স্বাগতম

সবার জন্য উন্মুক্ত পেইজ ভিজিট করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ। *** শিক্ষার কোন বয়স নাই, জানার কোন শেষ নাই। *** বিঃদ্র ( যে সকল ব্লগ বা ওয়েবসাইট এর লেখা কোন অনুমতি ছাড়া কপি করে এখানে পোষ্ট করেছি, যদি কারো কোনো অভিযোগ থাকে দয়া করে জানাবেন। E-mail: nchafa10@gmail.com, ভালো লাগলে আবার আসবেন।***ধন্যবাদ***

ভালো থাকুন


গর্ভাবস্থায় খিঁচুনি: সতর্কতা জরুরি
গর্ভাবস্থার ২০ সপ্তাহ পর যদি কোনো নারীর রক্তচাপ ১৪০/৯০ বা তার বেশি হয় এবং প্রস্রাবের সঙ্গে আমিষ নির্গত হয়, তবে তাকে প্রি-এক্লাম্পসিয়া বলেপরে সমস্যাটি গর্ভাবস্থার খিঁচুনি হিসেবেও দেখা দিতে পারেসমস্যাটি মৃদু বা প্রকট দুই ধরনেরই হতে পারেরক্তচাপ যদি ১৪০/৯০-এর বেশি কিন্তু ১৬০/১১০-এর কম হয়, তবে সমস্যাটি মৃদুআর সিস্টোলিক প্রেশার (রক্তের সংকোচন চাপ) যখন ১৬০ বা তার বেশি, ডায়াস্টোলিক (প্রসারণ চাপ) প্রেশার ১১০-এর বেশি হলে সমস্যাটি
প্রকট হিসেবে ধরে নেওয়া হয়
কাদের ঝুঁকি বেশি
সাধারণত ২০ বছরের কম বা ৩৫ বছরের বেশি বয়সী গর্ভবতী নারী, যাঁদের পরিবারের কারও উচ্চরক্তচাপ বা প্রি-এক্লাম্পসিয়ার ইতিহাস আছে, পেটে যমজ বাচ্চা, ডায়াবেটিস, ওজন খুব বেশি, রক্ত জমাট বাঁধাজনিত সমস্যা আছে, তাঁদের এই রোগ হওয়ার আশঙ্কা বেশি
উপসর্গ
হঠাৎ করে ওজন বেশি বাড়তে থাকা, হাতে, পায়ে, মুখে বা সমস্ত শরীরে পানি আসা, মাথাব্যথা, ঘুমের সমস্যা, ওপরের পেটে ব্যথা, প্রস্রাবের পরিমাণ কমে যাওয়া, চোখে ঝাপসা দেখা ইত্যাদি
জটিলতা
এক্লাম্পসিয়া (গর্ভাবস্থায় খিঁচুনি), গর্ভফুলে রক্তপাত, অন্ধত্ব, মস্তিষ্কে রক্তপাত, প্রস্রাব বন্ধ হয়ে যাওয়া, কিডনি বিকল, সন্তান প্রসবের পর অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ, সংক্রমণ, এমনকি মৃত্যুও হতে পারে
শিশুর জটিলতা
বাচ্চার ওজন অতিরিক্ত কমে যাওয়া, পেটে বাচ্চার মৃত্যু, অপুষ্ট নবজাতক, শিশুর শ্বাসকষ্ট
চিকিৎসা
গর্ভাবস্থায় পরিমিত বিশ্রাম নেওয়া, পরিমিত আমিষজাতীয় খাবার গ্রহণ, দ্রুত ওজন এবং রক্তচাপ বেড়ে যাচ্ছে কি না, তা নির্ণয় করে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি
৫০% নারীর সন্তান প্রসবের পর ছয় মাস পর্যন্ত উচ্চরক্তচাপ থেকে যেতে পারেআর ২৫ শতাংশ নারীর পরবর্তী গর্ভাবস্থায় পুনরায় প্রি-এক্লাম্পসিয়া হতে পারে
২০% মায়ের মৃত্যু হয় দেশে এক্লাম্পসিয়ার কারণেপ্রি-এক্লাম্পসিয়া প্রতিরোধ করে  মাতৃমৃত্যুর হার কমানো সম্ভব।  জাতীয় ক্যানসার গবেষণা ইনস্টিটিউটি ও হাসপাতাল, মহাখালী সুত্রঃ http://www.prothom-alo.com ডা. রুশদানা রহমান
 সংগৃহীত


