স্বাগতম

সবার জন্য উন্মুক্ত পেইজ ভিজিট করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ। *** শিক্ষার কোন বয়স নাই, জানার কোন শেষ নাই। *** বিঃদ্র ( যে সকল ব্লগ বা ওয়েবসাইট এর লেখা কোন অনুমতি ছাড়া কপি করে এখানে পোষ্ট করেছি, যদি কারো কোনো অভিযোগ থাকে দয়া করে জানাবেন। E-mail: nchafa10@gmail.com, ভালো লাগলে আবার আসবেন।***ধন্যবাদ***

আমশায় রোগ ও রোগের কারন কি

আমাশয় বা ডিসেন্ট্রি একটি অতি পরিচিত রোগ। বিভিন্ন কারণে এই রোগ হয়। আমাশয় বা ডিসেন্ট্রি বলতে সাধারন ভাবে যা বুঝায়– অ্যামিবা (এক কোষী পরজিবি বা পেরাসাইট) এবং সিগেলা-shigella এক ধরনের বেক্টরিয়ার ধারা মানবদেহের পরিপাকতন্ত্রে (গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল) বাসা বেঁধে যে ঘা বা ইনফেকশনে পেটে কামড়ানো সহ মলের সাথে পিচ্ছিল আম অথবা শ্লেষ্মা যুক্ত রক্ত যাওয়া কে আমাশয় বা ডিসেন্ট্রি বলা হয়।


আমাশয় বা ডিসেন্ট্রি একটি অতি পরিচিত রোগ। বিভিন্ন কারণে এই রোগ হয়। এ বিষয়ে কথা বলেছেন বাংলাদেশে সোসাইটি অব মেডিসিনের মহাসচিব এবং ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের অধ্যাপক ডা মো. ফয়জুল ইসলাম চৌধুরি।

প্রশ্ন : ডিসেন্ট্রি বা আমাশয় অত্যন্ত প্রচলিত একটি রোগ। এ রোগের আক্রান্ত হয়নি এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া মুশকিল। তবে কারো কারো বেলায় দীর্ঘ মেয়াদি হয়। কেউ কেউ মনে করে তার সারাজীবন ধরেই আমাশয় হচ্ছে। 


আমাশয় কী? 
যদি আপনার বারবার পায়খানা হয়। পায়খানার সঙ্গে যদি রক্ত বা মিউকাস যায়, তখন আমরা একে বলি আমাশয়। ( আধুনিক প্রযুক্তিতে কয়েকটি ভাইরাস, ছত্রাক ও কৃমি জাতীয় জীবাণু ও আমাশয় সৃষ্টি করতে পারে বলে প্রমানিত হয়েছে )

আমাশয় দুই প্রকার


১- অ্যামিবিক ডিসেন্ট্রি 

২ ব্যাসিলারি ডিসেন্ট্রি

তবে এই আমাশয়গুলো দীর্ঘমেয়াদি নয়। এগুলো স্বল্প মেয়াদির আমাশয়। তিন থেকে সাতদিনের। চিকিৎসা না করা হলেও চলে যেতে পারে। তবে জোড়ালোভাবে যদি আক্রান্ত হয় রোগী তাহলে চিকিৎসা করা দরকার এবং পাঁচ থেকে সাতদিনের ভেতর ভালো হয়ে যাবে।

তবে আরেক ধরনের মানুষ আছে আমাদের দেশে। যারা বলে, ‘আমার তো ক্রনিক ডিসেনট্রি।’ যদি বলি, ক্রনিক ডিসেনট্রি বুঝলেন কীভাবে? বলবে, ‘আমার মলের সাথে সবসময় মিউকাস যায়, আম যায়। পেটে ব্যথা থাকে। আসলে সেগুলো আমাশয় নয়।

প্রশ্ন : তাহলে সেগুলো কী?

