নতুন দম্পতিরা জন্মনিয়ন্ত্রণ করবেন কিভাবে? নবদম্পতি কিংবা নতুন বিয়ে হওয়া স্বামী স্ত্রীদের কী ধরনের জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি নিলে ভালো হবে। অথবা
দুই সন্তানের বাবা-মা, বর্তমানে জন্মনিয়ন্ত্রণে কোনো পদ্ধতিতে যেতে চান। ইত্যাদি। বাংলাদেশে জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতিগুলোর ক্ষেত্রে সবচেয়ে জনপ্রিয় খাবার বড়ি ও কনডম। কিন্তু এর বিকল্প কী আছে জেনে নিন
প্রাকৃতিক নিয়মে ফ্যামিলি প্ল্যানিং: ন্যাচারাল বা প্রাকৃতিক পদ্ধতিতে ফ্যামিলি প্ল্যানিং করা বেশ সুবিধাজনক। তিনভাবে ন্যাচারাল ফ্যামিলি প্ল্যানিং করা যায়। তার মধ্যে সেফ পিরিয়ড গণনা করে জন্ম নিয়ন্ত্রণ করা অনেক কাপলের জন্য বেশ আকর্ষণীয় মনে হতে পারে। এ পদ্ধতিতে মহিলাদের পিরিয়ডের নিরাপদ সময় গণনা করা হয়।
সাধারণত মাসিক শুরু হওয়ার আগের নয়দিন, মাসিকের দিনগুলো এবং মাসিক পরবর্তী চারদিন নিরাপদ সময়ের অন্তর্গত। এ সময়ে দৈহিক মিলন হলেও গর্ভপাত সঞ্চারণের কোনো ঝুঁকি থাকে না। উল্লেখ্য, পিরিয়ডের সময় দৈহিক মিলন ইসলাম ধর্মে সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। তাছাড়া বৈজ্ঞানিক দিক থেকেও এটা গ্রহণযোগ্য নয়। সে কারণে মাসিক শুরুর আগের নয়দিন এবং মাসিক পরবর্তী চারদিনেই সেফ পিরিয়ড বা নিরাপদ সময় হিসেবে গণ্য করতে হবে। অঙ্কের হিসেবেও নিরাপদ সময় বের করা যায়। ধরুন২৮ দিন পরপর আপনার নিয়মিত মাসিক হয়। ২৮ থেকে প্রথমে ১৮ এবং পরে ১০ বাদ দিন (২৮-১৮=১০ এবং ২৮-১০=১৮)। অর্থাৎ মাসিক শুরু হওয়ার দিন থেকে নবম দিন পর্যন্ত আপনি নিরাপদ, দশম দিন থেকে ১৮তম দিন পর্যন্ত আপনি ঝুঁকিপূর্ণ এবং আবার ১৯তম দিন থেকে ২৮তম দিন পর্যন্ত আপনি নিরাপদ। অনেকের অনিয়মিত মাসিক হয়। ধরুন কোনো মাসে ৪৫ দিন পর এবং অন্য মাসে ২৬ দিন পর হয়। সে ক্ষেত্রে ৪৫ থেকে ১০ বাদ দিন (৪৫-১০=৩৫) এবং ২৬ থেকে ১৮ বাদ দিন (২৬-১৮=৮) অর্থাৎ মাসিক চক্রের অষ্টম দিন থেকে ৩৫তম দিন পর্যন্ত আপনি ঝঁকির মধ্যে থাকবেন। বাকি সময় মোটামুটি নিরাপদ।
ন্যাচারাল ফ্যামিলি প্ল্যানিংয়ের দ্বিতীয় পদ্ধতি হচ্ছে মহিলাদের দৈহিক তাপমাত্রা মেপে নিরাপদ সময় বের করা। এ ক্ষেত্রে ভোরবেলা বিছানা ত্যাগের আগ মুহূর্তে মহিলাদের দৈহিক তাপমাত্রা (দথঢ়থল দসনী য়পশহপড়থয়ৎড়প) রেকর্ড করা হয়। মাসিক চক্রের প্রথমার্ধে তাপমাত্রা তুলনামূলক কম থাকে। পরে আস্তে আস্তে তাপমাত্রা বাড়তে থাকে। তাপমাত্রা বৃদ্ধির পরিমাণ ০.২ থেকে ০.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস হতে পারে। ডিম্বাণু পরিস্ফুটনের সময় তাপমাত্রা সর্বোচ্চ বৃদ্ধি পায়। এ সময়টা খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা বৃদ্ধির তিনদিন পর আবার দৈহিক মিলন শুরু করতে পারেন।
