স্বাগতম

সবার জন্য উন্মুক্ত পেইজ ভিজিট করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ। *** শিক্ষার কোন বয়স নাই, জানার কোন শেষ নাই। *** বিঃদ্র ( যে সকল ব্লগ বা ওয়েবসাইট এর লেখা কোন অনুমতি ছাড়া কপি করে এখানে পোষ্ট করেছি, যদি কারো কোনো অভিযোগ থাকে দয়া করে জানাবেন। E-mail: nchafa10@gmail.com, ভালো লাগলে আবার আসবেন।***ধন্যবাদ***

গলা জলার কারণ কি?

বুক জ্বালা, গলা জ্বালা নিয়ে কথা
কিছু কিছু রোগ আছে সেগুলো সাধারণ ভাবে অনেকেরই হয়ে থাকে। তবে সচরাচর দেখা দিলেও এ সব রোগকে তেমন গুরুত্ব দেয়া হয় না বা এ জাতীয় রোগ নিয়ে মাথা ঘামান হয় না। গলা জ্বালা বা বুক জ্বালা করা এমনি একটি রোগ। এ রোগকে চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা যে নাম দিয়েছেন তা বেশ লম্বা এবং শক্ত মনে হতে পারে। আমরা সে নামে পরে আসছি। তবে এ রোগ এবং তার প্রতিকার নিয়ে আজকের আসরে আলোচনা করা হবে।
গলা জ্বালা বা বুক জ্বালার কথা অনেককে বলতে শোনা যায়। এই রোগের মূল কারণ হিসেবে গ্যাস্ট্রো ইজোফ্যাকাল রিফ্লেক্স ডিজিজ (Gastroesophageal Reflux Disease ) বা সংক্ষেপে গার্ড (GERD) কে দায়ী করা হয়। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার অন্যতম খ্যাতনামা চিকিৎসা কেন্দ্র ইউনাইটেড হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ডা.মাহবুব আলমের সাথে আমাদের আলাপ হয়েছে । সাধারণ ভাবে বুক বা গলা জ্বালা পোড়া করলে অনেকেই ধরে নেন যে তার 'গ্যাসট্রিক' বা এসিডিটি হয়েছে । তবে বুক বা গলা জ্বালা পোড়া করলেই এসিডিটি হয়েছে নিশ্চিত ভাবে এমনটা মনে করার কারণ নেই । বুক জ্বালা পোড়ার সাথে সাথে অনেকরই বুকে প্রচন্ড ব্যথা হতে পারে । ব্যাথার প্রচন্ডতা এতোটাই হতে পারে যে হার্ট এটাক বা হৃদরোগ হয়েছে বলে মনে হতে পারে। আমাদের খাদ্যদ্রব্য হজম করার জন্য পাকস্থলীতে এসিড, পিত্তরস এবং পেপসিন সহ বেশ কিছু উপাদান থাকে।
এ সব উপাদান নানা কারণে খাদ্য নালীতে ঢুকে পড়লে এবং সেখানে দীর্ঘ সময় অবস্থান করলে পরিণামে খাদ্যনালীর যে আবরণ আছে তার ক্ষতি হয়। আর এ কারণেই গলা জ্বালা বা বুক জ্বালার মত উপসর্গ দেখা দেয়। পাকস্থলী থেকে যে সব তরল উপাদান খাদ্যনালীতে এসে জমা হয় তার মধ্যে এসিড থাকার কারণেই এ ধরণের ক্ষতি হয়। পেপসিন বা পিত্তরস এ ক্ষেত্রে কতোটা ক্ষতি করে সে ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়া যায় নি।
এই রোগটি কেনো হয় সে কথায় যাওয়ার আগে মনে হয় একটি কথা বলা প্রয়োজন তা হলো, পাকস্থলীর তরল পদার্থ অনেক সময়ই খাদ্য নালীতে প্রবেশ করছে। এ জাতীয় পদার্থ যেনো দেহের কোনো ক্ষতি করতে না পারে দেহ সাধারণ ভাবে তার ব্যবস্থা করে রাখে । দিনের বেলা বেশির ভাগ সময় বসে বা দাড়িয়ে কাটাই সে সময় এই জাতীয় তরল পদার্থ খাদ্যনালীতে বেশি প্রবেশ করে । কিন্তু দাড়িয়ে বা বসে থাকার জন্য তা খাদ্যনালীতে বেশি ক্ষতি করতে পারে না। মধ্যকর্ষণের টানের কারণে পাকস্থলীর তরল পর্দাথকে আবার পাকস্থলীতে ফিরে যেতে হয়। এ ছাড়া মানুষ যখন জেগে থাকে তখন বেশি করে ঢোক গেলে। এ ভাবে প্রতিবার ঢোক গেলার কারণে তরল পদার্থকে পাকস্থলীতে ফিরে যেতে হয় ।
