স্বাগতম

সবার জন্য উন্মুক্ত পেইজ ভিজিট করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ। *** শিক্ষার কোন বয়স নাই, জানার কোন শেষ নাই। *** বিঃদ্র ( যে সকল ব্লগ বা ওয়েবসাইট এর লেখা কোন অনুমতি ছাড়া কপি করে এখানে পোষ্ট করেছি, যদি কারো কোনো অভিযোগ থাকে দয়া করে জানাবেন। E-mail: nchafa10@gmail.com, ভালো লাগলে আবার আসবেন।***ধন্যবাদ***

সুস্থ হার্ট, সুস্থ শরীর সবাই কামনা করি

আমরা সবাই আল্লাহর কাছে দিনের শুরুতে শরীর সুস্থ থাকার জন্য কামনা করি। সুস্থ জীবন হল সুখের মুল। আমাদের শরীরের অনেক অঙ্গ-পতেংগ আছে। এক একটি এক এক রকমের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। যাহা আমরা কল্পনাও করতে পারিনা। তাহার জন্য রাব্বুল আলামিনের কাছে শুক্রিয়া জানাই। আসুন ভিবিন্ন অঙ্গ আমাদের কিভাবে সুস্থ রাখে জেনে নিই। 
হার্ট : আমাদের জীবনে গড়ে ২.৫ বিলিয়ন বার হৃৎপিণ্ড স্পন্দিত হচ্ছে। এই কম্পন চাপের মাধ্যমে দেহের প্রতিটি প্রত্যঙ্গে রক্ত পৌঁছে দিচ্ছে। রক্ত অক্সিজেনসহ প্রবাহিত হয়। এর সঙ্গে যাচ্ছে শক্তি, হরমোন ও অনেক উপাদান বা মলিকিউলস। এর মাধ্যমে দেহের বর্জ্য বের হয়ে যাচ্ছে।
হার্ট যখন বন্ধ হয়ে যায়, শরীরের অন্যান্য কার্যক্রমও বন্ধ হয়ে যায়। কোনোটি সঙ্গে সঙ্গে আবার কারও কার্যক্রম ধীরে ধীরে অকার্যকর হয়ে পড়ে।
ফুসফুস : স্পঞ্জের মতো নরম অসংখ্য ছোট-বড় রক্তবাহী শিরা-উপশিরা দ্বারা জড়ানো এই অঙ্গ। এর কাজ হল রক্তস্রোত অক্সিজেন সরবরাহ করা। এ ছাড়া কার্বন ডাই-অক্সাইড রক্ত থেকে বের করে এবং রক্তে ছোট ছোট জমাটবদ্ধ রক্তকণা ও দূষিত বর্জ্য বের করে দেয়। হৃদরোগ, ক্রনিক ফুসফুসের রোগ যেমন এমফাইসিমা ও অ্যাজমা ফুসফুসের গোলযোগ সৃষ্টি হয়। এর ফলে হার্টের ডান দিকের ভেন্টিকাল বড় হয়ে যায়। ফলে হার্ট ফেইলিউর হয়। রোগীদের উচ্চ রক্তচাপ হয়। হৃদস্পন্দনে সমস্যা হতে পারে। ঘুমের মধ্যে শ্বাস-প্রশ্বাস সমস্যা, বিশেষ করে স্লিপ অ্যাপনিয়া হয়ে হার্টে সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে।