ন্যাচারাল ফ্যামিলি প্ল্যানিংয়ের সর্বশেষ পদ্ধতি হচ্ছে জরায়ু মুখের মিউকাস পরীক্ষা করে ঝুঁকিপূর্ণ সময় বের করা। এ পদ্ধতিতে একজন মহিলা আঙুলের সাহায্যে তার জরায়ু মুখের মিউকাস বা নিঃসৃত রস পরীক্ষা করবে। ইস্ট্রোজেন হরমোনের প্রভাবে মিউকাসের পরিমাণ ও ঘনত্ব বাড়তে থাকে। সর্বোচ্চ লেভেলে পৌঁছানোর পর আস্তে আস্তে মিউকাসের পরিমাণ ও ঘনত্ব কমে যায়। প্রজেস্টেরন হরমোনের প্রভাব এমনটা হয়ে থাকে এবং মাসিক শুরু না হওয়া পর্যন্ত এ অবস্থা বিরাজ করে। মিউকাসের ঘনত্ব ও পরিমাণ সর্বোচ্চ লেভেলে পৌঁছানোর চারদিন পর থেকে দৈহিক সম্পর্ক শুরু করা যেতে পারে।
ন্যাচারাল ফ্যামিলি প্ল্যানিংয়ের উপকারিতা
এ পদ্ধতিতে হরমোন ট্যাবলেট বা কোনো ডিভাইস ব্যবহার করতে হয় না। কোনো কোনো ধর্মে এ জাতীয় জিনিস ব্যবহার করাও নিষিদ্ধ। তাই তাদের ক্ষেত্রে ন্যাচারাল ফ্যামিলি প্ল্যানিংই একমাত্র পদ্ধতি হিসেবে বিবেচিত হতে পারে। তাছাড়া যারা সন্তান নিতে চান তাদেরও নিরাপদ সময় ও ঝুঁকিপূর্ণ সময় সম্পর্কে জ্ঞান থাকা আবশ্যক। কেননা একমাত্র ঝুঁকিপূর্ণ সময়ের দৈহিক সম্পর্ক আপনাকে পিতৃত্ব কিংবা মাতৃত্বের স্বাদ এনে দিতে পারে।
ন্যাচারালফ্যামিলি প্ল্যানিংয়ের অসুবিধাঃ
প্রায় ২৫ ভাগ ক্ষেত্রে এ পদ্ধতি ব্যর্থ।
যাদের অনিয়মিত মাসিক হয় তাদের ক্ষেত্রে এ পদ্ধতি তেমন কোনো কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে না।
এ পদ্ধতি ব্যবহার করতে হলে শিক্ষিত দম্পতি, কখনো কখনো ডাক্তারের পরামর্শ নেয়ার প্রয়োজন হতে পারে।
যৌনবাহিত রোগ প্রতিরোধে অক্ষম।
জন্মনিয়ন্ত্রণ ইনজেকশনঃ
ইনজেকশনে এক ধরনের সিনথেটিক হরমোন ব্যবহার করা হয়। বাণিজিক্যভাবে এটা ডিপো-প্রোভেরা নামে পরিচিত। একবার ইনজেকশন নিলে তিন মাস পর্যন্ত জন্মনিয়ন্ত্রণ করা যায়।
ইনজেকশনের সুবিধা খুবই কার্যকর একটি পদ্ধতি।পিলের মতো এর ক্ষতিকর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই।ইউটেরাস ও ওভারির ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়ক।অনিয়মিত পিরিয়ড নিয়মিত করে।
ইনজেকশনের অসুবিধাপ্রথম বছরে কিছু মহিলার পিরিয়ড নাও হতে পারে।ইনজেকশন বন্ধ করার পরও গর্ভধারণের জন্য কমপক্ষে এক বছর অপেক্ষা করতে হয়।এছাড়া ওজন বৃদ্ধি, ডিপ্রেশন ইত্যাদি হতে পারে। বর্তমানে বাজারে খৎষপললপ নামক এক ধরনের ইনজেকশন পাওয়া যাচ্ছে। এ ইনজেকশনে ইস্ট্রোজেন ও প্রোজেস্টেরন হরমোন ব্যবহৃত হয়। এটা প্রতি মাসে ব্যবহার করতে হয়। এর বড় সুবিধা হলো ইনজেকশন বন্ধ করার প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই আপনি কনসিভ করতে পারবেন।
