আমাদের দেশের বিভিন্ন বয়সের মানুষ
প্রতিনিয়ত নানা ধরনের শারীরিক ব্যাধিতে ভোগেন। শরীরের বিভিন্ন
অঙ্গপ্রতঙ্গের ব্যাথা এর মধ্যে অন্যতম একটি ব্যাধি। অনেকেই এ ধরনের
ব্যাথাকে সারাজীবনের জন্য মেনে নেয়ার চিন্তা ভাবনা করেন। তবে একটু খেয়াল করলে এবং সামান্য কিছু সতর্কতা অবলম্বন করলে এধরনের টুকিটাকি ব্যাথা-বালাই নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব।
সাধারণত
বিভিন্ন বয়সী মানুষের মধ্যে কোমরে ব্যাথার প্রবণতা একটু বেশি দেখা যায়।
যেকোনো বয়সে কোমরে ব্যাথা হতে পারে। তবে ২৫ থেকে ৬৫ বছরের লোকদের মধ্যে এই
কোমরে ব্যাথা একটু বেশি চোখে পড়ে। নানাবিধ কারণে কোমরে ব্যাথা হতে পারে।
কোমরে ব্যাথার প্রধান কারণ হচ্ছে পিএলআইডি। এ রোগে মেরুদন্ডের
দু’হাড়ের মাঝে থাকা নরম হাড় বেরিয়ে এসে স্নায়ুতে চাপ দেয়। এর ফলে ব্যাথা
অনুভূত হয়। এ রোগে প্রথম দিকে ব্যাথা কম অনুভূত হয়। পরবর্তীতে ধীরে ধীরে
বৃদ্ধি পায়। এ রোগ হলে চিৎ হয়ে শুয়ে থাকলে ব্যাথা কম লাগে। তবে নাড়াচাড়া
করলেই বেশি ব্যাথা লাগে। এছাড়াও যারা কলকারখানায় ভারি কাজ করেন
তাদেরও
কোমরে ব্যাথা হতে পারে। বেশিরভাগ এক্ষেত্রে অনেকক্ষণ একনাগাড়ে দাড়িয়ে কাজ করলে বা অনেক্ষণ একইভাবে ঝুঁকে থেকে কাজ করলে কোমরে
ব্যাথার সৃষ্টি হয়। এভাবেই ব্যাথা একসময় নিয়মিত হয়ে যায়। আরো অনেক কারণে
কোমরের ব্যাথা হতে পারে। যেমন অতিরিক্ত ধুমপান, দুশ্চিন্তা, মেরুদন্ডে আঘাত, মেরুদন্ডের হাড়ের ক্ষয়, মেরুদন্ডের বাত, অস্টিওপোরোসিস, ইনফেকশন ইত্যাদি কারণে কোমরে ব্যাথা হতে পারে। কোমরের ব্যাথা নির্ণয়ের জন্য সাধারণত এক্স-রে এবং রক্তে রুটিন পরিক্ষাই যথেষ্ট। শতকরা ৯০ ভাগ সাধারণ চিকিৎসায় কোমরের ব্যাথা ভাল হয়ে যায়। যদিও কিছু কিছু ব্যায় বহুল চিকিৎসার প্রয়োজন হয়। তবে কোমরের ব্যাথা এমন কোনো মারাত্মক ব্যাধি নয় যাতে ভড়কে যেতে হবে। রোগীদের জন্য উপদেশ
০ ফোমের বিছানা বা সোফায় ঘুমাবেন না। শক্ত এবং সমতল বিছানায় ঘুমাবেন।
০ কাজ করার সময় বেল্ট ব্যবহার করবেন।
০ চেয়ারে বসার সময় ঘাড় ও পিঠ সোজা করে রাখবেন। হাতলওয়ালা চেয়ারে বসবেন।
০ দীর্ঘক্ষণ ঝুকে কোনো কাজ করবেন না।
০ উপুড় হয়ে শোবেন না।
০ মহিলাদের হাই হিল পরিত্যাগ করাই ভাল।
০ শরীরের ওজন লম্বা অনুপাতে রাখুন।
০ ব্যাথা অবস্থায় মালিশ করা এবং ব্যায়াম করা নিষেধ।
নেট থেকে সংগৃহীত।