স্বাগতম

সবার জন্য উন্মুক্ত পেইজ ভিজিট করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ। *** শিক্ষার কোন বয়স নাই, জানার কোন শেষ নাই। *** বিঃদ্র ( যে সকল ব্লগ বা ওয়েবসাইট এর লেখা কোন অনুমতি ছাড়া কপি করে এখানে পোষ্ট করেছি, যদি কারো কোনো অভিযোগ থাকে দয়া করে জানাবেন। E-mail: nchafa10@gmail.com, ভালো লাগলে আবার আসবেন।***ধন্যবাদ***

গর্ভাবস্থার সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে বহু প্রচলিত ধ্যান-ধারণা ও বিশ্বাস।

বাড়ির বড়দের কাছ থেকে কখনো সবচেয়ে বেশি আশা করো না, এইটা করোনা ওটা করো না শুনতে হয়? বেশির ভাগ নারীর কাছ থেকে একটাই জবাব পাওয়া যায়, তা হলো গর্ভাবস্থা। এই সময় যত বেশি যা যা করবে, যা যা করবে না- এমন তালিকা ঝুলিয়ে দেয়া হয়, এতটা বোধহয় আর অন্য কোনো সময় হয় না। শুধু সাবধানতা আর শরীরের যত্ন নেয়া নয়, গর্ভাবস্থার সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে বহু প্রচলিত ধ্যান-ধারণা ও বিশ্বাস। আধুনিক গবেষণা ও চিকিৎসা শাস্ত্র কিন্তু এর বেশিরভাগকেই খারিজ করে দিচ্ছে। এমনই কিছু মিথ আর বাস্তবতা নিয়ে আলোচনা । 
 মিথ ১ঃ অনেক সময়ই বাড়ির বয়স্ক সদস্যদের দেখবেন, গর্ভবতী নারীকে দেখেই তার ছেলে হবে না মেয়ে, তা জোর গলায় বলে দেন। এর পেছনে রয়েছে এক বদ্ধমূল বিশ্বাস। তা হল অন্তঃসত্ত্বা নারীর স্ফীত পেটটি যদি একটু নিচের দিকে ঝুলে থাকে, তা হলে গর্ভের সন্তানটি ছেলে। আর উপরের দিকে উঠে থাকলে তা মেয়ে। বাস্তবতা : আসলে কিন্তু এর কোনো বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই। গর্ভবতী নারীর মাসল, ভ্রুণের অবস্থান ও পেটের চারপাশে চর্বির পরিমাণের তারতম্যেই কারোর পেট একটু নিচের দিকে ঝুলে থাকে, কারোর নয়। মিথ
২ঃ গর্ভাবস্থায় নোনতা খাবার খেতে চাইলে ছেলে হবে আর মিষ্টি খাবারের প্রতি আকর্ষণ বাড়লে মেয়ে হবে। বাস্তবতাঃ গবেষণা জানাচ্ছে যে কোনো নারী তার গর্ভাবস্থায় কী ধরনের খাবার খেতে চাইবেন, তার সঙ্গে গর্ভস্থ ভ্রুণটি ছেলে না মেয়ে তার কোনো সম্পর্ক নেই। 
 মিথ ৩ঃ  অনেকে আবার সুতো গোল করে বেঁধে গর্ভবতী নারীর স্ফীত পেটের চারপাশে ধরেন, সুতোটি সামনে-পেছনে নড়লে ছেলে সন্তান জন্ম নেবে, আর গোল হয়ে ঘুরলে মেয়ে সন্তান জন্ম নেবে। বাস্তবতা : পারিবারিক হাসি-মজার জন্য এটা করা যেতেই পারে, যদিও এর সঙ্গে বৈজ্ঞানিক সত্যতার দূর-দূরান্তেও কোনো সম্পর্ক নেই। 
মিথ ৪ঃ গর্ভবতী নারীর বুক-গলা জ্বালা করলে সন্তান মাথায় অনেক চুল নিয়ে জন্মাবে। বাস্তবতা : বুক-গলা জ্বালা গর্ভাবস্থার খুব সাধারণ একটা উপসর্গ। এর সঙ্গে সন্তানের মাথায় কত চুল হবে, তার কোনো সম্পর্ক নেই। 
