স্বাগতম

সবার জন্য উন্মুক্ত পেইজ ভিজিট করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ। *** শিক্ষার কোন বয়স নাই, জানার কোন শেষ নাই। *** বিঃদ্র ( যে সকল ব্লগ বা ওয়েবসাইট এর লেখা কোন অনুমতি ছাড়া কপি করে এখানে পোষ্ট করেছি, যদি কারো কোনো অভিযোগ থাকে দয়া করে জানাবেন। E-mail: nchafa10@gmail.com, ভালো লাগলে আবার আসবেন।***ধন্যবাদ***

প্রেসার কত প্রকার ও কি কি? হঠাৎ প্রেসার বেড়ে গেলে বা কমে গেলে যা যা করবেন জেনেনিন। উচ্চ রক্তচাপ নিয়ে ভুল ধারণা। উচ্চ রক্তচাপে যে খাবার ক্ষতিকর।

প্রেসার কত প্রকার কি কি  
সংকোচন প্রসারণের সময়, রক্তনালির মধ্য দিয়ে রক্ত যাওয়ার সময়, শিরার ভেতরে এক ধরনের চাপ দেয় একে আমরা রক্তচাপ বলি রক্তচাপ দুই প্রকার : উচ্চ রক্তচাপ (হাই ব্লাড প্রেসার) নিম্ন রক্তচাপ (লো ব্লাড প্রেসার)যখন কোন ব্যাক্তির রক্তের চাপ সব সময়েই স্বাভাবিকের চেয়ে ঊর্ধ্বে থাকে তখন তাকে হাইপারটেনশন (Hypertension) বা উচ্চ রক্তচাপ বলে এমন কোনও সুনির্দিষ্ট বিন্দু নেই যখন থেকে রক্তচাপকে উচ্চ বলে বিবেচনা করা হয় হাইপারটেনশনকে সাধারনভাবে প্রাথমিক (আবশ্যিক) হাইপারটেনশন এবং গৌণ হাইপারটেনশন দুই শ্রেণীতে ভাগ করা হয় শতকরা প্রায় ৯০ থেকে ৯৫ ভাগ হ্মেত্রেই প্রাথমিক হাইপারটেনশন হয় উচ্চ রক্ত চাপের নির্দিষ্ট করে কোন কারণ এখন পর্যন্ত খুঁজে পাওয়া যায়নি উচ্চ রক্তচাপ একটি নীরব ঘাতক অনেকের ক্ষেত্রে এই রোগ খুব সহজে ধরা পড়ে না আবার ধরা পড়ার পর এর সঠিক চিকিৎসা গ্রহণ না করলে ব্লাড প্রেশার নিয়ন্ত্রণে না থাকলে তা অনেক রোগের কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে পৃথিবীতে ২৫ বছরের উর্ধে জনসংখ্যার প্রায় শতকরা ৪০ ভাগ উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্ত সারা বিশ্বে প্রতি বছর ১৭. মিলিয়ন মানুষ উচ্চ রক্তচাপ অথবা উচ্চ রক্তচাপ সম্পর্কিত জটিলতায় মৃত্যু বরণ করেনসাধারনভাবে বলা হয়, যদি কোনও ব্যক্তির উভয় বাহুতে রক্তচাপ ১৪০/৯০ টর (টর চাপের একটি একক) অথবা এর উপরে থাকে, তাহলে সেটাকে উচ্চ রক্ত চাপ বলা যেতে পারে আবার রক্তচাপ ১৩৯/৮৯ টর থেকে ১২০/৮০ টর হলে সেটাকে প্রিহাইপারটেনশন বলা হয় প্রিহাইপারটেনশন কোন রোগ নয়, কিন্তু প্রিহাইপারটেনশন আছে এমন ব্যক্তির উচ্চড়ক্তচাপে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশী থাকে আবার, ডায়াবেটিস অথবা কিডনী রোগীদের ক্ষেত্রে, ১৩০/৮০ টরের অধিক রক্তচাপ হলেই সাবধান হতে হবে এবং বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করে প্রয়োজনে চিকিৎসা শুরু করতে হবেলো প্রেসার বলতে সাধারণত সিস্টোলিক রক্তচাপ ৯০ মি.মি মার্কারি ডায়াস্টোলিক রক্তচাপ ৬০ মি.মি মার্কারির নিচে হলে তাকে নিম্ন রক্তচাপ বা লো ব্লাড প্রেসার বলে থাকিঅনেকেই রক্তচাপ কমে যাওয়া নিয়ে বা লো প্রেসার নিয়ে খুবই চিন্তিত থাকেন নিম্নরক্তচাপ নিয়ে খুব বেশি চিন্তিত হওয়ার কারণ নেই কেননা এটি উচ্চ রক্তচাপের মত ক্ষতিকর এবং দীর্ঘ মেয়াদী নয়কোনো কারণে পাণিশূণ্যতা হওয়াডায়রিয়া বা অত্যাধিক বমি হওয়াখাবার ঠিকমতো বা সময়মতো না খাওয়াম্যাল অ্যাবসরবশন বা হজমে দুর্বলতাকোনো দীর্ঘমেয়াদি রোগে আক্রান্ত থাকাশরীরে হরমনজনিত ভারসাম্যহীনতারক্তশূণ্যতাশারীরিকভাবে আঘাতপ্রাপ্ত বা দুর্ঘটনার ফলে ফলে রক্তপাত ঘটলে এবং অপুষ্টিজনিত কারণে লো ব্লাড প্রেসার হতে পারেঅতিরিক্ত পরিশ্রম, দুশ্চিন্তা, ভয় স্নায়ুর দুর্বলতা থেকে লো ব্লাড প্রেসার হতে পারেঅপরিমিত ঘুমের কারণে মাথা ঘোরা বা লো ব্লাড প্রেসার হতে পারেগর্ভবতী মায়েদের প্রথম ছয়মাস হরনের প্রভাবে লো প্রেসার হতে পারেশারীরিকভাবে আঘাতপ্রাপ্ত বা দুর্ঘটনার ফলে ফলে রক্তপাত ঘটলে এবং অপুষ্টিজনিত কারণে লো ব্লাড প্রেসার হতে পারেঅতিরিক্ত পরিশ্রম, দুশ্চিন্তা, ভয় স্নায়ুর দুর্বলতা থেকে লো ব্লাড প্রেসার হতে পারেঅপরিমিত ঘুমের কারণে মাথা ঘোরা বা লো ব্লাড প্রেসার হতে পারেগর্ভবতী মায়েদের প্রথম ছয়মাস হরনের প্রভাবে লো প্রেসার হতে পারেতথ্যসূত্র :  maya