উত্তর : আরেকটি রোগ রয়েছে যেটি আমাদের দেশের মানুষের মধ্যে প্রায়ই দেখা যায়। এটিকে বলা হয় আইবিএস। ইরিটেবল বাউয়েল সিনড্রম। এটা নারিভুড়ির এক ধরনের ফাংশনাল রোগ। ফাংশনাল রোগ এই জন্য বলছি যে, এটা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে কোনো কিছু পাওয়া যাবে না। কোনো ধরনের জীবাণু পাওয়া যাবে না।

কোনো ধরনের প্যাথলজি পাওয়া যাবে না। যদি প্যাথলজি পাওয়া না যায় একে আমরা বলি ফাংশনাল রোগ। এই রোগের একটি প্রকৃতি হচ্ছে মাঝেমধ্যে মলের সাথে আম যাওয়া। এটি আইবিএসেরই একটি লক্ষণ। এটি আমাশয় নয়।

আমাশয় রোগের কারনঃ
পানি, বাতাস, মশা, মাছি ও খাবারের মাধ্যমেই সাধারণত এই রোগ সংক্রামিত হয়ে থাকে। গরম ও নাতিশীতোষ্ণ অঞ্চলে এ রোগের প্রকোপ বেশি হয়ে থাকে।
আমাশয় রোগের প্রাথমিক লক্ষণ গুলো হচ্ছে ;
১. কয়েকদি আগে থেকে পেটে অস্বস্তি ও ভার ভার অনুভব হয়।
২. কোন কোন খেত্রে কোষ্ঠকাঠিন্য ও উদরাময় দেখা দেয় ।
৩. পায়খানা হওয়ার পূর্বে নাভির চারপেশে ও তলপেটে ব্যথা অনুভব হয় ।
৪. পেত কামড়াতে থাকে এবং বার বার পায়খানার বেগ হয় কিন্তু পায়খানা খুবই কম হয় ।
৫. পায়খানা দুর্গন্ধযুক্ত হয় এবং পায়খানার পরেও পেট ব্যথা বা পেট কামড়ানো কিছুক্ষন থাকে। পায়খানা হলে প্রথমে কাদা কাদা এবং পরে পায়খানার সাথে কফ বা মিউকাস মিশ্রিত অল্প অল্প হলদে, সবুজ, কালো মল নির্গত হতে থাকে। জীবাণু দ্বারা অন্ত্রের ঝিল্লী ক্ষত-বিক্ষত হলে রক্তস্রাবের কারণে পায়খানা লালচে হয়ে যায়। মলের সাথে রক্ত নির্গত হলে তখন এ রোগকে বলা হয় রক্ত আমাশয় বা Blood-dysentery)।অনেক ক্ষেত্রে পেটে বায়ু জমে এবং দেহের তাপ বৃদ্ধি পেয়ে অল্প জ্বরও আসতে পারে।

চিকিৎসা ;
দ্রুত বংশ বৃদ্ধিক্ষম বহিঃস্থ জীবাণু দ্বারা আক্রান্তের কারণে এই আমাশয় রোগ সৃষ্টি হয় বলে প্রথমে ঔষধের সহায়তায় যত শীঘ্র সম্ভব দেহকে জীবাণুমুক্ত করা আবশ্যক। সেই সাথে নিয়মিত যৌগিক-ব্যায়াম ও যথাযথ রোগারোগ্যের নিয়ম-কানুন পালন করলে আর আক্রমণ করতে পারে না। তবে মনে রাখতেহবে, শুধুমাত্র ঔষধে এ জাতীয় রোগ চিরতরে দূর হয় না। সুযোগ পেলেই এরা দেহে বাসা বেঁধে ফেলে। নিয়মিত ইয়োগা বা যোগ-ব্যায়াম অভ্যাসে রাখলে শরীরের রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পেয়ে সে সুযোগ আর থাকে না।
আমাশয় রোগীর পথ্যের ক্ষেত্রে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করতে হয়। পানীয় হিসেবে লেবুর শরবত, ঘোল বা মাঠা, পাতলা বার্লি, ডাবের পানি, বেলের শরবত ইত্যাদি। খাবার হিসেবে কাঁচকলা, থানকুনি পাতা, কাঁচা পেঁপে ও জিওল মাছের ঝোল দিয়ে নরম ভাত। এছাড়া দুধের ছানা বা ছানা জাতীয় খাবার আমাশয় রোগীর জন্য বিশেষ উপকারী।

নেট থেকে সংগৃহীত 

ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে একটিভ থাকুন

১লা মে দিবস / শ্রমিকের অধিকার আদায়ের দিন

১লা মে দিবসের ছবি ১লা মে আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস পালন করা হয়। ১লা মে মহান মে দিবস। ১লা মে বিশ্বের শ্রমজীবী মানুষের অধিকার আদায়ের দিন। ১৮৮৬ স...