জন্মনিয়ন্ত্রণ পিল
জন্ম নিয়ন্ত্রণ পিল জন্ম নিয়ন্ত্রণের জন্য ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত একটিপদ্ধতি। বহু বছর আগে থেকেই জন্ম নিয়ন্ত্রণের জন্য বিভিন্ন ধরনের পিল ব্যবহৃত হয়ে আসছে। তবে ওজন বৃদ্ধি, ব্রেস্টে ব্যথা, বমি বমি ভাব ইত্যাদি পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কারণে অনেকে পিল খেতে ভয় পান। আশার কথা হলো, বর্তমানে ব্যবহৃত পিলে এসব সমস্যা হয় না বললেই চলে।
পিল খাবারের পদ্ধতিটি
মোটামুটি সবাই জানে। এক পাতাতে সাধারণত ৩০টি পিল থাকে। এর মধ্যে প্রথম ২১টিতে থাকে ইস্ট্রোজেনও প্রোজেস্টেরন নামক হরমোন এবং
বাকি ৭টিতে কোনো হরমোন
থাকে না, থাকে আয়রন। পিল ডিম্বাণুর পরিস্ফুটনে বাধা দেয়। ফলে গর্ভধারণের সম্ভাবনা থাকে না।
পিলের সুবিধাসমূহ
*. জন্মনিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি পিলের নানা সুবিধা রয়েছে। যেমন
অনিয়মিত পিরিয়ড নিয়মিতকরণে ।
*. বাড়তি পিল গ্রহণের মাধ্যমে আপনি পিরিয়ডবিহীন ছুটি কাটাতে পারেন অথবা রমজান মাসে টানা একমাস রোজা রাখতে পারেন।
*. তলপেটের প্রদাহ, ব্রেস্টের কিছু রোগ, সিস্ট ইত্যাদি পিল গ্রহণের মাধ্যমে প্রতিরোধ করা যায়।
*. ডম্বাশয় ও ইউটেরাসের বিভিন্ন ক্যান্সার প্রতিরোধে পিল সহায়তাপ্রদান করে।
পিলের অসুবিধা
*. বমি বমি ভাব।
*. মাথাব্যথা।
*. ব্রেস্টে ব্যথা।
*. ওজন বৃদ্ধি।
*. পিরিয়ড বন্ধ হয়ে যাওয়া।
*. পিরিয়ডবিহীন ব্লিডিং।
*. বিষণ্নতা বা ডিপ্রেশন।
*. টেনশন।
*. সেক্সুয়াল আগ্রহ কমে যাওয়া।
*. প্রতিদিন একই সময় খেতে হয়।
বিশেষ কিছু ঝুঁকি
যেসব মহিলার রক্তে কোলেস্টেরলের পরিমাণ বেশি, যাদের ডায়াবেটিস, হাইপারটেনশন আছে এবং যারা কিছুটা স্থুলকায়, তাদের ক্ষেত্রে খাবার পিল স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।
প্রমাণিত না হলেও ধারণা করা হয় , ব্রেস্ট ক্যান্সার কিংবা জরায়ু মুখের ক্যান্সার সৃষ্টিতে পিলের পরোক্ষ ভূমিকা রয়েছে।
মিনি পিল
এ পিলে শুধু প্রোজেস্টেরন নামক হরমোন ব্যবহার করা হয়। যেসব মা শিশুকে বুকের দুধখাওয়াচ্ছেন তারা মিনি পিল ব্যবহার করতে পারেন। এছাড়াও যারা ইস্ট্রোজেনসমৃদ্ধ পিল খেতে পারেন না, তারাও মিনি পিল খেতে পারেন।
পিল খেতে ভুলে গেলে কী করবেন
একটি বা দুটি পিল খেতে ভুলে গেলে মনে পড়ার সঙ্গেসঙ্গে একটি পিল খাবেন। একই সঙ্গে সেদিনের নিয়মিত পিল যথাসময়ে খাবেন। পরপর তিনদিন ভুলে গেলে জন্মনিয়ন্ত্রণের অন্য কোনো পদ্ধতি যেমনকনডম ব্যবহার করবেনএবং পিরিয়ড না হওয়া পর্যন্ত বাকি পিল খেয়ে যাবেন।