উচ্চ রক্তচাপ নিয়ে ৮ ভুল ধারণা
আমাদের চারপাশের অনেকেই এই অসুখে ভুগছেন। তবে সমস্যাটি নিয়ে আমাদের মধ্যে ভুল ধারণা অনেক, চিকিৎসাবিজ্ঞানে যার কোনো ভিত্তি নেই। এ বিষয়ে জেনে নিন: 

রক্তচাপ বাড়লে ঘাড়ব্যথা হয়- ঘাড়ে ব্যথা হলে কেউ কেউ মনে করেন, নিশ্চয়ই রক্তচাপ বেড়েছে এই ধারণা অমূলক বেশির ভাগ ক্ষেত্রে রক্তচাপ বৃদ্ধির কোনো উপসর্গ বোঝা যায় না সাধারণত হাড়ের জোড়া বা সন্ধির সমস্যায় ঘাড়ব্যথা হয়ে থাকে
রক্তচাপ বেশি থাকলে দুধ-ডিম নিষেধ- দুধ-ডিম-মাংস খেলে রক্তচাপ বাড়ে—এ ধারণা ভুল। রক্তচাপ বাড়তি দেখলে কেউ কেউ দুধ-ডিম খাওয়া ছেড়ে দেন। কিন্তু আসলে লবণ বা লবণাক্ত খাবার বেশি খেলে রক্তচাপ বাড়তে পারে। হৃদ্রোগের ঝুঁকি এড়াতে উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্ত ব্যক্তিকে তেল-চর্বিযুক্ত খাবার, যেমন ডিমের কুসুম, দুধের সর, চর্বিযুক্ত মাংস ইত্যাদি খেতে নিষেধ করা হয়।
টক খেলে রক্তচাপ কমে- এই ধারণাও ভুল। রক্তচাপের পরিমাণ বেশি দেখলে কেউ কেউ তেঁতুলের পানি বা টক খান। লবণ মিশিয়ে এসব খেলে রক্তচাপ আরও বাড়তে পারে। আর লবণ ছাড়া খেলে অ্যাসিডিটির সমস্যা হয়।
লবণ ভেজে খাওয়া যাবে- উচ্চ রক্তচাপের জন্য কাঁচা লবণ খেতে নিষেধ করায় অনেকে লবণ হালকা ভেজে খান বা রান্নায় লবণের মাত্রা বাড়িয়ে দেন। এটা যেভাবেই খান না কেন, তা রক্তচাপ বাড়িয়ে দেবে।
রক্তচাপ কমলে ওষুধ নয়- উচ্চ রক্তচাপের অনেক রোগী রক্তচাপ স্বাভাবিক থাকলে ওষুধ সেবন বন্ধ করে দেন, যা একেবারেই ঠিক নয়। উচ্চ রক্তচাপের ওষুধ হঠাৎ বন্ধ করলে বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়, এমনকি জীবনের ঝুঁকিও থাকে।
সমস্যা নেই বলে ওষুধ বাদ দেবেন- রক্তচাপ বাড়তি থাকলেও শরীরে কোনো সমস্যা হচ্ছে না, এমন অজুহাতে কেউ কেউ ওষুধ খাওয়া বন্ধ করতে চান। আসলে উচ্চ রক্তচাপে তেমন কোনো উপসর্গ না থাকলেও এটি ধীরে ধীরে হৃদ্রোগ, পক্ষাঘাত, দৃষ্টিহীনতা ও কিডনি অকার্যকারিতার ঝুঁকি বাড়াবে। দীর্ঘমেয়াদি জটিলতা এড়াতেই আপনাকে ওষুধ দেওয়া হয়। অনেকে বলেন, এই ওষুধ শুরু করলে সারা জীবন খেতে হবে, তাই শুরু না করাই ভালো। এটাও বিপজ্জনক চিন্তা। প্রয়োজন হলে ওষুধ অবশ্যই যত দ্রুত সম্ভব শুরু করা উচিত, নয়তো জটিলতা বাড়বে।
