ব্লগ লগইন করে বসে আসি অনেকক্ষণ হল। কি যে লেখব খুজে পাইনা। নানান তালবাহানা করে সময় নষ্ট করলাম। হটাত করে মনে হল ছোট বেলার এক লজ্জাভরা ঘটনা। আজকে আপনাদের সাথে শেয়ার করব ঘটনাটা। ছোট বেলা কে না ভালবাসে বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিতে। ছোট কালে আড্ডা দেওয়ার মত মজার জিনিস আর কি ছিল?? আমার জানা নাই। বন্ধুদের আড্ডাই পরে গায়ের মানুষের কত খাওয়ার জিনিস ছুরি করে তার কি আর হিসাব মিলানো যাবে!! যাহোক আর সময় নষ্ট না করে ঘটনা শুরু করি।
আমাদের গ্রাম এর পাশে, জোয়ার-ভাটায় নদী থেকে পানি আসে এমন একটি ছোট খাল আছে। ঐ প্রায় খাল পাড়ে বন্ধুদের সাথে আড্ডা দেওয়া হয়। একদিন স্কুল্ ফাঁকি দিয়ে বন্ধুদের সাথে খাল পাড়ে আড্ডা দিতেছি। আড্ডার ফাঁকে এক বন্ধু বলল, খালে ভাটা পরেছে। পানি কম, চল মাছ ধরি। যে কথা সেই কাজ। এদিক ওদিক তাকিয়ে সবাই নিজ নিজ ফেন্ট লুঙ্গী খোলে খালে দিলাম ঝাপ। হৈ চৈ করে পানিতে ছোঁয়া ছুঁই খেলতে বেশ ভালো লাগে। মাছ ধরার আগে একটু খেলা করে নিলাম।
আমাদের গ্রাম এর পাশে, জোয়ার-ভাটায় নদী থেকে পানি আসে এমন একটি ছোট খাল আছে। ঐ প্রায় খাল পাড়ে বন্ধুদের সাথে আড্ডা দেওয়া হয়। একদিন স্কুল্ ফাঁকি দিয়ে বন্ধুদের সাথে খাল পাড়ে আড্ডা দিতেছি। আড্ডার ফাঁকে এক বন্ধু বলল, খালে ভাটা পরেছে। পানি কম, চল মাছ ধরি। যে কথা সেই কাজ। এদিক ওদিক তাকিয়ে সবাই নিজ নিজ ফেন্ট লুঙ্গী খোলে খালে দিলাম ঝাপ। হৈ চৈ করে পানিতে ছোঁয়া ছুঁই খেলতে বেশ ভালো লাগে। মাছ ধরার আগে একটু খেলা করে নিলাম।
এবার, মাছ ধরার নেশায় মগ্ন্য। কেউ কেউ খাল থেকে কাঁদা মাটি নিয়ে পাহাড়ের ওপর থেকে পানি পর্যন্ত পিছলা করে ছিরছিরি বানাল (ছিরছিরি এইটা আমাদের আঞ্চলিক ভাষায় একটা খেলা)। একরে পর এক ছিরছিরি দিতেছি। এই খেলার মজাটাও কম না। মাছ ধরা আর খেলাধুলা করেতে করতে দুপুর গড়িয়ে আসল। এই দিকে খালে জোয়ারের পানি আসতে লাগল মাছ ধরা আর খেলা দিকে সবাই মগ্ন। আস্তে আস্তে জোয়ারের পানি বাড়তে লাগল। অবশেষে পানি বেশি বেড়ে জাওয়াতে খেলা বন্ধ করে দেওয়া হল। মাছ ধরা আর খেলাধুলায় এতো বেস্ত ছিলাম যে, আমাদের লুঙ্গী পেন্ট এর থা মনে ছিলনা। জোয়ারের পানিতে কবে যে লুঙ্গী পেন্ট গুলো পানি ভাসিয়ে গেল কেউ দেখতে পায়নি।
লুঙ্গী পেন্ট এর জন্য সবার লজ্জা লাগতে শুরু করল। বাড়িতে যাব কিভাবে পরনে যে কাপড় নাই। কি যে করি? বাড়িতে কিভাবে যাবো? যার মাথায় যা আসে বলতেছে। কেউ বলে রাত হোক বাড়ি যাব। কেউ বলে চোখ বন্ধ করে দৌড়ে চলে যাবো। কেউ বলে খালের কাঁদা মাটি শরীরে মেখে চলে যাবো। কেউ বলে লতা পাতা পেঁচিয়ে চলে যাবো ইত্যাদি। নানা জনের নানা মত। সব মতের এক মত। মনে পরলে এখনো লজ্জা লাগে।
পেন্ট
লুঙ্গি নাই, কি হইছে! খালের ভিতর কাঁদা মাটির অভাব আছে না কি! দুষ্টমির চলে বলেছে
এক বন্ধু, তার কথার উত্তরে অন্য বন্ধু বলে, হিন্দুরা মাটি দিয়ে বগভান বানিয়ে পুজা
করতে পারলে। আমরা কেন মাটি গায়ে দিয়ে ইজ্জত ডাকতে পারবো না। চল, সবাই গায়ে মাটি
মেখে মূর্তি হয়ে যায়। কেউ কাউকে চিনবে না। ইজ্জত ও আর যাবে না। হাহাহা। মজা আর
মজা। শুরু হল কাঁদা মাখা মাখি। লেংটা বাবুদের আর কেউ চিনবে না। কি চমৎকার দেখতে
লাগের। কাঁদা মাখা শরীরে হাঁসি তামশার চলে বাড়ির দিকে যাচ্ছি। এমন সময় স্কুল ছুটি
দিল। হায় সর্বনাশ। করি কি? কাঁদা মাখা লেংটা দেহ আর সামনে যায় না। আবার খালে
পানিতে ঝাপ। কি মজা। হাবুডুবু খেলা। অনেক হয়েছে আর নয়। শরীর আর চলে না। খেলা আর
ভালো লাগে না। বাড়ি যাবো। কিভাবে যাবো। এই চিন্তা।
লজ্জা শরমের মাথা খেয়ে সবাই খালের পাহাড়ে কলা গাছের বাগ্ল ও পাতা দিয়ে
কিছুটা লজ্জা কমালাম। একে অনন্যার দিকে তাকিয়ে হাসি রং তামশা নতুন রুপে জঙ্গলি ভাবে আড্ডা দিতে দিতে বাড়িতে চলে
গেলাম।