মশা অন্যদের তুলনায় আপনাকে বেশি কামড়ায় কেন? হ্যাঁ, এর কারন আছে। মশা কামড় দেয় আমাদের রক্ত থেকে প্রোটিন খাবার জন্য।মনে রাখবেন, পুরুষ মশা কিন্তু কামড়ায় না। রক্ত পান করার কাজটি করে কিন্তু
নারী মশা। রক্ত তাদের ডিমের সংখ্যা ও বাচ্চার সংখ্যা অনেক বাড়িয়ে দেয়।
আমেরিকার স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ লিসা কলিয়ের কুল এর প্রবন্ধ মতে নানা কারনে মশা অন্যদের থেকে আপনাকে বেশি কামড়ায় বা মশা আপনার দিকে আকর্ষিত হয় বলে জানা যায়।
আসুন কারনগুলো জেনে নেইঃ
যাদের রক্তের গ্রুপ ‘ও’, তাদের প্রতি মশাদের আকর্ষন সব থেকে বেশি।
জাপানি এক গবেষনায় এ তথ্য প্রকাশ পেয়েছে। গবেষনামতে যাদের রক্তের গ্রুপ ‘ও’, তাদের রক্ত মশাদের কাছে বেশি টেস্টি। তাই ঝাঁকে ঝাঁকে মশারা তার দিকে ধেয়ে যায়।
জার্নাল অব আমেরিকান মসকুইটো কনট্রোল এ্যাসোসিয়েশন এর রিপোর্ট মতে, বিয়ার পানকারী ব্যক্তি মশার দ্বারা আক্রান্ত হবার ঝুঁকিতে থাকেন। বিয়ার পানের পর
পরই মশারা তার রক্ত পানের জন্য ছুটে আসে।
পূর্নিমায় মশারা সবচাইতে বেশি সক্রিয় থাকে রক্ত পানের জন্য জার্নাল অব আমেরিকান মসকুইটো কনট্রোল এ্যাসোসিয়েশন আরো জানায় যে, ফুল মুন
বা পূর্নিমাতে মশারা রক্ত পানের জন্য অন্য যে কোন সময়ের চাইতে প্রায় ৫০০ গুন বেশি সক্রিয় হয়ে উঠে। তবে তাদের স্বাভাবিক রক্ত পানের সবচেয়ে মোক্ষম সময় হল ভোরে আর গোধুলী লগ্নে। আরো অবাক করা বিষয় হল তারা রক্ত পানের জন্য প্রায় ৬০ কিলোমিটার পর্যন্ত উড়ে যেতে পারে।
নোংরা পায়ের গন্ধ মশাদের খুব প্রিয় ডাচ বিজ্ঞানী বার্ট নলস আবিস্কার করেন যে, নোংরা, দূর্গন্ধযুক্ত পা মশাদের খুব পছন্দ। তিনি নিজের উপরই এই পরীক্ষাটি চালিয়েছেন। নলস শুধু তার আন্ডারওয়ারটি পড়ে মশা ভর্তি তার ল্যাবরেটরিতে শুয়ে পড়েন। এরপর লক্ষ্য করেন যে, মশারা উড়ে গিয়ে সোজা তার নোংরা দূর্গন্ধযুক্ত পায়ে গিয়ে বসে। অন্যদিকে যখন তিনি তার পা পরিস্কার দূর্গন্ধমুক্ত করে ঐ একই ল্যাবরেটরিতে গিয়ে বসলেন, দেখেন যে মশারা তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষিপ্তভাবে পছন্দ করে বসছে।
আপনি গর্ভবতি...
গাম্বিয়াতে পরিচালিত এক গবেষনায় দেখা যায় যে, মশারা আর্দ্র আর কার্বনডাইঅক্সাইডযুক্ত প্রশ্বাসে বেশি বেশি আকর্ষিত হয়। আর গর্ভবতি মহিলাদের প্রশ্বাস অন্যদের তুলনায় প্রায় ২১ ভাগ বেশি আর্দ্র আর কার্বনডাইঅক্সাইডযুক্ত।
অন্যদিকে গর্ভবতি মহিলাদের ত্বক একটু বেশি উষ্ণ, একটু বেশি আর্দ্র – যা মশাদের
খুবই পছন্দ।
শারীরিক ব্যায়াম বা পরিশ্রম আপনাকে মশার কামড়ের জন্য ঝুঁকিপূর্ন করে তোলে
জার্নাল অব আমেরিকান মসকুইটো কনট্রোল এ্যাসোসিয়েশন এর মতে যারা শারীরিক পরিশ্রম অথবা ব্যায়াম করেন, মশা কর্তৃক তাদেরকে কামড়ানোর হার অন্যদের তুলনায় বেশি। প্রায় ৫০ ভাগ বেশি। কারন বেশি পরিশ্রম কিংবা ব্যায়ামে আপনার প্রশ্বাসে কার্বনডাইঅক্সাইডের পরিমান বেড়ে যায় এবং আপনি প্রচুর ঘামেন। আর এই ঘামে তৈরী হয় ল্যাকটিক এসিড যা মশাদের আকৃষ্ট করে।
মশারা গাঢ় রঙের পোষাক পছন্দ করে যারা কালো এবং গাঢ় লাল রঙের পোষাক
পড়েন, তারা অন্যদের চাইতে বেশি মশার কামড় খান। মশারা হালকা রঙের
পোষাকে কম আকর্ষিত হয় যেমন খাকি, সবুজ, হালকা খাকি, হলুদ ইত্যাদি। আর