রক্তচাপ বৃদ্ধির কারণ টেনশন- মানসিক চাপ, উদ্বেগ ইত্যাদি কিছুটা দায়ী বটে। তবে কেবল মানসিক উৎকণ্ঠা উচ্চ রক্তচাপের একমাত্র কারণ নয়। অনিয়ন্ত্রিত জীবন-যাপন, ওজনাধিক্য, ধূমপান, মদ্যপান, তেল-চর্বিজাতীয় খাবার, অতিরিক্ত লবণ গ্রহণ প্রভৃতি উচ্চ রক্তচাপের প্রভাবক হিসেবে কাজ করে। জীবনাচরণ পরিবর্তন করে রক্তচাপ বাড়ার ঝুঁকি অনেকটাই কমাতে পারবেন।
অন্যের ওষুধে ভালো কাজ হয়- উচ্চ রক্তচাপের সঙ্গে আপনার বয়স, উচ্চ রক্তচাপের তীব্রতা, আনুষঙ্গিক অন্য রোগ (যেমন ডায়াবেটিস, হৃদ্রোগ, হার্ট অ্যাটাকের ইতিহাস, হাঁপানি, প্রোস্টেটের সমস্যা, গর্ভাবস্থা ইত্যাদি) অনেক বিষয় বিবেচনা করেই রক্তচাপ কমানোর ওষুধ দেওয়া হয়। কোনো ওষুধ কারও জন্য প্রয়োজনীয়, আবার একই ওষুধ অন্য কারও জন্য বিপজ্জনক হতে পারে। তাই যে ওষুধে অন্যের রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে এসেছে, সেটা আপনি চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া খাওয়ার চিন্তাও করবেন না। 
করণীয়:-  ১. হঠাৎ রক্তচাপ বেড়ে গেলে ডাক্তারের পরামর্শে ঘুমের ওষুধ সেবন করা।
২.ওজন কমানো।
৩. লবণ কম খাওয়া।
৪. মদ্যপান বা নেশাদ্রব্য গ্রহণ না করা।
৫. প্রতিদিন কমপক্ষে ৩০ মিনিট জোরে জোরে হাঁটা।
৬. চর্বিজাতীয় খাবার কম খাওয়া।
৭. প্রচুর ফল ও শাকসবজি খাওয়া।
৮. মাছ বেশি খাওয়া।
৯. ধূমপান পরিত্যাগ করা।
১০. ডায়াবেটিস, হাইপারলিপিডেমিয়া (রক্তে অতিরিক্ত চর্বি জমা হওয়া) নিয়ন্ত্রণে রাখা।
১১. ঘন ঘন রক্তচাপ পরিমাপ না করা।
১২. হাসিখুশি ও প্রফুল্ল থাকা। বন্ধু-পরিজনসহ সুখী জীবন-যাপনের চেষ্টা করা।
১৩. মানসিক অবসাদগ্রস্ততা দূর করা।
১৪. উচ্চমাত্রার ওষুধ গ্রহণ করে হঠাত্‍ রক্তচাপের অতিরিক্ত না কমিয়ে ফেলা।
১৫. যথেষ্ট বিশ্রাম নেওয়া।