পিলের সুবিধাসমূহ
*. জন্মনিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি পিলের নানা সুবিধা রয়েছে। যেমন
অনিয়মিত পিরিয়ড নিয়মিতকরণে ।
*. বাড়তি পিল গ্রহণের মাধ্যমে আপনি পিরিয়ডবিহীন ছুটি কাটাতে পারেন অথবা রমজান মাসে টানা একমাস রোজা রাখতে পারেন।
*. তলপেটের প্রদাহ, ব্রেস্টের কিছু রোগ, সিস্ট ইত্যাদি পিল গ্রহণের মাধ্যমে প্রতিরোধ করা যায়।
*. ডম্বাশয় ও ইউটেরাসের বিভিন্ন ক্যান্সার প্রতিরোধে পিল সহায়তাপ্রদান করে।
পিলের অসুবিধা
*. বমি বমি ভাব।
*. মাথাব্যথা।
*. ব্রেস্টে ব্যথা।
*. ওজন বৃদ্ধি।
*. পিরিয়ড বন্ধ হয়ে যাওয়া।
*. পিরিয়ডবিহীন ব্লিডিং।
*. বিষণ্নতা বা ডিপ্রেশন।
*. টেনশন।
*. সেক্সুয়াল আগ্রহ কমে যাওয়া।
*. প্রতিদিন একই সময় খেতে হয়।
বিশেষ কিছু ঝুঁকি
যেসব মহিলার রক্তে কোলেস্টেরলের পরিমাণ বেশি, যাদের ডায়াবেটিস, হাইপারটেনশন আছে এবং যারা কিছুটা স্থুলকায়, তাদের ক্ষেত্রে খাবার পিল স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।
প্রমাণিত না হলেও ধারণা করা হয় , ব্রেস্ট ক্যান্সার কিংবা জরায়ু মুখের ক্যান্সার সৃষ্টিতে পিলের পরোক্ষ ভূমিকা রয়েছে।
মিনি পিল
এ পিলে শুধু প্রোজেস্টেরন নামক হরমোন ব্যবহার করা হয়। যেসব মা শিশুকে বুকের দুধখাওয়াচ্ছেন তারা মিনি পিল ব্যবহার করতে পারেন। এছাড়াও যারা ইস্ট্রোজেনসমৃদ্ধ পিল খেতে পারেন না, তারাও মিনি পিল খেতে পারেন।
পিল খেতে ভুলে গেলে কী করবেন
একটি বা দুটি পিল খেতে ভুলে গেলে মনে পড়ার সঙ্গেসঙ্গে একটি পিল খাবেন। একই সঙ্গে সেদিনের নিয়মিত পিল যথাসময়ে খাবেন। পরপর তিনদিন ভুলে গেলে জন্মনিয়ন্ত্রণের অন্য কোনো পদ্ধতি যেমনকনডম ব্যবহার করবেনএবং পিরিয়ড না হওয়া পর্যন্ত বাকি পিল খেয়ে যাবেন।
জরুরি জন্মনিয়ন্ত্রণ
অনিরাপদ শারীরিক সম্পর্কহলে জরুরি
ভিত্তিতে জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতির আশ্রয় নিতে হয়। কনডম ছিঁড়ে গেলে প্রস্তুতিবিহীন শারীরিক সম্পর্ক হলে অনেকে বিচলিত হয়ে পড়েন।
ইমার্জেন্সি পিলে নরমাল পিলের মতো হরমোন থাকে । তবে এতে হরমোনের পরিমাণ বেশি থাকে। দুর্ঘটনার ৭২ ঘণ্টার মধ্যে প্রথম ডোজ ট্যাবলেট খেতে হয়। প্রথম ডোজ খাওয়ার ১২ ঘণ্টা পর দ্বিতীয় ডোজ খাওয়াতে হয়।
কপার-টি ৩৮০ ডিভাইস ইউটেরাসে ব্যবহার করেও ইমার্জেন্সি জন্মনিয়ন্ত্রণ করা যায়। পিলের থেকে এটা অধিক কার্যকর এবং দুর্ঘটনার সাতদিনের মধ্যে এটা ব্যবহার করতে হয়। উল্লেখ্য, ইমার্জেন্সি পিলের সফলতার হার ৫৫-৯৪ এবং কপার-টি ৩৮০-এর ক্ষেত্রে তা ৯৯ ভাগ। যারাইতিমধ্যে কনসিভ করে ফেলেছেন তাদের ক্ষেত্রে ইমার্জেন্সি এসব পদ্ধতি কোনো ভূমিকা রাখতে পারে না।
