স্বাগতম

সবার জন্য উন্মুক্ত পেইজ ভিজিট করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ। *** শিক্ষার কোন বয়স নাই, জানার কোন শেষ নাই। *** বিঃদ্র ( যে সকল ব্লগ বা ওয়েবসাইট এর লেখা কোন অনুমতি ছাড়া কপি করে এখানে পোষ্ট করেছি, যদি কারো কোনো অভিযোগ থাকে দয়া করে জানাবেন। E-mail: nchafa10@gmail.com, ভালো লাগলে আবার আসবেন।***ধন্যবাদ***

কিছু বাংলাদেশী পাখির ছবি ও পরিচিতি-১

মনটা ভালো নেই। মনটাকে ভালো রাখার জন্য, নেট-গুগল মামার সঙ্গে আড্ডা দিতেছি।  হঠাত মনে পরে গেল ছোট বেলায় কথা। পাখি নিয়ে খেলা করা, আর কত মজা করতাম।  গাছে উপরে ওঠে পাখির বাসা থেক ডিম চুরি করা আর ছোট ছোট বাচ্চা নিয়ে খেলা করা আর কত কি।  আজ খুব মিস করি ছোট বেলার দিন গুলি।  তাই মনকে ভালো রাখার জন্য ছোট বেলার দিন গুলিকে স্মরণ করে নেট থেকে সংগ্রহ করে পাখি নিয়ে একটি পোষ্ট শেয়ার করলাম আপনাদের মাঝে।  আশা করি আপনাদেরও ভালো লাগবে।   

টুনটুনি পাখি 
টুনটুনির ইংরেজী নাম Common tailorbird অর্থাৎ দর্জি পাখি। এরা গাছের পাতা ঠোঁট দিয়ে সেলাই করে বাসা বানায়।বৈজ্ঞানিক নাম--Orthotommus sutoriu




টুনটুনি আকারে ছোট পাখি। এদের যত চালাক পাখি ভাবা হয় আসলে তা নয়। এরা যেমন চালাক তেমন বোকা। টুনটুনি বিপদ দেখলেই চেঁচামেচি করে। ফলে সহজেই শত্রুর কবলে পড়ে।
টুনটুনির বাসা খুব বেশি উচুতে হয়না। সাধারনত এরা ৬-১০ সেমি উচ্চতায় বাসা বাধে। ছোট গুল্ম জাতীয় গাছ অথবা ঝোপঝাড় এদের প্রধান পছন্দ।শিম, লাউ, কাঠ বাদাম, সূর্যমূখী, ডুমুর, লেবু এগুলো গাছে এরা বেশি বাসা বাধে।পুরুষ ও স্ত্রী পাখি মিলে বাসা তৈরী করে। টুনটুনি পাখি সম্পর্কে আর বিস্তারি wikipedia তে।

বাবুই পাখি

 খুব সুন্দর বাসা বোনে বলে এরা "তাঁতী পাখি" (Weaver Bird) নামেও পরিচিত। এদের বাসার গঠন বেশ জটিল আর আকৃতি খুব সুন্দর। কয়েক প্রজাতির বাবুই একাধিক কক্ষবিশিষ্ট বাসা তৈরি করতে পারে।

এরা বেশ দলবদ্ধ প্রাণী আর কলোনি করে জীবনযাপন করতে অভ্যস্ত। বেশিরভাগ বাবুই প্রজাতির পুরুষ সদস্য বেশ উজ্জ্বল রঙের হয়। কিছু প্রজাতি তাদের প্রজনন মৌসুমে বর্ণের ভিন্নতা প্রদর্শন করে। বাংলাদেশে তিন ধরনের বাবুই দেখা যায়

বাবুই পাখির বাসা উল্টানো কলসীর মত দেখতে। বাসা বানাবার জন্য বাবুই খুব পরিশ্রম করে। ঠোঁট দিয় ঘাসের আস্তরণ সারায়। যত্ন করে পেট দিয়ে ঘষে(পালিশ করে) গোল অবয়ব মসৃণ করে। শুরুতে দুটি নিম্নমুখী গর্ত থাকে। পরে একদিক বন্ধ করে ডিম রাখার জায়গা হয়। অন্যদিকটি লম্বা করে প্রবেশ ও প্রস্থান পথ হয়। কথিত আছে: রাতে বাসায় আলো জ্বালার জন্য বাবুই জোনাকী ধরে এনে গোঁজে।
বাংলাদেশে বাংলা ও দাগি বাবুই এর প্রজাতি বিলুপ্তির পথে, তবে দেশি বাবুই এখনো দেশের সব গ্রামের তাল, নারিকেল, খেজুর, রেইনট্রি গাছে দলবেঁধে বাসা বোনে। এরা সাধারণত মানুষের কাছাকাছি বসবাস করে, তাই দেখা যায় এদের বাসা মানুষের হাতের নাগালের মাত্র পাচ অথবা ছয় ফুট উপরে। ফলে অনেক অসচেতন মানুষ এদের বাসা ভেঙে ফেলে আর একারণেই এদের সংখ্যা রহস্যজনকভাবে কমে যাচ্ছে। বাবুই পাখি সম্পর্কে  আর বিস্তারি wikipedia তে।  

চড়ই পাখি 
ইংরেজি নামঃ House Sparrow 
বৈজ্ঞানিক নামঃ Passer domesticus 

শহরে গ্রামে সর্বত্রই এর সমান বিচরন। সাধারনত দল বেধে থাকে। 
ডাকাডাকি করার আগে সব চড়ুই একত্রিত হয়। তারপর শুরু করে কিচিরমিচির ডাক।  গ্রামে দেখা যায়, উঠোনে ধান ছিটিয়ে দিলে দল বেধে চড়ুই এসে উঠোনে বসে খুটিয়ে খুটিয়ে ধান খায় আর কিচির মিচির করতে থাকে... 

