স্বাগতম

সবার জন্য উন্মুক্ত পেইজ ভিজিট করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ। *** শিক্ষার কোন বয়স নাই, জানার কোন শেষ নাই। *** বিঃদ্র ( যে সকল ব্লগ বা ওয়েবসাইট এর লেখা কোন অনুমতি ছাড়া কপি করে এখানে পোষ্ট করেছি, যদি কারো কোনো অভিযোগ থাকে দয়া করে জানাবেন। E-mail: nchafa10@gmail.com, ভালো লাগলে আবার আসবেন।***ধন্যবাদ***

ছারপোকার কামড় খাইতে খাইতে দিশেহারা মন


ছারপোকা কথা মুখে আসলেই ভয় লাগে মনে দেহের লোম দাড়িয়ে যায় অস্থির এক যন্ত্রণা। এই যন্ত্রণা থেকে বাঁচার উপায় কি তাহা এখনো আবিষ্কার করতেই পারলাম না। নেটে ঘুরে ঘুরে ছারপোকার কামড় থেকে বাঁচার মন্ত্র খুজতে গিয়ে আবিষ্কার করলাম- কালের কণ্ঠে প্রকাশিত (ছারপোকার ওষুধ) ফরীন সুমু এর লেখা- ছারপোকার যন্ত্রণায় বসতে পারেন না, শুইতে পারেন না, রাতে ঠিকমতো ঘুমাইতে পারেন না। ঘুমের অভাবে মনে অশান্তি, শরীরে অশান্তি। ছারপোকার কামড় খাইয়া চুলকাইতে চুলকাইতে জীবন শ্যাষ—এই সব সমস্যার একটাই সমাধান; মাইরা ফালান, মাইরা ফালান...ছারপোকাগুলারে মাইরা ফালান...। (এরপর ওষুধের কার্যকারিতা বর্ণনা শুরু)।

কয়েক দিন আগে হকারের কাছে এই সব ছন্দ কবিতা শুনে ভাবলাম আরে, একেই তো খুঁজছি! ছারপোকার যন্ত্রণায় জীবন তামা তামা। এদের গেরিলা আক্রমণে সারা রাত চোখের পাতা এক করতে পারি না। একটু চোখ বুজেছি, ওমনি কুট করে কামড়ে দেয়। সারা রাত কুটকুট সহ্য করে সকালে অফিসে গিয়ে ঝিমাই। তাই দেরি না করে কিনে নিয়ে এলাম সেই জাদুকরী ওষুধ। ছারপোকারা নাকি এটা লাইন ধরে খেয়ে সিরিয়াল ধরে মরবে। ওষুধের কৌটা হাতে নিয়েই মনটা ফুরফুরে হয়ে গেল। আজ হবে গেরিলা হামলার পাল্টা জবাব। ওষুধের গায়ের লেবেল দেখেই তো ভাল্লাগে। ছারপোকাগুলা চিত্ হয়ে পড়ে আছে, গায়ে লাল রঙের ক্রস চিহ্ন। রাতে বর্ণনামতো ওষুধ প্রয়োগ করে রুদ্ধশ্বাসে অপেক্ষা করলাম। সকালে উঠে গেলাম অফিসে। ছারপোকা সব মরেছে এই আনন্দে ঝিমুনি দূর হয়ে গেল। দুপুরে বুয়াকে ফোন দিলাম, ছারপোকা কতগুলো মরেছে জানতে। বুয়া জানাল, ছারপোকা তো দূরে থাক, একটা পিঁপড়াও মরে নাই। বরং এসব পাউডার দিয়ে ঘর নোংরা করে রাখায় সে খুবই বিরক্ত। আমি বিশ্বাস করতে পারলাম না। বুয়া নিশ্চয়ই খেয়াল করেনি। ঘটনার সত্যতা মিলল রাতে। বিছানায় শোয়ার কিছুক্ষণের মধ্যে শুরু হয়ে গেল সেই গেরিলা আক্রমণ। এমন তো হওয়ার কথা না। বোধ হয় দেওয়া ঠিকমতো হয়নি। কয়েক দিন পরে ওই লোককে আবার পেলাম। সে জানাল, তার ওষুধ এক নম্বর। আমি কোথাও ঝামেলা করেছি। আরেক ফাইল নিয়ে ট্রাই করলাম। ফলাফল একই। ন্যাড়া বেলতলায় একবার যায়। আমি দুবার গিয়ে বুঝলাম, মাথায় বেল পড়েছে। আরেক দিন গিয়ে ধরলাম ওষুধওয়ালাকে। এবার সে বলল, সে নাকি আমার মতো কারো কাছে ওষুধ বিক্রিই করেনি। একেবারে জায়গায় ইনসাল্ট।

আমি বাসায় এসে ভাবলাম, ব্যাটা তো আচ্ছা ধুরন্ধর! একে হাতেনাতে ধরা দরকার। অনেক ভেবে একটা বুদ্ধি বের করলাম। আরেক দিন ওই লোক এসে ওষুধের গুণগান শুরু করতেই আমি কয়েকটি জ্যান্ত ছারপোকা কাগজে মুড়ে নিয়ে গেলাম ওই লোকের কাছে। যথারীতি আমাকে সে চিনল না। আমি বললাম, ছারপোকা মরবে তো?

লোকটা তার সেই পুরনো লেকচার, বক্তৃতা দিয়েই যাচ্ছে। আমি বললাম, ভালো করে বুঝে দেখেন। সে বলল, মরবে মানে, অবশ্যই মরবে। না মরলে পয়সা ফেরত। আমাদের কথাবার্তা শুনে দু-চারজন লোক দাঁড়িয়ে গেছে। এবার আমি বের করলাম ক্ষুদে গেরিলা যোদ্ধাদের। বললাম এবার ওষুধ দেন। জায়গায় প্রমাণ। এখন দেখি ওই লোক আমতা আমতা করছে। জোরাজুরি করায় ওষুধ দিল। দেখা গেল ছারপোকারা মরা তো দূরে থাক, একটু মাথা ঘুরেও পড়ল না। বরং নির্বিকারভাবে পাউডারের মধ্যে হাঁটাহাঁটি শুরু করল। এরপর? এরপর ওই লোক অতি দক্ষতার সঙ্গে আমার পয়সা ফেরত না দিয়েই ওখান থেকে সটকে পড়ল। এখন তাকে আর এ পাড়ায় দেখা যায় না। আমার আর কি করা, বাধ্য হয়ে ছারপোকাদের সঙ্গে মিলেমিশে থাকি। মাথায় শুধু একটা বাক্য সংকোচন ঘোরে। দমন করা যায় না যা— ছারপোকা।
 
সংগৃহীত লিঙ্ক সুত্রঃ www.kalerkantho.com (ছারপোকার ওষুধ) ফরীন সুমু

ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে একটিভ থাকুন

১লা মে দিবস / শ্রমিকের অধিকার আদায়ের দিন

১লা মে দিবসের ছবি ১লা মে আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস পালন করা হয়। ১লা মে মহান মে দিবস। ১লা মে বিশ্বের শ্রমজীবী মানুষের অধিকার আদায়ের দিন। ১৮৮৬ স...