আমাদের সমাজে, রোগ ব্যাধি বা বিপদাপদ থেকে রক্ষা পেতে তাবীজ, ধাগা, লোহা বা পিতলের বালা বা অনুরূপ বস্তু ব্যবহার করতে দেখা যায়। অথচ শরিয়তে এসবকে হারাম বলে ঘোষনা দেওয়া হয়েছে। কয়েকটি নির্দেশ দেখুন -
◆ রাসুল সা. বলেন – “যে ব্যক্তি কোন জিনিষ লটকাবে, তাকে ঐ জিনিষের দিকেই সোপর্দ করে দেয়া হবে”। [তিরমিযী, অধ্যায়ঃ কিতাবুত্ তিব্ব]
◆ “কোন উটের গলায় ধনুকের রশি বা গাছের ছাল দিয়ে তৈরী হার ঝুলানো থাকলে অথবা যে কোন মালা থাকলে সেটি যেন অবশ্যই কেটে ফেলা হয়।” [বুখারী, অধ্যায়ঃ কিতাবুত্ তিব্ব]
◆ “ঝাড়-ফুঁক করা, তাবীজ লটকানো এবং স্বামী বা স্ত্রীর মাঝে ভালবাসা সৃষ্টির জন্যে যাদুমন্ত্রের আশ্রয় নেয়া শির্ক”। [আবু দাউদ, অধ্যায়ঃ কিতাবুত্ তিব্ব]
◆ “যে ব্যক্তি তাবীজ লটকালো, আল্লাহ্ যেন তার উদ্দেশ্য পূর্ণ না করেন। আর যে ব্যক্তি রোগমুক্তির জন্যে শামুক বা ঝিনুকের মালা লটকালো, আল্লাহ্ যেন তাকে শিফা না দেন”। [হাকেম, ৪/২১৯]
◆ “যে ব্যক্তি তাবীজ লটকালো সে শির্ক করল”। [মুসনাদে আহমাদ, ৪/১৫৬]
◆ নবী (সাঃ) এক ব্যক্তির হাতে পিতলের একটি আংটা দেখে বললেনঃ এটি কী? সে বললঃ এটি দুর্বলতা দূর করার জন্যে পরিধান করেছি। তিনি বললেনঃ ‘তুমি এটি খুলে ফেল। কারণ এটি তোমার দুর্বলতা আরো বাড়িয়ে দিবে। আর তুমি যদি এটি পরিহিত অবস্থায় মৃত্যু বরণ কর, তাহলে তুমি কখনই সফলতা অর্জন করতে পারবে না”। [মুসনাদে আহমাদ]
◆ হুজায়ফা (রাঃ) দেখলেন এক ব্যক্তির হাতে একটি সুতা বাঁধা আছে। তিনি তা কেটে ফেললেন এবং কুরআনের এই আয়াতটি পাঠ করলেন – “তাদের অধিকাংশই আল্লাহকে বিশ্বাস করে; কিন্তু সাথে সাথে শিরকও করে”। [সূরা ইউসুফঃ ১০৬]
◆ সাঈদ বিন জুবায়ের (রাঃ) বলেনঃ যে ব্যক্তি কোন মানুষের শরীর থেকে একটি তাবীজ কেটে ফেলল, সে একটি গোলাম আযাদ করার সাওয়াব পেল।
এই ব্যাপারটা কোন বিতর্কিত ব্যাপার নয়। কুর’আন হাদীস এবং সাহাবাদের থেকে খুব পরিস্কার একটি ব্যাপার। তারপরেও আমাদের সমাজ তাবিজ কবজের জালে বন্দি হয়ে আছে। আসলে কিছু ভন্ড ধর্মব্যবসায়ী ধর্মের নামে তাবিজ, ধাগা দিয়ে বিশাল ব্যবসা দাড় করিয়েছেন। এদের কামায় ডাক্তারদের থেকে কম নয়। আল্লাহ আমাদের সঠিক পথ দেখান এবং শিরক থেকে বেঁচে থাকার তাওফিক দিন। আমীন!
সুত্রঃ নেট থেকে সংগৃহীত।বিস্তারিত islameraalo।