ছোট বেলার নানান রকমের কথা কম বেশী সবাইর মনে পড়ে। আজ লজ্জার কথা মনে করে হাস্তেছি। আসলে এই লজ্জা কিসের জন্য তাহা নিজেও যানি না। হাঁসতে হাঁসতে আপনাদের সাথে শেয়ার করতেছি। আমার মত হইত আপনারও কোনকোন ভাবে লজ্জা পেতেন। হইত আমি একটু বেশী লজ্জার মালিক চিলাম।
ইসরে, কি লজ্জা মাথা উঁচু করতে পারিনা। ছোট বেলাই পাড়ার ছেলেরা সবাই মিলে স্কুলে যেতাম দেরি করে, পিচনের টেবিলে বসার জন্য। দেরি করে যাওয়ার মূলে ছিল লজ্জা। এই লজ্জা কেন লাগত এখন বুঝে ওঠতে পারিনাই। যাইহোক, মেয়েদের সাথে লজ্জার কারণে কথা বলতে পারতাম না। মেয়েদের দেখলে বা একা থাকলে শরিরে কেন যানি ঠাণ্ডা ঠাণ্ডা ভাব অনুভুতি হত। মনে হচ্ছে কে যেন শরিরে ঠাণ্ডা পানি ছিটে দিচ্ছে ওহুরে কি লজ্জা।
শ্রেণী কক্ষে পড়া না পারলে মাস্টার সাহেবের লাঠির বাড়ি খেয়ে টেবিলে উপর মাথা রেখে বসে থাকতাম। ওহুরে কি লজ্জা, কাওকে কিছু করে দেখাতে পারি না। এত লজ্জা লাগে কেন নিজেও বলতে পারি না। ছোট বেলার কথা মনে পরলে শুধু হাসি পাই।
আত্মীয়র বাড়িতে বেড়াতে যাইতামনা লজ্জার কারনে। কেউ দেখে পেলবে ওহুরে কি লজ্জা। লজ্জার কারণে কোথাই যেতে চাইতাম না। যদিও না গিয়ে পারবনা, তাহলে ঠিক দুপুরে আর না হই রাতের আঁধারে আত্মীয়র বাড়িতে গিয়ে তারাতারি ঘরের ভিতর প্রবেশ করতাম । হটাত আমাকে দেখে চমকে যেত সবাই এই সময় কোথায় থেকে আসলাম। তখনো লজ্জাই লাল হয়ে হাত বা মাথা চুল্কাতে চুল্কাতে মাথা নিচু করে রেখে বলতাম বাড়ি থেকে। খাওয়ার সময় মাথা নিচু করে থালার দিকে তাকিয়ে থাকতাম আড় চুখে সবাইকে দেখার চেষ্টা করতাম কি যে লজ্জা পেট ভরে খাইতে পারিনা পেটে খিদে রেখে ওঠে যাওয়া। আহারে কি লজ্জা, মেয়ে লোক দেখলে বিষণ লজ্জা লাগে বলে সবাই আমাকে নিয়ে আর বেশী করে লজ্জা দিতে ভালবাসত। এই দিকে মাথাই রাগ জমা হইতেছে। কতক্ষনে ওখান থেকে পালাব এই চিন্তা।
আর এখন লজ্জা শরমের মাথা খাইছি কিন্তু আত্মীয়র বাড়িতে যাওয়ার সময় পাইনা। আসলে মনে যা চাই করতে পারিনা বলে এত লজ্জা ও কষ্ট স্বীকার করে বেঁচে আছি।