এ ছাড়া মুখে যে থুথু হয় তাতে বাইকার্বনেট নামের একটি উপাদান থাকে। ঢোক গেলার সময় এই থুথু পাকস্থলীতে যায়। খাদ্যনালীতে সে সময় সামান্য যে এসিড থাকে তাকে অকেজো করে দেয় থুথুর বাইকার্বনেট। কাজেই আমরা দেখতে পাচ্ছি, মধ্যাকর্ষণ শক্তি, ঢোক গেলা এবং থুথু খাদ্যনালীতে অযাচিত ভাবে ঢুকে পড়া পাকস্থলীর তরল পদার্থকে প্রতিহত করার জন্য রয়েছে। তবে রাতের বেলা ঘুমানোর জন্য শুয়ে পড়তে হয়। কাজেই তখন মধ্যাকর্ষণ শক্তি তেমন কোনো সাহায্যে আসে না। অন্যদিকে ঘুমন্ত মানুষ সাধারণ ভাবে ঢোকও গেলে না। কাজেই রাতে এসিড অনেক সময় ধরে খাদ্যনালীতে থাকে এবং খাদ্য নালীর ক্ষতি করে। এবার প্রশ্ন হলো তা হলে সবার কেনো এ রোগের উপসর্গ দেখা দেয় না? পরীক্ষায় দেখা গেছে যে একজন সাধারণ মানুষের খাদ্যনালীতে যতোবার পাকস্থলীর তরল পর্দাথ প্রবেশ করে সাধারণত ততবারই গার্ডের রোগীর খাদ্যনালীতেও একই পদার্থ প্রবেশ করে।
তবে গার্ডের রোগীর তরল পর্দাথে এসিডের পরিমাণ তুলনামূলক ভাবে বেশি থাকে। তাই তার ক্ষতি হয়। বেশি করে খাদ্যনালীতে এসিড ঢুকে পড়ার অনেক কারণ থাকতে পারে। দৈহিক কারণ থাকতে পারে। নানা রোগের কারণে এমনটা হতে পারে। আপাতত কোনো রোগ নেই কিন্তু তারপরও গার্ডের শিকার হচ্ছেন আর এমনটা হচ্ছে দৈহিক কারণে । বেশি মোটা লোকদের এভাবে গার্ডে আক্রান্ত হতে দেখা গেছে। অন্যদিকে খুব টাইট কাপড় চোপড় পড়লেও এ জাতীয় সমস্যা হতে পারে। আবার গর্ভবতী মহিলাদের ক্ষেত্রে এ ধরণের সমস্যা দেখা দিতে পারে । অতিমাত্রায় মানসিক চাপে থাকলে এবং খাবার দাবার বেশি খেলে এ রকম উপসর্গ দেখা দিতে পারে। কেউ কেউ ঝাল বা টক জাতীয় খাবার বেশি খেয়ে থাকেন তাদেরও এ জাতীয় উপসর্গ দেখা দিতে পারে। চা বা কফি জাতীয় খাবার বেশি খেলেও এই সংকট দেখা দিতে পারে। এ ছাড়া খাদ্যনালীর সমস্যা বা পেটের বেশ কিছু রোগের জন্য এ উপসর্গ হতে পারে।
চিকিৎসা শুরু করার আগে নিশ্চিত হতে হবে কেনো এ উপসর্গ দেখা দিচ্ছে। খাদ্যনালীর সংকট যেমন খাদ্যনালীর সাধারণের তুলনায় কম সঞ্চালনের কারণে যদি এ রোগ হয় তা হলে খাদ্যনালীর চিকিৎসা করাতে হবে। এ ছাড়া গর্ভবতী মায়েদের এ জাতীয় যে সব উপসর্গ দেখা দেয় তা সন্তান প্রসবের পর আপনা আপনি কমে যায়। আর যদি কারো বাড়তি ওজনের জন্য এ সংকট দেখা দেয় তা হলে তার ওজন হ্রাস করতে হবে। অন্যদিকে টাইট কাপড় চোপড় পরার কারণে যাদের এ জাতীয় সংকট হচ্ছে তাদেরকে টাইট কাপড় পরা ছাড়তে হবে। তবে এ উপসর্গ হ্রাস করার জন্য চিকিৎসক এসিড নিবারণী ওষুধ বা এসিড উৎপাদন হ্রাস করে এমন ওষুধ ব্যবহার করতে পারেন। মানসিক চাপের কারণে যাদের এমন সংকট হচ্ছে তাদেরকে চিকিৎসকরা প্রয়োজনীয় ওষুধ দেয়ার সাথে সাথে কাউন্সিলিং করতে পারেন। তাতেও বেশ কাজ হয় ।
বুক বা গলা জ্বালা পোড়াকে খুব হালকা ভাবে নেয়া উচিত নয় । অনেক সময় হৃদরোগের কারণে বুক জ্বালা পোড়া বা গলা জ্বালা পোড়া করতে পারে । সে কারণে কারো বুক জ্বালা পোড়া বা গলা জ্বালা পোড়া করলে সে জন্য একজন ভাল চিকিৎসকের কাছে যাওয়া উচিত। কেনো এই রোগ হচ্ছে সে ব্যাপারে নিশ্চিত হয়ে তারপর সু চিকিৎসা করা উচিত । চিকিৎসার জন্য সব সময় ওষুধ খেতে হবে এমন কোনো কথা নেই কারণ চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী চললে বিনা ওষুধেও এ সমস্যা দূর হয়ে যেতে পারে

ফেসবুক থেকে সংগৃহীত

ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে একটিভ থাকুন

১লা মে দিবস / শ্রমিকের অধিকার আদায়ের দিন

১লা মে দিবসের ছবি ১লা মে আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস পালন করা হয়। ১লা মে মহান মে দিবস। ১লা মে বিশ্বের শ্রমজীবী মানুষের অধিকার আদায়ের দিন। ১৮৮৬ স...