তথ্যসূত্র : ডায়াবেটিস হরমোন রোগ বিশেষজ্ঞ, বিআইএইচএস জেনারেল হাসপাতাল prothomalo

 

উচ্চ রক্তচাপে যে ৮টি খাবার ক্ষতিকর : হাই প্রেসার হলে কি খেতে হয়

লবণ- উচ্চ রক্তচাপের অন্যতম কারণ হল শরীরে মাত্রাতিরিক্ত সোডিয়াম জমা হওয়া। তাই যাদের উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা আছে তাদের জন্য লবণ খুবই ক্ষতিকর। খুবই সীমিত পরিমাণ লবণ দিয়ে খাবার তৈরি করে খাবেন। খাবারের সঙ্গে বাড়তি লবণ নিয়ে খাওয়া এবং বেশি লবণযুক্ত খাবার পরিহার করতে হবে। একই সঙ্গে বিট লবণ এবং অন্যান্য মুখরোচক লবণ গ্রহণ করা থেকেও বিরত থাকতে হবে।

ফাস্ট ফুড এবং বেকারি খাবার- বর্তমান যুগে ফাস্ট ফুড খাওয়া অনেকের দৈনন্দিন রুটিনে পরিণত হয়েছে। প্যাকেটজাত এবং প্রসেসড ফুডগুলোর মধ্যেই সব থেকে বেশি উচ্চ রক্তচাপ সৃষ্টিকারক উপাদান থাকে। এই ফাস্ট ফুড এবং বেকারি খাবারে প্রচুর পরিমাণে সোডিয়াম, প্রিজারবেটিভ, বিষাক্ত রঙ এবং ক্ষতিকারক চর্বি ডালডা ব্যবহার করা হয়। এসব উপাদান উচ্চ রক্তচাপ রোগীর জন্য অধিক ক্ষতিকর। তাছাড়া তেলে ভাঁজা অধিক চর্বি যুক্ত মুখরোচক খাবার থেকেও বিরত থাকতে হবে।

কফি- কফি খেলে সাময়িক সময়ের জন্য রক্তচাপ বেড়ে যায়। তাই যাদের উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা আছে তাদের জন্য কফি খাওয়া বেশ ঝুঁকিপূর্ণ। কারণ ক্যাফেইন রক্তনালীকে সরু করে দেয়, ফলে হঠাৎ বেড়ে যাওয়া রক্তচাপের ফলে স্ট্রোক হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই উচ্চ রক্তচাপ থাকলে কফি ও অতিরিক্ত চা পানের অভ্যাস বাদ দিয়ে প্রতিদিন এক কাপ করে গ্রিন টি পান করবেন।

লাল মাংস- রেড মিট অর্থাৎ গরুর মাংস, খাসির মাংস এবং মহিষের মাংস উচ্চ রক্তচাপের সমস্যায় বর্জন করা একান্তভাবে জরুরি। কারণ এসব লাল মাংসে খারাপ কোলেস্টেরলের পরিমাণ বেশি থাকে যা হৃদরোগ এবং স্ট্রোকের ঝুঁকি বহু গুণে বাড়িয়ে দেয়।

