স্বাগতম

সবার জন্য উন্মুক্ত পেইজ ভিজিট করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ। *** শিক্ষার কোন বয়স নাই, জানার কোন শেষ নাই। *** বিঃদ্র ( যে সকল ব্লগ বা ওয়েবসাইট এর লেখা কোন অনুমতি ছাড়া কপি করে এখানে পোষ্ট করেছি, যদি কারো কোনো অভিযোগ থাকে দয়া করে জানাবেন। E-mail: nchafa10@gmail.com, ভালো লাগলে আবার আসবেন।***ধন্যবাদ***

সাওম বা রোজা থাকা অবস্থায় স্বপ্ন দোষ হলে কি রোজা ভেঙ্গে যাবে ?

মুসলমান ঘরে জন্ম নিয়েছ বলে মুসলিম। এক কথায় জন্ম সুত্রে মুসলিম বা মুসলমান বা ইসলাম। ইসলামের প্রধান ধর্মগ্রন্থ হলো পবিত্র কুরআন মজিদ বা আল্-কুর্'আন্।   আল্-কুর্'আন্ আল্লাহ্‌র বানী।  যা নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নাজিল বা অবতরণ হয়েছে।  হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আখেরি বা শেষ নবী। যা হোক এই বিষয়ে অন্ত পোস্টে আলোচনা করা হবে...  আসল কথায় ফিরে আসি।  

সাওম বা রোজা থাকা অবস্থায় স্বপ্ন দোষ হলে স্বপ্নদোষ হলে রোজা হবে কিনা? 
স্বপ্ন দোষ হলে রোজা হবে কি না,  রোজা ভেঙ্গে যাবে জল্পনা কল্পনার শেষ নাই।  এই বিষয় অজানা থাকার কারনে অনেক রোজা ভেঙ্গে পেলে। কোন কিছু না জেনে রোজা ভাঙ্গা ঠিক নয়। 

আসুন হাদিসের আলোকে জানার চেষ্টা করি, স্বপ্ন দোষ হলে কি, রোজা ভেঙ্গে যায়? উত্তরঃ  স্বপ্নদোষের কারণে বীর্যপাত হলে সিয়াম বা রোজা ভঙ্গ হবে না। কারণ এটা অনিচ্ছাকৃত ভাবে হয়ে গেছে। যা কিছু অনিচ্ছাকৃতভাবে হয়ে যায় আল্লাহ তা ক্ষমা করে দেন। এমনিভাবে নিদ্রা মগ্ন ব্যক্তি থেকে আত্মা (কল্বব ) উঠিয়ে রাখা হয়। কাজেই নিদ্রাকালে যা কিছু ঘটে তার জন্য কাউকে দায়ী করা যায় না। এটা আমাদের প্রতি আল্লাহ রাববুল আলামিনের একটি রহমত। কেউ কোন বিষয়

কল্পনা করার ফলে যদি বীর্যপাত হয়ে যায় এতে সিয়াম ভঙ্গ হবে না। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন :—

ﺇﻥ ﺍﻟﻠﻪ ﺗﺠﺎﻭﺯ ﻋﻦ ﺃﻣﺘﻲ ﻣﺎ ﺣﺪﺛﺖ ﺑﻪ
ﺃﻧﻔﺴﻬﺎ ﻣﺎ ﻟﻢ ﺗﻌﻤﻞ ﺃﻭ ﺗﺘﻜﻠﻢ. ﻣﺘﻔﻖ ﻋﻴﻪ
‘অবশ্যই আল্লাহ তাআলা আমার উম্মত যা কল্পনা করে তা ক্ষমা করে দেন। যদি না সে কাজ বা কথার দ্বারা তা বাস্তবায়ন করে।’ বর্ণনায় : বোখারি ও মুসলিম

যেসব কারণে রোজা ভঙ্গ হয় না
০১. বমি হলে রোজা ভাঙ্গবে না।
অনিচ্ছাকৃত বমি হলে (এমনকি মুখ ভরে হলেও) রোজা ভাঙ্গবে না। তেমনি বমি মুখে এসে নিজে নিজেই ভেতরে চলে গেলেও রোজা ভাঙ্গবে না। বলা হয়েছে, অনিচ্ছাকৃতভাবে কোনো ব্যক্তির বমি হলে তার রোজা কাজা করতে হবে না। -জামে তিরমিজি: ১/১৫৩, হাদিস : ৭২০

০২. শিঙ্গা লাগানো ও
০৩. স্বপ্নদোষ হলে রোজা ভাঙ্গে না। -সুনানে কুবরা বায়হাকি: ৪/২৬৪, (মুসনাদে বাযযার, মাজমাউয যাওয়ায়েদ তিরমিজি)
শুধু যৌন চিন্তার কারণে বীর্যপাত হলে রোজা ভাঙ্গবে না। তবে এ কথা বলাই বাহুল্য যে, সব ধরনের কুচিন্তা তো এমনিতেই গুনাহ আর রোজার হালতে তো তা আরো বড় অপরাধ। কামভাবের সঙ্গে কোনো মহিলার দিকে তাকানোর ফলে কোনো ক্রিয়া-কর্ম ছাড়াই বীর্যপাত হলে রোজা ভাঙ্গবে না। তবে রোজা অবস্থায় স্ত্রীর দিকেও এমন দৃষ্টি দেওয়া অনুচিত। আর অপাত্রে কু-দৃষ্টি তো কবিরা গুনাহ। যা রোজা অবস্থায় আরো ভয়াবহ। এতে রোজাদার রোজার ফজিলত ও বরকত থেকে বঞ্চিত হয়ে যায়। হজরত জাবের ইবনে যায়েদকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছে, কোনো ব্যক্তি তার স্ত্রীর দিকে কামভাবের সঙ্গে তাকিয়েছে। ফলে তার বীর্যপাত ঘটেছে তার রোজা কি ভেঙ্গে গেছে? তিনি বললেন, ‘না। সে রোজা পূর্ণ করবে। ’ –সহিহ বোখারি : ১/২৫৮

