স্বাগতম

সবার জন্য উন্মুক্ত পেইজ ভিজিট করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ। *** শিক্ষার কোন বয়স নাই, জানার কোন শেষ নাই। *** বিঃদ্র ( যে সকল ব্লগ বা ওয়েবসাইট এর লেখা কোন অনুমতি ছাড়া কপি করে এখানে পোষ্ট করেছি, যদি কারো কোনো অভিযোগ থাকে দয়া করে জানাবেন। E-mail: nchafa10@gmail.com, ভালো লাগলে আবার আসবেন।***ধন্যবাদ***

খৎনা বা মুসলমানি কি

খৎনা বা মুসলমানি। 

ইসলাম খৎনা এটি হল 'সুন্নত'. সুন্নাতে মুয়াক্কাদা, এটি করা ভালো। এ বিধানটি হল 'মুস্তাহাব' অর্থাৎ ইসলামে খৎনা দেয়া সুন্নত, এটি ফরজ না। খৎনা দেয়ার অনেক কারণ আছে। আজকের বিজ্ঞান আমাদের বলে যদি কোন লোক খৎনা করে তাহলে তার লিঙ্গে ক্যানসার হওয়ার সম্ভাবনা কম। যদি খৎনা দেয়া না থাকে তাহলে সম্ভাবনা বেশি। কিছু রোগ আছে যেগুলো প্রতিরোধ করা যায় যদি খৎনা দেয়া থাকে।

খৎনা বা মুসলমানি কি? বা,  সুন্নতে খতনা কিভাবে করে

পুরুষ অঙ্গ সামনের বা মাথার দিকে যে অতিরিক্ত স্কিন পুরম্নষাঙ্গের সংবেদনশীল মাথাকে ঢেকে রাখে তা কর্তন করাকে বুঝায়।
সহজ ভাবে বলতে গেলে, ইসলাম শরিয়ত মতে পুরুষের নুনু বা বোদা বা ধন্বাযৌন অঙ্গ বা যৌনাঙ্গের সামনের চামড়া কেটে অপসারণ করাকে খৎনা বলে। 
 