কোমরে ব্যথায় অবহেলা নয়
  
৪০ শতাংশ মানুষ জীবনে কোনো না কোনো সময় কোমরে ব্যথা বা ব্যাকপেইনে ভুগে থাকেনমেরুদণ্ডের হাড়, সংযোগকারী তরুণাস্থি, লিগামেন্ট, মাংসপেশি, মেরুদণ্ডের ভেতর স্নায়ুরজ্জু বা স্পাইনাল কর্ডএসবের যেকোনো সমস্যায় ব্যথার উৎপত্তি ঘটেমেয়েদের ডিম্বাশয় ও জরায়ু এবং পুরুষদের প্রস্টেট গ্রন্থির সমস্যায় এবং যে কারও কিডনির জটিলতায় কোমর ব্যথা হওয়া অস্বাভাবিক নয়হাড় ক্ষয়, হাড়ে সংক্রমণ বিশেষ করে যক্ষ্মা বা ক্যানসারও হতে পারে কোমর ব্যথার উৎস
বেশির ভাগ ক্ষেত্রে কোমরের মেরুদণ্ডের আশপাশের লিগামেন্ট বা মাংসপেশিতে টান পড়ার কারণে আকস্মিক কোমর ব্যথা দেখা দেয়ভারী কাজ করতে গিয়ে বা ওজন বহন করতে গিয়ে কিংবা অজান্তে বেকায়দায় কিছু করতে গিয়ে এই সমস্যার উদ্ভব হয়বেশির ভাগ ক্ষেত্রে কয়েক দিনের পূর্ণ বিশ্রাম ও কিছু ব্যথানাশক বা পেশি শিথিল করে এমন ওষুধই এই সমস্যা থেকে পরিত্রাণের জন্য যথেষ্ট
তবে ব্যথা কোমর ছাড়িয়ে নিচে পায়ের দিকে ছড়িয়ে পড়লে তা কোমরের হাড় সরে যাওয়া বা স্নায়ুর ওপর চাপ সৃষ্টি করাকে নির্দেশ করেনানা ধরনের আথ্রাইটিস, স্পনডাইলাইটিস কোমর ব্যথার সাধারণ কারণশোয়া-বসার বা কাজ করার সময় অস্বাস্থ্যকর ভঙ্গি, ওজনাধিক্য, গর্ভাবস্থা, মানসিক চাপসহ আরও নানাবিধ কারণ থাকতে পারে কোমর ব্যথারবেশির ভাগ ক্ষেত্রেই অতিরিক্ত বিচলিত হওয়ার কিছু নেইপ্রয়োজন নেই অনেক পরীক্ষা-নিরীক্ষাও
কিন্তু লাল পতাকা উপসর্গ থেকে থাকলে কোমর ব্যথাকে অবশ্যই আমলে নিন ও চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে ব্যথার উৎস খুঁজে বের করুন
- বয়স ২০ বছরের কম বা ৫৫ বছরের বেশি
- বয়স্ক ব্যক্তিদের
- আকস্মিক প্রচণ্ড ব্যথা
- ব্যথা সার্বক্ষণিক ও ধীরে ধীরে বাড়ছে
- রাতে বা বিশ্রামের সময়ও কমছে না
- সঙ্গে জ্বর, ওজন হ্রাস বা রাতের বেলা ঘাম হওয়া
- ক্যানসারের ইতিহাস
- পেটে কোনো চাকা অনুভূত হওয়া
- সকালে কোমরে জড়তা
- প্রস্রাব বা মলত্যাগে সমস্যা
- পায়ে দুর্বলতা
- স্টেরয়েড ওষুধ সেবনকারী, দীর্ঘমেয়াদি সংক্রমণের ইতিহাস বা এইচআইভি পজিটিভ রোগী
মেডিসিন বিভাগ, ইউনাইটেড হাসপাতাল
সংগৃহীত।
প্রশ্ন: চোখে ছানি পড়া বা পড়লে তা কীভাবে বোঝা যায়?
উত্তর: ছানি পড়া শুরু হলে দৃষ্টিশক্তির প্রখরতা ধীরে ধীরে কমতে থাকেসবকিছু ঝাপসা লাগেএকটি জিনিসকে দুই বা ততোধিক দেখা যায় কখনো কখনো বাতির চারদিকে রংধনুর মতো বর্ণালি দেখা যায়বিশেষ করে, রাতে গাড়ি চালাতে বেশ  অসুবিধা হয়চোখের মণি বা তারারন্ধ্রের রং কালো না হয়ে ঘোলাটে বা ধূসর দেখাতে পারেতবে চোখের লেন্স সম্পূর্ণভাবে ঘোলা হয়ে গেলে তা সাদা দেখা যায়তখনই সাধারণ  মানুষ একে ছানি পেকে গেছে বলে  ধরে নেয় l
ডা. মো. সিরাজুল ইসলামজাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট

প্রশ্ন: মাছের ডিম খেলে কি কোলেস্টেরল বাড়ে?
উত্তর: মাছ ও মাছের তেল খেলে কোলেস্টেরল  বাড়ে নাকিন্তু মাছের   ডিমের প্রায় পুরোটাই কোলেস্টেরলমাছের ডিম ও মগজ খাওয়া তাই ভালো নয়
আখতারুন নাহার,       প্রধান পুষ্টিবিদ,       বারডেম হাসপাতাল