০৪. অনিচ্ছাকৃত বা ভুল করে কোনো কিছু খেয়ে ফেললে রোজা ভঙ্গ হবে না [বুখারি শরিফ ১/২৫৯]।
বুখারি শরিফ, তিরমিযী ও মুসলিম হাদিসে এসেছে-
ভুল করে কোনো কিছু খেয়ে ফেললে রোজা ভঙ্গ হবে না [বুখারি শরিফ ১/২৫৯]।
অনিচ্ছাকৃত বমি হলে [এমনকি মুখ ভরে হলেও] রোজা ভাঙবে না। তেমনি বমি মুখে এসে নিজে নিজেই ভেতরে চলে গেলেও রোজা ভাঙবে না [তিরমিযী ১/১৫৩]
রোজার কথা ভুলে গিয়ে পানাহার করলে রোজা নষ্ট হবে না। তবে রোজা স্মরণ হওয়ামাত্র পানাহার ছেড়ে দিতে হবে [মুসলিম ১/২০২]
মশা-মাছি, কীটপতঙ্গ ইত্যাদি অনিচ্ছাকৃত পেটের ভেতর ঢুকে গেলেও রোজা ভাঙবে না [মুসান্নাফে ইবনে আবি শাইবা ৬/৩৪৯]।

কুরআনে এসেছে- ‘হে আমাদের রব! আপনি আমাদের পাকড়াও করবেন না, যদি আমরা ভুলে যাই কিংবা কোনো ভুল করে বসি। ’ -সূরা বাকারা : ২৮৬
আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘আর তোমরা ভুলে যা কর, তাতে কোনো অপরাধ নেই। অবশ্য ইচ্ছাপূর্বক তোমাদের হৃদয় যা করছে তার ব্যাপারে জবাবদিহি করতে হবে। আর আল্লাহ অত্যন্ত ক্ষমাশীল, অতিশয় দয়ালু। ’ -সূরা আহজাব : ৫

৫. চোখে সুরমা লাগালে রোজা ভঙ্গ হবে না।
হজরত আনাস (রা.) রোজা অবস্থায় সুরমা ব্যবহার করতেন। -আবু দাউদ ১/৩২৩
চোখে সুরমা ও ড্রপ ব্যবহার করলে। -রদ্দুল মুহতার : ৭/৩৭৯৫; ফাতহুল কাদির : ৪/৩২৭; জাওয়াহিরুল ফাতাওয়া : ১/২৬

৬. চুমু খেলে রোজা ভঙ্গ হবে না।
বীর্যপাত ঘটা বা সহবাসে লিপ্ত হওয়ার আশঙ্কা না থাকলে স্ত্রীকে চুমু খাওয়া জায়েয। এতে রোজার কোনো ক্ষতি হবে না। তবে তরুণদের যেহেতু এ আশঙ্কা থাকে তাই তাদের বেঁচে থাকা উচিত। হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আমর ইবনুল আস (রা.) বলেন, আমরা নবী করিম (সা.)-এর নিকটে ছিলাম। ইতোমধ্যে একজন যুবক এল এবং প্রশ্ন করল, আল্লাহর রাসূল! আমি কি রোজা অবস্থায় চুম্বন করতে পারি? নবী (সা.) বললেন, না। এরপর এক বৃদ্ধ এল এবং একই প্রশ্ন করল। নবী (সা.) বললেন, হাঁ। আমরা তখন অবাক হয়ে একে অপরের দিকে তাকাচ্ছিলাম। নবী (সা.) বললেন, আমি জানি, তোমরা কেন একে অপরের দিকে তাকাচ্ছ। শোন, বৃদ্ধ ব্যক্তি নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে। -মুসনাদে আহমদ ২/১৮০, ২৫০

৭. কোনো ধরনের ইঞ্জেকশন-ইনসুলিন বা টিকা নিলে রোজা ভঙ্গ হয় না, এমনকি গ্লুকোজ ইঞ্জেকশানের দ্বারাও রোজার কোনো ক্ষতি হয় না। -ফাতাওয়া উসমানি : ২/১৮৬

ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে একটিভ থাকুন

১লা মে দিবস / শ্রমিকের অধিকার আদায়ের দিন

১লা মে দিবসের ছবি ১লা মে আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস পালন করা হয়। ১লা মে মহান মে দিবস। ১লা মে বিশ্বের শ্রমজীবী মানুষের অধিকার আদায়ের দিন। ১৮৮৬ স...