মুরগীর চামড়া এবং ডিমের কুসম- উচ্চ রক্তচাপের রোগীরা মুরগীর চামড়া এবং ডিমের কুসম খেলে রক্তচাপ বৃদ্ধি পায় সেই সঙ্গে বেড়ে যায় হৃদরোগের ঝুঁকিও। তাছাড়া মুরগির চামড়ায় উচ্চ মাত্রার চর্বি থাকে যা মানুষের শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা বৃদ্ধি করে এবং স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ায়।

চিনি যুক্ত খাবার- অতিরিক্ত চিনি বা মিষ্টি জাতীয় খাবার আমাদের শরীরের জন্য খুবই ক্ষতিকর। কারণ এই খাবারগুলো আমাদের শরীরে মেদ জমতে সাহায্য করে এবং এর ফলে ওজন বৃদ্ধি পেয়ে শরীর মোটা হয়ে যায়। অতিরিক্ত ওজনের কারণে উচ্চ রক্তচাপের মতো রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। তাই অতিরিক্ত চিনিযুক্ত খাবার পরিহার করুন। মিষ্টির পরিবর্তে সামান্য মধু খেতে পারেন।

আচার এবং সস জাতীয় খাবার- যারা উচ্চ রক্তচাপে ভুগছেন, তাদের আচার এবং সস জাতীয় খাবার খাওয়া একেবারেই উচিত নয়। কারণ আচার এবং সসে লবণ এবং চিনির পরিমাণ খুব বেশি থাকে, যা এই রোগীর শরীরের পক্ষে একেবারেই ভাল নয়।

অ্যালকোহল এবং কোমল পানীয়- অ্যালকোহল জাতীয় পানীয় খেলে দ্রুত রক্তচাপ বৃদ্ধি পায়। তাছাড়া এটাও মনে রাখা উচিত যে অ্যালকোহল ও কোমল পানীয়গুলোতে প্রচুর ক্যালোরি আছে যা ওজন বৃদ্ধি করে। তাই অ্যালকোহলযুক্ত পানীয় কিংবা কোমল পানীয় না খেয়ে তাজা ফলের রস কিংবা লেবুর শরবত খাবেন। এছাড়া কখনও ননি বা ফ্যাটযুক্ত দুধ খাবেন না। দুধ ও দুগ্ধজাত সামগ্রীর মধ্যে ননিবিহীন দুধ, টকদই স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। 

তথ্যসূত্র : স্বাস্থ্য সংক্রান্ত জার্নাল এবং নিউট্রিশন অব বাংলাদেশ ekushey-tv

 

হঠাৎ প্রেসার বেড়ে গেলে বা কমে গেলে যা যা করবেন জেনেনিন 

হঠাৎ প্রেসার বেড়ে গেলে খুব দ্রুত যা খাবেন, সঠিক খাদ্যগ্রহণের মাধ্যমে এর থেকে দূরে থাকা সম্ভবউচ্চ রক্তচাপ কমানোর জন্য এমন সব খাবারের পরিকল্পনা করতে হবেযাতে থাকবে পর্যাপ্ত ক্যালসিয়াম,পটাশিয়াম  ম্যাগনেশিয়ামকারণ খাদ্যের এসব উপাদান উচ্চ রক্তচাপ কমাতে সহায়ককম চর্বিযুক্ত দুধ বা চর্বিবিহীন দুধ বা দুধজাত খাদ্য যেমন দই ইত্যাদিতে পাওয়া যায় পর্যাপ্ত ক্যালসিয়াম তাজা ফল যেমন আপেলকলা আর শাকসবজি হচ্ছে পটাশিয়ামের ভালো উত্টমেটোতেও আছে বেশ পটাশিয়াম

প্রেসার বেড়ে গেলেবেশি ম্যাগনেশিয়াম পাওয়া যায় দানা শস্য বা গোটা শস্যবিচি জাতীয় খাবারবাদামশিমের বিচিডালছোলালাল চালের ভাতলাল আটাআলুসবুজ শাকসবজিটমেটোতরমুজদুধ দই ইত্যাদিতে

কম চর্বিযুক্ত দুধ বা চর্বিবিহীন দুধ বা দুধজাত খাবার প্রতিদিন খেতে হবে  থেকে  সার্ভিং এক সার্ভিং দুধ বা দুধজাত খাবার মানে আধা পাউন্ড বা এক গ্লাস দুধ অথবা এক কাপ দই

