স্বাগতম

সবার জন্য উন্মুক্ত পেইজ ভিজিট করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ। *** শিক্ষার কোন বয়স নাই, জানার কোন শেষ নাই। *** বিঃদ্র ( যে সকল ব্লগ বা ওয়েবসাইট এর লেখা কোন অনুমতি ছাড়া কপি করে এখানে পোষ্ট করেছি, যদি কারো কোনো অভিযোগ থাকে দয়া করে জানাবেন। E-mail: nchafa10@gmail.com, ভালো লাগলে আবার আসবেন।***ধন্যবাদ***

সাবধান! blue whale game ''ব্লু হোয়েল" গেইমস

সাবধান হও blue whale game ''ব্লু হোয়েল" গেইমস খেলা থেকে দূরে থাকুন ।ব্লু হোয়েল গেম এর খবর। ব্লু হোয়েল গেম নিয়ে আতঙ্ক বেড়েই চলেছে দেশে। অনেকেই অসম্পূর্ণ, ভিত্তিহীন ও বানোয়াট তথ্য দিয়ে বিভিন্ন মিডিয়া ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম আতঙ্ক ও ভীতি সৃষ্টি করেছে। যার ফলে সুইসাইডাল চ‍্যালেঞ্জের এ গেমটি আরো প্রসার পাচ্ছে।

blue whale game ‘ব্লু হোয়েল গেম’ বাংলাদেশে কারো আত্মহত্যার কারণ হয়েছে কি না, তার তদন্ত করতে বিটিআরসিকে নির্দেশ দিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী- আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল।

ব্লু হোয়েল গেম কি
blue whale game ‘ব্লু হোয়েল’ বা ‘ব্লু হোয়েল চ্যালেঞ্জ’ একটি অনলাইন গেইম, যা অংশগ্রহণকারীকে মৃত্যুর পথে নিয়ে যায়। নীল তিমিরা মারা যাওয়ার আগে জল ছেড়ে ডাঙায় ওঠে যেন আত্মহত্যার জন্যই- সেই ধারণা থেকে এই গেইমের নাম হয়েছে ‘ব্লু হোয়েল’। 
২০১৩ সালে রাশিয়ায় ‘এফ৫৭’ নামে যাত্রা শুরু করে গেইমটি। নিজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কৃত ফিলিপ বুদেইকিন নামের এক সাবেক মনোবিদ্যা শিক্ষার্থী এই গেইম তৈরি করেন। তার দাবি, এর উদ্দেশ্য হচ্ছে সমাজে যাদের কোনো মূল্য নেই বলে তিনি বিবেচনা করেন তাদেরকে আত্মহত্যার দিকে প্ররোচিত করার মাধ্যমে সমাজকে ‘পরিষ্কার’ করা।

এই গেইম খেলে ১৬ কিশোরীর আত্মহত্যার পর বুদেইকিনকে রাশিয়ায় আটক করা হয়।

রাশিয়ায় যাত্রা শুরু করলেও পরে তা অন্য দেশেও ছড়িয়ে পড়ে। ভারতে এই গেইমটি খেলে কয়েকজনের আত্মহত্যার খবর আসার পর দেশটির সরকার ‘ব্লু হোয়েল’র মতো বিপজ্জনক অনলাইন গেইমের লিঙ্ক বন্ধ করার নির্দেশ দেয়।

ব্লু হোয়েল সত্যি নাকি বানোয়াট?
এ গেমের যেসব তথ্য প্রকাশিত হয়েছে গণমাধ্যমে তার মধ্যে বেশ কিছু্ রয়েছে সম্পূর্ণ বিভ্রান্তিকর। এ ধরনের কয়েকটি তথ্য তুলে ধরা হলো এ লেখায়।

blue whale game ap ব্লু হোয়েল গেম অ্যাপ
অনলাইনে ব্লু হোয়েল গেমের অ্যাপ সম্পর্কে কিছু কথা প্রচলিত রয়েছে। অনেকেই বলছেন, একবার অ্যাপটি ইনস্টল করা হলে তা আর মুছবে না। এটাও ভুল তথ্য। কারণ প্রযুক্তিবিদরা বলছেন, সব অ্যাপই মোছা সম্ভব। 
তাহলে কিভাবে এ গেমটি চলছে? এক্ষেত্রে মনে রাখতে হবে এটি গেম নয়, মূলত কিছু দুষ্ট লোকের মাধ্যমে অসহায় বা দুর্বল একজনকে চালিত করা। আর এজন্য অন্য যেকোনো মেসেঞ্জার, ফোন ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করবে তারা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যারা পদচারণা করেন তারা এজন্য সহজেই এ গেমের শিকার হন।

