স্বাগতম

সবার জন্য উন্মুক্ত পেইজ ভিজিট করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ। *** শিক্ষার কোন বয়স নাই, জানার কোন শেষ নাই। *** বিঃদ্র ( যে সকল ব্লগ বা ওয়েবসাইট এর লেখা কোন অনুমতি ছাড়া কপি করে এখানে পোষ্ট করেছি, যদি কারো কোনো অভিযোগ থাকে দয়া করে জানাবেন। E-mail: nchafa10@gmail.com, ভালো লাগলে আবার আসবেন।***ধন্যবাদ***

আত্মহত্যাকে না বলুন

আত্মহত্যা- বিষয়টি আবেগ নিয়ে দেখা উচিত, না ঘৃণা নিয়ে, আমি জানি না। একটা মানুষ কতটা অসহায় হলে নিজেকে মেরে ফেলতে পারে, সেটা আসলে আমাদের কারোই জানা নেই। একটা মানুষ কতটা দুর্বল হলে লড়াই না করে মরে যায়, সেটাও কিন্তু আমরা জানি না। আমাদের একটা খুব অদ্ভুত অভ্যাস আছে। আমরা, মানে বাঙালিরা সহানুভূতি দেখতে খুব পছন্দ করি। এই যেমন কেউ মারা গেলে স্বজনদের মধ্যে যে সবচেয়ে বেশি কেঁদেছে তার প্রতি আমাদের সম্মান যেন বেড়ে যায়। আর যে কাঁদতে পারেনি, তার ভালোবাসা নিয়ে সন্দেহ জাগে। স্বামী মারা গেলে যদি স্ত্রী না কাঁদে- কেউ কেউ মনে করে- ওই নারী হয় আরেকটা বিয়ে করবে, নইলে তার পরকীয়া ছিল! বোন মারা গেলে যদি ভাই না কাঁদে- কেউ কেউ মনে করে- ওই ভাই সম্পত্তি পাওয়ার আনন্দে কাঁদছে না! মা-বাবা মারা গেলে সন্তানকে কেঁদে কেঁদে সবার কাছে দোয়া চাইতে হবে। সন্তান মারা গেলে মা পাগলের মতো করবে- এটাই যেন আমাদের সমাজের রীতি হয়ে গেছে। নিজেকে ছাড়া সবাইকে অপরাধী ভেবে যারা আনন্দ পাওয়ার চেষ্টা করেন, তারা প্রকৃতপক্ষে অস্বাভাবিক বা অসুস্থ মানসিকতারই পরিচয় দেন। ‘আপনি কখনও মরে যেতে চেয়েছেন বা এতটা হেরে গেছেন- যে অবস্থায় মরতে ইচ্ছা করত?’

এমন প্রশ্ন নিয়ে যদি গবেষণা করা যায়, আমি বাজি ধরে বলতে পারি শতকরা ৯৯ ভাগ লোকের উত্তর ‘হ্যাঁ’ হবে। আত্মহত্যা একধরনের মানসিক অসুস্থতা। সেলফ হার্ম টেন্ডেন্সি বা নিজের ক্ষতি করার মানসিকতাকে আমরা সাদামাটাভাবে আত্মহত্যার মূল কারণ বললেও নিজের ক্ষতি করার প্রবণতা আর আত্মহত্যার মধ্যে রয়েছে বিশাল পার্থক্য। নিজের ক্ষতি করার প্রবণতাও একসময় আত্মহত্যার প্রবণতার দিকে মোড় নিতে পারে। তবে নেবেই তা কিন্তু নয়। মনোরোগ বিশেষজ্ঞরা বলেন, আত্মহত্যার প্রবণতা রাতারাতি তৈরি হয় না। এটি অনেকদিন ধরেই মানুষের ভেতর থাকে। বারবার কোনো ব্যর্থতায় নিজেকে মেরে ফেলতে চাওয়া মানুষ একসময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে।

