মোহর ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ ফরয, কিন্তু এ বিষয়ে সমাজে চরম অজ্ঞতা ও উদাসীনতা বিরাজমান। দ্বীন-ধর্মকে ভালবাসেন এবং নামায-রোযা করেন এমন
অনেক মানুষও মোহরের বিষয়ে সচেতন নন। এ বিষয়ে উদাসীনতা এত প্রকট যে,
অনেকে নফল নামায পড়াকে যতটা গুরুত্বপূর্ণ মনে করেন, মোহর আদায়কে তার সিকি
ভাগও মনে করেন না। অথচ তা একটি ফরয বিধান ও বান্দার হক, যা আদায় করা
ছাড়া মানুষ প্রকৃত দ্বীনদার হতে পারে না। এজন্য প্রথমেই দরকার মোহরের
গুরুত্ব উপলব্ধি করা। এরপর তা আদায়ে সচেষ্ট হওয়া। ঈমানদার ভাইদের মাঝে
যেন এই অবহেলিত ফরয বিধানটি সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টি হয়-এই শুভ কামনা
থেকেই বর্তমান সংখ্যার এই সামান্য আয়োজন। এখানে মোহর বিষয়ে চারটি লেখা
পত্রস্থ হল।
অনিচ্ছা কৃত লজ্জা
ছোট বেলার নানান রকমের কথা কম বেশী সবাইর মনে পড়ে। আজ লজ্জার কথা মনে করে হাস্তেছি। আসলে এই লজ্জা কিসের জন্য তাহা নিজেও যানি না। হাঁসতে হাঁসতে আপনাদের সাথে শেয়ার করতেছি। আমার মত হইত আপনারও কোনকোন ভাবে লজ্জা পেতেন। হইত আমি একটু বেশী লজ্জার মালিক চিলাম।
ইসরে, কি লজ্জা মাথা উঁচু করতে পারিনা। ছোট বেলাই পাড়ার ছেলেরা সবাই মিলে স্কুলে যেতাম দেরি করে, পিচনের টেবিলে বসার জন্য। দেরি করে যাওয়ার মূলে ছিল লজ্জা। এই লজ্জা কেন লাগত এখন বুঝে ওঠতে পারিনাই। যাইহোক, মেয়েদের সাথে লজ্জার কারণে কথা বলতে পারতাম না। মেয়েদের দেখলে বা একা থাকলে শরিরে কেন যানি ঠাণ্ডা ঠাণ্ডা ভাব অনুভুতি হত। মনে হচ্ছে কে যেন শরিরে ঠাণ্ডা পানি ছিটে দিচ্ছে ওহুরে কি লজ্জা।
শ্রেণী কক্ষে পড়া না পারলে মাস্টার সাহেবের লাঠির বাড়ি খেয়ে টেবিলে উপর মাথা রেখে বসে থাকতাম। ওহুরে কি লজ্জা, কাওকে কিছু করে দেখাতে পারি না। এত লজ্জা লাগে কেন নিজেও বলতে পারি না। ছোট বেলার কথা মনে পরলে শুধু হাসি পাই।
আত্মীয়র বাড়িতে বেড়াতে যাইতামনা লজ্জার কারনে। কেউ দেখে পেলবে ওহুরে কি লজ্জা। লজ্জার কারণে কোথাই যেতে চাইতাম না। যদিও না গিয়ে পারবনা, তাহলে ঠিক দুপুরে আর না হই রাতের আঁধারে আত্মীয়র বাড়িতে গিয়ে তারাতারি ঘরের ভিতর প্রবেশ করতাম । হটাত আমাকে দেখে চমকে যেত সবাই এই সময় কোথায় থেকে আসলাম। তখনো লজ্জাই লাল হয়ে হাত বা মাথা চুল্কাতে চুল্কাতে মাথা নিচু করে রেখে বলতাম বাড়ি থেকে। খাওয়ার সময় মাথা নিচু করে থালার দিকে তাকিয়ে থাকতাম আড় চুখে সবাইকে দেখার চেষ্টা করতাম কি যে লজ্জা পেট ভরে খাইতে পারিনা পেটে খিদে রেখে ওঠে যাওয়া। আহারে কি লজ্জা, মেয়ে লোক দেখলে বিষণ লজ্জা লাগে বলে সবাই আমাকে নিয়ে আর বেশী করে লজ্জা দিতে ভালবাসত। এই দিকে মাথাই রাগ জমা হইতেছে। কতক্ষনে ওখান থেকে পালাব এই চিন্তা।
আর এখন লজ্জা শরমের মাথা খাইছি কিন্তু আত্মীয়র বাড়িতে যাওয়ার সময় পাইনা। আসলে মনে যা চাই করতে পারিনা বলে এত লজ্জা ও কষ্ট স্বীকার করে বেঁচে আছি।
এতে সদস্যতা:
পোস্টগুলি (Atom)
-
অনেকে বিভিন্ন প্রয়োজনে ফটোশপে ছবির কাজ করি কিন্তু ছবি/ Photo size নিয়ে চিন্তায় পড়ে যায়। কিভাবে ছবির সাইজ করব? চিন্তার কোন কারণ নেই, চ...
-
গাছ মাপের হিসাব, গাছের ফুট হিসাব, সাইজ কাঠের হিসাব, কাঠ পরিমাপের সূত্র ইত্যাদি সবাই জানে না। বর্তমান প্রযুক্তির যুগে অনলাইন থেকে google মা...
-
songkipto shopder ortho বুঝি আর না বুঝি বিভিন্ন সময়ে নানান প্রয়োজনে দলিল ঘাঁটাঘাঁটি করতে হয়। আমরা আমজনতা অনেকেই অনেক কিছু জানি না বা বুঝিনা...
ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে একটিভ থাকুন
১লা মে দিবস / শ্রমিকের অধিকার আদায়ের দিন
১লা মে দিবসের ছবি ১লা মে আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস পালন করা হয়। ১লা মে মহান মে দিবস। ১লা মে বিশ্বের শ্রমজীবী মানুষের অধিকার আদায়ের দিন। ১৮৮৬ স...