খৎনা বা মুসলমানি করার প্রয়োজনীয়তা :
(ক) ধমর্ীয় কারণে মুসলমান ও খ্রীস্টানরা খৎনা করিয়ে থাকে।
(খ) ফাইমোসিস বা প্যারা ফাইমোসিস রোগ হলে খৎনা বা মুসলমানি করাতে হয়।
ফাইমোসিস হলো পুরম্নষাঙ্গের মাথার দিকের চামড়া যদি এমনভাবে মূত্রনালীকে ঢেকে রাখে যে বাচ্চা বা রোগীর প্রস্রাব ঠিকমতো বের হতে পারে না। যার ফলে প্রস্রাবের সময় কান্নাকাটি করে এবং প্রস্রাবের সময় মাথাটা ফুলে ওঠে। এইভাবে বেশিদিন চলতে থাকলে প্রস্রাবে ইনফেকশন ও কিডনি ফেইলিওর হতে পারে।
পেরাফাইমোসিস পুরম্নষাঙ্গের মাথার দিকের চামড়া উল্টে টাইট হয়ে যায়, যার ফলে চামড়াটাকে আর সামনে ও পেছনের দিকে নাড়াচাড়া করা যায় না। একইসঙ্গে মাথার দিকে ফুলে যায় এবং রক্ত চলাচল ব্যাহত হয়। এই উভয় ৰেত্রেই জরম্নরীভিত্তিতে খৎনা করা প্রয়োজন।
আরও নানাবিধ কারণে খৎনা দরকার হয়। যেমন পুরম্নষাঙ্গের চামড়া অনেক সময় প্যান্টের চেনের সাথে আটকে গেলে। রোগী চাইলেও যেকোন ধর্মাবলম্বী লোকের খৎনা করা হয়।
খৎনা বা মুসলমানি করালে কি উপকারিতা :
পুরম্নষাঙ্গের ক্যান্সার প্রতিরোধ করা হয়।
পুরম্নষাঙ্গের ক্যান্সার মুসলমান ও খ্রীস্টানদের মধ্যে নেই বললেই চলে। তার প্রধান কারণ খৎনা। পুরম্নষাঙ্গের মাথার বাড়তি চামড়ার নিচে এক ধরনের পদার্থ (স্মেগমা) জমে এবং এই স্মেগমাই পুরম্নষাঙ্গের ক্যান্সারের জন্য দায়ী।
কখন খৎনা করা যাবে না : হাইপোষপেডিয়াসিস রোগ।
হাইপোস্পেডিয়াসিস এটা পুরম্নষাঙ্গের জন্মগত ত্রম্নটি। এখানে মনে হবে বাচ্চা জন্মগতভাবে খৎনা হয়ে এসেছে। এই ৰেত্রে পুরম্নষাঙ্গের বাড়তি চামড়া এই জন্মগত ত্রম্নটি মেরামতের সময় প্রয়োজন হয়। তাই খৎনা করানো নিষেধ।
খৎনা করার পূর্বে রক্ত পরীৰা করার প্রয়োজন আছে কি?
অবশ্যই আছে, খৎনার পর কিছু খৎনার রোগীর বিস্নডিং বন্ধ হয় না এবং মরণাপন্ন অবস্থায় আমাদের কাছে হাজামরা পাঠায়। তাই খৎনার পূর্বে বাচ্চার অবশ্যই রক্তৰরণজনিত সমস্যা (জন্মগত) আছে কি না তা দেখে নিতে হবে।
খৎনা করার কি কি জটিলতা দেখা দিতে পারে :
রক্তৰরণ বন্ধ না হওয়া।
হাজাম বা অনভিজ্ঞতার কারণে অতিরিক্ত বা কম চামড়া কেটে ফেলা। পুরম্নষাঙ্গের সংবেদনশীল মাথা কেটে ফেলা। হাজামরা খৎনা করে বস্নাইন্ডলি অর্থাৎ মাথার অগ্রভাবে চামড়া মাথা থেকে সঠিকমতো না ছাড়িয়ে, না দেখে কেটে ফেলতে গিয়ে এই ধরনের মারাত্মক দুর্ঘটনা ঘটিয়ে থাকে।
ইংল্যান্ডসহ পৃথিবীর সমসত্ম দেশে এই খৎনাকে অত্যনত্ম গুরম্নত্বের সঙ্গে দেখা হয় এবং খৎনা কনসালটেন্ট সার্জন ছাড়া করা হয় না। কারণ খৎনা করতে গিয়ে যেকোন দুর্ঘটনা বাচ্চার ভবিষ্যত জীবন জটিল করে তুলতে পারে।

সুত্রঃ ডা. এম এ হাসেম ভূঁইয়াঅধ্যাপক সার্জারি ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল।