তখন হয়তো দেখা যায়, অনেক ছোট ঘটনাতেই ‘ওই ব্যক্তিটি’র আর বাঁচার আগ্রহ থাকে না। আত্মহত্যা এমন এক ধরনের অস্বাভাবিক মানসিক অবস্থা- কখনও কখনও কোনো ব্যক্তি নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না, এই ব্যাপারটা নিয়ে ‘ওই ব্যক্তি’ কারও সঙ্গে কথা বলার মতো অবস্থায়ও থাকে না। আমার প্রায়ই মনে হয়, আমরা মনের যত্নও নিতে জানি না। যৌন রোগে পর্যন্ত খোলামেলা কথা বলতে পারি অথচ আমাদের মনের অসুখের যেন কোনো দাম নেই। মানসিক যে কোনো সমস্যাকে আমরা ধামাচাপা দিতে চাই। কখনও কেউ যদি নিজের কথা বলতেও চায়, এক বাক্যে ধরে নিই- সে পাগল হয়ে যাচ্ছে। পাগল হওয়া বা মানসিক সমস্যার মধ্যে দুঃখবোধ থাকতে পারে, আনন্দ পাওয়ার বা রেকজনকে কথা শোনানোর যে কিছু নেই, সে শিক্ষাও আমাদের জন্য অতি জরুরি। ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে আত্মহত্যাটা আজকাল খুব চোখে পড়ছে। এ প্রবণতার মূল কারণ হতে পারে- হানুভূতি পাওয়া, আর নিজের প্রচারণা। আত্মহত্যার পর- বিষয়টি খবরের কাগজের হেডলাইন হবে, নিউজ চ্যানেলে লাইভ হবে, ফেসবুকে বড় বড় স্ট্যাটাস লেখা হবে, ভার্চুয়াল একটা ইভেন্ট হবে, একটা পোর্ট ফোলিও তৈরি হবে...। কিন্তু এরপর?
প্রতিযোগিতার যুগ। অত সময় আমাদের হাতে নেই। এসব লাইভ টেলিকাস্ট আর পত্রিকার হেডলাইনে এসে রাতারাতি হিরো হয়ে যাওয়ার নেশাটা একটা অপরিপক্ব মানুষকে প্রছন্নভাবে আত্মহত্যার দিকে আগ্রহী করছে। আমরাও আত্মহত্যাকারীকে দুর্বল, অসহায় ও নিষ্পাপ বানিয়ে ঘটনা এমনভাবে সাজাচ্ছি যে এমন ঘৃণ্য একটা কাজ প্রশ্রয় পেয়ে যাচ্ছে।
যে মানুষ নিজের সমস্যা সমাধান করতে ব্যর্থ, যার কাছে ভালোবাসার মূল্য নেই তাকে যদি আমরা ইস্যু বানিয়ে ফেলি তাহলে এই সমাজের ভবিষ্যৎ কী, সেটাও আমাদের আরেকটু ভেবে দেখা জরুরি। সন্তানকে মাত্রাতিরিক্ত আদর বা শাসন, অন্যের ব্যক্তিগত স্বাধীনতার দাম না দিতে পারা, ইগো আর জেদকে প্রশ্রয় দেয়ার ফলে অনাকাঙ্ক্ষিত কোনো কিছু ঘটে যেতে পারে। আত্মহত্যাকারী প্রশংসার যোগ্য কোনো কাজ করেনি, এটা যদি আমরা আমাদের পরবর্তী প্রজন্মকে বোঝাতে ব্যর্থ হই তবে এই ব্যর্থতার মাসুল আমাদেরই দিতে হবে। (নেট থেকে সংগৃহীত)

ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে একটিভ থাকুন

১লা মে দিবস / শ্রমিকের অধিকার আদায়ের দিন

১লা মে দিবসের ছবি ১লা মে আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস পালন করা হয়। ১লা মে মহান মে দিবস। ১লা মে বিশ্বের শ্রমজীবী মানুষের অধিকার আদায়ের দিন। ১৮৮৬ স...