প্রশ্ন: গর্ভকালীন ডায়াবেটিসে কি ইনসুলিন ছাড়া আর কোনো ওষুধ ব্যবহার করা নিরাপদ?
উত্তর: গর্ভস্থ শিশুর জন্য বেশির ভাগ ওষুধই অনিরাপদ ও ঝুঁকিপূর্ণকেবল ইনসুলিনই প্রায় সম্পূর্ণ নিরাপদ হিসেবে প্রমাণিততাই অকারণে ঝুঁকি না নেওয়াই ভালো  l     
ডা. ফিরোজ আমিন,       হরমোন ও ডায়াবেটিস বিভাগ, বারডেম হাসপাতাল

প্রশ্ন: সন্তান প্রসবের পর প্রথম প্রথম মায়ের বুকের দুধ কম আসেতাই এই সময় শিশুকে মধু, মিছরির পানি বা অন্য কোনো দুধ খাওয়ানো উচিত কি?
উত্তর: এটি কোনোভাবেই উচিত নয়প্রসবের পর পরই শিশুকে মায়ের বুকের দুধ দিতে হবেওই সময় মায়ের বুকে যতটুকু শালদুধ আসে, ততটুকুই শিশুর জন্য যথেষ্টশিশু যত ঘন ঘন মায়ের বুকের দুধ পান করবে, বুকে তত তাড়াতাড়ি দুধ আসবেএতে মায়ের বুকে দুধ দেরিতে আসবে ছাড়া মায়ের দুধ ছাড়া অন্য  কিছু খাওয়ালে উল্টো তা শিশুর ক্ষতি করতে পারেl
 ডা. মো. নুর ইসলাম, ঢাকা শিশু হাসপাতাল

প্রশ্ন: কানের ওপরের অংশ ফোঁড়ানো নিরাপদ কি?
উত্তর: আজকাল তরুণ-তরুণীরা
খুব আগ্রহ করেই কানের ওপরের অংশে দু-তিনটি ছিদ্র করে বাহারি অলঙ্কার বসিয়ে দেয়কিন্তু তারা অনেকেই হয়তো জানে না যে কানের ওপরের অংশ ফোঁড়ানো নিরাপদ নয়কারণ, কানের ওপরের অংশটা হলো তরুণাস্থি দিয়ে তৈরি এই তরুণাস্থির নিজস্ব কোনো রক্ত সরবরাহকারী রক্তনালি নেইফলে কোনো প্রদাহ অথবা সংক্রমণ হলে তা খুব সহজেই ছড়িয়ে পড়ে এবং সহজে ভালো হয় নাকিন্তু কানের লতিতে এসব সমস্যা নেইসুতরাং কান ফোঁড়ানোর জন্য কানের লতিকেই বেছে নেওয়া ভালো
ডা. মো. শামিম রেজা
,নাক , কান ও গলা বিভাগ, স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল
 
প্রশ্ন: সন্তানকে স্তন্যদানরত অবস্থায় নারীরা কি জন্মবিরতিকরণ বড়ি খেতে পারবেন?
উত্তর: স্তন্যদানরত অবস্থায়   নারীদের কিছুদিন মাসিক বন্ধ থাকে এবং এ সময় আবার গর্ভধারণের ঝুঁকি কমতবু ঝুঁকি এড়াতে অবশ্যই কোনো না কোনো নিয়ন্ত্রণপদ্ধতি অবলম্বন করা উচিতএ সময় কনডম, আইইউডি, ইনজেকশন ইত্যাদি পদ্ধতি বেশি নিরাপদআর বড়ি খেতে চাইলে শুধু প্রজেস্টেরন রয়েছে, এমন বড়ি বা প্রজেস্টেরন অনলি পিল, মিনিপিল ইত্যাদি   খাওয়া যাবে  l    
ডা. রোনা লায়লা, স্ত্রীরোগ ও প্রসূতিবিদ্যা বিভাগ,বারডেম হাসপাতাল

আমি প্রথম আল পত্রিকা নিয়মিত পড়ি। আমার ভালো লাগা থেকে আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম কপি পেস্ট করে। এই জন্য প্রথম আল পরিচালক বৃন্দের কাছে ক্ষমা প্রার্থী। 




ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে একটিভ থাকুন

১লা মে দিবস / শ্রমিকের অধিকার আদায়ের দিন

১লা মে দিবসের ছবি ১লা মে আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস পালন করা হয়। ১লা মে মহান মে দিবস। ১লা মে বিশ্বের শ্রমজীবী মানুষের অধিকার আদায়ের দিন। ১৮৮৬ স...