ইমার্জেন্সি পিলে নরমাল পিলের মতো হরমোন থাকে । তবে এতে হরমোনের পরিমাণ বেশি থাকে। দুর্ঘটনার ৭২ ঘণ্টার মধ্যে প্রথম ডোজ ট্যাবলেট খেতে হয়। প্রথম ডোজ খাওয়ার ১২ ঘণ্টা পর দ্বিতীয় ডোজ খাওয়াতে হয়।
কপার-টি ৩৮০ ডিভাইস ইউটেরাসে ব্যবহার করেও ইমার্জেন্সি জন্মনিয়ন্ত্রণ করা যায়। পিলের থেকে এটা অধিক কার্যকর এবং দুর্ঘটনার সাতদিনের মধ্যে এটা ব্যবহার করতে হয়। উল্লেখ্য, ইমার্জেন্সি পিলের সফলতার হার ৫৫-৯৪ এবং কপার-টি ৩৮০-এর ক্ষেত্রে তা ৯৯ ভাগ। যারাইতিমধ্যে কনসিভ করে ফেলেছেন তাদের ক্ষেত্রে ইমার্জেন্সি এসব পদ্ধতি কোনো ভূমিকা রাখতে পারে না।
জন্মনিয়ন্ত্রণের স্থায়ীপদ্ধতি
যাদের ফ্যামিলি কমপ্লিট এবং যারা আর
সন্তান নিতে চান না কেবল তারাই স্থায়ীপদ্ধতি ব্যবহার করতে পারেন। পুরুষ-মহিলা উভয়ের ক্ষেত্রে স্থায়ী পদ্ধতি প্রয়োগ করা যায়।
মহিলাদের বন্ধ্যত্বকরণ
এটাকে লাইগেন বলা হয় । এ ক্ষেত্রে খুবই ছোট একটা অপারেশনের মাধ্যমে ইউটেরাসের টিউব বন্ধ করে দেয়া হয়। জরায়ু নালি বন্ধকরায় শুক্রাণু ডিম্বাণুরসঙ্গে মিলিত হতে পারে না।ফলে গর্ভধারণের কোনো সম্ভাবনা থাকে না।
এ পদ্ধতির সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো হরমোনাল পদ্ধতির মতো এর কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। তবে ডিভোর্স, সন্তানের মৃত্যু ইত্যাদিনানা কারণে অনেকে আবার গর্ভধারণের ইচ্ছা পোষণ করতে পারেন। সে ক্ষেত্রে অপারেশনের মাধ্যমে আবার জরায়ুর নালিপথ সচল করা খুবই কঠিন হয়ে দাঁড়ায়।
ইমপ্ল্যান্টমহিলাঃ
বন্ধ্যত্বকরণের নতুন পদ্ধতিঃ
পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে মহিলাদের বন্ধ্যত্বকরণে নতুন একটি পদ্ধতি ব্যবহৃত হচ্ছে। এ পদ্ধতিতে ছোট একটা মেটালিক ইমপ্ল্যান্ট জরায়ু নালিতে স্থাপন করা হয়। অভিজ্ঞ চিকিৎসক ক্যাথেটারের সাহায্যে এ ইমপ্ল্যান্ট যোনিপথ দিয়ে উভয় জরায়ু নালিতে বসিয়ে দেন। ইমপ্ল্যান্ট জরায়ু নালিকে ব্লক করে। ফলে গর্ভধারণের সম্ভাবনাথাকে না। তবে এ ইমপ্ল্যান্ট স্থাপনের তিন মাস পর্যন্ত অন্য কোনো জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি চালিয়ে যেতে হয়। তিন মাস পর বিশেষ পদ্ধতিতে এক্স-রে করে দেখা হয়, ইমপ্ল্যান্ট সঠিক স্থানে এবং কার্যকর অবস্থানে আছে কি না।
পুরুষ বন্ধ্যত্বকরণঃ
পুরুষ বন্ধ্যত্বকরণ বা ভ্যাসেকটমি খুবই সহজ ও কার্যকর একটি পদ্ধতি। এটা জন্মনিয়ন্ত্রণের একটি স্থায়ী পদ্ধতি। এ ক্ষেত্রে শুক্রনালি পথ বন্ধ করে দেয়া হয়। শুক্রাশয়ের এক পাশে ছোট একটি জায়গা অবশ করে শুক্রনালি পথ কেটে দুই প্রান্ত বন্ধ করে দেয়া হয়। অপারেশনের পরপর আপনি বাড়ি চলে যেতে পারবেন। অপারেশনের পর ঝুঁকিমুক্তহতে কমপক্ষে ২০ বার বীর্যপাত হওয়া প্রয়োজন।