কিডনি : শিমের মতো আকৃতির এই অঙ্গ দিনে ২২৫ লিটার রক্ত শোধন করে বর্জ্য ও অপ্রয়োজনীয় পানি শরীর থেকে বের করে দেয়। এ ছাড়াও শরীরের ইরাইথ্রোপয়েটিনবিমুক্ত করে অস্থিমজ্জা উজ্জীবিত করে রক্তের লোহিত কণিকা তৈরিতে সহায়তা করে। রক্তের চাপ নিয়মিত বা স্বাভাবিক রাখে। ভিটামিন ডি তৈরি করে যা হাড় ও হার্টের সঙ্গে সঙ্গে কিডনির সম্পর্কও গভীর। তাই কিডনির ক্ষতি হলে হার্টও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। হার্ট অ্যাটাক হয় ও স্ট্রোক হয়ে মৃত্যু হতে পারে। তাই হৃদরোগ কিডনি আক্রান্ত হওয়ার সতর্কবাণী দেয়।
মাংসপেশি : শক্তিশালী মাংসপেশি ডায়াবেটিস প্রতিরোধ করে। ডায়াবেটিস হার্ট ও ধমনীকে ধ্বংস করে। পেশি সক্রিয় হয়ে ব্যায়ামের মাধ্যমে ধমনীকে নমনীয় করে হার্টকে শক্তিশালী করে।
মস্তিষ্ক : উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা, নিঃসঙ্গতা, টেনশন, দুশ্চিন্তা, রাগ, জটিল মানসিক চাপ এবং অন্যান্য আবেগময় বিষয় হার্টকে অসুস্থ করে তুলতে পারে। স্ট্রেস হরমোন মস্তিষ্ক ও হার্টের যোগাযোগ মাধ্যম বলা যায়। এগুলো ধমনীকে অনমনীয় করে তুলতে পারে, হার্টবিট দ্রুত করে। হার্ট ও মানসিক স্বাস্থ্যের ক্ষতি করতে পারে। গবেষকরা বলেছেন, উচ্চ রক্তচাপ, কলেস্টেরলের কারণে ধমনীর রক্তপ্রবাহে বাধা, স্ট্রোক প্রভৃতি হয় এবং ধীরে ধীরে আলজিমার্স ও ডিমেনশিয়া রোগ সৃষ্টি হতে পারে। সিটি স্ক্যান ও এমআরআই করলে নিশ্চিত হওয়া যায়।
চোখ : উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিস চোখের শিরা-উপশিরাকে সঙ্কীর্ণ করে রক্ত চলাচল ব্যাহত করে দৃষ্টিশক্তি নষ্ট করে দিতে পারে।
থাইরয়েড গ্ল্যান্ড : থাইরয়েড গ্ল্যান্ডে গোলাযোগ হলে হার্ট স্পর্শকাতর হয়। অতি সক্রিয় থাইরয়েড গ্ল্যান্ড হৃদস্পন্দনকে অস্বাভাবিক করে তুলতে পারে। কখনও রক্তচাপ বাড়াতে পারে। বুকে ব্যথা সৃষ্টি করে। কখনও আবার হৃদস্পন্দনকে ধীরগতি করে তুলতে পারে। ফলে হার্ট ফেইলিউর হতে পারে।
ত্বক : ত্বক, হার্ট ও ধমনীতে সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। সোরিয়াসিস রোগ হৃদরোগের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট। যদিও এ রোগ হৃদরোগ সৃষ্টি করে না।
পেটে চর্বি : শরীরের যে কোনো জায়গায় চর্বি জমলে যে ক্ষতি হয়, তলপেটে চর্বি জমলে হার্টের বেশি ক্ষতি হয়। তলপেটের জমাটবদ্ধ চর্বি যখন বিমুক্ত হয়, তখন শিরা-উপশিরার মাধ্যমে লিভার, অগ্ন্যাশয় ও অন্যান্য অঙ্গে রক্তে প্রবাহিত হয়। এই চর্বি নানা ধরনের জ্বালা-যন্ত্রণা, রক্ত জমাট হওয়া, ডায়াবেটিস, লিভার ও কিডনিতে সমস্যা সৃষ্টি করে।
যৌনাঙ্গ : নারীর ডিম্বকোষ ও পুরুষের অণ্ডকোষ যে হরমোন তৈরি করে, তা হৃদস্বাস্থ্যকে প্রভাবিত করতে পারে। অল্প পরিমাণ হরমোন তৈরি পরবর্তী জীবনে হৃদরোগ সৃষ্টি করে।