ধুসর কিংবা নীল রঙ হচ্ছে নিরপেক্ষ, বলা যায় মশা নিরপেক্ষ।
আপনার মত পৃথিবীর ২০% মানুষকে মশারা একটু বেশি সুস্বাদু মনে করে।
নেট থেকে সংগৃহীত।
আমেরিকার স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ লিসা কলিয়ের কুল এর প্রবন্ধ মতে নানা কারনে মশা অন্যদের থেকে আপনাকে বেশি কামড়ায় বা মশা আপনার দিকে আকর্ষিত হয় বলে জানা যায়।
আসুন কারনগুলো জেনে নেইঃ
যাদের রক্তের গ্রুপ ‘ও’, তাদের প্রতি মশাদের আকর্ষন সব থেকে বেশি।
জাপানি এক গবেষনায় এ তথ্য প্রকাশ পেয়েছে। গবেষনামতে যাদের রক্তের গ্রুপ ‘ও’, তাদের রক্ত মশাদের কাছে বেশি টেস্টি। তাই ঝাঁকে ঝাঁকে মশারা তার দিকে ধেয়ে যায়।
জার্নাল অব আমেরিকান মসকুইটো কনট্রোল এ্যাসোসিয়েশন এর রিপোর্ট মতে, বিয়ার পানকারী ব্যক্তি মশার দ্বারা আক্রান্ত হবার ঝুঁকিতে থাকেন। বিয়ার পানের পর
পরই মশারা তার রক্ত পানের জন্য ছুটে আসে।
পূর্নিমায় মশারা সবচাইতে বেশি সক্রিয় থাকে রক্ত পানের জন্য জার্নাল অব আমেরিকান মসকুইটো কনট্রোল এ্যাসোসিয়েশন আরো জানায় যে, ফুল মুন
বা পূর্নিমাতে মশারা রক্ত পানের জন্য অন্য যে কোন সময়ের চাইতে প্রায় ৫০০ গুন বেশি সক্রিয় হয়ে উঠে। তবে তাদের স্বাভাবিক রক্ত পানের সবচেয়ে মোক্ষম সময় হল ভোরে আর গোধুলী লগ্নে। আরো অবাক করা বিষয় হল তারা রক্ত পানের জন্য প্রায় ৬০ কিলোমিটার পর্যন্ত উড়ে যেতে পারে।
নোংরা পায়ের গন্ধ মশাদের খুব প্রিয় ডাচ বিজ্ঞানী বার্ট নলস আবিস্কার করেন যে, নোংরা, দূর্গন্ধযুক্ত পা মশাদের খুব পছন্দ। তিনি নিজের উপরই এই পরীক্ষাটি চালিয়েছেন। নলস শুধু তার আন্ডারওয়ারটি পড়ে মশা ভর্তি তার ল্যাবরেটরিতে শুয়ে পড়েন। এরপর লক্ষ্য করেন যে, মশারা উড়ে গিয়ে সোজা তার নোংরা দূর্গন্ধযুক্ত পায়ে গিয়ে বসে। অন্যদিকে যখন তিনি তার পা পরিস্কার দূর্গন্ধমুক্ত করে ঐ একই ল্যাবরেটরিতে গিয়ে বসলেন, দেখেন যে মশারা তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষিপ্তভাবে পছন্দ করে বসছে।
আপনি গর্ভবতি...
গাম্বিয়াতে পরিচালিত এক গবেষনায় দেখা যায় যে, মশারা আর্দ্র আর কার্বনডাইঅক্সাইডযুক্ত প্রশ্বাসে বেশি বেশি আকর্ষিত হয়। আর গর্ভবতি মহিলাদের প্রশ্বাস অন্যদের তুলনায় প্রায় ২১ ভাগ বেশি আর্দ্র আর কার্বনডাইঅক্সাইডযুক্ত।
অন্যদিকে গর্ভবতি মহিলাদের ত্বক একটু বেশি উষ্ণ, একটু বেশি আর্দ্র – যা মশাদের
খুবই পছন্দ।
শারীরিক ব্যায়াম বা পরিশ্রম আপনাকে মশার কামড়ের জন্য ঝুঁকিপূর্ন করে তোলে
জার্নাল অব আমেরিকান মসকুইটো কনট্রোল এ্যাসোসিয়েশন এর মতে যারা শারীরিক পরিশ্রম অথবা ব্যায়াম করেন, মশা কর্তৃক তাদেরকে কামড়ানোর হার অন্যদের তুলনায় বেশি। প্রায় ৫০ ভাগ বেশি। কারন বেশি পরিশ্রম কিংবা ব্যায়ামে আপনার প্রশ্বাসে কার্বনডাইঅক্সাইডের পরিমান বেড়ে যায় এবং আপনি প্রচুর ঘামেন। আর এই ঘামে তৈরী হয় ল্যাকটিক এসিড যা মশাদের আকৃষ্ট করে।
মশারা গাঢ় রঙের পোষাক পছন্দ করে যারা কালো এবং গাঢ় লাল রঙের পোষাক
পড়েন, তারা অন্যদের চাইতে বেশি মশার কামড় খান। মশারা হালকা রঙের
পোষাকে কম আকর্ষিত হয় যেমন খাকি, সবুজ, হালকা খাকি, হলুদ ইত্যাদি। আর
ধুসর কিংবা নীল রঙ হচ্ছে নিরপেক্ষ, বলা যায় মশা নিরপেক্ষ।
আপনার মত পৃথিবীর ২০% মানুষকে মশারা একটু বেশি সুস্বাদু মনে করে।
নেট থেকে সংগৃহীত।