোলন করলে এবং শুলে দেখা যায় না।
ইনসিসনাল হারনিয়া যে কারণে হয় :
* ইমারজেন্সি অপারেশন করলে
*অপারেশনের জায়গা পেকে গেলে এবং
* অদক্ষ সার্জন দ্বারা অপারেশন করলে এই রোগ হওয়ার ঝুঁকি থাকে বেশি।
চিকিৎসা : সার্জারিই একমাত্র চিকিৎসা। অপারেশন না করলে জটিলতার সৃষ্টি হতে পারে।
অপারেশনের পর কি আবার হতে পারে : 
অভিজ্ঞ সার্জন দ্বারা অপারেশন করিয়ে নিলে আবার হওয়ার ঝুঁকি থাকে খুব কম।
প্রতিরোধঃ 
যদি আপনার জন্মগত ত্রম্নটি থাকে যার কারণে ইনগুইনাল হার্নিয়া হতে পারে-সেটা আপনি প্রতিরোধ করতে পারবেন না, তবে নিচের পরামর্শগুলো মেনে চললে পেটের মাংসপেশি ও টিস্যু বা কালার টান কমাতে পারবেনঃ
স্বাস্থ্যকর ওজন বজায় রাখুনঃ যদি আপনার স্বাভাবিক ওজনের চেয়ে বেশি থাকে, তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ মতো ব্যায়াম ও খাদ্যগ্রহণ করুন।
উচ্চ আঁশ কোষ্ঠকাঠিন্য ও টানটান অবস্থা প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।
ভারী ব‘ উত্তোলনে সতর্ক হোনঃ পারত পক্ষে ভারী ব‘ উত্তোলন করবেন না। যদি একান্তই উত্তোলন করতে হয় তাহলে সর্বদা হাঁটু ভাঁজ করে শুরু করবেন, কখনো কোমর বাঁকাবেন না।
ধূমপান বন্ধ করুনঃ ধূমপান আপনার মারাত্মক রোগ যেমন ক্যান্সার, এমফাইসেমা ও হ্নদরোগের ঝুঁকি বাড়াতে পারে। এ ছাড়া ধূমপান সচরাচর দীর্ঘস্থায়ী কাশির সৃষ্টি করে, যা ইনগুইনাল হার্নিয়া সৃষ্টিতে উৎসাহ জোগায়। 
নেট থেকে সংগৃহীত। 

ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে একটিভ থাকুন

১লা মে দিবস / শ্রমিকের অধিকার আদায়ের দিন

১লা মে দিবসের ছবি ১লা মে আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস পালন করা হয়। ১লা মে মহান মে দিবস। ১লা মে বিশ্বের শ্রমজীবী মানুষের অধিকার আদায়ের দিন। ১৮৮৬ স...