ফল  থেকে  সার্ভিং প্রতিদিন টুকরো টুকরো করে কাটা আধা কাপ ফল কিংবা মাঝারি সাইজের একটা আপেল বা অর্ধেকটা কলা অথবা আধা কাপ ফলের রস এতে হবে ফলের এক সার্ভিং ফলের রসের চেয়ে আস্ত ফলই ভালো

শাকসবজি প্রতিদিন প্রয়োজন  থেকে  সার্ভিং শাকসবজির এক সার্ভিং মানে এক কাপ কাঁচা শাক বা আধা কাপ রান্না করা শাক

দানা শস্য প্রতিদিন দরকার  থেকে  সার্ভিং দানা শস্যের এক সার্ভিংয়ের উদাহরণ হলো এক স্লাইস রুটি অথবা আধাকাপ ভাত বা এক কাপ পরিমাণ গোটা দানা শস্য

বিচি জাতীয় খাবার প্রতি সপ্তাহে প্রয়োজন  থেকে  সার্ভিং বিচি জাতীয় খাবারের এক সার্ভিংয়ের উদাহরণ হলো এক কাপের তিন ভাগের এক ভাগ বাদাম বা আধাকাপ রান্না করা শিম বা মটরশুঁটিহঠাৎ প্রেসার বেড়ে গেলে কী করবেন

যারা আগে থেকেই উচ্চ রক্তচাপের রোগী তাদের জন্য এই আকস্মিক রক্তচাপ বৃদ্ধি বিপদের কারণ হতে পারে যাদের রক্তচাপ নেই তাদের ক্ষেত্রে বেশির ভাগ সময় কিছু নিয়মকানুন মানলে ঠিক হয়ে যায় তবে সব সময় ঠিক নাও হতে পারে ক্ষণস্থায়ী রক্তচাপ বৃদ্ধি অনেক ক্ষেত্রেই পরে স্বাভাবিক হয়ে যায় তার পরও একে অবহেলা করা উচিত নয় আবার বেশ কিছুদিন বা কয়েক সপ্তাহ ধরে বাড়তি রক্তচাপ থাকলে অবশ্যই ডাক্তারের শরণাপন্ন হওয়া উচিত

উপসর্গ:- মাথাব্যথা (সাধারণত মাথার পেছনের অংশেসকালে ঘুম থেকে ওঠার পর নিয়মিত মাথাব্যথাযা কয়েক ঘণ্টা পর ভালো হয়ে যায়), মাথা ঝিমঝিম করাঅবসাদগ্রস্ততাবুক ধড়ফড় করানাক দিয়ে রক্ত পড়াচোখে ঝাপসা দেখাবুকে ব্যথাশ্বাসকষ্টমাংসপেশির দুর্বলতাঅনিয়মিত ঘুমনাকডাকাদিনের বেলায় নিদ্রালুতাবুক ধড়ফড় করা এবং হঠাৎ ঘাম