দোয়েল পাখি
এর বৈজ্ঞানিক নাম Copsychus saularis। ইংরেজিতে এটি Oriental magpie-robin নামে পরিচিত। উল্লেখ্য যে, এই পাখির বাংলা নামটির সঙ্গে ফরাসী ও ওলন্দাজ নামের মিল আছে। ফরাসী ভাষায় একে বলা হয় Shama dayal এবং ওলন্দাজ ভাষায় একে বলা হয় Dayallijster। এটি বাংলাদেশেরজাতীয় পাখি। বাংলাদেশের পল্লী অঞ্চলের সর্বত্রই দোয়েল দেখা যায়।

Copsychus saularis - Ang Khang.jpg
নানা রকম সুরে ডাকাডাকির জন্য দোয়েল সুপরিচিত। অস্থির এই পাখীরা সর্বদা গাছের ডালে বা মাটিতে লাফিয়ে বেড়ায় খাবারের খোঁজে। কীট পতঙ্গ, ছোট ছোট শুঁও পোকা এদের প্রধান খাদ্য। কখনো কখনো সন্ধ্যার আগে আগে এরা খাবারের খোঁজে বের হয়। পুরুষ দোয়েল স্ত্রী দোয়েলকে আকৃষ্ট করার জন্য মিষ্টি সুরে ডাকাডাকি করে। তবে স্ত্রী দোয়েলও পুরুষ দোয়েলের উপস্থিতিতে ডাকতে পারে।

Copsychus saularis - Ang Khang female.jpg

দোয়েল পাখি সম্পর্কে আর বিস্তারি  
wikipedia তে।  

ফিঙ্গে পাখি
ফিঙ্গে, Black Drongo
Image result for ফিঙ্গে পাখি
আমাদের গ্রামের সবচেয়ে পরিচিত পাখিদের মধ্যে একটা হল ‘ফিঙ্গে’। সবচেয়ে অদ্ভুত ব্যাপার দেখেছি এরা সন্ধ্যের অন্ধকারে বা রাস্তার ল্যাম্পপোস্টের আলোতেও পোকা শিকার করে। ভয়ডর নেই একদম!! কোন কোন আঞ্চলিক ভাষাই এইকে ''দেচ্ছা'' নামে পরিচিত। 

বুলবুলি পাখি 
বাংলা বুলবুল (বৈজ্ঞানিক নামPycnonotus caferলালপুচ্ছ বুলবুলি বাকালচে বুলবুলি Pycnonotidae (পাইকনোনোটিডি) গোত্র বা পরিবারেরঅন্তর্গত Pycnonotus (পাইকনোনোটাস) গণের এক প্রজাতির অতি পরিচিত দুঃসাহসী এক পাখি। বুলবুলি হিসেবে এরা সুপরিচিত।

Red-vented Bulbul (Pycnonotus cafer) feeding at Kapok (Ceiba pentandra) at Kolkata I IMG 2535.jpg
বাংলা বুলবুল আমাদের অতি পরিচিত ছোট বাদামি রঙের এক বৃক্ষচারী পাখি।

মাথার কালো ঝুঁটি দেখে খুব সহজেই এদের সনাক্ত করা যায়। প্রাপ্তবয়স্ক পাখির মাথা কালো বা কালচে-বাদামি। বাদামি দেহের শেষাংশ ও ডানার প্রান্ত কালচে-বাদামি। পেট অপেক্ষাকৃত ফিকে বাদামি। দেহতলে এবং কখনও কখনও উপপ্রজাতিভেদে পিঠে মাছের আঁশের মত ফিকে দাগ থাকে। পালকের গড়ন আঁশের মত বলে এমনটা হয়। লেজ বাদামি হলেও লেজের আগা কিছু দূর গাঢ় বাদামি হয়ে প্রান্ত একদম সাদা। লেজের গোড়ার দিকটা সাদা। এর দেহের সবচেয়ে দৃষ্টব্য ও বিচিত্র স্থানটি হল এর টকটকে লাল অবসারণী-ঢাকনি। এ লাল অবসারনীর জন্যই এর ইংরেজি নাম হয়েছে Red-vented Bulbul।  বুলবুলি পাখি  সম্পর্কে আর বিস্তারি জানতে এইখানে ক্লিক করেন।  

মৌটুসী পাখি 
ইংরেজি নামঃ sunbird 
বৈজ্ঞানিক নামঃ Aethopyga siparaja 
বাংলাদেশের ছোট পাখিগুলোর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে মোটুসী। এদেশে ১১ ধরনের মৌটুসি পাখি দেখা যায়। 
আকার আকৃতিতে খুবই ছোট। সাধারনত ফুলের মধু খেয়ে থাকে। স্ত্রী পাখির গায়ের রঙ ফ্যাকাসে হয়... 

আজকের মত এই পর্যন্ত।  নেট থেকে সংগৃহীত। 

ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে একটিভ থাকুন

১লা মে দিবস / শ্রমিকের অধিকার আদায়ের দিন

১লা মে দিবসের ছবি ১লা মে আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস পালন করা হয়। ১লা মে মহান মে দিবস। ১লা মে বিশ্বের শ্রমজীবী মানুষের অধিকার আদায়ের দিন। ১৮৮৬ স...