টেস্টোসটেরন : এক সময় টেস্টোসটেরনকে নারী ও পুরুষের হার্টের শত্র“ বলে মনে করা হতো। কারণ এটা নর-নারীর হার্টের সমস্যা সৃষ্টি করে। আধুনিক গবেষণায় দেখা যায়, বৃদ্ধদের মধ্যে এটা খুব কম সমস্যা সৃষ্টি করে; বরং এটা রক্তবাহী ধমনীকে নরম করে প্রসারিত করে এবং প্রয়োজনমতো রক্ত সরবরাহ করে। রক্তচাপ এবং কলেস্টেরল লেভেল স্বাভাবিক রাখে। কম পরিমাণে টেস্টোসটেরন উৎপাদন ডায়াবেটিস-২ ও হাড় দুর্বল করে, মানসিক চাপ সৃষ্টি করে।
ইস্ট্রোজেন : মেয়েদের ডিম্বাশয়কে ক্ষুদ্র হরমোন কারখানা বলা যেতে পারে। এর সঙ্গে হৃদরোগের সম্পর্ক আছে। মেনোপজ না হওয়া পর্যন্ত ডিম্বাশয় হরমোন তৈরি করতে থাকে এবং ইস্ট্রোজেন প্রস্তুত অব্যাহত রাখে। এই হরমোন ধমনীকে নরম রাখে। তাই দেখা যায় পুরুষের হৃদরোগ হওয়ার ১০ বছর পর মেয়েদের হৃদরোগ হয়। ইস্ট্রোজেন ও প্রজেস্টেরনের হরমোন মেনোপজের পর হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়। ফলে স্ট্রোক, হার্ট অ্যাটাক ও ধমনীতে রক্ত জমাটবদ্ধ হয়ে জটিল সমস্যা সৃষ্টি করে।
পুরুষ হরমোন লেভেল বেড়ে গেলে মহিলাদের ডিম্বাশয়ে সমস্যা হয়। এর ফলে মেয়েদের অনিয়মিত মাসিক হয়। মুখে ও দেহে অনাকাক্সিক্ষত লোম হয়। এদের ধমনী শক্ত হয়ে যায়। কলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে যায়। বাড়ে রক্তচাপ। ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স হয়। ফলে হৃদদরোগের ঝুঁকি বাড়ে। এ রোগীদের অতি শিগগিরই হৃদরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেয়া প্রয়োজন।
হাড় : যাদের অস্টিওপোরোসিস রোগ আছে তাদের হৃদরোগের ঝুঁকি রয়েছে। অপরদিকে যাদের হৃদরোগের ঝুঁকি আছে তাদের অস্টিওপোরোসিসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি আছে।
বয়ঃবৃদ্ধির সঙ্গে শরীরে ক্যালসিয়াম ঘাটতি হয়। ফলে হাড় বা অস্থি দুর্বল হয়। এ সময়ে ধমনীতে ও ভাল্বে ক্যালসিয়াম জমা হয়। এটা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। ক্যালসিয়াম ঘাটতির জন্য হাড় ভাঙে। ধমনীতে ক্যালসিয়ামযুক্ত হয়ে হার্টের ভাল্বও শক্ত হয়ে যায়।
মেয়েদের ধমনীতে ক্যালসিয়াম পুরুষদের চেয়ে ছয় গুণ বেশি জমে এবং ধমনী সংকীর্ণ করে তোলে। মেয়েদের অস্টিওপোরোসিস রোগে আক্রান্ত হলে উচ্চতা এক ইঞ্চি কমে যায় এবং হৃদরোগে মৃত্যুর আশংকা বেশি।
লিভার : গ্রহণকৃত খাবার হজম করতে পাচক রস তৈরি থেকে শুরু করে ওষুধ, অ্যালকোহল ও টক্সিন ইত্যাদি ভেঙে দেয়। লিভার হচ্ছে আমাদের দেহের চর্বি তৈরি, জমা ও প্রক্রিয়াজাতকরণের কেন্দ্রীয় ক্লিয়ারিং হাউস। 

সুত্রঃ  নেট থেকে সংরিহিত 
ডা. শাহজাদা সেলিম

ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে একটিভ থাকুন

১লা মে দিবস / শ্রমিকের অধিকার আদায়ের দিন

১লা মে দিবসের ছবি ১লা মে আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস পালন করা হয়। ১লা মে মহান মে দিবস। ১লা মে বিশ্বের শ্রমজীবী মানুষের অধিকার আদায়ের দিন। ১৮৮৬ স...