হঠাৎ প্রেসার কমে গেলে কী করবেনঃ উচ্চরক্তচাপের মতোই নিম্ন রক্তচাপও শরীরের জন্য ক্ষতিকারক লো ব্লাড প্রেসারের আরেক নাম হাইপোটেনশনঅতিরিক্ত পরিশ্রমদুশ্চিন্তাভয়  স্নায়ুর দুর্বলতা থেকে লো ব্লাড প্রেসার হতে পারে প্রেসার লো হলে মাথা ঘোরানোক্লান্তিঅজ্ঞান হয়ে যাওয়াবমি বমি ভাববুক ধড়ফড় করাঅবসাদদৃষ্টি ঝাপসা হয়ে আসা  স্বাভাবিক শ্বাস-প্রশ্বাস নিতেও কষ্ট হয়ে থাকে চিকিৎসকের মতেএকজন সুস্থ স্বাভাবিক মানুষের রক্তচাপ থাকে ১২০/৮০ অন্যদিকে রক্তচাপ যদি ৯০/৬০ বা এর আশপাশে থাকে তাহলে তা লো ব্লাড প্রেসার হিসেবে ধরা হয় প্রেসার যদি অতিরিক্ত নেমে যায় তাহলে মস্তিষ্ককিডনি  হৃদপিণ্ডে সঠিকভাবে রক্ত প্রবাহিত হতে পারে না তখন  রোগ দেখা দেয়।  ছাড়া অতিরিক্ত ঘামডায়রিয়া বা অত্যধিক বমি হওয়াদেহের ভেতরে কোনো কারণে রক্তক্ষরণ হলে যেমনরক্তবমিপায়খানার সঙ্গে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হলেশারীরিকভাবে আঘাতপ্রাপ্ত বা দুর্ঘটনার ফলে রক্তপাত ঘটলে এবং অপুষ্টিজনিত কারণে লো ব্লাড প্রেসার দেখা দিতে পারে। গর্ভবতী মায়েদের গর্ভের প্রথম  মাস হরমোনের প্রভাবে লো প্রেসার হতে পারে মাথা ঘোরানো বা মাথা হালকা অনুভূত হওয়ামাথা ঘুরে অজ্ঞান হয়ে যাওয়াবসা বা শোয়া থেকে হঠাত্‍ উঠে দাঁড়ালে মাথা ঘোরা বা ভারসাম্যহীনতাচোখে অন্ধকার দেখাঘন ঘন শ্বাস-প্রশ্বাস নেয়াহাত-পা ঠাণ্ডা হয়ে যাওয়াখুব বেশি তৃষ্ণা অনুভূত হওয়াঅস্বাভাবিক দ্রুত হৃদকম্পননাড়ি বা পালসের গড়ি বেড়ে গেলে বুঝবেন প্রেসার কমে গেছে বা আপনি লো-ব্লাড প্রেসারে আক্রান্ত হয়েছেন। লো ব্লাড প্রেসার বা নিম্ন রক্তচাপ নিয়ে অনেকেই চিন্তায় থাকেন তবে নিম্ন রক্তচাপ নিয়ে অযথা অতিরিক্ত চিন্তিত হওয়ার কিছু নেই কারণ এটা উচ্চ রক্তচাপের চেয়ে কম ক্ষতিকর  স্বল্পমেয়াদী সমস্যা আর প্রেসার লো হলে বাড়িতেই প্রাথমিক কিছু পদক্ষেপ নেয়া যায়আসুন লো ব্লাড প্রেসারের প্রাথমিক কিছু চিকিৎসা জেনে নিই  

লবণ-জল:- লবণ রক্তচাপ বাড়ায় কারণ এতে সোডিয়াম আছে তবে জলে বেশি লবণ না দেয়াই ভালো সবচেয়ে ভালো হয়এক গ্লাস জলে দুই চা-চামচ চিনি  এক-দুই চা-চামচ লবণ মিশিয়ে খেলে তবে যাদের ডায়াবেটিস আছেতাদের চিনি বর্জন করাই ভালো

কফি-হট চকলেট:- হঠাত্‍ করে লো প্রেসার দেখা দিলে এক কাপ কফি খেতে পারেন স্ট্রং কফিহট চকোলেটকমল পানীয়সহ যে কোনো ক্যাফেইন সমৃদ্ধ পানীয় দ্রুত ব্লাড প্রেসার বাড়াতে সাহায্য করে আর যারা অনেক দিন ধরে  সমস্যায় ভুগছেনতারা সকালে ভারী নাশতার পর এক কাপ স্ট্রং কফি খেতে পারেন

কিশমিশ:- কিশমিশ হাইপার টেনশনের ওষুধ হিসেবে প্রাচীনকাল থেকেই ব্যবহৃত হয়ে আসছে এক-দুই কাপ কিশমিশ সারা রাত জলে ভিজিয়ে রাখুন সকালে খালি পেটে কিশমিশ ভেজানো জল খেয়ে নিন

বিটের রস:- বিটের রস হাই  লো প্রেসার দুটোর জন্য সমান উপকারী এটি রক্তচাপ স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে এভাবে এক সপ্তাহ খেলে উপকার পাবেন

বাদাম:- লো-প্রেসার হলে পাঁচটি কাঠবাদাম  ১৫ থেকে ২০টি চিনাবাদাম খেতে পারেন এটা পেসার বাড়াতে সহায়তা করে

পুদিনা:- ভিটামিন 'সি', ম্যাগনেশিয়ামপটাশিয়াম  প্যান্টোথেনিক উপাদান যা দ্রুত ব্লাড প্রেসার বাড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে মানসিক অবসাদও দূর করে পুদিনাপাতা পুদিনাপাতা বেটে এতে মধু মিশিয়ে পান করতে পারেন

