এখন বেলের মৌসুম। সম্ভব হলে নিয়মিত বেল খাবেন। বেল একটি পুষ্টিকর আর উপকারী ফল। কাঁচা পাকা দুটোই সমান উপকারী। এত ঘটা করে কেন বেল খেতে হবে
জানতে চাইলে বারডেম জেনারেল হাসপাতালের জ্যেষ্ঠ পুষ্টি ও পথ্যবিদ
শামছুন্নাহার নাহিদ বললেন, পাকা বেলে ভিটামিন ‘সি’ এবং ‘এ’ প্রচুর পরিমাণে
থাকে। এর ভিটামিন ‘সি’ দেহের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতাকে যেমন শক্তিশালী করে
তেমনি ছোঁয়াচে রোগগুলোর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার ক্ষমতা তৈরি করে শরীরে। বেলের
অন্য গুণাগুণগুলোও জেনে নেওয়া যাক।
- অন্ত্রের কৃমিসহ অন্যান্য জীবাণু ধ্বংস করার ক্ষমতা আছে বেলের। ডায়রিয়া এবং আমাশয় প্রতিরোধে বেল অনন্য।
- বেল নিয়মিত খেলে দীর্ঘদিনের কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়। এতে আঁশের পরিমাণও বেশি। আঁশযুক্ত শাকসবজি বা ফল হজমশক্তি বাড়ায়।
- ত্বকের ব্রণ ভালো করে বেল। তবে শুধু বেল খেলে চলবে না, ব্রণ ভালো হওয়ার জন্য খেতে হবে প্রচুর পানি, পুষ্টিকর খাবার, সেই সঙ্গে প্রয়োজন ত্বকের পরিচর্যা।
- বেল প্রজেস্টেরন হরমোনের মাত্রা বাড়িয়ে নারীদের বন্ধ্যাত্বের ঝুঁকি কমায়।
- এটি বিটাক্যারোটিনের ভালো উৎস। ফলে দৃষ্টিশক্তি ভালো থাকে।
- বেলে থাকা উপাদানগুলো সূর্যরশ্মির ক্ষতিকর প্রভাব থেকে রক্ষা করে। ত্বকের স্বাভাবিক রং ঠিক রাখে।
- এই ফল পাকস্থলীর আলসার নিরাময়ে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখে।
- বেলের উপাদান মিউকাস মেমব্রেনের গঠনে সহায়তা করে এবং ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায়।
- এটি শক্তিবর্ধক হিসেবে কাজ করে, শারীরিক সক্ষমতা বাড়ায়।
- শরীরে পানিজমা রোগপ্রতিরোধেও বেলের ভূমিকা অপরিসীম।
- বেলের থায়ামিন ও রিবোফ্লাভিন হূৎপিণ্ড এবং লিভার ভালো রাখতে সাহায্য করে।
- নিয়মিতভাবে বেল খেলে স্তন ক্যানসার ও ইউটেরাস ক্যানসারের ঝুঁকি কমবে নারীদের। এ ছাড়া কোলন ক্যানসার হওয়ার ঝুঁকিও কমায়।
- বেলের ভিটামিন ‘এ’ চোখের বাহ্যিক ও অভ্যন্তরীণ অঙ্গগুলোকে পুষ্টি জোগায়। যারা নিয়মিত বেল খায়, তাদের চোখের বিভিন্ন অসুখ গ্লুকোমা, জেরোসিস, জেরোপথ্যালমিয়া হওয়ার প্রবণতা থাকে তুলনামূলকভাবে কম।
সুত্রঃ গ্রন্থনা: সিদ্ধার্থ মজুমদার