৫ঃ কোনো গর্ভবতী নারীর মা যদি অতিরিক্ত ব্যথা ও কোনো সমস্যা ছাড়াই সন্তানের জন্ম দিয়ে থাকেন, তাহলে তার ক্ষেত্রেও একই হবে। বাস্তবতা : কোনো নারী সন্তানের জন্ম দিতে গিয়ে কতটা কষ্ট পাবেন বা কোনো শারীরিক সমস্যা দেখা দেবে কিনা, তার সঙ্গে বংশ ধারার কোনো সম্পর্ক নেই। বরং ওই নারীর গর্ভস্থ সন্তানের অবস্থান, খাদ্যাভ্যাস এবং কী রকম জীবনযাত্রায় অভ্যস্ত তার উপর নির্ভর করে। মিথ 
৬ ঃ গর্ভাবস্থায় চিৎ হয়ে শুলে গর্ভস্থ সন্তানের ক্ষতি হতে পারে। বাস্তবতা : চিকিৎসাশাস্ত্রে এই ধারনার কোনো ভিত্তি নেই। তবে পাশ ফিরে শুলে অন্তঃসত্ত্বা নারীর নিজের বেশি আরাম হয়। চিকিৎসকরা বাঁ পাশ ফিরে শুতে বলেন, কারণ এতে শরীরে রক্ত সঞ্চালন বেশি ভালো হয়। 
মিথ ৭ঃ গর্ভাবস্থায় যৌন সম্পর্কে গর্ভস্থ শিশুর ক্ষতি হতে পারে। বাস্তবতা : গর্ভের যে অংশে সাধারণভাবে ভ্রুণের অবস্থান হয়, তা চারপাশে সাতটা পর্দা দিয়ে ঘেরা থাকে। ইউটেরাসের পর্দা এতটাই মোটা ও শক্ত হয়, যে সহজে কিছু সেখানে প্রবেশ করতে পারে না। তাই কোনো কারণে ডাক্তার বারণ না করলে গর্ভাবস্থায় যৌন সম্পর্কে ভ্রুণের কোনো ক্ষতি হয় না। 
মিথ ৮ঃ প্রথম সন্তানের জন্ম সবসময় ডাক্তারের দেয়া নির্দিষ্ট তারিখের পরে হয়। বাস্তবতা : এই ধারণাটা কিছুটা সত্যি, তবে পুরোপুরি নয়। ৬০% ক্ষেত্রে দেখা গেছে, প্রথম সন্তান দেরিতে জন্মায়, ৫% ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট তারিখেই জন্ম হয়েছে। আর ৩৫% ক্ষেত্রে সন্তান নির্দিষ্ট তারিখের আগে জন্মে গিয়েছে। আসলে গর্ভবতী মহিলার ঋতুচক্রের দৈর্ঘ্যের উপর এটা অনেকটা নির্ভর করে। ঋতুচক্র ছোট হলে, সন্তান সাধারণত তাড়াতাড়ি জন্মায়, আর ঋতুচক্র ২৮ দিনের বড় হলে সন্তানের দেরিতে জন্ম নেয়ার প্রবণতা থাকে। আর ঋতুচক্র যদি ২৮ দিন বা তার আশপাশে হয়, তাহলে সন্তান নির্দিষ্ট তারিখেই সাধারণত জন্মায়। আরো কিছু প্রচলিত ধারণা 
১ঃ পূর্ণিমাতে বেশিরভাগ নারীর প্রসব যন্ত্রণা শুরু হয়। 
২ঃ গর্ভাবস্থায় তেল-মশলা দেয়া খাবার ও যৌন সম্পর্ক প্রসব বেদনাকে বাড়ায়।
৩ঃ বিশ্রী স্ট্রেচ মার্কের হাত এড়ানো যায় না। অনেক নারীরই কিন্তু স্ট্রেচ মার্ক দেখা দেয় না। -
নেট থেকে সংগৃহীত।

ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে একটিভ থাকুন

১লা মে দিবস / শ্রমিকের অধিকার আদায়ের দিন

১লা মে দিবসের ছবি ১লা মে আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস পালন করা হয়। ১লা মে মহান মে দিবস। ১লা মে বিশ্বের শ্রমজীবী মানুষের অধিকার আদায়ের দিন। ১৮৮৬ স...