যষ্টিমধু:- আদিকাল থেকেই যষ্টিমধু বিভিন্ন রোগের মহৌষধ হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে এক কাপ পানিতে এক টেবিল চামচ যষ্টিমধু দিয়ে রেখে দিন - ঘণ্টা পর পান করুন এছাড়া দুধে মধু দিয়ে খেলেও উপকার পাবেন। 

জনকল্যাণ স্বার্থে অবশ্যই এই পোস্টটি শেয়ার করুন আপনার কাছের মানুষদের " সুস্থ রাখুন  সুস্থ থাকুনতথ্যসূত্র : dailyhunt

হাই প্রেসার কমানোর ঘরোয়া উপায় আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশন অনুসারে, উচ্চ রক্তচাপের সাধারণ লক্ষণগুলির মধ্যে গুরুতর উদ্বেগ, নাক দিয়ে রক্ত পড়া, গুরুতর মাথাব্যাথা এবং শ্বাস প্রশ্বাসের সমস্যা অন্যতম উচ্চ রক্তচাপ বা রক্তচাপের মাত্রা হঠাৎ বৃদ্ধি পেলে তাৎক্ষণিক চিকিৎসা প্রয়োজন

কিছু সহজ জীবনধারা সংশোধনের মাধ্যমে উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখা যায় উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য যেসব বিষয় মনে রাখা জরুরি:

ওজন কমানো: রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য ওজন কমানোর বিকল্প নেই

নিয়মিত ব্যায়াম করুন: রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে নিয়মিত ব্যায়াম করা প্রয়োজন হাঁটা, জগিং, সাইক্লিং, সাঁতার নাচের মতো অ্যারোবিক ব্যায়ামগুলি আপনার রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে

সুস্থ খাদ্য খান: খাদ্যে প্রচুর তাজা ফল এবং সবজি যোগ করুন খাদ্যতালিকায় পটাসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার অন্তর্ভুক্ত করুন কারণ এটি রক্তচাপের উপর সোডিয়ামের প্রভাবকে হ্রাস করতে সহায়তা করে পটাসিয়ামে সমৃদ্ধ খাবারগুলোর মধ্যে নিয়মিত কলা, অ্যাভোকাডো, পালং শাক, মাশরুম, শশা, ব্রকলি, কমলালেবু,মিষ্টি আলু নিয়মিত খেতে পারেন

রসুন: উচ্চ রক্তচাপের ক্ষেত্রে অত্যন্ত কার্যকরী একটি জিনিস হলো রসুন৷ সকালে খালি পেটে এক কোয়া রসুন চিবিয়ে পানি খেলে রক্তচাপ অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে থাকে৷

ডাবের পানি: শখ করেই অনেকে ডাবের পানি খেয়ে থাকেন৷ তবে পরীক্ষা করে দেখা গেছে, রক্তচাপ কমানোতেও নিয়মিত ডাবের পানি খাওয়া খুব উপকারী৷

ধূমপান ত্যাগ করুন: ধূমপান শরীরে রক্তচাপ বাড়ায় শরীরের রক্তচাপ স্বাভাবিক মাত্রা পুনরুদ্ধার করতে ধূমপান ত্যাগ করুন

ক্যাফইন বর্জন: ক্যাফেইন আপনার রক্তচাপের মাত্রা বাড়তে পারে  রক্তচাপের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে ক্যাফেইন জাতীয় খাবার খাওয়া সীমিত করুন

মানসিক চাপ কমান: মানসিক চাপ উচ্চ রক্তচাপের মাত্রা বাড়ানোর অন্যতম প্রধান কারণ মানসিক চাপ কমাতে নিয়মিত যোগব্যায়াম মেডিটেশন করুন তথ্যসূত্র :  hawker

জেনে নিন- স্ট্রোক বাথরুমে বেশি হয় কেন ?

ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে একটিভ থাকুন

১লা মে দিবস / শ্রমিকের অধিকার আদায়ের দিন

১লা মে দিবসের ছবি ১লা মে আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস পালন করা হয়। ১লা মে মহান মে দিবস। ১লা মে বিশ্বের শ্রমজীবী মানুষের অধিকার আদায়ের দিন। ১৮৮৬ স...