আত্মহত্যায় বাধ্য করে
একজন খেলোয়াড়ের সব তথ্য তারা নিয়ে নেয়। এরপর ব্ল‍্যাকমেইল করে আত্মহত্যা করতে বাধ্য করে- এমন তথ্য প্রায়ই পাওয়া যায়। যেমন একটি ধাপে নুড ছবি পাঠাতে বলে তারা। এতে ব্ল্যাকমেইল হতে পারে তবে এজন্য কেউ জীবন দিবে তা যুক্তিতে পড়ে না। তবে কেউ যদি আগে থেকেই আত্মহত্যাপ্রবণ থাকে তাহলে সে হয়তো প্ররোচণায় আত্মহত্যা করতে পারে।

স্বাভাবিক আত্মহত্যাকেই ব্লু হোয়েল বলে ধারণা
অনেক তরুণ নানা কারণে আত্মহত্যা করে থাকে। তাদের এ আত্মহত্যার ঘটনাকে অনেকেই ব্লু হোয়েল খেলার পরিণাম বলে মনে করছেন। ফলে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমেও বিষয়টি সেভাবে চলে এসেছে। তাই ব্লু হোয়েলের কারণে আত্মহত্যা করেছে বলে মনে করা ব্যক্তিদের অনেকেই হয়তো ভিন্ন কোনো কারণে আত্মহত্যা করেছে।

বেঁচে থাকাকে মূল্যহীন মনে করা
এ গেমের মধ্যে প্রথমে সহজ কাজ দেওয়া হয়। পাঁচ মিনিট হাঁটা, মুভি দেখা - এমন সাধারণ কাজ থেকে শুরু করে হাত কাটা বা তেলাপোকা/বিড়াল/কুকুর হত‍্যা বা ছাদে দাঁড়ানোর মতো কাজ দেয়া হয়। এরপর খেলোয়াড়ের মানসিক অবস্থা বিবেচনা করে কঠিন টাস্ক দেয়া হয়, যার মাধ্যমে তার বেঁচে থাকাকে মূল্যহীন মনে করে।

মৃত্যুর পর নতুন করে শুরু
এ গেমের শেষ কয়েকটি ধাপ সম্পর্কে খুব কমই জানা যায়। ধারণা করা হয় অনেককে এভাবে ব্রেন ওয়াশ করা হয় যে, মৃত্যুর পর নতুন আরেকটি সুন্দর জীবনের শুরু হবে। জঙ্গিরাও একই কায়দায় আত্মঘাতী হামলাকারী তৈরি করে। ঠিক একই ধরনের প্রলোভনেই হয়তো অনেকে ব্লু হোয়েল গেমের শেষে আত্মহত্যা করে।

এছাড়া আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, গেমটি খেলার পর আত্মহত্যা করেছে এমন মানুষের সংখ্যা নিয়ে বিভ্রান্তি রয়েছে। অনলাইনে যে সংখ্যাগুলো পাওয়া যাচ্ছে, তার কোনোটিই নির্ভরযোগ্য নয়। ফলে প্রতিবছর যে বিপুলসংখ্যক মানুষ আত্মহত্যা করে তাদের ব্লু হোয়েলের শিকার বলে চালিয়ে দেওয়া হচ্ছে কি না, তার অনুসন্ধানও গুরুত্বপূর্ণ।

সংগৃহীত- 
১। ব্লু হোয়েল গেম, বিটিআরসিকে তদন্তের নির্দেশ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর (www.ittefaq.com.bd)
২।‘ব্লু হোয়েল’ তদন্তের নির্দেশনা বিটিআরসিকে  (bangla.bdnews24.com)
৩। ব্লু হোয়েল সত্যি নাকি বানোয়াট? (kalerkantho.com)

সাবধানতা কে উরিয়ে দিয়ে  বোকার  পরিচয় দিবেন না , তাই বলবো আপনাদের বাচ্চাদের সাবধান করুন । 

ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে একটিভ থাকুন

১লা মে দিবস / শ্রমিকের অধিকার আদায়ের দিন

১লা মে দিবসের ছবি ১লা মে আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস পালন করা হয়। ১লা মে মহান মে দিবস। ১লা মে বিশ্বের শ্রমজীবী মানুষের অধিকার আদায়ের দিন। ১৮৮৬ স...