এ পদ্ধতি শতভাগ কার্যকর। খুব দ্রুত ও ঝুঁকিমুক্ত উপায়ে এটা সম্পন্ন করা হয়। তবে অপারেশনের পর কেউকেউ সিদ্ধান্ত পরিবর্তনের ইচ্ছা পোষণ করতে পারেন। সে ক্ষেত্রে বিপত্তি দেখা দিতে পারে। তাই ভ্যাসেকটমি করার আগে পূর্ণ সম্মতি নেয়া
মহিলাদের বন্ধ্যত্বকরণ
এটাকে লাইগেন বলা হয় । এ ক্ষেত্রে খুবই ছোট একটা অপারেশনের মাধ্যমে ইউটেরাসের টিউব বন্ধ করে দেয়া হয়। জরায়ু নালি বন্ধকরায় শুক্রাণু ডিম্বাণুরসঙ্গে মিলিত হতে পারে না।ফলে গর্ভধারণের কোনো সম্ভাবনা থাকে না।
এ পদ্ধতির সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো হরমোনাল পদ্ধতির মতো এর কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। তবে ডিভোর্স, সন্তানের মৃত্যু ইত্যাদিনানা কারণে অনেকে আবার গর্ভধারণের ইচ্ছা পোষণ করতে পারেন। সে ক্ষেত্রে অপারেশনের মাধ্যমে আবার জরায়ুর নালিপথ সচল করা খুবই কঠিন হয়ে দাঁড়ায়।
ইমপ্ল্যান্টমহিলাঃ
বন্ধ্যত্বকরণের নতুন পদ্ধতিঃ
পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে মহিলাদের বন্ধ্যত্বকরণে নতুন একটি পদ্ধতি ব্যবহৃত হচ্ছে। এ পদ্ধতিতে ছোট একটা মেটালিক ইমপ্ল্যান্ট জরায়ু নালিতে স্থাপন করা হয়। অভিজ্ঞ চিকিৎসক ক্যাথেটারের সাহায্যে এ ইমপ্ল্যান্ট যোনিপথ দিয়ে উভয় জরায়ু নালিতে বসিয়ে দেন। ইমপ্ল্যান্ট জরায়ু নালিকে ব্লক করে। ফলে গর্ভধারণের সম্ভাবনাথাকে না। তবে এ ইমপ্ল্যান্ট স্থাপনের তিন মাস পর্যন্ত অন্য কোনো জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি চালিয়ে যেতে হয়। তিন মাস পর বিশেষ পদ্ধতিতে এক্স-রে করে দেখা হয়, ইমপ্ল্যান্ট সঠিক স্থানে এবং কার্যকর অবস্থানে আছে কি না।
পুরুষ বন্ধ্যত্বকরণঃ
পুরুষ বন্ধ্যত্বকরণ বা ভ্যাসেকটমি খুবই সহজ ও কার্যকর একটি পদ্ধতি। এটা জন্মনিয়ন্ত্রণের একটি স্থায়ী পদ্ধতি। এ ক্ষেত্রে শুক্রনালি পথ বন্ধ করে দেয়া হয়। শুক্রাশয়ের এক পাশে ছোট একটি জায়গা অবশ করে শুক্রনালি পথ কেটে দুই প্রান্ত বন্ধ করে দেয়া হয়। অপারেশনের পরপর আপনি বাড়ি চলে যেতে পারবেন। অপারেশনের পর ঝুঁকিমুক্তহতে কমপক্ষে ২০ বার বীর্যপাত হওয়া প্রয়োজন।
এ পদ্ধতি শতভাগ কার্যকর। খুব দ্রুত ও ঝুঁকিমুক্ত উপায়ে এটা সম্পন্ন করা হয়। তবে অপারেশনের পর কেউকেউ সিদ্ধান্ত পরিবর্তনের ইচ্ছা পোষণ করতে পারেন। সে ক্ষেত্রে বিপত্তি দেখা দিতে পারে। তাই ভ্যাসেকটমি করার আগে পূর্ণ সম্মতি নেয়া
নেট থেকে সংগৃহীত