চা-এর দোকানে বসে গ্রামের কিছু মানুষ আড্ডা দেওয়ার আসর বসাই। কি আর করবে সারা দিন কাজ কর্ম করে বিনোদনের জন্য এমন করে থাকে আবার কিছু অলস লোক আছে সারা দিন কাজ কর্ম না করে শুধু দোকানে বসে বসে আড্ডা মারে। এই আড্ডার মাঝে যে জারে পারে চাপার জুড় দিয়া চাপা বাজী করে একে উপরে থাকে ছাই। এই ভাবে চাপা বাজীর কথা এক জন অন্য জনকে বলে। দোকানে বসে থাকা বাকি লোক জন শুনে। কি যে মজা গল্প শুনা। যে শুনে সেই জানে, গল্পের মজা। দোকান দারের কোন সমস্যা নাই বরং লাভ। দুই একটা চা বিক্রি করতে পারবে চাপা বাজী আসরের কারনে। এতো প্যাঁচাল করে সময় নষ্ট করে লাভ কি আসল কথাই আসি।
ওরা তিন চাপা বাজীর মেম্বারঃ
প্রথম জন বলেঃ
প্রথম জন বলেঃ
আমার দাদার একটা কুত্তা (কুকুর) ছিল। মানুষের মত কথা বলতো আর গরুর মত ঘাস খেত!!!!! কি অদ্ভুদ কথা কেউ আগে শুনছেন? দোকানের বাকি সব লোক এর কথা শুনে হা করে আছে। এইবার...
দ্বিতীয় জন বেটটি দিয়ে বলেঃ
আরে রাখ। তোর দাদার কুত্তার ছেয়ে আমার নানার বিড়াল ছিল বড় ডিয়ারিং। পাড়ার যত কুত্তা (কুকুর) ছিল, সব কুত্তার গায়ে একবার হলেও ওঠেছে!!!!! এর কথা শুনে দোকানের হা করে বসে থাকা লোকের মুখে একটু হাসির আওয়াজ শুনা গেল। বুদ্ধির মাইর কারে কই বুঝলেন? প্রথম চাপা বাজকে কি ভাবে উপমান করল। এরই না দোকানে আড্ডা মারা। কি আনন্দ। সবাই মিলে মিশে কত মজা করতেছে। আর এখন বর্তমান দেশের কি অবস্তা বলার কিছু নাই, এইবার আপনার পরের জনের কথা শুনে।
তৃতীয় জনে বলেঃ
তোদের কথা শেষ হলে আমার কথা মন দিয়ে শুন না হলে বিপদের পরে যাবি। হাহাহাহা-- সবাই আবার চুপ করে আছে কি এমন কথা বলবে এই দুই চাপা মারা লোকে।
শুন বেটা শুন তোরা, আমি বাজারে গিয়ে শুনলাম। আকাশে চলন্ত একটি বড় বিমানকে, বাসে ধাক্কা মেরে নিছে পেলে দিয়েছে। খুশির খবর হল মানুষ জন মরে নাই কিন্তু পাশে একটি কুত্তা ও বিড়াল মরা পাওয়া গেছে!!!!! হেহেহেহেহেহে-- শুনলে এই চাপা বাজের গল্প। কি ভাবে আগের চাপা বাজদের চাপা মেরে উপমান করে দিল। এই হল বিনোদন মনের খোরাগ। আর কি বলব। বললে হইত আমিও আপনাদের কাছে চাপা বাজ হয়ে যাব। হাহাহাহাহাহা।