সুস্থ থাকতে কে না চায়। কথাই আছে সুস্থ দেহ সকল সুখের মূল। কিছু বয়স হতে না হতেই দেহে যদি ভর করে বার্ধক্যের লক্ষণ তাহলে সকলেই বেশ
চিন্তিত হয়ে পড়েন। যৌবনটা বুঝি এবার চলেই গেল এইরকম মানসিক দুশ্চিন্তা ভর
করে কম বয়সেই। কিন্তু আমাদেরই কাজে এবং আমাদেরই চিন্তায় আমরা বুড়িয়ে চলেছি
প্রতিদিনই। আমরা যা করি, এমনকি যা চিন্তা করি তার ছাপ পরে আমাদের চোখে
মুখে। ফলে বয়সের আগেই হারাতে থাকি যৌবন। কিন্তু কিছু কাজ রয়েছে যা সাহায্য
করবে আপনাকে সুস্থ রাখতে। কি? বিশ্বাস হচ্ছে না? চলুন তবে দেখে নেয়া যাক
চিরতরুণ থাকতে আমাদের করণীয় কিছু কাজ।
ইতিবাচক চিন্তা ভাবনা
মানসিক চাপ আমাদের দেহের ওপর অনেক বড়
প্রভাব ফেলে। অনেকেই মানসিক চাপের কারণে কম বয়সেই বুড়িয়ে যান। আমাদের
মানসিক চাপের প্রধান কারণ হচ্ছে নেতিবাচক চিন্তাভাবনা। ইতিবাচক চিন্তা ভবনা
মানসিক চাপ একেবারে কমিয়ে দেয়। ইতিবাচক চিন্তা ভাবনা করলে আপনি মানসিক
ভাবে অনেক বেশি প্রাণবন্ত থাকতে পারবেন। যার প্রভাব পরবে আপনার চোখে মুখে।
আপনি থাকবেন চিরতরুণ।
ধূমপান ছেড়ে দিন
ধূমপান এমন একটি জিনিস যা জীবন থেকে জীবন
কেড়ে নেয়। ধূমপানের কারণে দেহ এবং মস্তিস্কের নানা রোগে আক্রান্ত হতে দেখা
যায় মানুষকে। স্ম্রিতিসক্তি লোপ, দৃষ্টিশক্তি লোপ, ক্যান্সার সহ নানা
মারাত্মক রোগ আপনাকে কম বয়সেই মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেবে। দেহে নিয়ে আসবে
বার্ধক্য। তাই ধূমপানের বদ অভ্যাসটি ত্যাগ করুন।
ব্যায়াম করুন প্রতিদিন
চিরতরুণ থাকতে চাইলে প্রতিদিন সময় ধরে
ব্যায়াম করার অভ্যাস গড়ে তোলাটা বেশ জরুরী। আপনি যদি নিয়মিত ব্যায়াম করেন
তবে আপনার দেহ থাকবে সুস্থ এবং ফিট। ফলে আপনি থাকবেন অনেকাংশেই হাসিখুশি।
কারণ স্বাস্থ্যই সকল সুখের মূল। শারীরিক সুস্থতার মাধ্যমে আপনি থাকতে
পারবেন চিরকাল তরুণ।
কমিয়ে দিন চিনি খাওয়া
চিনি আমাদের দেহকে মুটিয়ে যেতে সাহায্য
করে। এতে দেহ দিনকে দিন পরিনত হতে থাকে ফ্যাট সমৃদ্ধ মাংসপিণ্ডে। শরীরে
বাসা বাঁধতে থাকে নানা রোগ। এছাড়াও চিনির গ্লাইকোসিন ত্বকে রিংকেল তৈরি করে
। তাই চিনি থেকে দূরে থাকুন চিরতরুণ থাকতে চাইলে।
নেট থেকে সংগৃহীত
নেট থেকে সংগৃহীত