মেয়েদের খৎনা পুরুষের খৎনা বা মুসলমানী খুব সাধারন একটি বিষয় যা পৃথিবীর বহু দেশেই ব্যাপক ভাবে প্রচলিত। চিকিৎসা বিজ্ঞানীদের মতে পুরুষের খৎনা স্বাস্থ্য সম্মতও। তবে মেয়েদের খৎনা ততটা কমন না হলেও বিশ্বের প্রায় ২৮টি দেশে তা পালন করা হয়।
তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, মেয়েদের খৎনা হচ্ছে অবৈজ্ঞানিক একটি বর্বর প্রথা।
জানা যায়, আফ্রিকা বিশেষ করে মিশর, ইথিওপিয়া, এশিয়া ও মধ্যপ্রাচ্যের কিছু দেশে মেয়েদের খৎনা প্রথাটি প্রচলিত আছে। আর এই খৎনার মাধ্যমে নারীদের যৌনাঙ্গের একটি অংশকে কেটে ফেলে দেয়া হয়।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরিসংখ্যান অনুযায়ী বিশ্বের প্রায় ১৪০মিলিয়ন নারী এই বিভৎস অভিজ্ঞতার মুখোমুখী হন। এর মধ্যে ১০১ মিলিয়নই আফ্রিকাতে।
ফিমেল জেনিটাল মিউটিলেশন বা স্ত্রী খৎনা সাধারনত চার থেকে দশ বছর বয়সী মেয়েদের করানো হয়। প্রচলিত চাকু, কাচি, ব্লেড দিয়ে গ্রামের অশিক্ষিত হাজাম দিয়ে এই খৎনা করানো হয়। এই প্রথাটি পুরুষ-নারী সবার ভিতরেই বদ্ধমূল হয়ে আছে। চাইলেই এই প্রথাকে দূর করা সম্ভব নয়। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এটাকে নারীদের সতীত্ব ও সম্মানের একটি প্রতীক হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
এর মাধ্যমে নারীর যৌন কামনাকে প্রশমিত করা হয়। নারীর যৌনাঙ্গের যে অংশটুকু স্পর্শকাতর মূলত সেই অংশটুকুই কেটে ফেলা হয়। যাতে তীব্র যৌনাকাঙখা অনুভব না করে অথবা একেবারেই যৌন অনুভূতি না থাকে।
তবে সম্প্রতি ২০১২ সালে ইউনাইটেড নেশনস জেনারেল এ্যাসেম্বলিতে একটি নীতিমালা পাস করা হয় এই পৈশাচিক প্রথাকে বাদ দেয়ার জন্য। ইউনাইটেড নেশনস জেনারেল এ্যাসেম্বলিতে উগান্ডার মানবাধিকার কর্মী সিলভিয়া ট্যামেল তার এক গবেষণা পত্রও এই সময় প্রকাশ করেন। কিন্তু আফ্রিকান জাতীসমূহ এর বিরোধীতা করে।
ট্যামেল ভায্যমতে, এই প্রথাটি হচ্ছে সভ্যতার সবচেয়ে জঘন্যতম প্রথা। এই প্রথার মাধ্যমে নারীদেরকে শুধুই যৌন দাসী করে রাখার এক গভীর চক্রান্ত কাজ করে। কারণ নীচু মানসিকতা সম্পন্ন এইসব সমাজের পুরুষের কাছে নারী কেবলই যৌনকর্ম করার যন্ত্র ছাড়া আর কিছুই না। স্ত্রী খৎনা করানো হলে ঐ নারী চিরদিনের মত যৌন অনুভূতি হারিয়ে ফেলে। অনেক ক্ষেত্রে নারীর জননতন্ত্রের ভগাঙ্কুর কেটে ফেলে দিলে অনেক কিশোরী সারা জীবন এর জটিলতা বয়ে বেড়ায় । কোন কোন ক্ষেত্রে মৃত্যুও ঘটে।
এ বিষয়ে শৈল্য চিকিৎসক নাহিদ টবুয়া বলেন, সাধারণত দুই-তিন ধরণের ফিমেল জেনিটাল মিউটিলেশন বা স্ত্রী খৎনা করা হয়ে থাকে। প্রথম পদ্ধতিতে মেয়েদের ক্লাইটরিসরের একটি অংশ কেটে ফেলা হয়। আর দ্বিতীয় পদ্ধতিটি আরো বেশী ভয়ঙ্কর, এ পদ্ধতিতে তাদের যৌনাঙ্গের একটি বড় অংশ কেটে ফেলে দেয়া হয়। আর এ পদ্ধতি খুবই বিপদজনক। তিনি এবিষয়ে আন্তর্জাতিক গোষ্ঠিগুলোর সহয়তা কামনা করেন।
লিঙ্কঃ http://www.hello-today.com

ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে একটিভ থাকুন

১লা মে দিবস / শ্রমিকের অধিকার আদায়ের দিন

১লা মে দিবসের ছবি ১লা মে আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস পালন করা হয়। ১লা মে মহান মে দিবস। ১লা মে বিশ্বের শ্রমজীবী মানুষের অধিকার আদায়ের দিন। ১৮৮৬ স...